২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮:০২ পিএম

গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের অক্টোবর, প্রিয় ফরম্যাটে এই এক বছর কী দুর্বিষহ চিত্রই না ছিল বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের কাছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১-২ এ হার দিয়ে শুরু, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে স্বাগতিকদের কাছে ০-৩, শ্রীলংকা সফরে ১-২ এর পর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে আফগানিস্তানের কাছে ০-৩ এ হার!
টানা ৪টি ওডিআই সিরিজ হারের পর হারের বৃত্ত ভেঙ্গেছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের ওডিআই ইতিহাসে রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়টি সূচিত হয়েছে বুধবার রাতে। ২০২৩ সালে সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৩ রানের জয়কে উপরে রেখে ১৭৯ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ২-১এ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে মিরাজের দল। মিরপুরে বাংলাদেশ নিজেদের ১০৬তম ম্যাচে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়টাও দেখলো বুধবার রাতে।
দীর্ঘদিন পর ওপেনিং জুটি ফিরে পেয়েছে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ১০৬তম ওডিআই ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে করেছে ১৭৬ রান। সৌম্য-সাইফ হাসান জুটির ১৭৬ এই ভেন্যুতে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের ওপেনিং পার্টনারশপে সর্বোচ্চ। ১১ বছর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ইমরুল কায়েস-এনামুল হক বিজয়ের ১৫০-কে টপকে গেছেন সৌম্য-সাইফ। ঢাকায় ওডিআই ক্রিকেটে অপি-বিদ্যুতের ১৭০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপকেও আনতে হচ্ছে সামনে। ২৬ বছর আগে মেহরাব হোসেন অপি'র হাত ধরে ওডিআই ক্রিকেটে বাংলােদেশের প্রথম সেঞ্চুরির সেই রেকর্ডের ম্যাচে শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের সঙ্গে ১৭০ রানের সেই পার্টনারশিপটা ছিল ঢাকা স্টেডিয়ামে।
প্রথম ২৫ ওভারে উইকেটহীন স্কোর ১৭৬, পরের ২৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে স্কোর ৭৪/০, শেষ পাওয়ার প্লে-তে ৬৫/৫। শুরু এবং শেষ পাওয়ার প্লে-কে যথার্থভাবে কাজে লাগানো ম্যাচে স্কোর তো সাড়ে তিনশ' ছুঁই ছুঁই এর প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু তিনশ-ই তো ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। কেনো পারেনি, তার বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসবে ২৬তম ওভার থেকে ৪০তম ওভার পর্যন্ত মাঝের ১৫ ওভারে ধীরগতির ব্যাটিং। যে ১৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে রান উঠেছে মাত্র ৫৫ রান। তাওহিদ হৃদয়ের ধীরগতির ব্যাটিং ( ৪৪ বলে ২৮) এই সময়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত স্কোরে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।
প্রথম দুই ম্যাচে লেজের জোরে, বিশেষ করে রিশাদ ঝড়ে দুইশ কোনোমতে পার করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ওই দুই ম্যাচে ডট বলের সংখ্যা ১৭৩, ১৯৩ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে যথেষ্ট। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে অতো ডট করেনি বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ডট বলের সংখ্যা শেষ ম্যাচে ১৫৭টি।
