
অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হন মিচেল স্টার্ক। অর্জন করেন র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট। আজ আইসিসির সবশেষ হালনাগাদকৃত বোলার র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবার দুইয়ে উঠেছেন স্টার্ক।
স্টার্কের রেটিং পয়েন্ট এখন ৮৫২, শীর্ষে থাকা জাসপ্রিত বুমরাহর ৮৭৯ রেটিং পয়েন্ট। পার্থে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার পর ব্রিসবেন টেস্টে ৮ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে নিউ জিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি না খেলায় তিনি নেমে গিয়েছেন তিন নম্বরে।
নিউ জিল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটার ডেভন কনওয়ে সাত ধাপ এগিয়ে টেস্ট ব্যাটার র্যাঙ্কিংয়ে ৩৪ নম্বরে উঠেছেন। জ্যাকব ডাফি টেস্ট বোলার র্যাঙ্কিংয়ে ১৫ ধাপ এগিয়ে ৪৮ নম্বরে।
টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে নিজের স্থান আরো পাকাপোক্ত করেছেন বরুণ চক্রবর্তী। গত সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের মুকুট অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন
| কোচ বাবাকে সেঞ্চুরি উৎসর্গ ক্যারির |
|
সবশেষ হালনাগাকৃত র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা রেটিং অর্জন করেছেন বরুণ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের পেসার জ্যাকব ডাফির চেয়ে ১১৯ পয়েন্টে এগিয়ে এই লেগ ব্রেক বোলার।
বরুণের রেটিং পয়েন্ট এখন ৮১৮, ভারতের হয়ে এর আগে কেউ এত রেটিং অর্জন করেননি কখনো। টি-টোয়েন্টি বোলারদের রেটিংয়ে সর্বোচ্চ ৮৬৫ পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন পাকিস্তানের উমর গুল। অলটাইম রেটিং অর্জনকারী তালিকায় বরুণ এখন তালিকার ৮ নম্বরে।
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। যার সৌজন্যে রেটিং পয়েন্টে উন্নতি করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভালো বোলিংয়ে চার ধাপ এগিয়ে ১৬ নম্বরে উঠে এসেছেন পেসার অর্শদীপ সিং। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ হন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ইয়ানসেন ১৪ ধাপ এগিয়ে ২৫ নম্বরে, লুঙ্গি এনগিডি ১১ ধাপ এগিয়ে ৪৪ এবং ওটনেইল বার্টম্যান ১০০ এর বাইরে থেকে এখন ৬৮ নম্বরে উঠে এসেছেন।
টি–টোয়েন্টি ব্যাটার র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের তিলক ভার্মা দুই ধাপ এগিয়ে চার নম্বরে উঠেছেন। সতীর্থ অভিষেক শর্মা ব্যাটার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম ৮ ধাপ এগিয়ে ২৯ নম্বরে, কুইন্টন ডি কক ১৪ ধাপ এগিয়ে ৪৩ নম্বরে উঠে এসেছেন।
টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন পাকিস্তানের সাইম আইয়ুব। ভারতের শিবম দুবে দুই ধাপ এগিয়ে ১৬ নম্বরে উঠেছেন।
No posts available.
