
হৃদয় যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ তবুও একটা আশা ছিল বাংলাদেশের। তবে তাঁর আউটের পরই সব স্বপ্ন শেষ সাকিবদের। এই ম্যাচ তো হারতেই হল, পাশাপাশি এশিয়া কাপ থেকেও এক প্রকার ছিটকেই গেল বাংলাদেশ। ১৫ তারিখ ভারতের সাথে ম্যাচটা যেন এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
সুপার ফোরে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। আজ শ্রীলঙ্কার সাথেও একই পরিণতি। টসে জিতে ফিল্ডিং নিলে বোলাররা কাজটা করেছিলেন ঠিকঠাক। শ্রীলঙ্কাকে আঁটকে রাখা গিয়েছিল ২৫৭ রানেই।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার শেষ নেই
তবে ২৫৮ রানের টার্গেটও আকাশ ছোঁয়া দূরত্ব হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য। ওপেনিং জুটিতে নাঈম শেখ ও মিরাজ শুরুটা ভালোই করেছিলেন। তবে মিরাজের আউটের পর টানা উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
এরপর হৃদয় ও মুশফিক মিলে চেষ্টা করেছেন দলকে টেনে তুলতে। হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৯৭ বলে ৮২ রানের ইনিংস। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি তেমন। অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ২৩৬ রানে। ফলে মাত্র ২১ রানে ম্যাচ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
ফলে এবারের মত এশিয়া কাপ স্বপ্ন প্রায় শেষ বাংলাদেশের। ফাইনাল খেলতে হলে মিলতে হবে প্রায় অসম্ভব সমীকরণ। ফলে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলেই দেশে ফিরতে হতে পারে সাকিবদের।
No posts available.
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:০৭ পিএম

বাংলাদেশের বোলারদের যেন হাতের তালুর মতো চিনে ফেলেছেন ফয়সাল শিনোজাদা। মাঠে নামলেই তাই তিনি পাচ্ছেন সেঞ্চুরির দেখা। সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে একটি বিশ্ব রেকর্ডেই নাম লিখিয়েছেন আফগানিস্তানের উদীয়মান তারকা।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে শনিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯৪ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন শিনোজাদা। বাংলাদেশের সঙ্গে ৬ ইনিংসে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। পাশাপাশি আরেক ফিফটিসহ ৬৮.১৬ গড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার সংগ্রহ ৪০৯ রান।
যুব ওয়ানডের ইতিহাসে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এটিই সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। শিনোজাদার আগে নির্দিষ্ট কোনো দলের সঙ্গে ৩টি করে সেঞ্চুরির কীর্তি ছিল বাংলাদেশের তাওহিদ হৃদয়, ভারতের শুবমান গিল ও পাকিস্তানের সামি আসলামের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১ ইনিংসে ৩ ফিফটির পাশাপাশি ৩ সেঞ্চুরি করেছিলেন হৃদয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ ইনিংসে গিলের সেঞ্চুরিও ৩টি। আর ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৬ ইনিংসে ২ ফিফটির সঙ্গে ৩টি সেঞ্চুরি করেছিলেন সামি আসলাম।
সব মিলিয়ে শিনোজাদার ১০ ইনিংসের ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি ৪টি। যুব ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু তিন জনের- সামি আসলাম (৩৯ ইনিংসে ৬টি), উন্মুখত চাঁদ (২১ ইনিংসে ৫টি) ও তাওহিদ হৃদয় (৪৫ ইনিংসে ৫টি)।
গত অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিল আফগানিস্তান। সিরিজের ৪ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি করেছিলেন শিনোজাদা। এর আগে গত বছরের এশিয়া কাপে তিনি করেছিলেন ৫৮ রান।
এবার শিনোজাদার আরেকটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই ৪৪, আজিজুল্লাহ মিয়াখিল ৩৬ ও আব্দুল আজিজ ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেললে ৭ উইকেটে ২৮৩ রানের পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ।

ব্রিসবেন বিমানবন্দরে ইংল্যান্ড দলের নিরাপত্তাকর্মী ও অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল সেভেনের ক্যামেরা অপারেটরের মধ্যে ঘটে যাওয়া ধাক্কাধাক্কির ঘটনা অ্যাশেজ সিরিজে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্ট খেলতে রওনা দেওয়ার সময় শনিবার সকালে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
চ্যানেল সেভেনের প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, খেলোয়াড়দের খুব কাছ থেকে ছবি তুলতে এগোলে ইংল্যান্ডের এক নিরাপত্তাকর্মী ক্যামেরা অপারেটরকে ঠেলে সরিয়ে দেন। ওই সময় ইংল্যান্ড দলটি নুসা থেকে গাড়িতে করে বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সিরিজের মাঝের বিরতিতে নুসায় তাদের ভ্রমণ আগেই সমালোচনার মুখে পড়েছিল- বিশেষ করে গাব্বায় হারের পর অ্যাশেজে ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) সিরিজ শুরুর আগেই সব গণমাধ্যমের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিল- ম্যাচের মধ্যবর্তী যাত্রাপথে, বিশেষ করে বিমানবন্দর ও হোটেলে, খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না। তবে ‘সম্মানজনক দূরত্ব’ বজায় রেখে দৃশ্যধারণের অনুমতি রয়েছে। এই ঘটনার ফুটেজে দেখা যায়, চ্যানেল সেভেন সেই প্রটোকল পুরোপুরি মানেনি।
তবে সিরিজের বর্তমান অবস্থা ইংল্যান্ডকে বাড়তি মিডিয়া চাপের মধ্যে ফেলেছে। প্রথম দুই টেস্ট ছয় দিনের ভেতর হেরে যাওয়ায় অ্যাডিলেডে জিততেই হবে- হয়তো অ্যাশেজ ধরে রাখার আশা শেষ। এমন পরিস্থিতিতে দল ঘিরে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহও তুঙ্গে।
অভ্যন্তরীণভাবে ইংল্যান্ড শিবির তাদের নিরাপত্তাকর্মীদের ‘নমনীয়’ থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। সফর জুড়ে খেলোয়াড়রা সাধারণত দর্শক ও ভক্তদের সেলফির অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। পার্থে আসার পর থেকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নজরদারিও তারা হাসিমুখে সামলেছেন।
গলফ খেলার সময় ড্রোনে চিত্রধারণ, ব্রিসবেনে হেলমেট ছাড়া ই-স্কুটার চালানো নিয়ে প্রশ্ন- সবই এসেছে তাদের দিকে। অধিনায়ক বেন স্টোকস এসব প্রসঙ্গ হালকাভাবে নিয়েছেন। নুসার সৈকতে গণমাধ্যমের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। সৈকতে সতীর্থদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে খেলতে স্টোকস ছবি তুলতেও রাজি হন।
তবে ব্রিসবেন বিমানবন্দরের ঘটনাটি সেই সহনশীলতার ধারাবাহিকতায় ব্যতিক্রম। মাঠের পারফরম্যান্সে চাপ, তার ওপর বাইরের উত্তাপ- ইংল্যান্ড শিবিরে এখন স্পষ্ট টানাপোড়েন।
অ্যাডিলেডে আগামী বুধবার শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।

দুর্নীতির অভিযোগে চার ক্রিকেটারকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে ভারতের আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। গতকাল শুক্রবার অমিত সিনহা, ইশান আহমেদ, আমান ত্রিপাঠি ও অভিষেক ঠাকুরি- এই চারজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় সংস্থাটি।
২০২৫ সালের সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চার ক্রিকেটারের নামে রাজ্য পুলিশের অপরাধ শাখায় এফআইআরও দায়ের করেছে এসিএ। অভিযুক্ত চারজনই বিভিন্ন সময়ে আসামের হয়ে খেলেছেন।
এসিএর অভিযোগ, ওই চার ক্রিকেটার টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া আসামের কয়েকজন খেলোয়াড়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন এবং দুর্নীতিতে জড়াতে উসকানি দেন।
এসিএর সম্পাদক সনাতন দাস জানান, অভিযোগ সামনে আসার পর বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (এএসসিইউ) বিষয়টি তদন্ত করে। একই সঙ্গে ফৌজদারি প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে গুরুতর অসদাচরণে সংশ্লিষ্টদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
চলতি মৌসুমে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির লিগ পর্বের ম্যাচগুলো হয় ২৬ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে সুপার লিগ পর্ব, টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ১৮ ডিসেম্বর।
নিষেধাজ্ঞার সময়কালে অভিযুক্ত চার ক্রিকেটার এসিএ পরিচালিত কোনো রাজ্য পর্যায়ের টুর্নামেন্ট বা ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না। পাশাপাশি জেলা সংস্থা বা সংযুক্ত ক্লাবের কোনো ক্রিকেট কার্যক্রমেও তাঁরা যুক্ত থাকতে পারবেন না।

তিনি যতটা না দৌড়েছেন, তার চেয়েও বেশি চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডের টি-টোয়েন্টি লিগে বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বয়ে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
ম্যাচে এডওয়ার্ডস ৮১টি বল মোকাবিলা করেছেন, যাতে ছিল ২৩টি ছক্কা ও ১৪টি চার। তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ২৮২।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সাব-অর্বস চার্চেস অ্যান্ড কমিউনিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডে ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এডওয়ার্ডস।
উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে ম্যাচটি স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল না। ফলে ২০১৩ আইপিএলে ক্রিস গেইলের খেলা ১৭৫ রানের ইনিংসই টি-টোয়েন্টিতে এখনো সর্বোচ্চ।
এদিন ২৩ বলে ফিফটি করেন এডওয়ার্ডস। ১১তম ওভারে করেন সেঞ্চুরি, ১৭তম ওভারে ছুঁয়ে ফেলেন ১৫০। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২২৯ রানে, আর দলের স্কোর দাঁড়ায় ৩০৪ রান।
রান তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং থামে ১১৮ রানে।

বড় জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু করল ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৩৪ রানে হারিয়েছেন আয়ুষ মাত্রেরা।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪৩৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ৭ উইকেটে ১৯৯ রানে থামে আমিরাতের ইনিংস।
এদিন দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৪ রান করে আউট হন আয়ুষ মাত্রে। এরপরের গল্প শুধুই বৈভব সূর্যবংশী-এর। মারমুখী ভঙ্গিতে চড়াও হতে থাকেন আরব আমিরাতের বোলারদের ওপর। ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের ৫০ রানের মধ্যে সেঞ্চুরি করতে ১৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার খেলেন মাত্র ২৬ বল।
৫৬ বলে শতক ছুঁয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সূর্যবংশী। ৮৪ বলে দেড়শো পেরিয়ে যান এই বাঁহাতি। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯৫ বলে ১৭১ রানে থামেন।
সূর্যবংশীর ইনিংসে ছিল ৯টি চার, ১৪টি ছয়। যুব ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে আজ সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন সূর্যবংশী। ২০০৮ সালে ১২ ছয় মারা নামিবিয়ার ব্যাটার মাইকেল হিল-এর রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। সূর্যবংশী ছাড়িয়ে গেছেন শুবমান গিল, শিখর ধাওয়ান এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল-এর রেকর্ড।
সূর্যবংশীর বিধ্বংসী ইনিংসের সঙ্গে আরও দুই ব্যাটারের ফিফ্টিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত।
জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আমিরাত। ১৪তম ওভারে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ষষ্ঠ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন পৃথ্বী মাধু ও উদিশ সুরি। মাধু ৫০ রানে ফিরলেও ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সুরি। এই দুজনের নৈপুণ্যে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা পায় আমিরাত।