২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৪২ পিএম

আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে প্রথম যুব ওয়ানডেতে জিতেছে বাংলাদেশ। আলোকস্বল্পতায় ৪ ওভার আগেই থেমে যাওয়া ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে ৫ রানের জয় পেয়েছে স্বাগতিক যুবারা।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৫ রান করে আফগানিস্তান। রান তাড়ায় ৪৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান করে বাংলাদেশ।
এরপর আর আলোকস্বল্পতায় খেলা সম্ভব হয়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা।
সিরিজে শুভসূচনার পেছনে বড় কারিগর ইকবাল হোসেন ইমন ও কালাম সিদ্দিকি এলিন। বল হাতে যুব ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেট নেন ইমন। আর ব্যাটিংয়ে এই ফরম্যাটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন কালাম।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য তেমন ভালো হয়নি। মাত্র ১৫ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই তারকা ব্যাটার জাওয়াদ আবরার ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।
তৃতীয় উইকেটে রিফাত বেগের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন কালাম। ৩০ বলে ২৬ রান করে ফেরেন রিফাত।
এরপর ম্যারাথন জুটি গড়েন কালাম ও রিজান হোসেন। ভাগ্যের সহায়তাও পান দুজন। উইকেটের পেছনে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেন আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৩৯ রান যোগ করেন কালাম ও রিজান। নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই আউট হয়ে যান কালাম। তার ব্যাট থেকে আসে ১১ চারে ১১৯ বলে ১০১ রান।
এরপর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে নিয়ে এগোতে থাকেন রিজান। কিন্তু আলোর অভাবে পুরোটা খেলে ম্যাচ জেতানো হয়নি তার।
২ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় ৯৬ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন রিজান। আব্দুল্লাহ করেন ১৯ বলে ১২ রান।
আফগানিস্তানের পক্ষে ৪৭ রানে ২ উইকেট নেন মুজিব উর রহমানের মতো একই অ্যাকশনে বোলিং করা ওয়াহিদউল্লাহ জাদরান।
ম্যাচের প্রথমভাগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ রান পায় আফগানিস্তান। খালিদ ওমরজাইকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন ইমন। পরের ওভারে আরেক ওপেনার ওসমান সাদাতকে ফেরান মোহাম্মদ সবুজ।
চার নম্বরে নেমে হাল ধরেন উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই। তবে অন্য প্রান্ত থেকে তেমন সমর্থন পাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ১৩৭ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন উজাইরউল্লাহ। কিন্তু ম্যাচ শেষে তাকে থাকতে হয় পরাজিত দলে।
১০ ওভারে এক মেডেনসহ ৫৭ রানে ৫ উইকেট নেন ইমন। পেস বোলিং অলরাউন্ডার রিজানের শিকার ৫৪ রানে ২ উইকেট।
একই মাঠে শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে দুই দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯: ৫০ ওভারে ২৬৫/৯ (খালিদ ৩৪, ওসমান ১৫, ফয়সাল ৩৩, উজাইরউল্লাহ ১৪০*, মাহবুব ১২, বরকত ১, আজিজউল্লাহ ১৪, খাতির ৩, ওমরজাই ০, জাইতুল্লাহ ০; ফাহাদ ৬.৪-০-৩৬-০, ইমন ১০-১-৫৭-৫, সবুজ ৫.২-০-৩০-১, রাতুল ৭-০-৩৪-০, রিজান ১০-০-৫৪-২, রাফি ৭-০-৩০-০, তামিম ৪-০-২৩-১)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪৬ ওভারে ২৩১/৪ (জাওয়াদ ১০, রিফাত ২৬, তামিম ০, কালাম ১০১, রিজান ৭৫*, আব্দুল্লাহ ১২*; ওমরজাই ৮-০-৩৬-১, ওয়াহিদউল্লাহ ১০-০-৪৭-২, খাতির ৬-০-৩৫-০, জাইতুল্লাহ ১০-০-৩৪-১, মাহবুব ৬-০-৩২-০, উজাইরউল্লাহ ৬-০-৪৩-০)
ফল: ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ৫ রানে জয়ী
No posts available.
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৭:০০ পিএম

