২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
নতুন ফরম্যাটে চলতি মৌসুম থেকে হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। তাতে বড় ক্লাবগুলো মানিয়ে নিতে বেশ খাবি খেতে হচ্ছে। আর সেই তালিকায় সবার ওপরের দিকেই আছে ম্যানচেস্টার সিটি। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ২৫ নম্বরে। অর্থাৎ, শেষ ম্যাচে পা হড়কালেই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়বে সিটিজেনরা। এই পরিস্থিতি যে কোনো কোচের জন্যই কঠিন। তবে পেপ গার্দিওলা ভাবছেন ভিন্ন কিছুই। তিনি এটিকে দেখছেন বরং সুযোগ হিসেবে।
সাত ম্যাচ চ্যাম্পিয়নস লিগে গার্দিওলার দল খেলে ফেললেও তাদের পয়েন্ট মোটে আট। টেবিলে অবস্থান তাই তলানীর দিকেই। নকআউট পর্বের আগেই তাই জেগেছে বিদায়ের জোর সম্ভাবনা। শেষ ম্যাচটা তাই জয় না পেলে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়াটা নিশ্চিত। এমন পরিস্থিত কঠিন হলেও চাপ নিচ্ছেন না গার্দিওলা।
ফুটবলারদের চাঙ্গা করতে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এটাকে দাবি করেছেন সুযোগ হিসেবে। “পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যা আমাদের ম্যাচটা জিততে হবে, সেটা যদি না পারি তাহলে আমরা এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বো। আমরা চাই আরও দুই ম্যাচ খেলার সুযোগটা তৈরি করতে। এটা সমস্যা না, এটা আমাদের জন্য সুযোগ।”
সিটি সমর্থকরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন যে ম্যাচটা তারা খেলবে নিজেদের ঘরের মাঠে। প্রতিপক্ষ বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুগা। যারা চলতি মৌসুমে কিছুটা চমকই দেখাচ্ছে। পয়েন্ট টেবিলে তারা এগিয়ে আছে সিটির থেকে। অবস্থান ২০ নম্বরে।
তাই কাজটা কঠিন হলেও এমন পরিস্থিতির সাথে তার দল পরিচিত বলেও মন্তব্য করেছেন গার্দিওলা। “এই ধরনের ম্যাচ আমাকে অনেকবারই খেলতে হয়েছে। দেরিতে হলেও আপনাকে এই ধরনের ম্যাচ খেলতেই হবে যদি টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে চান। আমরা ভালো করতে পারিনি তাই এই পরিস্থিতিতে। তবে এই ধরনের অবস্থা আমরা মোকাবেলা করার অভিজ্ঞতা আছে।”
কোপা দেল রের সেমিফাইনালের ড্রয়ে সম্ভাবনা ছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি হওয়ার। তবে সেটা আর হয়নি। এরপরও শক্ত প্রতিপক্ষই পেয়েছে হান্সি ফ্লিকের ফল। তাদের খেলতে হবে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে।
বুধবার হওয়া ড্রয়ে সেই তুলনায় ফাইনালে যাওয়ার জন্য সহজ সমীকরণই পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল সোসিয়েদাদ।
সেমির ম্যাচগুলো দুই লেগে হবে। প্রথম লেগ হবে আগামী ২৫ বা ২৬ ফেব্রুয়ারি। আর দ্বিতীয় লেগ আগামী ১ বা ২ এপ্রিল।
এর ফলে মাত্র এক মাসের মধ্যে তিনবার মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও আতলেতিকো। কোপার দুটি ম্যাচের মাঝে আগামী ১ মার্চ ম্যাচ রয়েছে লা লিগায়ও।
এখন পর্যন্ত দুই দলের মধ্যকার লা লিগার একমাত্র ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছিল আতলেতিকো। জিতেছিল ২-১ গোলে।
উল্লেখ্য, এবারের কোপা দেল রে দিয়েই ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মত সেমিফাইনালে খেলছে রিয়াল, বার্সেলোনা ও আতলেতিকো। সেবারও চতুর্থ দল ছিল সোসিয়েদাদ।
বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম এর পক্ষ হতে দেশের ঘরোয়া ফুটবলের সেরা আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দেশীয় সংগঠক, কোচ, খেলোয়াড়, সমর্থকদেরকে সম্মাননা জানাতে তৃতীয় বারের মত আয়োজিত বিএফএসএফ বিপিএল ফুটবল এ্যাওয়ার্ড ২০২২-২৩ অনুষ্ঠানটি বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ অডিটোরিয়ামে বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫-১৬ মৌসুম এবং ২০১৬-১৭ মৌসুমেও এই আয়োজনটি ফোরামের পক্ষ হতে আয়োজন করা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট কমিউনিটি'র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও নারী উদ্যোক্তা শাহনাজ মজিদ সন্ধ্যা, ক্রীড়া সংগঠক ও দিপালী সংঘ এর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আজম ভূঁইয়া শোয়েব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম এর সভাপতি কনক রায়, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ দেশের ফুটবলের নানাবিধ বিষয় নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন।
বিএফএসএফ বিপিএল ফুটবল এ্যাওয়ার্ড ২০২২-২৩ উপলক্ষে যাদেরকে সম্মাননা জানানো হয়েছে, আজীবন সম্মাননা, সাবেক জাতীয় ফুটবলার আব্দুল গাফফার, সফল ক্রীড়া সংগঠক, বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বসুন্ধরা কিংস এর সভাপতি মোঃ ইমরুল হাসান, সেরা সমর্থক (মরণোত্তর) মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিব, সেরা রেফারি, মোঃ আনিসুর রহমান, সেরা সহকারী রেফারি, মোঃ নুরুজ্জামান ও সোহরাব হোসেন।
সেরা হেড কোচ, আলফাজ আহমেদ। সেরা সহকারী কোচ, জাহান-ই-আলম নূরী রাহেল। সেরা গোলরক্ষক কোচ, একেএম নুরুজ্জামান নয়ন। সেরা গোলরক্ষক, আনিসুর রহমান জিকো। সেরা ডিফেন্ডার, মেহেদী হাসান মিঠু৷ সেরা মিডফিল্ডার, মোঃ হৃদয়। সেরা স্ট্রাইকার, শেখ মোরসালিন। সেরা খেলোয়াড়, মোঃ রাকিব হোসেন। সর্বোচ্চ গোলদাতা, এলিটা কিংসলে ও উদীয়মান খেলোয়াড়, শাহরিয়ার ইমন।
মৌসুমের ব্যস্ত সময়ে বিরতি কাজে লাগাতে আর্সেনাল দল পাড়ি জমিয়েছে দুবাইয়ে অনুশীলনে। তবে সেখানে বেধেছে বিপত্তি। অনুশীলন চলাকালীন হ্যামস্ট্রিং চোট পেয়েছেন কাই হাভার্টজ। সেটা এতোটাই গুরুতর যে, বাতাসে ভাসছে জার্মান ফরোয়ার্ডের মৌসুমের বাকি অংশ থেকে ছিটকে যাওয়ার খবর।
এফএ কাপ থেকে আগেভাগে বিদায়ের পর বাড়তি বিশ্রামের সুযোগে কিছুটা উষ্ণ আবহাওয়ার অনুশীলনের জন্য দুবাইয়ে পাড়ি জমিয়েছে আর্সেনাল। দ্য আথলেতিক এক প্রতিবেদনে লিখেছে, এই অনুশীলনে পাওয়া চোটেই মৌসুম শেষ হয়ে গেছে হাভার্টজের।
দ্য আথলেতিকের সাংবাদিক ডেভিড অর্নস্টেইন দাবি করেছেন, এই মৌসুমে হাভার্টজের আর মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই। তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
হাভার্টজের চোট নিঃসন্দেহে মিকেল আর্তেতার কপালে চিন্তার ভাজ বাড়িয়ে দেবে। চলতি মৌসুমে ইংলিশ ক্লাবটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় তিনি। সব মিলিয়ে ৩৪ ম্যাচে ১৫ গোল করেছেন এই জার্মান।
আর্তেতার জন্য চিন্তার কারণ, এর আগে থেকেই তিনি আছেন চোটের ধাক্কায়। চলতি মাসে প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি। ফরোয়ার্ড বুকায়ো সাকাও আছেন মাঠের বাইরে।
আর ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গাব্রিয়েল হেসুস এসিএল চোটের শিকার হয়ে আগেই ছিটকে গেছেন পুরো মৌসুম থেকেই।
২৪ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে দুইয়ে আছে আর্সেনাল। আর এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে আছে লিভারপুল, তাদের পয়েন্ট ৫৬।
বার্সেলোনায় থাকা সময়ে অনেকবারই দেখেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফিরে আসার অবিশ্বাস্য সব ঘটনা। ম্যানচেস্টার সিটির ডাগআউটে চার বছরের মধ্যে তিনবার সেই একই অভিজ্ঞতা হয়েছে পেপ গার্দিওলার। সবশেষ সেখানে যোগ হয়েছে নকআউট পর্বের প্রথম লেগের ম্যাচ, যেখানে পিছিয়ে থেকেও শেষ সময়ে জয় তুলে নিয়েছে রিয়াল। সিটি কোচের কাছে তাই দলটিকে কোনো স্বাভাবিক দল আর মনে হচ্ছে না।
ম্যাচের ৮০তম মিনিটে ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়া সিটি ভালোভাবেই ছিল জয়ের পথে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল যে ভিন্ন এক দল, যারা হারার আগে যেন হারতেই জানে না। ইতিহাদে তাই ৮৬ ও ৯২তম মিনিটে দুই গোল দিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলার কন্ঠেও তাই ফুটে উঠেছে কার্লো আনচেলত্তির দল নিয়ে।
“রিয়াল মাদ্রিদকে কীভাবে আটকাতে হবে, সেটা আমাদের জানা ছিল না। রিয়াল মাদ্রিদ মোটেও কোনো স্বাভাবিক দল নয়। ইতিহাদে রিয়াল মাদ্রিদের আজ একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছে। আমাদের বিপক্ষে কোনও দলই এটা করতে পারে না।”
চলতি মৌসুমে সিটির জন্য এগিয়ে থেকেও এভাবে হারার ঘটনা প্রথম নয়। শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই এইই নিয়ে তিনবার জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ থেকে হেরে বসেছে গার্দিওলার দল। প্রিমিয়ার লিগেও কয়েকবার দেখা গেছে একই চিত্র।
বারবার একই ধারায় হারার ব্যাপারটা তাই মানতে পারছেন না গার্দিওলা।
“২-১ গোলে এগিয়ে থাকার পর যা হয়েছে, এই মৌসুমে এটা আমাদের সাথে অনেক হয়েছে। ফেইনুর্ড, স্পোর্টিং, ব্রেন্টফোর্ড, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষেও এমনটা হয়েছে। শেষে মূহুর্তে আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছি। এটা প্রথমবার নয়, অনেকবার ঘটেছে, আর সেই কারণেই এটা কঠিন। আমরা যে বিষয় নিয়ে কথা বলছি, এটা মেনে নেওয়া কঠিন।”
ম্যাচ শুরুর আগে টিভি ক্যামেরায় বারবারই দেখাচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটি সমর্থকদের তৈরি করা এক টিফো। যা মূলত ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে খোঁচা দিতেই নিয়ে এসেছিলেন তারা। উদ্দেশ্য ছিল রিয়াল ফরোয়ার্ডকে খেপিয়ে দিয়ে তার পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলা। তবে তাদের ফেলা ফাঁদে পা দেননি ব্রাজিল তারকা। বরং দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জিতে নিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এদিন গোলের দেখা না পেলেও রিয়ালের করা তিন গোলের মধ্যে দুই গোলের উৎসই ভিনিসিয়ুস। সেই সাথে সুযোগ তৈরিতেও তিনি এগিয়ে ছিলেন অন্যদের চেয়ে। সব মিলিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পাঁচটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন সতীর্থদের জন্য। ফুটবল ভিত্তিক ওয়েবসাইট ফুটমুভের তথ্য মতে ৮.২ রেটিং নিয়ে ম্যাচ শেষে করেছেন ভিনিসিয়ুস। যা দুই দল মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
ম্যাচ শেষে সিটি সমর্থকদের এমন কাণ্ড প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে বলেই জানালেন ভিনিসিয়ুস। “ম্যান সিটি সমর্থকদের ব্যানারটা আমি দেখেছিলাম। যা আমাকে ভালো খেলতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। যখনই প্রতিপক্ষ সমর্থকরা আমাকে কিংবা রিয়ালকে চাপে ফেলতে কিছু করে তা আমাকে আরও চাঙ্গা করে দুর্দান্ত কিছু করতে।”
এদিন আর্লিং হলান্ডের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় সিটি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল লেখে ফিরে আসার গল্প। যার শুরু এমবাপের হাত ধরে। ফরাসি অধিনায়কের গোলে রিয়াল সমতায় ফিরলেও পেনল্টি থেকে আবারও সিটিকে এগিয়ে দেন হলান্ড।
৮৬ মিনিটে রিয়ালকে আবারও সমতায় ফেরান ব্রাহিম দিয়াজ। তার করা গোলের শুরুটা ভিনিসিয়ুসের কাছ থেকে। লুকা মদ্রিচের পাস থেকে ভিনিসিয়ুস ডি বক্সের ডান প্রান্ত ধরে সিটির দুই ডিফেন্ডারের মাঝে নেন জোরালো শট। সেটা সিটি গোলকিপার ঠেকেলেও ক্লিয়ারল করতে পারেননি। বল সরাসরি চলে যায় দিয়াজের পায়ে। ঠান্ডা মাথায় দিয়াজ সেখান থেকে বল জড়ান জালে।
শেষ গোলেও মূল কাজটা করেছেন ভিনি। শেষ মুহূর্তে সিটির রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের হৃদয় ভাঙেন বেলিংহাম। যার শুরুটা ভিনিসিয়ুসের হাত ধরেই। তার স্পিডের কাছে মূলত হার মানে রুবেন দিয়াজ। বিপদ বুঝে এগিয়ে আসেন এদেরসেন। ভিনিসিয়ুস তাই তাড়াহুড়ো করেই সিটি গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে উঠিয়ে দেন বল। আর সেই বল ফাঁকা পোস্টে পান জুড বেলিংহাম। সহজ কাজটুকু করতে মোটেও ভুল করেননি তিনি। তাতে জয় নিয়ে ইতিহাদ ছাড়ে রিয়াল।