প্রথম দুই ম্যাচের পিচ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। সে কারণেই কিউরেটর টনি হেমিং-বদিউল আলম খোকন জুটি ইভেন বাউন্সকে গুরুত্ব দিয়ে শেষ ম্যাচের পিচ প্রস্তুত করেছেন। তৃতীয় ম্যাচের পিচ ব্যাটারদের জন্য ছিল বেটার। তবে ইনিংসে আড়াইশ'র কাছাকাছি স্কোরের জন্য তৈরি করা উইকেটে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৯৬/৮ স্কোর করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তা সম্ভব হয়েছে ওপেনিং জুটির অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী ইনিংসে।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের জন্য সৌম্য'র ব্যাটিং হয়েছে অভিযুক্ত। সেই সৌম্যকেই সিরিজের শেষ ম্যাচে অন্য চেহারায় দেখা গেছে। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে রোষ্টন চেজ-কে রিভার্স সুইপে ছক্কা মেরে জানিয়ে দিয়েছেন বিগ হিটে নিজের সক্ষমতার কথা। সেই রোষ্টন চেজ-এর পরের ওভারে এই অফ স্পিনারকে নিয়ে ছেলেখেলা উৎসব করেছেন সৌম্য-সাইফ। ১ চার, ২ ছক্কার ওই ওভারে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার-ছয় মেরেছেন সৌম্য। দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৯ বলে করেছেন সৌম্য ৪৫। এই ম্যাচে সেখানে করেছেন ৮৬ বলে ৯১। যে ইনিংসে ৭টি চার এর পাশে ৪টি ছক্কা। আকিল হুসেইনকে সুইপ করতে যেয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে ওডিআই ক্যারিয়ারে ৪র্থ সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন সৌম্য। এর আগে নব্বইয়ের ঘরে একবারই মাত্র আউট হয়েছেন, ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ইনিংসে কাটা পড়েছিলেন সৌম্য ৯০-এ।
টি-টোয়েন্টিতে মার মার কাট কাট ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে সাইফ হাসানকে নেয়ার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, বৃহস্পতিবার সাইফের ব্যাটিংয়ে (৭২ বলে ৬ চার, ৬ ছক্কায় ৮০) তা জানিয়ে দিতে পেরেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অল স্পিন অ্যাটাকে ৫০ ওভার বোলিংয়ে বিশ্বরেকর্ড করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ম্যাচে স্পিনারদের দিয়ে ৪৩ ওভার বোলিং করিয়েছেন অধিনায়ক সাই হোপ। একমাত্র পেসার গ্রিভসকে দিয়ে ৭ ওভার বোলিং করিয়েছেন তিনি। ওই ৭ ওভারকে ভালই শিক্ষা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ওভারপ্রতি ৮.৭১ হারে উইকেটহীন গ্রিভসের খরচা ৬১।
এমন এক ম্যাচে শেষ দুই স্পেলের (৪-১-৯-১ ও ২-০-৫-৩) স্পিন ভেল্কিতে বাঁ হাতি স্পিনার আকিল হুসেইনের শিকার ৪ উইকেট (৪/৪১)। ইনিংসের ৪৬ এবং ৪৮ তম ওভার আকিল হুসেইনকে দিয়ে করিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত স্কোরে বাধা সৃষ্টি করেছেন সাই হোপ।
বাংলাদেশের ইনিংসে উইন্ডিজ স্পিনাররা আহামরি বল ঘোরাতে পারেননি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে বাংলাদেশ স্পিনাররা ঠিকই বল ঘুরিয়েছে। দুই বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম (৬-১-১১-৩), তানভির (৮-০-১৬-২), লেগ স্পিনার রিশাদ (৯-০-৫৪-৩), অফ স্পিনার মিরাজ (৭.১-০-৩৫-২) উইন্ডিজ ব্যাটারদের কাঁপিয়ে দিয়েছেন। ১১৭ রানে অল আউট করেছে বাংলাদেশ সফরকারী দলকে। একমাত্র পেসার মোস্তাফিজের হাতে ওঠেনি একটি ওভারও।
এক দশক আগে ৩ ম্যাচের ওডিআই সিরিজে ১৩ উইকেটে এখনো বিশ্বসেরা মোস্তাফিজকে ছুঁতে পারেননি রিশাদ। ১ উইকেট কম নিয়ে ১২ উইকেটে থেমেছেন এই লেগ স্পিনার (৩ ম্যাচে ১০.৯০ গড়ে ১২ উইকেট)।
No posts available.
৮ নভেম্বর ২০২৫, ৯:১৮ এম

হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে একের পর এক বিব্রতকর অভিজ্ঞতা হচ্ছে ভারতের। কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার নেপালের বিপক্ষেও হেরে গেল দিনেশ কার্তিকের দল। ফলে বোল ফাইনালেও হয়তো খেলা হবে না তাদের।
মং কংয়ের মিশন রোড মাঠে শনিবার দুপুরের ম্যাচে ভারতকে মাত্র ৪৫ রানে অলআউট করে নেপাল। এর আগে নিজেদের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩৭ রান করে তারা। ৯২ রানের বড় জয়ে বোল ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল নেপাল।
এর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কুয়েতের কাছে হেরে মূল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় ভারত। পরে বোল রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও পাত্তা পায়নি তারা। এবার নেপালের বিপক্ষে তারা পেল হ্যাটট্রিক পরাজয়ের স্বাদ।
আগে ব্যাট করে নেপালের হয়ে ঝড় তোলেন সন্দিপ জোরা ও রশিদ খান। ৪ চার, ৬ ছক্কায় ১৭ বলে ৫৫ রান করে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হয় রশিদের। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন জোরা।
তিন নম্বরে নেমে ১ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মেরে ৭ বলে ৩১ রান করেন লোকেশ বাম।
রান তাড়ায় মাত্র ৩ ওভারে পুরো ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। প্রিয়াঙ্ক পঞ্চল ও ভারত চিপলির ব্যাট থেকে আসে ১২ রান করে।
নেপালের পক্ষে মাত্র ৭ রানে ৩ উইকেট নেন রশিদ। এছাড়া বশির আহমেদ ২টি ও রুপেশ সিং নেন ১টি উইকেট।

কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তা পেল না বাংলাদেশ। বল হাতে একের পর এক ছক্কা হজমের পর ব্যাটিংয়ে ভয়াবহ ধসে বড় ব্যবধানে হেরে গেল আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল।
মং কংয়ের মিশন রোড মাঠে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে ৫৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
শনিবারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে রেকর্ড ১৪৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান করতে পারে বাংলাদেশ।
এই জয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। আর বাংলাদেশ নেমে গেল প্লেট পর্বে। রোববার প্লেট সেমি-ফাইনালে খেলবে তারা।
আরও পড়ুন
| আরব আমিরাতের কাছেও হেরে গেল ভারত |
|
ছয় ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা হজম করেছেন মোট ২১টি ছক্কা। তাদের তুলোধুনো করে এবারের আসরের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৮ রান করেছিল আফগানিস্তান।
৮ ছক্কায় ১৪ বলে ৫১ রান করে বাধ্যতামূলক অবসরে যান বেন মেকডেরমট। ৫ ছক্কায় ৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন উইলিয়াম বসিস্টো। অধিনায়ক অ্যালেক্স রসের ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ১১ বলে ৫০ রান।
পরে রান তাড়ায় প্রথম ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন রকিবুল হাসান ও আবু হায়দার রনি। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১০ বলে ২৫ রান করেন রকিবুল। শেষ দিকে একা ব্যাটিং করা রনির ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ১৮ বলে ৫০ রান।
বল হাতে ক্রিস গ্রিন নেন ৩ উইকেট।

পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর যেন জিততেই ভুলে গেছে ভারত। গ্রুপ পর্বে কুয়েতের কাছে হারের পর এবার বোল রাউন্ডে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও জিততে পারেনি দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বাধীন দল।
হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টে শনিবার বোল রাউন্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগে ব্যাট করতে ৩ উইকেটে ১০৭ রান করে ভারত। জবাবে ৫.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় আমিরাত।
গ্রুপ পর্বে কুয়েতের কাছে হেরে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে পারেনি ভারত। এবার আমিরাতের বিপক্ষেও হারায় বোল ফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও কমে গেল তাদের। বোল রাউন্ডে পরের দুই ম্যাচে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে ভারত।
আমিরাতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওভারের মধ্যে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। এরপর ঝড় তোলেন অভিমন্যু মিথুন ও দিনেশ কার্তিক।
৪ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কায় মিথুন করে ১৬ বলে ৫০ রান। ফিফটি করে ফেলায় বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হয় তার। ৪টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন কার্তিক।
আমিরাতের পক্ষে ২ ওভারে মাত্র ১১ রানে ২ উইকেট নেন নিলানশ কেশানি।
রান তাড়ায় শুরুতেই তাণ্ডব চালান আমিরাত অধিনায়ক খালিদ শাহ। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১৪ বলে ৫০ রান করে অবসরে যেতে হয় তার। আরেক ওপেনার সগির খান ১ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ১১ বলে ৩১ রান।
চার নম্বরে নেমে ৫ বলে ২০ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ আফরান।

ক্রিকেটে সবসময়ই বলা হয়, ম্যাচের দৈর্ঘ্য যত কমে, ছোট দলের সঙ্গে বড় দলের পার্থক্যও তত কমে যায়। সেটি এতটাই কমে আসে যে, ৬ ওভারের ক্রিকেটে কুয়েতের কাছে হেরে গেছে ভারত। যার ফলে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের মূল আসর থেকে ছিটকে গেছে তারা।
মং কং মিশন রোড মাঠে শনিবার সকালে ভারতকে ২৭ রানে হারিয়েছে কুয়েত। এই জয়ে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে গেছে কুয়েত। আর ভারত নেমে গেছে বোল পর্বে।
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে কুয়েত। জবাবে ৫.৪ ওভারে ৬ উইকেটের সবকটি হারিয়ে ৭৯ রানের বেশি করতে পারেনি সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া ভারত।
কুয়েতের শুরুটা একদমই ভালো ছিল না। মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পাঁচ নম্বরে নেমে তাণ্ডব চালান অধিনায়ক ইয়াসিন প্যাটেল। ২ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা মেরে মাত্র ১৪ বলে তিনি করেন ৫৮ রান। এছাড়া বিলাল তাহির করেন ৯ বলে ২৫ রান।
অভিমন্যু মিথুন ২ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
রান তাড়ায় মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। প্রথম বলেই আউট হন রবিন উথাপ্পা। ৪ বলে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক। স্টুয়ার্ট বিনি করেন ২ বলে ২ রান।
পরে প্রিয়াঙ্ক পঞ্চল ১০ বলে ১৭, অভিমন্যু মিথুন ৯ বলে ২৬ ও শাহবাজ নাদিম ৮ বলে ১৯ রান করলেও সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
বল হাতেও কুয়েতের পক্ষে বড় অবদান রাখেন ইয়াসিন। ২ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন কুয়েত অধিনায়ক।
পুল 'সি'তে ভারত, পাকিস্তান ও কুয়েত- তিন দলেরই সমান ২ পয়েন্ট। তবে নেট রান রেটে সবার চেয়ে পিছিয়ে থাকায় বোল পর্বে নেমে গেছে ভারত। আর কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট পেয়েছে পাকিস্তান ও কুয়েত।
মূলত চার গ্রুপের তৃতীয় হওয়া চার দলকে নিয়ে আয়োজন করা হয় বোল পর্ব। যেখানে চার দলের মধ্যে চলে লড়াই। পরে পুরো টুর্নামেন্টের নবম সেরা দল নির্ধারিত হয় বোল ফাইনালের মাধ্যমে।

আইসিসির সভাতেও কোনো সমাধান মেলেনি এশিয়া কাপের ট্রফি বিতর্কের। তাই এখনও অনিশ্চয়তায় ঝুলছে ভারতের ট্রফি বুঝে পাওয়ার বিষয়টি। সমস্যা সমাধানে শিগগিরই গঠন করা হতে পারে একটি বিশেষ কমিটি।
দুবাইয়ে শুক্রবার ছিল আইসিসির ত্রৈমাসিক সভার শেষ দিন। অনেক সংশয়ের পর সেই সভায় সবাইকে চমকে দিয়ে হাজির হন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভি।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সভার আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচিতে এশিয়া কাপের ট্রফি ইস্যু ছিল না। অনেকটা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ রেখেই সবার সামনে তোলা হয় ট্রফি বিতর্কের ঘটনা।
ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসিসি চেয়ারম্যান জোরপূর্বক ট্রফিটি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বেশ জোর দিয়েই বলেছেন, শীঘ্রই এশিয়া কাপের ট্রফি ভারতকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
তবে এই আলোচনার পুরোটাই ছিল অনানুষ্ঠানিক। যেটা মূলত বিভিন্ন দেশের বোর্ড প্রতিনিধিদের হালকা মেজাজের আড্ডার মাঝে উত্থাপন করা হয়েছে। যেখানে সবাই জানিয়েছেন, দ্রুতই এই ট্রফি বিতর্কের সমাধান হওয়া উচিত।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া কাপের ট্রফি বিতর্ক সমাধানে একটি বিশেষ কমিটি করা হবে। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত এমন কোনো কমিটি হয়নি। অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ওমান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান পঙ্কজ খিমজির নেতৃত্বে গঠিত হবে কমিটি।
গত সেপ্টেম্বরে ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। কিন্তু ম্যাচ শেষে ট্রফি ওঠেনি তাদের হাতে। এসিসি ও পিসিবি চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে রাজি হয়নি ভারত।
বিপরীতে নাকভি নিজের অবস্থানে ছিলেন অনড়। এসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই ট্রফি তুলে দেবেন, এই সিদ্ধান্ত নেন নাকভি। ফলে সেদিন আর ট্রফি পাওয়া হয়নি ভারতের। পরে ভারতের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার ট্রফি চাওয়া হয়েছে।
তবে নাকভি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দুবাইয়ে এসিসি কার্যালয়ে গিয়ে সূর্যকুমার যাদবদের অবশ্যই ট্রফি তার কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে। এসিসি কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন, তার অনুমোদন ছাড়া ট্রফি সরানো যাবে না।