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৩২ পিএম
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৪২ পিএম
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:২৫ পিএম
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:২৯ পিএম
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম

বছরের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দিয়ে শুরু। এরপর টানা ব্যস্ত সূচির মধ্যে ঢুকে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তাই সামনের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিপিএলেও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের পথে হাঁটবে বিসিবি।
সিলেটে আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের দ্বাদশ আসর। প্রায় এক মাসের ব্যাট-বলের লড়াই শেষে টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি। এর দুই সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নতুন আসর।
মূল পর্বের খেলা শুরুর আগে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশের। তাই বিপিএলে কোনো ক্রিকেটার চোট পেলে বা অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে গেলে তার পক্ষে বিশ্বকাপে স্বাভাবিক পারফরম্যান্স করা একদমই সহজ হবে না।
তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হলেও, এর শুরু থেকেই ক্রিকেটারদের ফিটনেস ও ওয়ার্কলোডের দেখভাল করবে বিসিবি। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন বোর্ডের ক্রিকেট অপ্সের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
“আমাদের সবদিকে খেয়াল থাকবে। বিপিএলে যাদের খেলা আগে শেষ হয়ে যাবে তাদেরকে নিয়ে কাজ শুরু হয়ে যাবে কিন্তু বিপিএল ফাইনাল খেলার অনেক আগে থেকেই। আমরা হয়তো দেখবো যে, যারা প্লে অফে ওঠেনি, তাদের মধ্যে কেউ কেউ আছে যারা জাতীয় দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড় তাদের নিয়ে আমরা কাজ করা শুরু করে দেব।”
এসময় তার পাশে থাকা অপ্সের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস পুরো প্রক্রিয়াটা ব্যাখ্যা করেন।
“আমরা গত বছরও এই পদক্ষেপটা নিয়েছিলাম, এবারও থাকছে। বোর্ডের একজন ট্রেনার পুরো বিপিএল কাভার করবেন। জিপিএসের মাধ্যমে জাতীয় দলের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্টজুড়ে ওয়ার্কলোড ম্যানেজ হবে। ওই ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে যদি কোন প্লেয়ার রেড জোনে থাকে, সেইটা ওই ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে কমিউনিকেটেড করে দেওয়া হবে, এই ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিতে হবে।”
আরও পড়ুন
| রংপুর রাইডার্স-বিএসজেএ মিডিয়া কাপের সেমিফাইনালে কালের কণ্ঠ |
|
ফাহিম জানান, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ দুটো খেলার জন্য জানুয়ারির ২৮ তারিখেই ভারতে চলে যাবে বাংলাদেশ দল।
“বিপিএল শেষ হওয়ার পরপরই কিন্তু ছোট্ট করে ঘরেই ঘরের মাটিতেই কিছু ট্রেনিং প্রোগ্রাম হবে দুই তিন দিনের জন্য। কারণ সময় খুব কম। দল খুব সম্ভবত যদি ভুল না করে থাকি... এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে হয়তো দলটা ২৮ তারিখে চলে যাবে বেঙ্গালুরুতে।”
“ওখানে আমরা দুটো প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলব বিশ্বকাপের ঠিক আগে। একটা নামিবিয়ার সঙ্গে, অন্যটা আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তাই ব্যাঙ্গালুরুতে আমরা ২৮ তারিখে চলে যাব, আইসিসির মূল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে।”
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের শুরু হবে বাংলাদেশের পথচলা।

আগের দিন অ্যাডিলেড টেস্টের পিচের কড়া সমালোচনা করেছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক কিংবদন্তি ব্যাটার কেভিন পিটারসন। সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) অ্যাডিলেডের পিচকে বিশ্বের সবচেয়ে ফ্ল্যাট উইকেট বলেন তিনি। পিটারসনের মতে আগামীকাল (আজ) ও তার পরের দিন আরও ফ্ল্যাট হবে এই উইকেট। তাতে ৮ উইকেটে ৩২৬ রান করে দিন শেষ করা অস্ট্রেলিয়ার স্কোর মোটেও ভালো নয় বলে মন্তব্য করেন। ইংল্যান্ডের দিকে নজর দিয়ে পিটারসেন লেখেন, ‘ইংল্যান্ড, অনুগ্রহ করে মাথা খাটিয়ে ব্যাট করো এবং ৬০০ রান করো!’