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে
জয় এসেছিল কষ্টার্জিত পরিশ্রমে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান পেয়েছে অনায়াস জয়।
ফাখার জামানের দারুণ সূচনা এবং বাবর আজমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে শ্রীলঙ্কাকে
৮ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে আজ পাকিস্তানের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৮৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২* রান করেন বাবর আজম। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের ২০ত শতক।
বাবর আজম সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২৩ সালের আগস্টে। প্রতিপক্ষ ছিল নেপাল। এরপর তিনি খেলেছেন ৩৫ ওয়ানডে। বেশ কয়েকটি অর্ধশতক এলেও তিন অঙ্ক ছিল অধরা। অবশেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো। ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি পেলেন । একই সঙ্গে সাঈদ আনোয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক বনে গেলেন।
এদিন পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ফাখার জামান ও সায়েম আইয়ুব। দলীয় ৭৭ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। সায়েম উইকেটে থিতু হলেও ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে আফসোস ফাখারের জন্য—৩৫ বছর বয়সী বাঁ-হাতি ব্যাটার ফিরেছেন ৭৮ রানে।
টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার ফিরলেও পিছনে তাকাতে হয়নি পাকিস্তানকে। রিজওয়ানকে সঙ্গী করে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছান বাবর। চলতি পথে রিজওয়ানও অর্ধশতক পূরণ করেন। ৫৪ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর বাবর ১১৯ বলে ১০২ রানে শেষ করেন ইনিংস, মারেন ৮টি বাউন্ডারি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের ৮ ব্যাটারই দুই অঙ্কের দেখা পান। দলের সর্বোচ্চ রান করেন জানিথ লিয়ানাগে—৬৩ বলে ৫৪। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান কামিন্দু মেন্ডিসের, তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
মূলত পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ ও স্পিনার আবরার আহমেদের শৃঙ্খলিত বোলিং বড় ইনিংস গড়তে দেয়নি লঙ্কানদের। দুজনই নেন তিনটি করে উইকেট। ফলে রান পাহাড়ে ওঠার আগেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।

ইডেন গার্ডেনে আজ চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল ভারত। তবে প্রথম দিনের সব আলো কেড়ে নিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। বল হাতে দারুণ বোলিংয়ে ভারতীয় এই পেসার তুলে নেন পাঁচ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে ১৬ বারের মতো এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন বুমরাহ।
ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা দিনে বিচ্ছিরি এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন বুমরাহ। তাঁর একটি মন্তব্য স্ট্যাম্প মাইকে ধরা পড়ে, যা ‘টক অব দ্য ক্রিকেটে’ পরিণত হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে কথা হচ্ছে বেশ। সে মন্তব্যের জেরে ম্যাচ ফি কিংবা নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন বুমরাহ।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ১৩তম ওভারে ঘটনাটি ঘটে। বাভুমার পিছনের পায়ের প্যাডে লাগতেই এলবিডব্লিউয়ের জোরাল আবেদন করেন বুমরাহ। তবে আম্পায়ার সেই আবেদন খারিজ করে দেন। বেঁচে যান বাভুমা।
যদিও বুমরা-পন্থরা আলোচনা শুরু করেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ডিআরএস নেওয়া হবে কি না তা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত রিভিউ নেয়নি ভারত। বুমরাহকে পন্থ বলেন যে, বলটি স্টাম্পের ওপর দিয়ে যেত। পরে টিভি রিপ্লেতেও দেখা যায় যে, বলটি লেগস্টাম্পের ওপর দিয়ে যাচ্ছে।
তাঁর ২ ওভার পরেই কুলদীপ যাদবের বলে ফিরে যান বাভুমা। মাত্র ৩ রান করে। কিন্তু বিতর্ক শুরু হয় বুমরাহর সেই ওভারের ঘটনাকে ঘিরেই। কারণ, স্টাম্প মাইক্রোফোনে বুমরাহ ও পন্থের কথোপকথনটি শোনা যায়। এমনিতে কোনো ব্যাটারের থাইয়ে বল লাগা মানে সেটি স্টাম্পের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে, সেটাই প্রত্যাশিত।
কিন্তু বাভুমার উচ্চতা কম হওয়ায় বলটি স্টাম্পে লাগতেও পারত, মত বুমরাহর। পন্থের উদ্দেশে বুমরাহকে বলতে শোনা যায়,
'বওনা ভি তো হ্যায় ইয়ে।' যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, 'এ তো বেঁটেও।' পন্থ বলেন, 'বেঁটে, কিন্তু বলটা লেগেছে পায়ের অনেক ওপরে।'
বুমরাহর আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গের ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনাটি আচরণবিধির অনুচ্ছেদ ২.১৩–এর অন্তর্ভুক্ত, যেখানে বলা আছে—
“কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে কোনো খেলোয়াড় বা সহায়ক কর্মীর প্রতি ব্যক্তিগত, অপমানজনক, অশালীন, অথবা আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করা।”
দোষী প্রমাণিত হলে বুমরাহর শাস্তি লেভেল ২ ভঙ্গ থেকে শুরু করে লেভেল ৩ ভঙ্গ পর্যন্ত হতে পারে।
লেভেল ২ ভঙ্গ: ম্যাচ ফি–র ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ জরিমানা অথবা সর্বোচ্চ দুই সাসপেনশন পয়েন্ট।
লেভেল ৩ ভঙ্গ: চার থেকে বারো সাসপেনশন পয়েন্ট পর্যন্ত শাস্তি।

ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের সঙ্গে আছেন সেই ২০০৪ সাল থেকে। বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসেরও সঙ্গেও ছিলেন বেশ ক'বছর। তবে ক্রীড়া সংগঠক পরিচয়কে ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিব্রাজক পরিচয়টা বড় হয়ে উঠেছে খেলাপাগল তানভির আহমেদের। বিদেশ সফর শুরু করেছেন সেই ১৯৯৭ সালে। ভারত সফর দিয়ে শুরু, এ বছর মঙ্গোলিয়া সফরের মধ্য দিয়ে পূর্ণ করেছেন তানভির ১০০টি দেশ ভ্রমন। বিশ্ব পরিব্রাজক ইবনে বতুতার নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। বাংলাদেশের তানভির আহমেদকে এই পরিচয়েই কাছের মানুষজন বেশি চেনেন।
খেলার টানে নিজের গাঁটের টাকায় সারা বিশ্ব ঘুরেছেন। ১৯৯৮ সালে ভারতের হায়দারাবাদে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়ের স্বাক্ষী তানভির দেশের বাইরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিকাংশ জয়ের স্বাক্ষী। এখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের কারো কারো মাথায়, কোলে বাঘ দেখা যায়। এমন ছবিটাও কিন্তু সবার আগে বিশ্ব দেখেছে তানভীরের মাথায়।
২০০৩ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব কটি বিশ্বকাপ কভার করেছেন। বিদেশে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ম্যাচও দেখেছেন গ্যালারিতে বসে। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্য সব আসর দেখেছেন। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতিটি আসরে দর্শকের কাতারে নিয়মিত তানভির।
২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক থেকে শুরু করে বেশ ক'টি অলিম্পিক গেমস দর্শন করেছেন তানভির। বিদেশ সফরের নেশাটা তার এতোটাই যে উগান্ডা, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, সান মারিনো, সেসেলস-এর মতো দেশেও পা পড়েছে তার। যে ১০০টি দেশ সফর করেছেন, সে সব দেশের মুদ্রা সংরক্ষণ করেছেন। খেলার জন্য যে সব দেশে গেছেন, সে সব আসরের কোট পিনও আছে তার সংগ্রহে। ফিফা, আওইসি, আইসিসির প্রতিটি আসরে বাংলাদেশের ব্রান্ডিং করেছেন। প্রতিটি ক্রিকেট দলের অটোগ্রাফ সম্বলিত ক্যাপও আছে তার সংগ্রহে।
২০১১ সালে ভারত, শ্রীলঙ্কার সাথে যৌথভাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্বাগতিক মর্যাদা পেয়েছে ২০০৬ সালে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সারা বিশ্বকে আমন্ত্রন জানাতে শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে মেলবোর্নে প্লাকার্ড তুলে ধরেছেন।
বিদেশ সফরের সেঞ্চুরি পূর্তি উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে ডেইলি স্টার ভবনে মাহমুদ সেমিনার হলে করেছেন একটি অনুষ্ঠান। বিদেশ সফরে সুখস্মৃতি এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করেছেন।
অনুষ্ঠানস্থলে সালওয়ারী বিদেশ সফরের দেশগুলো পর্যায়ক্রমে সাজিয়েছেন তানভির। কৌতুহলী অতিথিদের জন্য ওইসব দেশের কোট পিন, মুদ্রাও সাজিয়ের তানভির। কাছ থেকে এই খেলাপাগল বিশ্বপরিব্রাজককে দেখেছেন এবং তার বিদেশ সফরের সঙ্গী ছিলেন যারা, তাদের বক্তব্য নিয়েছেন। অতিথিদের ক'জনকে দিয়েছেন স্মারক ক্রেস্ট। কুইজ প্রতিযোগিতা করে দিয়েছেন বিশেষ পুরস্কার।

আট দলের অংশগ্রহণে কাতারে চলছে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্ট। ১৪ নভেম্বর শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হয় ভারত ‘এ’ দল। যেখানে রীতিমতো ব্যাটিং ঝড় তুলেছেন বৈভব সূর্যবংশী।
দোহার ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ব্যাটিং নেমে মাত্র ৪২ বলে ১৪৪ রান করেন সূর্যবংশী। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসের সুবাধে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ভারত পায় ২৯৭ রান।
এদিন প্রিয়ানেশ আরিয়ার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সূর্যবংশী। মাত্র ১৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় তোলেন সূর্যবংশী। যদিও শূন্য রানে একবার জীবন পান ১৪ বছর বয়সি এ বাঁ-হাতি ব্যাটার। বিপদ কাটিয়ে রুদ্ধরূপ ধারণ করেন তিনি।
১৭ বলে অর্ধশত আদায় করেন সূর্যবংশী। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩২ বলে। যখন আহমেদ তারিকের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন, তখন তার নামের পাশে ৪২ বলে ১৪৪ রান।
ইনিংসে ৩৪২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে মোট ১১টি চার ও ১৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সূর্যবংশী। টি-টোয়েন্টিতে এটিই তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ১০১ রান করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটার।
সূর্যবংশী ছাড়াও প্রতিপক্ষ বোলারদের ব্যাপক শাসান জিতেশ শর্মা। ভারত দলের অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৮৩ রানে। ৩২ বলে খেলে ৮টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি।