
ইতিবাচক ফুটবলের বার্তা ছিল মিকেল আর্তেতার। তার দল শুরুটা করল ঠিক সেভাবেই। ভাগ্য সহায় হলে প্রথম দশ মিনিটেই মিলতে পারত গোল। তবে সেটা আর হয়নি। বরং সময় গরানোর সাথে সাথে ছন্দ ফিরে পাওয়া পিএসজি দেখাল প্রাধান্য। গোলের দেখাও মিলল অনায়াসেই। কোনঠাসা আর্সেনাল একটা গোল করল বটে, তবে তাদের ম্যাচের দ্বিতীয় সেরা দল বানিয়ে পাঁচ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখল লুইস এনরিকের পিএসজিই।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ স্কোরলাইনে জিতে দলটি পা রেখেছে এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফাইনালে।
শিরোপার লড়াইয়ে পিএসজির প্রতিপক্ষ ইন্তার মিলান, যারা বার্সেলোনাকে ৭-৬ গোলে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে তিন বছরের মধ্যে নিজেদের দ্বিতীয় ফাইনালে।
প্রথম লেগে ঘরের মাঠে পিএসজিকে দেখা যায়নি সেরা ছন্দে। তাতেও ধরা দিয়েছিল জয়। প্রতিপক্ষের মাঠে তৃতীয় মিনিটেই বিপদে পড়ে যাচ্ছিল দলটি। খিভিচা কোয়ারাতসখেলিয়া পিএসজির বক্সের কাছে জুরিয়েন টিম্বারের কাছে নবল হারান, যেখান থেকে বক্সের ভেতর করা তার ক্রসে হেড নেন ডেকলান রাইস, যা থাকেনি লক্ষ্যে।
প্রথম লেগে পিএসজির জয়ে বড় অবদান ছিল দুর্দান্ত কিছু সেভ করা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার। এই ম্যাচেও হয়নি তার ব্যতিক্রম। থমাস পার্টির বক্সে ভেতর বাড়ানো লম্বা থ্রো থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যে জোরাল শট নেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। তবে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যান পিএসজি গোলরক্ষক, উপহার দেন পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক সেভ।
প্রথম দশ মিনিটে পিএসজিকে ব্যস্ত থাকতে হয় রক্ষণ সামলাতেই বেশি। অষ্টম মিনিটে ফের ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হন দোনারুম্মা। আরও একবার থ্রো-ইন থেকে বক্সের ভেতর বল পায় আর্সেনাল। এবার নিখুঁত শট নেন অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড। তবে ঝাঁপিয়ে এক হাতে সেটা আটকে দেন ইতালিয়ান এই গোলকিপার।
১৬তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল পিএসজি। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে বাঁদিক থেকে কাট করে বক্সে প্রবেশ করে শট নেন জর্জিয়ান। ডেভিড রায়াকে পরাস্ত করতে পারলেও বল ফিরে আসে পোস্টে লেগে।
ছয় মিনিট বাদে আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয় পিএসজির। বক্সের ভেতর ভালো পজিশনে থাকলেও দুর্বল শট নিতে পারেন ডিসাইর দৌরে। ২৭তম মিনিটে লিড নেয় পিএসজি, আর সেটা ছিল দেখার মত এক গোলই।
আর্সেনাল ফ্রি-কিক ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল পেয়ে যান ফাবিয়ান রুইজ। প্রথমে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন, জায়গা তৈরি করেন আর এরপর বাঁ পায়ের বুলেট শটে খুঁজে নেন ঠিকানা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪৬তম ম্যাচে এটি তার প্রথম গোল।
বিরতির পর গোছানো ফুটবল উপহার দেয় আর্সেনাল। ৬৩তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগও তারই ফলশ্রুতিতে পেয়ে যান বুকায়ো সাকা। বাঁদিক থেকে কাট করে নেন কার্লিং শট, যা ছিল লক্ষ্যেই। তবে পিএসজির যে একজন দোনারুম্মা আছেন! আলতো করে বলটি ক্লিয়ার করেন কর্নারের বিনিময়ে।
এর মিনিট দুয়েক বাদে আশরাফ হাকিমির শট আর্সেনালের বক্সে একজনের হাতে লাগলেও শুরুতে তা পেনাল্টি মনে হচ্ছিল না। তবে ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টি দেন পিএসজিকে।
তবে দলকে হতাশ করেন ভিতিনিয়া। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান তিনি, যা দেখে রায়াও মুভ করেন সেভাবেই। ডান দিকে নেওয়া ভিতিনিয়ার নেওয়া শট শেষ পর্যন্ত রুখে দেন রায়া।
৭২তম মিনিটে ম্যাচ থেকে আর্সেনালকে প্রায় ছিটকেই দেন হাকিমি। বদলি নামা উসমান দেম্বেলে পাস থেকে বক্সের ভেতর বল পেয়েই জাল খুঁজে নেন মরক্কোর এই ডিফেন্ডার।
দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার আর্সেনাল ৭৫তম মিনিটে পায় একটা লাইফলাইন। একটু আগেই বদলি নামা লিয়ানড্রো ট্রোসার্ড মারকুইনহোসের কাছ থেকে বলের দখল নিয়ে বক্সের ভেতর পাস দেন সাকাকে। ইংলিশ উইঙ্গারের প্রথম শট গোলকিপার আটকে দিলেও ফিরতি শটে গোলের দেখা পান সাকা।
তবে পরের মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ ও সেরা সুযোগটাও নষ্ট করেন তিনি। ছয় গজের ভেতর পরাস্ত হয়ে গিয়েছিলেন দোনারুম্মাও। ফাঁকায় থাকা সাকার কাজ ছিল কেবল বল লক্ষ্যে রাখা, তবে তিনি সেটা উড়িয়ে মারেন পোষ্টের অনেক ওপর দিয়ে।
ওই মিসের পর আর্সেনালের মনোবলও যেন হারিয়ে যায় দ্রুত। বাকি সময়ে পিএসজি রক্ষণ সামাল দেয় দক্ষতার সাথেই। আর সেটাই তাদের ২০১৯-২০ মৌসুমের পর আবার নিয়ে যায় ফাইনালে।
No posts available.
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:৩৫ পিএম
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:৫৫ পিএম

ময়মনসিংহ বিভাগীয় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়। জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে কলেজটি।
চ্যাম্পিয়ন দলের ফরোয়ার্ড মারুফ দুটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। স্বাধীন ও ফয়সাল একটি করে গোল করেন। ম্যাচশেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেয়েছেন মারুফ। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন স্বাধীন, আর টুর্নামেন্টসেরা জামালপুরের কাইসার।
আজ বুধবার জেলা স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মাঝে ট্রফি এবং নগদ ৬০ হাজার টাকার পুরস্কার তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনার ফারাহ শাম্মী, জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুর রহমান এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব সুমনা আল মজীদ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান, জেলা ক্রীড়া অফিসার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব আল আমিন, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব হারুন অর রশীদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্যান্য সদস্যরা।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি জেলার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ মিলিয়ে মোট ৮টি দল অংশ নিয়েছে। ভবিষ্যতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ এই দুটি দল ঢাকা জাতীয় পর্যায়ে ময়মনসিংহকে প্রতিনিধিত্ব করবে।

শিরোপা উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঢাকা বিভাগীয় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট। বুধবার সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আব্দুর রহমান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে ১–০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজ। উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে দলের হয়ে একমাত্র এবং জয়সূচক গোলটি করেন ফরোয়ার্ড মাশরাক আহমেদ।
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর শুরু হয় টুর্নামেন্টটি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সাত দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলার চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলসহ মোট ২৬টি কলেজ অংশ নেয়।
টুর্নামেন্টে দারুণ পারফরম্যান্স করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন ফাইজান। চার গোল করেছেন তিনি। টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন জিসান। ফাইজান ও জিসান—দুজনই চ্যাম্পিয়ন তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী, যা দলটির সামগ্রিক আধিপত্যেরই প্রতিফলন।
বিভাগীয় পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ—দুই দলই জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাবে। ফলে এই আসরটি কেবল শিরোপার লড়াই নয় বরং তরুণ ফুটবলারদের জন্য বড় মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন
| বিপিএলের ইলেকট্রোলাইট পার্টনার এসএমসি প্লাস |
|
পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আজমুল হকের সভাপতিত্বে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও এপিএবি) সালমা খাতুন, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুমিনুল হাসান, টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্র।
আয়োজকদের প্রত্যাশা, এ ধরনের টুর্নামেন্ট কলেজ পর্যায়ে ফুটবলের মান আরও বাড়াবে এবং ভবিষ্যতে এখান থেকেই উঠে আসবে দেশের সম্ভাবনাময় ফুটবলাররা।

লামিনে ইয়ামালের মধ্যে অনেকেই লিওনেল মেসির ছায়া দেখতে পান। অনেকে আবার ব্রাজিলিয়ান সুপাস্টার নেইমারের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে মনে করেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ উইঙ্গারকে। আবার একদল এখনই ইয়ামালকে কারও সঙ্গে তুলনা দিতে রাজি নন।
মাঠে প্রতিনিয়ত ভেলকি দেখানো ১৮ বছর বয়সী ইয়ামাল কিন্তু ফুটবলীয় দক্ষতার একটি জায়গায় ছাড়িয়ে গেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা মেসিকেও। এই উইঙ্গারের সামনে আছে শুধুই নেইমার। গোল কিংবা অ্যাসিস্ট নয়, এক বর্ষ পঞ্জিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল ড্রিবলিং করেছেন ইয়ামাল।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এক বর্ষ পঞ্জিকায় সর্বোচ্চ ড্রিবলিং করা ফুটবলার নেইমার। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা ও পিএসজির হয়ে খেলে ৩৩৫টি সফল ড্রিবলিং করেছেন ৩৩ বছর বয়সী সান্তোসের এই তারকা। এ তালিকায় দুই নম্বরে আছেন ইয়ামাল। ২০২৫ সালে বার্সার ১০ নম্বর জার্সিধারী ৩০৭বার ড্রিবলিং করে সফল হয়েছেন। সর্বোচ্চ ড্রিবলিংয়ের তালিকায় শীর্ষ দশে পাঁচবারই আছেন মেসি।
আরও পড়ুন
| লোহিত সাগরের নির্জন দ্বীপে নতুন ঠিকানা রোনালদোর |
|
চোট আর মাঠের বাইরের বিতর্কে জড়িয়ে এ বছর হঠাৎ কক্ষ্যচূত হয়ে পড়েছিলেন ইয়ামাল। তবে ঘুরে দাড়াতে মোটেও সময় নেননি তিনি। এ ক্লাসিকোতে বার্সার ২-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন। তবে এরপর আবার রুদ্ররূপে ফিরে আসেন ইয়ামাল। নিয়মিতই গোল-অ্যাসিস্ট করে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। এমনকি গোল-অ্যাসিস্ট না করেও মাঠে দারুণ সব কারিকুরি দেখানো পুরোদস্তর পারদর্শী এখন ইয়ামাল।
চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২০ ম্যাচে ৯ গোলের সঙ্গে ১০টি গোলে সহায়তা করেছেন ইয়ামাল। লা লিগায় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট তাঁর। সতীর্থদের দিয়ে সাত গোল করিয়েছেন কাতালান ক্লাবটির আক্রমণের মধ্যমণি।
টটেনহ্যামের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গুরুতর চোটে পড়া আলেকজান্ডার ইসাকের ওপর করা ট্যাকেল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লিভারপুলের প্রধান কোচ আর্নে স্লট। টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার মিকি ফন ডে ভেনের ট্যাকলকে তিনি সরাসরি ‘বেপরোয়া’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
শনিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লিভারপুল ২–১ গোলে জয় পায়। ম্যাচের শুরুতেই লিভারপুলের প্রথম গোলটি করেন ইসাক। তবে গোল করার মুহূর্তে পেনাল্টি বক্সের ভেতরে ফন ডে ভেনের বাজে স্লাইডিং ট্যাকলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি।
আশ্চর্যজনকভাবে, ওই চ্যালেঞ্জে কোনো শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেননি রেফারি। পরে জানা যায়, ইসাকের গোড়ালি ও ফিবুলা হাড় ভেঙে গেছে। সোমবার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে তার। লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট নিশ্চিত করেছেন, ওকে অন্তত কয়েক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
ম্যাচটিতে উত্তেজনা আরও বাড়ে দ্বিতীয়ার্ধে। থমাস ফ্রাঙ্কের দল টটেনহ্যাম একপর্যায়ে নয়জনের দলে পরিণত হয়। লাল কার্ড দেখেন জাভি সিমন্স ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরো। ইসাককে গুরুতর চোটে ফেলা ফন ডে ভেনের ট্যাকলটি শাস্তির বাইরে থেকেই যায়।
স্লট বলেন, “আমাদের বেশিরভাগ ইনজুরি খেলোয়াড়দের অতিরিক্ত চাপের কারণে হয়নি। ইসাকের চোটের সঙ্গে চাপের কোনো সম্পর্ক নেই। একই কথা প্রযোজ্য ওয়াতারু এন্ডোর ক্ষেত্রেও।”
এসময় ফন ডে ভেনের ট্যাকল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন লিভারপুল কোচ।
“অবশ্যই এক–দুটি চোট হয়তো অতিরিক্ত চাপের সঙ্গে সম্পর্কিত। কোডি গাকপোর পেশির সমস্যা আছে, একই সমস্যা জো গোমেজেরও। তবে ইসাকের চোটটা ছিল একেবারেই বেপরোয়া একটি চ্যালেঞ্জের ফল।”
“জাভি সিমন্সের ট্যাকল নিয়ে আমি আগেও কথা বলেছি। ওটা ছিল পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত। এমন ট্যাকল থেকে সাধারণত কেউ চোট পায় না। কিন্তু ভ্যান ডে ভেনের ট্যাকল- আপনি যদি এমন ট্যাকল ১০ বার করেন, ১০ বারই গুরুতর চোটের ঝুঁকি থাকবে।”
লিভারপুল দলে এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগ ইসাকের অনুপস্থিতি। গুরুত্বপূর্ণ এই ফরোয়ার্ডকে ছাড়াই সামনে ব্যস্ত সূচিতে নামতে হবে ক্লাবটিকে, যা শিরোপা দৌড়ে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সৌদি আরবের লোহিত সাগরের একটি নির্জন দ্বীপে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এই দ্বীপে দুটি বিলাসবহুল ভিলা কিনেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
রিজেনারেটিভ ট্যুরিজম প্রকল্প দ্য রেড সি ও আমালা–এর ডেভেলপার রেড সি গ্লোবাল (আরএসজি) জানিয়েছে, ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও তাঁর জীবন সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নুজুমা, এ রিটজ-কার্লটন রিজার্ভ রেসিডেন্স–এর বাড়ির মালিক। বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসি দ্বীপভিত্তিক আবাসন প্রকল্পগুলোর একটি দ্য রেড সি রেসিডেন্সেস–এর অংশ এই আল্ট্রা-লাক্সারি ব্র্যান্ডের বাড়িগুলো।
রোনালদোর কেনা ভিলা রেড সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকল্পের অংশ। ভিলাগুলো ব্যক্তিগত দ্বীপে গড়ে তোলা। মূল ভূখণ্ড থেকে দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। সেখানে যাতায়াতের একমাত্র উপায় নৌকা বা সি-প্লেন। সাদা বালুতে ঘেরা এই দ্বীপে মাত্র ১৯টি আল্ট্রা-প্রাইভেট ভিলা, চারপাশে স্বচ্ছ নীল জল—এই রিসোর্ট ও আবাসনগুলোতে বিশ্বমানের নকশা ও ব্যক্তিগত সেবার সঙ্গে মিলেছে চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক পরিবেশ।
২০২৩ সালে প্রথম রিসোর্ট চালু হওয়ার পর থেকেই রোনালদো ও জর্জিনা একাধিকবার রেড সি গন্তব্যে গিয়েছেন। স্থল ও জলভিত্তিক নানা অভিযানে অভিজ্ঞতা তাদের ছোট পরিবারকে মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই সেখানে বাড়ি কেনার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে রোনালদোকে।
দারুণ এই দ্বীপে মুগ্ধ রোনালদো বলেন, ‘লোহিত সাগর সত্যিই এক অসাধারণ জায়গা।
যে মুহূর্তে আমরা প্রথম এখানে এসেছিলাম, জর্জিনা আর আমি দ্বীপটির সঙ্গে এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এক ধরনের টান অনুভব করেছি—এটি এমন একটি জায়গা যেখানে আমরা শান্তি খুঁজে পাই। এখন যেহেতু এখানে আমাদের নিজস্ব বাড়ি, আমরা চাইলে যেকোনো সময় পরিবারকে নিয়ে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা ও প্রশান্তির মধ্যে মানসম্মত সময় কাটাতে পারি।’
রেড সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী জন পাগানো বলেন, রোনালদোর বিনিয়োগ এই গন্তব্যের আকর্ষণ প্রমাণ করে। এখানে বিলাসিতা, প্রকৃতি ও গোপনীয়তার সুন্দর সমন্বয় রয়েছে। সব স্থাপনা চলছে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে।
এখন পর্যন্ত এখানে নয়টি বিলাসবহুল হোটেল চালু হয়েছে। শুরা আইল্যান্ডে আরও ১১টি রিসোর্ট চালুর প্রস্তুতি চলছে। থাকবে গলফ কোর্স, রেস্তোরাঁ, শপিং ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। রেড সি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে রিয়াদ, জেদ্দা, দুবাই, দোহা ও মিলানে সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে। তাই বিশ্ব তারকাদের জন্য এটি হয়ে উঠছে নিরাপদ ও নিরিবিলি অবকাশকেন্দ্র।