পরিসংখ্যান বলছে চলতি বছর এখন পর্যন্ত লা লিগায় গোলের দেখা পাননি লামিন ইয়ামাল। কোপা দেল রে কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলের মুখ দেখলেও লিগে গোল খরায় ভুগছেন এই তরুণ তুর্কি। তাতে কিছুটা খোঁচা প্রতিপক্ষ সমর্থকরা দেওয়া শুরু করেছে ইয়ামালকে নিয়ে। যদিও পরিসংখ্যানের হিসেব টেনে বার্সেলোনা সমর্থকরাও জবাবটা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এক গোলের হিসেব বাদে অন্য সব পরিসংখ্যানেই লা লিগায় ইয়ামালের ধারে কাছে নেই অন্য কেউ।
গোল না করলেও ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশ ড্রিবল, কি পাস, কিংবা এক্সপেক্টেড অ্যাসিস্টে(এক্সএ) সবার উপরের নামটা ইয়ামালের। এখন পর্যন্ত চলতি বছরে ইয়ামাল সরাসরি লা লিগায় অ্যাসিস্ট করেছেন দুটি, তবে কি পাস দিয়েছেন দশটি। মানে তার দেওয়া পাস গোলের ভীত গড়ে দিয়েছে এমন সংখ্যা দশ। যা লা লিগায় সর্বোচ্চ। এক্সপেক্টেড অ্যাসিস্টের দিক থেকেও ইয়ামাল সবার উপরে। ২.৭৪ এক্সপেক্টেড রেশিও তার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হুলিয়ান আলভারাজের রেশিও ২.৫২।
আরও পড়ুন
বার্সায় যেতে হলে যে শর্ত পূরণ করতে হবে নেইমারকে |
![]() |
ড্রিবলের দিক থেকে ইয়ামালের আশেপাশেও কেউ নেই। ২০২৫ সালে লা লিগায় এখন পর্যন্ত ইয়ামাল ১০৭ বার ড্রিবলের চেষ্টা করেছেন, যেখানে তিনি সফল হয়েছিলেন ৫৭ বার, দুইয়ে থাকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ৬৯ বার ড্রিবলের চেষ্টা করে সফল হয়েছেন ৩৪ বার, আর লুইস রিয়োজা ৫৯ বার চেষ্টা করে ড্রিবলে সফল হয়েছেন ৩৬ বার।
এই পরিসংখ্যানই জানান দেয় গোল না করেও বার্সেলোনার খেলায় কতটা প্রভাব রাখছেন ইয়ামাল। ইয়ামাল যেমন মাঠে ছুটছেন তেমনি বার্সেলোনাও ছুটে চলছে একই তালে। লা লিগায় ২০২৫ সালে সাত ম্যাচ খেলে তারা এখনো দেখেনি কোনো হার। যেখানে ছয় জয় আর এক ড্রতে তারা ২১ পয়েন্টের মধ্যে তুলে নিয়েছে ১৯ পয়েন্ট। তাতে জানুয়ারিতে পয়েন্ট টেবিলের তিনে থাকা বার্সেলোনার অবস্থান সবার শীর্ষে। হান্সি ফ্লিকের দল প্রতিপক্ষের জালে গোল বন্যায় ভাসালেও নিজেদের জাল ঠিকই অক্ষত রাখছে।
তাতে ইয়ামাল, পেদ্রি কিংবা কুবরাসিদের মতো তরুণদের কাঁধে চড়ে আরও একবার বার্সেলোনা সমর্থকরা স্বপ্ন দেখছেন বড় কিছুরই।
৫ মার্চ ২০২৫, ৬:৩৮ পিএম
৫ মার্চ ২০২৫, ৪:০৪ এম
শুধু মাঠের ফুটবলেই নয়, মাঠের বাইরের নানা কাণ্ডে চলতি মৌসুমে শিরোনামে থাকছে ম্যানচেস্টার সিটি। সবশেষ বিতর্কিত কাণ্ডে দলটিকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন জ্যাক গ্রিলিশ। ইংলিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, সিটি ফরোয়ার্ডকে দেখা গেছে নিউক্যাসেলের এক বার থেকে মাতাল অবস্থায় বন্ধুদের সঙ্গে বের হতে।
যদিও এমনটা নতুন কিছু নয়। এর আগেও গ্রিলিশকে দেখা গেছে এমন সব পার্টিতে থাকতে। গেল ফেব্রুয়ারিতেও লন্ডনে এক নাইট ক্লাবে তাকে একজন মেয়ে সহ দেখা গেছে বলে জানিয়েছিল বেশ কিছু ইংলিশ গণমাধ্যম। সদ্য চোট থেকে ফেরা গ্রিলেশের এমন কাণ্ডে তাই বেশ সমালোচনাই হচ্ছে।
সাবেক ইংলিশ ফুটবলার টেডি শেরিংহাম তো দাবি করেছেন, গ্রিলিশ নিজ হাতেই তার ক্যারিয়ারকে ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন। এমনিতেই পারফরম্যান্সের বেহাল দশা, তার মাঝে এমন সব নিতিবাচক খবরে সমালোচনা জেঁকে ধরছে। যার প্রভাব পড়ছে তার পারফরম্যান্সেও।
এর আগে ২০২৩ সালে সিটির ট্রেবল জয়ের উদযাপনেও গ্রিলিশকে দেখা গেছে অনেকটা মাতাল অবস্থায়। শেরিংহামের দাবি করেছেন, সেই উদযাপনের রেশ যেন এখনও রয়ে গেছে গ্রিলিশের।
