সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েক বছর ধরেই বেড়ে চলেছে টেম্বা বাভুমাকে নিয়ে নানা ট্রল-মিমের বাহার। এর কারণ কী? অনেকেই মনে করেন এর পেছনে বড় ভূমিকা ২০২৩ বিশ্বকাপের সেই বিখ্যাত অধিনায়কদের সংবাদ সম্মেলনের ছবি, যেখানে বাভুমা ক্ষনিকের জন্য ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। আবার অনেকে টেনে আনেন তার সাথে দীর্ঘকায় সতীর্থ মার্কো ইয়ানসেনের একটি ছবি, যেখানে তাদের উচ্চতার ব্যবধান ছিল রীতিমত চোখে পড়ার মত। মূল কারণ যাই হোক, ‘লর্ড বাভুমা’ নামটা অন্তত ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিতই। বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান জমানায় কাউকে লর্ড বলা মানেই তিনি সবার কাছে কেবলই হাসির পাত্র মাত্র।
বাভুমার যে চরিত্র, তাতে এসবে তিনি একেবারেই কান দেওয়ার লোক নন। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে এসেছে অনেক কিংবদন্তি মাপের খেলোয়াড়। সেখানে একদিন তার নাম থাকবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে লড়াকু একজন ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এরই মধ্যে নিজেকে প্রমাণ করে ফেলেছেন অনেকবারই। সেটাও এমন সব বাঁধা অতিক্রম করে, যার সামনে পড়লে অনেকেই হয়ত খেলাই ছেড়ে দিতেন।
বাভুমা দক্ষিণ আফ্রিকার এই টেস্ট দলের অধিনায়ক, যিনি খুব যে বাজে ফর্মে আছেন, তাও নয়। নেতা হিসেবে দলকে পরিচালনা করার সহজাদ দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন আগেই। পুরো দলের সম্মানও রয়েছে তার প্রতি বেশ। এরপরও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময় অনেকেই বলে উঠেছেন, বাভুমা কীভাবে দলে থাকে? বাভুমা কীভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হয়?
এমন সব প্রশ্ন কেবল এক ফরম্যাটেই নয়, বাকি দুই ফরম্যাটেও বাভুমা যখনই অধিনায়কত্ব করেছেন, এই একই প্রশ্নগুলো তোলা হয়েছে তাকে নিয়ে। দল ভালো করলেও তাকে সমালোচনা করা হয়েছে অহেতুক। আর ব্যাট হাতে খারাপ সময় গেলে তো কথাই নেই। এটা ঠিক যে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এখনও অনেকেই সুযোগ পান স্কিলের চেয়ে তাদের গায়ের রঙের জন্য। কারণ, নিয়মটা বোর্ডের তরফ থেকেই বেঁধে দেওয়া। তবে বাভুমা কেবল সেটার সুফল পাচ্ছেন, সেটা ভাবলে তার প্রতি হবে বড় অন্যায়ই।
তবে এই যুগে এসে লোকেরা কি ভাববে বা বলবে, সেটার সীমারেখা টানা প্রায় অসম্ভবই। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা জাতীয় দলের অধিনায়ককে লর্ড বলাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাভাবিক ঘটনা। সেখানে তাকে কেন দলে রাখা হয়, সেই প্রশ্ন তোলা তো মামুলি ব্যাপার মাত্রই। আর ১.৬২ মিটার উচ্চতার বাভুমার উচ্চতা নিয়ে হাসিঠাট্টাও তো সবারই প্রিয় বিষয়।
তবে কোহলি-স্মিথ-রুট-উইলিয়ামসন-বাবর বা নিজ দলের এইডেন মার্করামের মত ক্লাসি না হয়েও বাভুমা জানেন কীভাবে আলো কেড়ে নিতে হয়। কারণ তিনি জানেন কীভাবে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে হয় সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের তৃতীয় দিন ২৮২ রান তাড়ায় তিনি যখন নামেন, তখন ৮ উইকেট হাতে রেখেও জেতার জন্য ফেভারিট ছিল না তার দল।
তার মধ্যে চা বিরতির আগে একটি রান নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে বাভুমার। অনেকক্ষণ ধরে নেন চিকিৎসা। তখন ধারণা করা হচ্ছিল, হয়ত আপাপত আর ব্যাটিংয়ে নামবেন না তিনি। কারণ, আঘাত নিয়ে নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে যেমন সমস্যা হবে, তিন রান হবে দুই রান, আর দুই রান হয়ে যাবে এক। অন্যদিকে ছন্দে থাকা মার্করামের ওপরও বাড়বে চাপ। তবে অবিশ্বাস্যভাবে হয়নি এর একটিও।
চা বিরতির পর বাভুমা ঠিকই নেমে গেলেন। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সামলালেন সাবলীল ব্যাটিংয়ে। হুক-পুল করে গেলেন নিয়মিতই। প্যাট কামিন্সকে হুক করে মারা এক ছক্কায় অনেকটাই যেন নাড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাস। অন্যদিকে মার্করামকে বাড়তি চাপ না দিয়ে এক-দুই রানও বের করেন দৌড়ে।
তবে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে দৌড়ানো তো চাট্টিখানি কথা নয়। প্রতিটি রান নিতেই তাই সংগ্রাম করতে হয়েছেন বাভুমাকে। প্রায়ই দেখা গেছে রান নিচ্ছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে। চোখেমুখে ব্যথা অনুভব যে হচ্ছিল, তা ছিল দৃশ্যমান। এরপরও একটিবারের জন্য হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা চিন্তা হয়নি তার। জুটিতে মার্করামকে সঙ্গ দিয়ে পার করেছেন শতক, নিজে করেছেন ফিফটি।
অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের মরিয়া সব প্রচেষ্টা যেভাবে ওভারের পর ওভার ব্যর্থ করে সলিড ডিফেন্স করেছেন বাভুমা, সেটা ক্রিকেটার হিসেবে তার সামর্থ্যেরই একটা প্রমাণ ছিল। তিনি লর্ড নন, তিনি বিশেষ বিবেচনায় দলে জায়গা পাওয়া কেউ নন, তিনি নন-পারফর্মিং ক্যাপ্টেনও নন - ফাইনালের মঞ্চে প্রতিটি বল মোকাবেলায় বাভুমার চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় যেন মিশে ছিল এই বিষয়গুলোই।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে, তারাই বলতে পারবেন যে এই আঘাত নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটাও কতোটা কষ্টের। সেখানে বাভুমা দুই সেশন ব্যাট করেছেন কামিন্স-স্টার্ক-হ্যাজেলউডদের সামনে, লক্ষ্যে অবিচল থেকে। ব্যাটার হিসেবে তিনি হয়ত এবি ডি ভিলিয়ার্স মাপের কেউ নন। তবে বাভুমা ক্রিকেটের সেইসব নিরব চরিত্রদের একজন, যিনি আঁধারে মশাল জালিয়ে এরপর নিজেই মিশে যানা আধারিতে।
তবে বাভুমার সামনে দুর্দান্ত এক সুযোগ এসেছে নিজেকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসার। চতুর্থ দিন যদি তার দল শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে বিজয়ীর বেশে, তাহলে তিনি স্থায়ীভাবেই জায়গা করে নিবেন ইতিহাসে। নিজের অবিস্মরণীয় ইনিংস তো বটেই, সাথে যে যোগ হবে দেশের ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতা অধিনায়কের বিরল সম্মানও।
তবে ‘চোকার্স’ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা মিরাকেল ঘটিয়ে যদি এই ফাইনাল হেরেও যায়, তবুও বাভুমা নিজেকে লর্ড থেকে ‘কিং বাভুমা’ হিসেবে রুপান্তর ঘটাতে সক্ষম হবেন। ক্যারিয়ার জুড়ে অসংখ্য লড়াই পার করে আজকের অবস্থানে আসা বাভুমার এই সম্মানটুকু তো প্রাপ্যই, তাই না?
৩০ জুলাই ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
৩০ জুলাই ২০২৫, ৩:০১ পিএম
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয় জিম্বাবুয়ে। কালে-ভদ্রে পরাশক্তিদের সাথে টেস্ট খেলার সুযোগ পায় দলটি। এতেই বড়দের সাথে ব্যবধান তৈরি হয়ে গেছে। এ মাসের শুরুতে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ঘরের মাঠে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। বুলাওয়েতে দুই টেস্টের দুটিতেই বড় ব্যবধানে হেরেছে। বুলাওয়েতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবার শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম দিনেও শিক্ষানবীশ জিম্বাবুয়েকে দেখেছে দর্শক। টেস্টের প্রথম দিনটি পার করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। টি-ব্রেকের আধ ঘন্টা পর মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে নিয়েছে ইনিংস। জবাব দিতে এসে প্রথম দিন শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৯২/০। সব কটি উইকেট হাতে রেখে পিছিয়ে আছে সফরকারী দলটি মাত্র ৫৭ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বুলাওয়ে টেস্টের প্রথম দিন কিউই পেসার ম্যাট হেনরির তোপের মুখে মাত্র ৬৯ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটির ৫৪ রানে স্কোরটা তিন অঙ্কে টেনে নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়ান শিন উইলিয়ামস এদিন মাত্র ২ রানের মাথায় পেসার স্মিথের অ্যাঙ্গেল ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘনীভূত হয়। ক্রেইগ আরভিন ১০১ মিনিট ব্যাটিং করে ৬টি বাউন্ডারির সাহােয্যে করেছেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান। তাফাজা সিগা করেছেন ১১০ মিনিট স্থায়ীত্ব পাওয়া ব্যাটিংয়ে ৩০ রান। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনি ৫টি চার।
কিউই পেসার ম্যাট হেনরি ছড়িয়েছেন আতঙ্ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অবতীর্ন হয়ে পেয়েছেন ৬ উইকেট (৬/৩৯)। আর এক পেসার নাথান স্মিথ পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/২০)।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাতিল হয়েছিল ভারতের ম্যাচ বয়কটে। তবে এরপর এশিয়া কাপে ভারতের সাথে পাকিস্তানের ম্যাচ নিশ্চিত হওয়ায়, আশা ছিল লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের মধ্যকার ম্যাচ খেলবে দুই দেশ। তবে সেমিফাইনালেও প্রতিবেশী দেশের সাথে ম্যাচ বয়কট করেছে ভারত। ফলে ম্যাচ না খেলেই ফাইনালে চলে গেছে পাকিস্তান।
আগামী বৃহস্পতিবার বার্মিংহ্যামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে গ্রুপ পর্বের পর সেমিতেও পাকিস্তানের সাথে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত। ফলে সরাসরি ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান, যেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নস বা দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নসকে।
টুর্নামেন্টে ভারত চ্যাম্পিয়নস দলে ছিলেন শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, পিয়ুষ চাওলা, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান ও রবিন উথাপ্পার মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। শুরুতে রাজি হলেও গত ২০ জুলাই শেষ সময়ে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানান কয়েকজন ক্রিকেটার। এরপর বাতিল হয় ম্যাচটি।
সেই ম্যাচ থেকে উভয় দলই পয়েন্ট ভাগ করে নেয়। গ্রুপ পর্বে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। অন্যদিকে মাত্র ৩ পয়েন্ট পাওয়া ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস হয় চতুর্থ।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলা ও পরবর্তী সামরিক উত্তেজনার পর দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনে।
ওই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় দল এখনও মুখোমুখি হয়নি। সদ্য ঘোষিত এশিয়া কাপের সূচিতে একই গ্রুপে থাকা এই দুই দলের সব মিলিয়ে তিনটি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। তবে লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল ম্যাচও বাতিল হওয়ায় নতুন করে শঙ্কা জাগতে পারে ভারত-পাকিস্তান মহারণ নিয়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই ব্রেন্ডন টেলরের জন্য খুলে যাচ্ছে জাতীয় দলের দরজা। আগামী ৭ আগস্ট বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে তাকে যুক্ত করেছে জিম্বাবুয়ে।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দেন টেলর। এরপর আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ভাঙার কারণে ৩৯ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটারকে নিষিদ্ধ করা হয়। তিন বছর ছয় মাসের সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৫ জুলাই।
নিষেধাজ্ঞার সময় জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক টেলর কোনো জাতীয় দল বা ঘরোয়া ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি। তবে হারারের একটি বেসরকারি স্কুলের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে এই সময়ে তিনি নিজেকে ফিট রাখেন ফের ক্রিকেটে ফেরার আশা নিয়ে।
নিষেধাজ্ঞা শেষের আগে টেলর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাদক ও মদাসক্তি কাটিয়ে তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ফিট অনুভব করছেন।
জিম্বাবুয়ে এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, যেখানে আছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার তাফাদজওয়া সিগা। বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টের একাদশে আছেন তিনি, প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডারে তার অবস্থান সাত।
ফলে দ্বিতীয় টেস্টে টেলর যদি দলে আসেন, আর নিজের পুরনো চার নম্বর ব্যাটিং পজিশনে ফেরেন, তাহলে শন উইলিয়ামসসহ অন্যদের এক ধাপ করে নিচে নেমে যেতে হতে পারে।
২০০৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩৪টি টেস্ট খেলা টেলর নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছিলেন সাদা পোশাকে জিম্বাবুয়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ৩৬.২৫ গড়ে ৬ সেঞ্চুরি ও ১২ ফিফটিতে করেছেন ২ হাজার ৩২০ রান। শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন ২০২১ সালে, ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের আগে বড় ধাক্কাই খেল ইংল্যান্ড। চোটের কারণে শেষ পর্যন্ত ওভাল টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে থাকা অধিনায়ক বেন স্টোকস। তার পরিবর্তে ওলি পোপ ইংলিশদের নেতৃত্ব দেবেন।
সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টারে ড্র হওয়া চতুর্থ টেস্ট থেকে একাদশে মোট চারটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। দলে ফিরেছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার জ্যাকব বেথেল এবং তিন পেসার গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন ও জশ টাং। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে দুই পেসার জোফরা আর্চার ও ব্রাইডন কার্সকে। আর এক ম্যাচ খেলেই বাদ পড়েছেন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি স্পিনার লিয়াম ডসন।
সিরিজ জুড়ে ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড় স্টোকস বল হাতে পার করেছেন দুর্দান্ত সময়। এক সিরিজে করে ফেলেছেন নিজের সর্বোচ্চ ওভার বোলিংয়ের রেকর্ড। ম্যানচেস্টার টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফাইফার নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেন শতক। তবে চোট সামলে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারেন মাত্র ১১ ওভার। সেখানেও কয়েকবার তাকে ব্যাথায় ডান কাঁধ ধরতে দেখা গেছে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য জানিয়েছিলেন, ডান হাতের বাইসেপ টেন্ডনে সমস্যা থাকলেও টেস্ট মিস করার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু পরে জানা যায়, স্টোকসের চোট গ্রেড থ্রি মাত্রার হওয়ায় পঞ্চম টেস্টে স্পেশালিষ্ট ব্যাটার হিসেবেও খেলা সম্ভব হবে না তার।
স্টোকসের অনুপস্থিতি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে দেবে। সিরিজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। ম্যানচেস্টারে গত দুই বছরে তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পাওয়ার পাশাপাশি শেষ দুটি টেস্টেই হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। ফলে তাকে ছাড়া একাদশ সাজানো কঠিনই হবে স্বাগতিকদের জন্য।
ডসন বাদ পড়ায় স্টোকসের জায়গায় দলে আসা বেথেল হবেন দলের মূল স্পিনার। আর তার সঙ্গে স্পিন অপশন হিসেবে থাকছেন আরেক ব্যাটার জো রুট। আর পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ ক্রিস ওকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন মাইকেল ওয়েন। তরুণ এই ব্যাটার প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে দলে। আগামী আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ ওভারের সিরিজের দলে রাখা হয়েছে তাকে।
তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজে আরও একবার মূল অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ছাড়াই খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তিনি ছাড়াও এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে আরেক অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ককে। ফলে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করবেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ।
চলতি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে নজর কাড়েন ওয়েন। সিরিজে তিনি ১৯২.৩০ স্ট্রাইক রেটে করেন ১২৫ রান। এর মধ্যে রয়েছে রয়েছে এই ফরম্যাটে নিজের অভিষেক ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও যে তিনি তিনি কার্যকর হতে পারেন, তার প্রমাণ দিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। গত মৌসুমে তাসমানিয়ার হয়ে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন মাত্র ৬৯ বলে ১৪৯ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস।
কামিন্স ও স্টার্ক না থাকলেও ক্যারিবিয়ানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম কাটিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ জশ হ্যাজলউড ও ট্রাভিস হেড। ২০ ওভারের সিরিজের দলেও আছেন তারা। আর সাইড স্ট্রেইনের চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলতে না পারা ব্যাটার ম্যাট শর্টও ফিরেছেন দলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়লেও ওয়ানডে দলে জায়গা করে নিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন জেক ফ্রেজার-মার্কার্ক, অ্যারন হার্ডি, কুপার কনলি ও জেভিয়ার বার্টলেট। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা দুই ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অবসর নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নেই ওয়ানডের দলে।
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে আগামী ১০ ও ১২ ও ১৬ আগস্ট। ওয়ানডে সিরিজ চলবে ১৯ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।
৮ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে