
এশিয়া কাপে গ্রুপপর্ব পেরোলেও সুপার ফোরে একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় লঙ্কারা। তাতে চলতি মাসে পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে দলে বড় পরিবর্তন এনেছে তারা।
পাকিস্তান সফরের জন্য আজ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পর জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হবে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
কুডি ওভারের স্কোয়াডে এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ পড়েছেন চার ক্রিকেটার নুয়ানিদু ফার্নান্দো, দুনিথ ওয়েলালাগে, চামিকা করুণারত্নে ও বিনুরা ফার্নান্দো। তাদের জায়গায় দলে ফিরেছেন ভানুকা রাজাপাকসে, জানিথ লিয়ানাগে, দুশান হেমান্থা ও ঈশন মালিঙ্গা।
শ্বাসনালীর সংক্রমণের কারণে টি-টোয়েন্টি দলে নেই মাথিশা পাথিরানা। সবশেষ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন এই পেসার। তার জায়গায় নেওয়া হয়েছে আসিথা ফার্নান্দোকে।
ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েছেন নুয়ানিদু ফার্নান্দো, মিলন প্রিয়ানাথ রথনায়েকে, নিশান মাদুশকা ও দুনিথ ওয়েলালাগে। তাদের জায়গায় ফিরেছেন লহিরু উদারা, কামিল মিশারা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও প্রমোদ মাদুশান।
হাঁটুর চোটের কারণে ওয়ানডে দলে জায়গা পাননি পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা। তার বদলে দলে ডাক পেয়েছেন ঈশান মালিঙ্গা।
রাওয়ালপিন্ডিতে ১১ নভেম্বর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। একই মাঠে ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
ওয়ানডে দল:
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাঠুম নিসাঙ্কা, লহিরু উদারা, কামিল মিশারা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সমারাবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, জানিথ লিয়ানাগে, পাভান রথনায়েকে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, জেফরি ভ্যান্ডারসে, দুশমান্থা চামিরা, আসিথা ফার্নান্দো, প্রমোদ মাদুশান, ঈশান মালিঙ্গা।
টি-টোয়েন্টি দল:
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাঠুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, কামিল মিশারা, দাসুন শানাকা, কামিন্দু মেন্ডিস, ভানুকা রাজাপাকসে, জানিথ লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, দুশান হেমান্থা, দুশমান্থা চামিরা, নুয়ান তুষারা, আসিথা ফার্নান্দো, ঈশান মালিঙ্গা।
No posts available.
৭ নভেম্বর ২০২৫, ৪:২৬ পিএম
৭ নভেম্বর ২০২৫, ২:৫৯ পিএম

ফিফটি কিংবা সেঞ্চুরির পর যেকোনো ব্যাটারই উদযাপনে রাঙান মুহূর্তটাকে। সেই উচ্ছাস অনেক সময় হয়ে যায় বাঁধভাঙাও। কেউ কেউ আবার বাড়াবাড়ি রকমের উদযাপনও করে বসেন।
https://x.com/zcdomestic/status/1986724387152900337
জিম্বাবুয়ের এক ব্যাটারের ভাগ্যটা মন্দই বলতে হয়। তেমন কোনো বলার মতো উদযাপন না করেই আউট হতে হলো তাকে। অফ-স্পিনার ডেফিনেট মাওয়াদজিকে প্যাডেল-সুইপ করেন ব্রায়ান চারি। শটটি খেলে তিনি প্রথমে এক রান নেন এবং ফিফটি পূর্ণ করেন। এরপর এই ব্যাটার দ্বিতীয় রানের জন্য এগিয়ে যান, বেশ স্বচ্ছন্দ ভঙ্গিতেই উইকেটের ভেতরে ব্যাট স্পর্শ করেন।
তবে বিপত্তিটা বাধে এরপরই। দুই রান পূর্ণ করার পর ব্যাট উঁচিয়ে চারি হাঁটছিলেন অসাবধান ভঙ্গিতে। সম্ভবত নন-স্ট্রাইকার তাফারা মুপারিওয়ার সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময়, টিমিসেন মারুমা ডিপ থেকে একটি থ্রো করেন, আর উইকিপার জয়লর্ড গুমবি বেল ফেলে দেন— রান আউট চারি!
নিয়ম অনুযায়ী তখনও বল ডেড হয়নি। ব্যাটসম্যান সম্পূর্ণভাবে ক্রিজের ভেতরে ফিরে এলেও, বল ডেড হওয়ার আগে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তখন উইকেটের ভেতরে না থাকলে ব্যাটারকে রান আউট করে ফেরাতে পারে প্রতিপক্ষ।
জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া ক্রিকেট স্বাক্ষী হলো এমন অদ্ভুত ঘটনার। দেশটির লোগান কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল টাস্কার্স ও মেগা মার্কেট মাউন্টেনিয়ার্স। বুলাওয়েতে এই ম্যাচে ফিফটি উদযাপন করে রান আউট হওয়ার অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হলো চারির। দূর্ভাগ্যজনক রান আউটের আগে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৮০ বলে ৫১ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ১৪টি ওয়ানডে, সাতটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন চারি। তাঁর দুইটি আন্তর্জাতিক অর্ধশতকই এসেছে টেস্টে, ১৮.১৪ গড়ে করেছেন ২৫৪। জিম্বাবুয়ের জার্সিতে তার শেষ ম্যাচটি ছিল ২০২০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে।

বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা ভলভার্টকে (১০১) আউট করতে যে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ নিয়েছিলেন অমনজোত কৌর, সেটিই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় ভারতের পক্ষে। পরে ম্যাচ শেষে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেছিলেন, ‘ওই ক্যাচটা জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত ছিল।’
ভারত বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ এখনো সারা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে সতেজ। আর এই সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দলের সাক্ষাতে উঠে এসেছে এক হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্ত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁকেও মুগ্ধ করেছে অলরাউন্ডার অমনজোতের নেওয়া লরার ক্যাচটি।
গত বুধবার দিল্লির লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বিশ্বকাপজয়ী নারী ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র মোদি। তিনি খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং বলেন, টুর্নামেন্টের শুরুতে তিন ম্যাচে হারের পরেও দল যেভাবে চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে—তা দেশের মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণার উদাহরণ হয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখেও দৃঢ় মনোবল ধরে রাখার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে সংবাদসংস্থা এএনআইকে অমনজোত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমার ক্যাচ নিয়ে মজা করছিলেন। তিনি বললেন—সূর্য ভাইয়া (পুরুষ দলের সূর্যকুমার যাদব) একটা ক্যাচ ধরেছিল, আমি একটা ক্যাচ ধরলাম, আর দুটো বিশ্বকাপ ঘরে ফিরল! আমরা সবাই হেসে উঠেছিলাম।’
এর আগে, পুরুষ দল টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার সময় সূর্যকুমার যাদবের অবিশ্বাস্য ক্যাচ ভাইরাল হয়েছিল। নারী বিশ্বকাপ ফাইনালেও অমনজোত কয়েকবারের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে ভারত জেতে ৫২ রানে।
বিশ্বকাপ শেষে নিজের শহর চণ্ডীগড়ে ফেরেন অমনজোত। বিমানবন্দরে হাজারো মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো পাঞ্জাব আমাকে স্বাগত জানাতে এসেছে। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি হতে পারে না। পরিবার পাশে না থাকলে এতদূর আসা যায় না।’

শামির বিরুদ্ধে ভরণ–পোষণের অর্থ বাড়ানোর দাবিতে তাঁর সাবেক স্ত্রী হাসিন জাহানের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নোটিশ জারি করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত শামি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই নোটিশ পাঠায়।
আবেদনে হাসিন জানান, কলকাতা হাইকোর্ট ভরণ–পোষণ হিসেবে যে মাসিক ৪ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে—তাঁর (হাসিন) জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার এবং মেয়ের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার রুপি পর্যাপ্ত নয়। তিনি আদালতের কাছে ভরণ–পোষণের অর্থ বাড়ানোর অনুরোধ জানান। তাঁর দাবি, বর্তমানে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মেয়ের শিক্ষার খরচসহ প্রয়োজন মেটাতে এই অর্থ যথেষ্ট নয়।
সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করে শামি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে। তারপর আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবে।
হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে অসন্তোষ জানিয়ে হাসিন জাহান বলেন, তিনি ও তাঁর মেয়ের প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে এই ভরণ–পোষণ পর্যাপ্ত নয়। সেই কারণেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন।
২০১৮ সালে শামি ও তাঁর স্ত্রী হাসিনের ব্যক্তিগত ও আইনি দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সে সময় হাসিন সংবাদমাধ্যমে এসে শামির বিরুদ্ধে গৃহনির্যাতন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং যৌতুকের দাবির অভিযোগ আনেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় শামির বিরুদ্ধে কলকাতায় মামলা হয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে শামি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জবাব আদালতে জমা পড়বে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করবে। এতে দ্বন্দ্বপূর্ণ এই অধ্যায়ের পরবর্তী দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি দুটি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের টিম ম্যানেজমেন্টের অনেকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন জাহানারা আলম। এই পেসারের অভিযোগ ও মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিসিবি।
জাহানারার অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা। এবার এই তারকা ক্রিকেটারের ইস্যুতে মুখ খুললেন তামিম ইকবাল। আজ ফেসবুকে এক পোস্টে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক লিখেছেন,
‘জাহানারা আলম যে অভিযোগগুলো তুলেছেন, সবই গুরুতর এবং সে সব সত্যি হলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।’
শুধু নারী ক্রিকেট বলে নয়, যেকোনো ক্ষেত্রে এটি গ্রহণযোগ্য নয় বললেন তামিম,
‘শুধু একজন জাতীয় ক্রিকেটার বা সাবেক অধিনায়ক বলেই নয়, যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটার হোক বা যেকোনো খেলার ক্রীড়াবিদ কিংবা যে কোনো নারী, কারো প্রতিই এমন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিসিবির পাশাপাশি ক্রীড়া পরিষদকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ তামিমের,
‘বিসিবি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বটে। তবে আমি মনে করি, এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কিংবা সরকারী পর্যায়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত, যেখানে বিসিবি সংশ্লিষ্ট কেউ থাকবেন না, যাতে বিন্দুমাত্র পক্ষপাতের সুযোগ না থাকে। যত দ্রুত সম্ভব এই কমিটি গঠন করা উচিত ও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপারটিকে দেখা উচিত। দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শেষ করে দোষী যে-ই হোক, যার যতটুকু দায় থাকুক, উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’
তামিম আরও লিখেছেন,
‘কয়েকদিন আগে জাতীয় দলের পরিবেশ নিয়েও জাহানারা কিছু অভিযোগ করেছেন, যা বিসিবি পরে উড়িয়ে দিয়েছে। একজন ক্রিকেটার যখন দল নিয়ে এত গুরুতর অভিযোগ করেন, সেসব অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। কিন্তু যাচাই না করেই বিসিবি যেভাবে অতি দ্রুত উড়িয়ে দিয়েছে, কখনোই তা কাম্য নয়।’
ন্যায়বিচার প্রত্যাশা তামিমের,
‘জাহানারার অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা যদি না নেওয়া যায়, যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো মেয়ে ক্রিকেট বা যে কোনো খেলায় আসতে ভয় পাবে, খেলাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পিছপা হবে। আমরা সেটা হতে দিতে পারি না।’

হংকং সিক্সেসে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। স্বাগতিক হংকংয়ের বিপক্ষে তাদের প্রথম ম্যাচটি হয়েছিল পরিত্যক্ত। আকবর আলীর ব্যাটিং তাণ্ডব ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঘূর্ণি জাদুতে মং ককে পরের ম্যাচে পেল বাংলাদেশ দারুণ জয়।
টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক লাহিরু দিলশান। ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৭৫ রান রান। জবাবে ৫.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেমে যায় ৬১ রানে।
মং ককের মিশন রোড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম ওভারেই ব্যাটিং ঝড় তোলেন বাংলাদেশের ওপনোর হাবিবুর রহমান। ধনঞ্জয়া লক্ষণের এক ওভারে তোলেন ২০ রান। ইনিংসের চতুর্থ বলে অবশ্য গোল্ডেন ডাকে আরেক ওপেনার জিসান আলমকে ফেরান লক্ষণ।
দুই নম্বরে নেমে তাণ্ডব চালান আকবর আলী। ৯ বলে ৩২ রান করেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ২টি চার। যার সৌজন্যে ৬ উইকেটে ৭৫ রান তোলে বাংলাদেশ।
৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ১২ বলে ১৮ রান এসেছে লক্ষণের ব্যাট থেকে। লাহিরু সামারাকুন ৭ বলে ১৩ ও তানুকা দাবারে করেছেন ৩ বলে ১৩ রান। তবে দলকে জেতানোর মতো ইনিংস খেলে যেতে পারেননি কেউ। ২ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের মোসাদ্দেক। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।