আজ অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় দিন শেষে পিটারসনের মাথায় ঠিক কী ঘুরছে? এই একই পিচে ৬০০ দূরের কথা, এর অর্ধেক রান করার আগেই ৮ উইকেট নেই ইংল্যান্ডের। ৮৩ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২৬ রানে নিয়ে দিন শুরু করা প্যাট কামিন্সের দল অলআউট হয় ৩৭১ রানে।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৮ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৩ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড দল। সফরকারীরা এখনো পিছিয়ে ১৫৮ রানে। উইকেটে আছেন স্টোকস ৪৫ ও জোফরা আর্চার ৩০।
যেভাবে ব্যাটে-বলে ইংলিশদের ধরাশায়ী করে চলছে অস্ট্রেলিয়া, তাতে আগের দুই টেস্টের পরিণতিই হতে পারে স্টোকদের।
আরও পড়ুন
| আইপিএল ছেড়ে ৮ দিনের জন্য ফিরবেন মোস্তাফিজ |
|
অ্যাডিলেডে ঘটনাবহুল দিন হিসেবে প্রথম দিনকেও ছাপিয়ে যায় দ্বিতীয় দিন। দিনের শুরুটা হয় প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার খবর দিয়ে। গতকাল সেঞ্চুরি করা অ্যালেক্স ক্যারিকে ৭২ রানে ক্যাচ আউটের আবেদন করে ইংল্যান্ড। আম্পায়ারের সাড়া না পেয়ে রিভিউ নেয় ইংল্যান্ড। রিয়েল টাইম স্নিকোমিটারে স্পষ্ট স্পাইক দেখা গেলেও বল ক্যারির ব্যাটের নিচ দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার একাধিক ক্লিপের আগেই স্পাইক ফুটে উঠে। তাতে আউট দেননি তৃতীয় আম্পায়ার। নিয়ম অনুযায়ী রিভিউও হারানোর কথা ইংলিশদের।
তবে প্রযুক্তিগত ভুলের দায় নেয় স্নিকোমিটার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিবিজি স্পোর্টস। আর প্রথম দিনের খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর কাছে ইংল্যান্ড দল এ নিয়ে অভিযোগ করার পর রিভিউ ফেরত পায় স্বাগকিতকরা।
সকালের সেশন শুরু হয় নাথান লায়ানের এক কীর্তির মধ্য দিয়ে। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে মাত্র দুই ওভার করার পর পরের টেস্টে একাদশ থেকেই বাদ পড়েন এই অফস্পিনার। আজ অ্যাডিলেড টেস্টে বল হাতে নিয়েই দুই উইকেট শিকার করেন তিনি। ৩৮ বছর বয়সী স্পিনার আউট করেন বেন ডাকেট ও ওলি পোপকে। তাতে ২৪৩ ইনিংসে ৫৬৪ উইকেট নিয়ে লায়ন ছাড়িয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রাকে। ৭০৮ উইকেট নিয়ে তাঁর সামনে আছে এখন শুধু গ্রেট শেন ওয়ার্ন।
ইংল্যান্ডের ব্যাটি অর্ডারে প্রথম আঘাতটা করেন অবশ্য পিঠের চোট থেকে ফেরা প্যাট কামিন্স। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন জ্যাক ক্রলি (৯)।
৪৩ রানে তিন উইকেট হারানো ইংল্যান্ড এরপর জো রুটের-হ্যারি ব্রুকের জুটিতে ঘুরে দাড়ানোর আশায় ছিল। তবে আবারও হাজির হন কামিন্স। ৩১ বলে ১৯ করা রুটকে ফিরিয়ে একটি রেকর্ডও করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। টেস্টে রুটকে সবচেয়ে বেশি ড্রেসিংরুমে পাঠানো বোলার এখন কামিন্স। এ নিয়ে ১২বার ইংলিশ ব্যাটারকে আউট করলেন কামিন্স। এতদিন জাসপ্রিত বুমরাহর সঙ্গে এ রেকর্ড ভাগাভাগি করছিলেন তিনি।
৩৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। মাঝে ৬৩ বলে ৪৫ করা ব্রুককে তুলে নেন ক্যামরন গ্রিন। শেষ সেশনে ২৯ ওভারে আরও ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এই সেশনে সফরকারীরা যোগ করেছে ৮১ রান। এরপর আর্চারকে নিয়ে নবম উইকেটে ৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন স্টোকস। ১৫১ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত ইংল্যান্ড অধিনায়ক। অন্য প্রান্তে ৪৮ বলে ৩০ রান করেছেন আর্চার।
আরও পড়ুন
| লেথাম-কনওয়ের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়া দিন নিউ জিল্যান্ডের |
|
ইংল্যান্ডের ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৫টি ক্যাচ নিয়ে দারুণ এক কীর্তি গড়েন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার ক্যারি। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও ইংল্যান্ডের ম্যাট প্রায়রের পর তৃতীয় উইকেটকিপার হিসেবে অ্যাশেজে এক ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ইনিংসে ৫টি ক্যাচ নিলেন ৩৪ বছর বয়সী উইকেটকিপার ব্যাটার।
এর আগে সকালের সেশনে দুই উইকেট নিয়ে ৪৫ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। ৭৫ বলে ৫৪ রান করেন মিচেল স্টার্ক। চলতি অ্যাশেজ সিরিজে ব্যাট হাতে দারুণ অবদান রাখছেন এই পেসার। ক্যারিয়ারে প্রথমবার টানা দুই টেস্টে ফিফটি পেলেন। এবারের অ্যাশজে মাত্র চার ব্যাটার তাঁর থেকে বেশি রান পেয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার শেষ উইকেটটি নিয়ে ৬ বছর পর টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়ার স্বাদ পান আর্চার। ৯ রান করা লায়নকে এলবিড্লু করেন ইংলিশ ফাস্ট বোলার।

রংপুর-রাইডার্স-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ- ২০২৫ পাওয়ার্ড বাই এইস ডেভেলপার্সের ফাইনাল ম্যাচ হবে আগামীকাল (শুক্রবার)। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে জিতে সেরা চারের টিকেট পেয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠ, চ্যানেল আই, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ও আরটিভি।
মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে ১৬ রানে হারিয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠ। ম্যাচে ৫.৩ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয় কালের কণ্ঠ। ৮ বলে ৩৩ রান করে টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী অবসরে যান জহিরুল ইসলাম। পরে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯০ রানের বেশি করতে পারেনি ক্রিকফ্রেঞ্জি। ব্যাট হাতে ২৪ রানের সঙ্গে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ইকলাচ।
একই সময়ে পাশের মাঠে সময় টিভির বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় পায় আরটিভি। আগে ব্যাট করে ১১৫ রান করে সময় টিভি। তামিম হোসেন ৩৪, তাওসিব ৩২ ও সাকলাইন প্রীতম ৩২ রান করে অবসরে যান। রান তাড়ায় ৫.৪ ওভারে জিতে যায় আরটিভি। ব্যাট হাতে ১৪ বলে ২৮ ও বোলিংয়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন জহির।
একপেশে ম্যাচে দৈনিক সমকালকে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। মাত্র ৬৯ রানের লক্ষ্য ৩.১ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে তারা। বল হাতে ১ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ১০ বলে ৩২ রান নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন আদ দ্বীন সজীব।
চ্যানেল আইয়ের বিপক্ষে লড়াই করতেই পারেনি জাগোনিউজ২৪.কম। নীলাদ্রি শেখর ১৩ বলে ৩০, রাহুল রায় ১৩ বলে ৩৪, সজীব দাস ৭ বলে ৩২ ও মিলন মল্লিক ৪ বলে ২২ রান করলে ৬ ওভারে ১৫৪ রানের বড় পুঁজি পায় চ্যানেল আই। জবাবে বিজয় রায় ৬ বলে ৩৪ ও সাঈদ শিপন ১৮ বলে ৩০ রান করলে ১০১ রানে থামে জাগো নিউজ। বল হাতে ২ উইকেট ও ব্যাটিংয়ে ৩২ রান করে ম্যাচ সেরা সজীব।
রংপুর-রাইডার্স-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ- ২০২৫ পাওয়ার্ড বাই এইস ডেভেলপার্সের কোয়ার্টার-ফাইনালে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শানিয়ান তানিম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ক্রীড়া সম্পাদক ওমর ফারুক রুবেল।

ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএলের নিলামে মোস্তাফিজুর রহমানের রেকর্ড মূল্যে দল পাওয়ার পর থেকেই আলোচনা চলছে, পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন তো বাঁহাতি এই পেসার? এর স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপ্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ফাহিম জানিয়েছেন, ৮ দিনের জন্য আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে আসবেন মোস্তাফিজ। ওই সময়ে হওয়া কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচগুলো খেলা হবে না তার।
আইপিএলের নিলামে ত্রিমুখী কাড়াকাড়ির পর ৯ কোটি ২০ লাখ ভারতীয় রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ কোটি টাকার বেশি) মোস্তাফিজকে কিনে নিয়েছে মোস্তাফিজ। আইপিএল খেলতে তার অনাপত্তিপত্রের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ফাহিম।
“মোস্তাফিজকে আমরা এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দিয়েছি পুরো আইপিএলের জন্য। শুধু নিউ জিল্যান্ড সিরিজে যে টি-টোয়েন্টি যে তিনটা ম্যাচ থাকবে, সেখানে সরি ওয়ানডে যে তিনটা ম্যাচ থাকবে, সেখানে ও জাতীয় দলের পক্ষে খেলতে চলে আসবে।”
আগামী ১৫ মার্চ শুরু হয়ে ৩০ মে পর্যন্ত হওয়ার কথা আইপিএলের ১৯তম আসরের খেলা। টুর্নামেন্টের শেষ দিকে ও মে মাসের মাঝামাঝিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ওই সিরিজ খেলতেই মূলত ফিরবেন মোস্তাফিজ।
“আট দিনের জন্য (মোস্তাফিজ) ফেরত আসবে ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য।”
ঘরের মাঠে সিরিজে মোস্তাফিজকে ছাড়া খেলার সাহস কেন দেখাতে পারছে না বোর্ড, সেই প্রশ্নও ওঠে সংবাদ সম্মেলনে। উত্তরে ফাহিম বলেন, বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য র্যাঙ্কিংয়ের হিসেবনিকেশ থাকায় মোস্তাফিজকে নিয়েই খেলবে দল।
“ওয়ানডেতে তো আমরা জানি যে আমাদের বাছাইয়ে একটা বিষয় আছে। তাই ঐ জায়গাটা আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নই। আমরা এখন যে জায়গায় আছি... যদি নিরাপদ জায়গায় থাকতাম সেখানে হয়তো আমরা সেটা করতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেই জায়গাটা নেই বলেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া।”

একের পর এক বল ছুঁড়ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। সারাদিনের খাঁটুনি শেষে ক্যারিবিয়দের প্রাপ্তি কেবল একটি উইকেট। সফরকারীদের রীতিমতো দর্শক বানিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়ে গেলেন নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনার টম লাথাম-ডেভন কনওয়ে।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল শুধুই নিউ জিল্যান্ডের। এক উইকেটে হারিয়ে কিউইরা আজ স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৩৩৪ রান। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একেবারে খালি হাতে রেখে দিন শেষ করবে স্বাগতিকরা। তবে পড়ন্ত বেলায় টম লাথামের উইকেটটি তুলে নেন কেমার রোচ।
এর আগেই হয়ে গেল রেকর্ড। ২৪৬ বলে ১৩৭ রান করা লাথাম যখন আউট হলেন, নিউ জিল্যান্ডের রান ৩২৩। কিউইদের টেস্ট ইতিহাসে ঘরের মাঠে এটিই সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। ১৯৩০ সালে ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিলস ডেম্পস্টারের ২৭৬ রানের রেকর্ড ভেঙে দিলেন লেথাম-কনওয়ে।
আরও পড়ুন
| লায়নের সামনে এখন শুধুই কিংবদন্তি ওয়ার্ন |
|
ঘরে আর বাইরে মিলিয়ে শেষবার নিউজিল্যান্ডের ওপেনাররা টেস্টে প্রথম উইকেটে ৩০০’র বেশি রান করেছিল ১৯৭২ সালের এপ্রিলে। গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্লেন টার্নার ও টেরি জারভিস প্রথম উইকেটে ৩৮৭ রান যোগ করেছিলেন।
যেকোনো উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে লাথাম-কনওয়ে জুটি অষ্টম সর্বোচ্চ। ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোনস-ক্রু এর ৪৬৭ রানের জুটি তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আর টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে লাথাম-কনওয়ের ওপেনিং জুটি ১২তম সেরা।
টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ের এই ম্যারাথান জুটি আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। ভারতের রোহিত শর্মা ও মায়ঙ্ক আগরওয়ালের দখলে ছিল এই রেকর্ড। ২০১৯ সালে বিশাখাপত্তমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম উইকেটে ৩১৭ রান করেছিল রোহিত-আগারওয়াল।
উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডের ফুলঝুরির দিনে কনওয়ে অপরাজিত আছেন ২৭৯ বলে ১৭৮ করে। ১৬ বলে ৯ রান জ্যাকব ডাফির। কনওয়ের এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। আরেক সেঞ্চুরিয়ান লাথাম পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫ নম্বর শতক।