
আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আবু ধাবি টি-টেন লিগের নবম আসর। বল মাঠে গড়ানোর শেষ দিকে আগে স্কোয়াড গোছানোয় ব্যস্ত দলগুলো।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে দিল্লি বুলস। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাদের অফিসিয়াল সামাজিক মাধ্যমে এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ‘তরুণ পেসার উবায়েদ শাহ এবং অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ইফতিখার আহমেদ এবার দলের অংশ হচ্ছেন।’
উবায়েদ শাহ এবারই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ১৯ বছর বয়সী এই পেসার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) মুলতান সুলতানসের হয়ে ১১ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন। দারুণ প্রতিভা আর পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখানোর পুরষ্কার পেলেন উবায়েদ শাহ।
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬৬টি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ১২৯ স্ট্রাইক রেটে চার ফিফটিতে = ৯৯৮ রান করেছেন ৩৫ বছর বয়সী ডান হাতি ব্যাটার। এর আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবং লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) এ খেলার অভিজ্ঞতা আছে ইফতিখারের।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত খেলোয়াড় ড্রাফটে দিল্লি বুলস দলে নিয়েছিল পেসার পাকিস্তানের সালমান ইর্শাদ ও মীর হামজাকে। একই ড্রাফটে ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স দলে নেয় আলি রেজা ও রহস্যময় স্পিনার উসমান তারিককে। আলি রেজা গত আসরে পেশাওয়ার জালমির হয়ে ৯ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন। আর বাঁহাতি পেসার মীর হামজা ছয় মৌসুমে করাচি কিংস ও পেশাওয়ার জালমির হয়ে ২৯ ম্যাচে ৩৩ উইকেট শিকার করেছেন।
পাকিস্তানের আরেক বাঁহাতি পেসার আকিফ জাভেদও প্রস্তুত হচ্ছেন তাঁর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জন্য। স্পিনার উসমান তারিকও এবার তাঁর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ–এ ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে ১০ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন উসমান। এছাড়া, আজমান টাইটান্সের হয়ে খেলবেন পাকিস্তানের জামান খান, আসিফ আলি ও আকিফ জাভেদ।
No posts available.

এক বছর পেরোতেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের দায়িত্ব উপভোগ করছেন না সালাহউদ্দীন। এরই মধ্যে বোর্ডে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে সালাহউদ্দীন বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ক্রিকবাজকে নিশ্চিত করেছেন চাকরি ছাড়ার খবর, “হ্যাঁ! আমি পদত্যাগ করছি।”
গত বছরের নভেম্বরে দেশের বরেণ্য কোচ সালাহউদ্দীন জাতীয় দলে যুক্ত করে বিসিবি। সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে তার চুক্তি ছিল ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কিন্তু এর অনেক আগেই শেষ হতে চলেছে সেটি।
ডেভিড হেম্পকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সালাহউদ্দীন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বেশ সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসবে আয়ারল্যান্ড। সিলেটে প্রথম টেস্ট শুরু ১১ নভেম্বর। এরপর ঢাকায় ১৯ তারিখ থেকে হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চট্টগ্রাম চলে যাবে দুই দল। ম্যাচগুলো হবে ২৭ ও ২৯ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর।

ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে জাতীয় দলের দরজা খুলে নিলেন মার্নাস লাবুশেন। সবশেষ সাত ম্যাচে পাঁচ সেঞ্চুরি করে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে ডাক পেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
পার্থে আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ সিরিজ। ওই ম্যাচের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। যেখানে জায়গা হয়নি স্যাম কন্সটাসের। প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন জ্যাক ওয়েদারাল্ড।
বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন লাবুশেন। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে রানের বন্যা বইয়ে দেন। প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট মিলিয়ে সবশেষ সাত ম্যাচের ৮ ইনিংসে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার৷
পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ক্যামেরন গ্রিন ও বাউ ওয়েবস্টারকে দলে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ ৪ টেস্টে দুজনই খেলেছেন একাদশে। অ্যাশেজেও অস্ট্রেলিয়া সেই পথে হাঁটবে কিনা, সেটি দেখার।
নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের চোটে প্রথম টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভেন স্মিথ। পেস বিভাগে জশ হেজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের সঙ্গে আছেন শন অ্যাবট ও ব্রেন্ডন ডগেট।
প্রথম টেস্টের অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড
স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), ব্রেন্ডন ডগেট, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হেজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেন, নাথান লায়ন, মিচেল স্টার্ক, জ্যাক ওয়েদারাল্ড, বাউ ওয়েবস্টার।

‘সহজ ম্যাচ কঠিন বানিয়ে জেতা’ পাকিস্তানের পুরনো অভ্যাস। ফয়সালাবাদে আজ তেমনই নাটকীয়তা দেখা গেছে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেতে একটা সময় ২৭ বলে মাত্র ২৩ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। হাতে ছিল ৬ উইকেট। সেখানেই নামে ধস। যদিও শেষ পর্যন্ত নিস্তার মেলেছে শাহিন শাহ আফ্রিদের। ২ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে কষ্টার্জিত জয় তুলেছে তাঁরা।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে এসেছে ফয়সালাবাদে। প্রর্ত্যাবর্তনের এই দিনে শাহিনদের আমন্ত্রণে আগে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে একটা সময় পাকিস্তান পথ হারিয়ে বসে। শেষ পর্যন্ত কূলের দেখা পায় তারা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো শুরু এনে দেন কুইন্টন ডি কক ও লহুয়ান দ্রে প্রিটোরিয়াস। অভিষিক্ত প্রিটোরিয়াস ফিরলে ৯৮ রানের জুটি ভেঙে যায়। পাকিস্তানকে আনন্দ দেন স্পিনার সাইম আইয়ুব। প্রিটোরিয়াস ৬০ বলে ৫৭ রান করেন, সাতটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।
ডি ককও হাঁকান হাফ-সেঞ্চুরি। টনি ডি জর্জির সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন তিনি। নাসিম শাহর বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৭১ বলে ৬৩ রান। আটটি চার ও দুইটি ছক্কা আসে ডি ককের ব্যাট থেকে। ম্যাথু ব্রিটজের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ বলে ৪২ রান। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিকে করবিন বশ করেন ৪০ বলে ৪১ রান। ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৮৭ রান পর, সাইম আইয়ুব ৪২ বলে ৩৯ রানে ফিরলে। আরেক ওপেনার ফখর জামান করেন ৫৭ বলে ৪৫ রান। সফল হতে পারেননি বাবর আজম। ১২ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর বড় জুটি গড়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলী আগা। ৯১ রান আসে তাদের জুটিতে। ৭৪ বলে ৫৫ রান করে আউট হন রিজওয়ান।
একটা সময় ২৭ বলে মাত্র ২৩ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ক্রিজে দুই থিতু ব্যাটসম্যান সালমান ও হুসেইন তালাত। দুজনকে সাজঘরমুখো করে খেলা জমিয়ে দেয় প্রোটিয়াররা। তবে শেষ জয় পায় পাকিস্তান।

আবুধাবি টি-১০ লিগে দল পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার খেলবেন রয়্যাল চ্যাম্পসে। প্রথমবার এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলবেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়।
টি-টেন লিগে দল পাওয়ার পর সাকিব আল হাসান বলেন,
“রয়্যাল চ্যাম্পসে যোগ দিতে পেরে আমি ভীষণ উচ্ছ্বসিত। আবুধাবি টি-১০ লিগ একটি রোমাঞ্চকর ফরম্যাট, যেখানে দ্রুততা, দক্ষতা ও দলগত সমন্বয়ই মূল চাবিকাঠি। আমাদের দলে অভিজ্ঞতা, প্রতিভা ও দক্ষতার চমৎকার মিশ্রণ রয়েছে—আশা করছি আমরা একসাথে দারুণ কিছু করতে পারব।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“রয়্যাল চ্যাম্পসের হয়ে খেলা একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা একটি শক্তিশালী দল গঠন করেছি, যারা দর্শকদের উপভোগ্য ক্রিকেট উপহার দেবে। প্রথম ম্যাচ থেকেই আমি শতভাগ দিতে প্রস্তুত।”
রয়্যাল চ্যাম্পসের আইকন খেলোয়াড় জেসন রয় বলেন,
“এই লিগের উদ্বোধনী মৌসুমে রয়্যাল চ্যাম্পসের অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। দ্রুততম এই ফরম্যাটে নিজের সেরাটা দিতে চাই। আমাদের দলে আন্তর্জাতিক তারকা ও তরুণ প্রতিভাদের দুর্দান্ত সমন্বয় রয়েছে।”
দলের প্রধান কোচ স্যার কার্টনি ওয়ালশ বলেন,
“সাকিব ও রয় এমন দুটি নাম, যারা অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব দিয়ে দলের মনোবল বাড়াবে। তাদের উপস্থিতি রয়্যাল চ্যাম্পসকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।”
আগামী ১৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভিস্তা রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু রয়্যাল চ্যাম্পসের অভিযান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বোর্ড সভা। চারদিনব্যাপী এই সভা শেষ হবে আগামী ৭ নভেম্বর। জয় শাহ’র সভাপতিত্বে এই সভায় এখনও উপস্থিত হননি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সভাপতি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি মহসিন নকভি।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সভাকালীন সময় রাজনৈতিক কারণে ব্যস্ত পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নকভি। ইন্ডিয়া টুডের তথ্য অনুযায়ী, আইসিসি এই সভায় ক্রিকেট উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও এশিয়া কাপ ট্রফি ইস্যুতে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে। সেখানে অংশ নিলে ট্রফি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নকভি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন।
পিসিবি সূত্র জানিয়েছে, নকভির অনুপস্থিতির পেছনে শুধু রাজনৈতিক কারণই থাকতে পারে, তবে তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। এছাড়া, আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে জয় শাহর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি আইসিসির কোনো সভায় অংশ নেননি।
পিসিবি সূত্র জানিয়েছে, নকভি যদি দুবাই যেতে না পারেন, তবে তিনি শেষ দিনে ভার্চুয়ালি সভায় অংশ নিতে পারে।
এশিয়া কাপ জুড়ে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মনোমালিন্যের বিষয়গুলো প্রকাশ্যে এসেছে। টস পরবর্তী দুই অধিনায়কের হাত না মেলানো কিংবা এক দেশের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে মন্তব্য অনেক সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। শেষ পর্যন্ত সুর্যকুমার যাদবরা এসিসি প্রেসিডেন্টের হাত থেকে ট্রফি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।