“তারা ট্রেবল জিতেছিল এবং মনমত উদযাপন করেছিল। দেখে মনে হচ্ছে সে এখনো সেই উদযাপনের রেশ থেকে বের হয়ে ফুটবল মাঠে ফিরতে পারেনি। তার এখন খেলার দিকে নজর দেওয়া উচিত, না হয় ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়বে।”
এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমে গ্রিলিশ খেলেছেন ২৬ ম্যাচ। করেছেন ২ গোলের পাশাপাশি পাঁচ অ্যাসিস্ট। সিটির বাজে ফর্মের সঙ্গে তার এমন সব কাণ্ড তৈরি করছে নতুন সমস্যাই। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, আসছে গ্রীষ্মে গ্রিলিশকে বিক্রি করার কথাই চিন্তা করছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। ফলে পেপ গার্দিওলা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় গ্রিলিশের থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ হচ্ছে দিনকে দিন।
ম্যাচের তখন অতিরিক্ত সময়। কিলিয়ান এমবাপে অনেকটা ফাঁকা পোস্টে বল বাড়িয়ে দিয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের কাছে। বলে ছোঁয়ালেই গোল হয়ে যায়, এমন সময়ে আচমকা পেছন থেকে দারুণ এক ট্যাকেলে আতলেতিকো মাদ্রিদকে সেযাত্রায় রক্ষা করেন মারিয়া গিমিনেজ। তাতে স্বস্তি মেলে দিয়েগো সিমিওনের। সেই গোলটা হয়ে গেলে যে দ্বিতীয় লেগের আগেই অনেকটাই পিছিয়ে যেত তার দল। তাই ম্যাচ শেষে আতলেতিকো কোচ বলেছেন, পিছিয়ে পড়ার পর তাদের লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় লেগের জন্য আশা টিকিয়ে রাখা।
রদ্রিগো নান্দনিক এক গোলে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় রিয়াল। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের গোলের রেশ না কাটতে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ হাজির হন আরও বড় চমক নিয়ে। তার চোখ জুড়ানো গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই জনকে পেছনে ফেলে ‘মোমেন্ট অফ ম্যাজিকে’ সব আলো কেড়ে নেন ব্রাহিম দিয়াজ। পিছিয়ে পড়ে আতলেতিকো অবশ্য খুব একটা ম্যাচে ফেরার আর তাড়া দেখায়নি, বরং চেষ্টা চালিয়ে গেছে নিজেদের জাল অক্ষত রাখার।
যা কিছুটা অবাক করা হলেও ম্যাচ শেষে সিমিওনে জানিয়েছেন তাদের অমন কৌশলের পেছনের কারণ। “দ্বিতীয়ার্ধে আমরা শুরুটা ভালোই করেছি, তবে তাদের রক্ষণটা ভাঙা যায়নি। আমার মনে হয় আমরা ভালো করছিলাম। তবে তাদের গোল করাটা ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিয়েছে। তখন আমাদের সামনে সুযোগ ছিল, ঝুঁকি নেওয়ার কিংবা গোল হজম না করা যাতে আমরা পরের লেগের আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারি। আমরা সেটাই করেছি।
তবে ম্যাচ হারলেও আতলেতিকো কোচ খুশি দলের পারফরম্যান্স নিয়ে।
“আমার মনে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ একটা সময় ভালোই আমাদের হাতে ছিল। বিশেষ করে গোল হজম করার পর ফুটবলারদের পতিক্রিয়া ছিল নজর কাড়া। ম্যাচের শুরুতে গোল হজম করলে ম্যাচ কঠিন হয়ে যায়। তবে দল দমে না গিয়ে লড়াই করার মানসিকতা দেখিয়েছে, আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছে, যা ইতিবাচক।”
ম্যাচের আগেই রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছিলেন, আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে প্রথম লেগে এগিয়ে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য। সেই মোতাবেক শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছেড়েছে তার দল। ম্যাচে কিছু ভালো গোলের সুযোগ নষ্ট করলেও তাই জয়টা বিশেষ প্রাপ্তি মনে হচ্ছে ইতালিয়ান এই কোচের কাছে।
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুর্দান্ত এক গোলে শুরুতেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন রদ্রিগো। তবে আতলেতিকোকে প্রায় সমান মুন্সিয়ানার এক গোলে ম্যাচে ফেরান হুলিয়ান আলভারেজ৷ বিরতির পর শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ব্রাহিম দিয়াজ।
প্রতিপক্ষ আতলেতিকো বলেই এই জয়ে বাড়তি উচ্ছ্বাস আনচেলত্তির কন্ঠে। “এই ম্যাচগুলো সমানে সমান হয়। এটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর ম্যাচ হলেও সহজেই এটি ফাইনাল বা সেমিফাইনালও হতে পারে। আতলেতিকো ইউরোপের শীর্ষ একটি দল। আর তাই তাদের বিপক্ষে আপনি প্রথম লেগে লড়াই শেষ করার ব্যাপারে চিন্তাও করতে পারবেন না।”
রিয়াল জয় পেলেও এই ম্যাচে গোল মিসের মহড়া দেন দুই তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। দুজনই নষ্ট করেন ভালো ভালো সুযোগ৷ সেগুলো না হলে রিয়ালের এক গোলের লিড আরও বড় হতেও পারত।
আনচেলত্তি অবশ্য বিষয়টিকে খুব বড় কর দেখতে নারাজ। “প্রথমার্ধে আমরা অনেকগুলি বল হারিয়েছি। আমাদের কিছু অপ্রয়োজনীয় ভুল ছিল, যার খেসারত আমাদের দিতে হয়েছে। তারা হুলিয়ান আলভারেজের গোলে সমগা নিয়ে এসেছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আরও ভালো খেলেছি। আমরা সেটার সুবিধা নিতে পেরেছিলাম এবং ফলও পেয়েছি।”
দ্বিতীয় লেগে জয় তুলে নিলে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়ালের প্রায় নিশ্চিত প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে আর্সেনাল। মিকেল আর্তেতার দল নিজেদের ম্যাচে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসভি আইন্দোহোভেনকে।
সাধারণত ব্রাহিম দিয়াজকে এমন ক্ষেপাটে উদযাপন করতে দেখা যায় না। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল করে মরক্কান এই মিডফিল্ডার তেড়ে যান আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিওনের দিকে। দুজনের যে ছিল আলাদা হিসাব-নিকাশ।
ম্যাচের আগে রিয়ালের মিডফিল্ডে কে খেলতে পারেন, সেই সম্ভাবনায় অন্যদের নাম বললেও ব্রাহিমকে সেখানে রাখেননি৷ বলার অপেক্ষা রাখে না, সেটা যেন বাড়তি তাতিয়ে দেয় প্রতিভাবান এই ফুটবলারকে। শুরুর একাদশে জায়গা করে নেওয়ার পর, ৫৫তম মিনিটে তার করা গোলেই ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কার্লো আনচেলত্তির দল।
সেই গোলের পর সিমিওনেকে উদ্দেশ্য করে ব্রাহিমকে বলতে দেখা যায়, “পারলে এখন কথা বলো, গতকাল খুব তো বলেছিলে। কথা বলো এখন।”
চলতি মৌসুমে ভালো ছন্দে থাকা ব্রাহিমের এটি ষষ্ঠ গোল। চোটের কারণে দানি সেবায়োস ও নিষেধাজ্ঞায় জুড বেলিংহাম ম্যাচটি মিস না করলে নিশ্চিতভাবেই একাদশে জায়গা মিলত না তার। তবে সুযোগ পেয়ে সেটা দুহাতে কাজে লাগানোর পাশাপাশি সিমিওনেকে মোক্ষম জবাব দিতেও ভুল হয়নি তার।
মাদ্রিদ ডার্বিতে এর আগে চোখজুড়ানো এক গোলে শুরুতে রিয়ালকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রদ্রিগো। বিরতির আগে প্রায় সমান মুগ্ধতা জাগানো গোলে সমতা টানেন হুলিয়ান আলভারেজ। এরপর ব্রাহিমের ওই গোল এনে দেয় রিয়ালকে দারুণ এক জয়।
‘থ্রি মোমেন্ট অব ম্যাজিক’ রিয়াল মাদ্রিদ ও আতলেতিকো মাদ্রিদের ম্যাচ সামারি করলেও এর থেকে বেশি কিছু হয়ত বলার কিংবা লেখার সুযোগ নেই। ম্যাচটা মিস করা সমর্থকরা সকালে উঠে হাইলাইটস দেখে বিপাকেই পড়বেন। কোন গোল থেকে কোন গোল সেরা সেই বিচার করতে গিয়ে। যার শুরু রদ্রিগোকে দিয়ে, মাঝখানে ঝলক হুলিয়ান আলভারেজের আর শেষটা করেছেন ব্রাহিম দিয়াজ। তাতে রিয়াল খুশি মনেই ছেড়েছে মাঠ, আর আতলেতিকোর সঙ্গী হতাশা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে রিয়াল ঘরের মাঠে জয় পেয়েছে ২-১ গোলে। তাতে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের ৫০০তম ম্যাচটা জয় দিয়েই রাঙাতে পেরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
পরিসংখ্যান বলছে, বল দখল বা আক্রমণ, সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল রিয়াল। ৫২ শতাংশ বল ছিল কার্লো আনচেলত্তির দলের দখলে, আতলেতিকোর দুই অন টার্গেট শটের বিপরীতে রিয়াল নিয়েছিল ৭টা।
ম্যাচের শুরুতেই সাম্বা ফুটবলের জাদুটাই যেন দেখিয়েছেন রদ্রিগো। ৪ মিনিটের মাথায় ফেদেরিকো ভালভের্দের পাস ধরে ডান প্রান্ত থেকে আতলেতিকোর ডি বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। কিছুটা কাটব্যাক করে আতলেতিকোর তিন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে নেন বাঁকানো এক শট। সেটি বাতাসে ঘুরে বাক খেয়ে নিদারুণভাবে খুঁজে নেয় জাল। তাতে পুরো সান্তিয়াগো বার্নাব্যু যেন জেগে উঠে অগ্নিশিখার মতো।
গোল খেয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে আতলেতিকো। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাঁজায় আক্রমণ। তাদের গোছালো আক্রমণ ঠেকাতে রিয়ালের নড়বড়ে রক্ষণকে হিমশিম খেতে হচ্ছিল বেশ। দুই বার ‘মেকশিফট’ ডিফেন্ডার ভালভের্দের কল্যাণে রক্ষা পেলেও ৩৩ মিনিটে আর রিয়াল অধিনায়ক বাঁচাতে পারেননি দলকে। অথবা বলা যায়, আলভারেজের জাদুর কাছে আত্মসমর্পণই করতে হয়েছে পুরো রিয়ালকেই।
রদ্রিগোর গোলের সঠিক জবাবটাই যেন দেন আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার। একই ধাঁচে তার করা গোলটার শুধু বদলেছে প্রান্ত। বাকি সব যেন হুবহু কপি। ডি বক্সের ডান প্রান্তে রিয়ালের তিন ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে বাঁকানো শটে আলভারেজ জালে জড়ান বল। তাতে ম্যাচে ফেরে প্রাণ। আর আতলেতিকো ফেরে সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে আন্টোনিও রুডিগারের ভুলে সুযোগ মিলে আতলেতিকোর। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি রদ্রিগো দে পল। তিনি সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও, ভুল করেননি ব্রাহিম। ৫৪তম মিনিটে আরও একবার ‘মোমেন্ট অব ম্যাজিক’ নিয়ে হাজির হন মরক্কোর এই মিডফিল্ডার। লেফট উইংয়ে মেন্দির সাথে বল দেওয়া নেওয়া করে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রাহিম। পায়ের কারুকাজে আতলেতিকোর পাঁচ ডিফেন্ডার জটলার মাঝে বুদ্ধি খাঁটিয়ে নেন নিচু শট। আতলেতিকো গোলকিপার ওবালককে দর্শক বানিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে। আর বার্নাব্যুতে ফেরে স্বস্তি।
ফের পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে উঠে পড়ে লাগে আতলেতিকো। ৬০ মিনিটে মেলে সুযোগও। তবে আন্তনিও গ্রিজমানের নেওয়া শট আটকে দেন থিবো কোর্তোয়া। বাকি সময় খেলা চলে ধীরগতিতে। দুই কোচ বেশ কিছু পরিবর্তন করলেও ম্যাচে দেখা যায়নি কোনো নাটকীয়তা। শেষ দিকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গোলের সুযোগ পেলেও গিমিনিজের কল্যাণে রক্ষা পায় আতলেতিকো। তাতে এক গোলের লিড নিয়েই প্রথম লেগ শেষ করে রিয়াল।
১ দিন আগে
৭ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে