
সান্তিয়াগো— ভ্রমণ আর গুপ্তধনের সন্ধান ছিল যার একমাত্র নেশা। বিশ্ব দেখার ইচ্ছে নিয়ে দক্ষিণ স্পেনের আন্দালুসিয়ার ছোট্ট গ্রাম থেকে মেষপাল সমেত বেরিয়ে পড়েছিলেন। নতুন দেশ আর সুন্দর ভবিষ্যতের আশায়, বাবার আশীর্বাদপুষ্ট ১৮ বছর বয়সি সান্তিয়াগো ছুটেছিলেন মিশরের পথে, স্বপ্নের খোঁজে।
পথে ঘটেছিল অনেক কিছু। সলোমনের রাজার সাক্ষাৎ, মরক্কোর বাজারে টাকা খোয়ানো, ক্রিস্টাল ব্যবসা, কারাভানের সঙ্গে মরুভূমি মাড়ানো, দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়া, আলকেমিস্টের সাক্ষাৎ, ফাতিমার প্রেমে হাবুডুবু— সবশেষে গন্তব্যে গিয়ে বুঝেছিলেন, আসল গুপ্তধন তাঁর দেশেই, বাড়ির পাশের ভাঙা গির্জায়।
ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহোর অমর সৃষ্টি ‘দ্য আলকেমিস্ট’-এর সান্তিয়াগো অবশেষে স্বপ্ন ও সুখ খুঁজে পান। শত ঝঞ্জা পেরিয়ে উপলব্ধি করেন জীবনের প্রকৃত অর্থ। সুকান্ত ভট্টাচার্যের সেই কবিতায় যেমন বলা হয়েছিল—‘আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ, স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার।’ ঠিক সেই স্পর্ধা ও সাহসই দেখিয়েছিলেন সান্তিয়াগো।
তেমনই আঠারো বছর বয়সে লামিন ইয়ামালও এগিয়ে চলেছেন বাষ্পের বেগে। আঠারোর ঘরে পা দেওয়া এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড এখন পার করছেন নানা ঝড় ঝাপটা। কখনও ভুল করছেন, কখনও বিপাকে পড়ছেন; কানে আসছে সমালোচনার ধ্বনি। গোল না পাওয়া, অফ ফর্মে থাকা, বাইরের জীবনকে প্রাধান্য দেওয়া, প্রেমে মশগুল থাকা— সব মিলিয়ে এক ভিন্নরকম সময় পার করছেন বার্সেলোনার তরুণ উইঙ্গার। অথচ ২০২৪-২৫ মৌসুমে গোল-অ্যাসিস্টে দারুণ এক প্রতিভার জানান দিয়েছিলেন। ব্যালন ডি’অর তালিকায়ও ছিলেন ওপরের সারিতে।
নতুন মৌসুমে পা দেওয়া ইয়ামালকে গিলে খাচ্ছে ব্যর্থতা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ৬ ম্যাচে দুটি গোল, চ্যাম্পিয়নস লিগে তিন ম্যাচে একটি। প্রত্যাশার চেয়ে যা কিছুটা কমই বটে। তবে এই সময়ে ইনজুরির সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছে, লিগে বার্সেলোনার ১০ ম্যাচের চারটিই খেলতে পারেননি। ফিফা উইন্ডোতে খেলতে গিয়ে চোট, শারীরিক সমস্যা আর কম গেম টাইম। অস্বস্তিকর অধ্যায়ে বার্সার এই লেফট উইঙ্গার।
লামিন নতুন করে সমালোচিত হচ্ছেন মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোর পর। রাফিনিয়া ও রবার্ট লেভানডফস্কির অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ও সমর্থকরা তাকিয়ে ছিলেন ইয়ামালের দিকে। কিন্তু রোববার রাতে ভুলে যাওয়ার মতো একটি ম্যাচ খেলেছেন এই স্প্যানিয়ারর্ড। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দর্শকদের দুয়োতে অতিষ্ঠ ছিলেন তিনি। রিয়ালের লেফটব্যাক আলভারো কারেরাস যেন তাঁকে একরকম পকেটেই ঢুকিয়ে রেখেছিলেন। শট নেওয়ার সুযোগ পাননি, ড্রিবলেও সুবিধা করতে পারেননি। পুরো ম্যাচে দুটি শট ও দুটি সুযোগ তৈরি করেছেন, আটবার ড্রিবলের চেষ্টায় সফল হয়েছেন মাত্র চারবার।
মাঠের বাইরের ঘটনাতেও ছিলেন ইয়ামাল। তর্কে জড়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও দানি কারভাহালের সঙ্গে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, রিয়ালের রাইট-ব্যাক কারভাহাল তাঁকে বলেন, ‘তুমি অনেক কথা বলো, এখন বলো দেখি!’ ইয়ামাল তখন কারভাহালের দিকে এগিয়ে গেলে তাঁকে থামিয়ে দেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। ভিনিসিয়ুস নাকি মজা করে বলেন,
‘ব্যাক পাস ছাড়া আর কিছুই তো করলে না! শুধু ডিফেন্ডারদের কাছেই বল দিলে!’
মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে ইয়ামালের আচরণে ক্ষুব্ধ ছিল বার্নাব্যুর যোদ্ধারা। প্রশ্ন উঠছে— এমন ঘটনার পর ইয়ামাল কি থমকে যাবেন?
মাত্র সাত বছর বয়সে লা মাসিয়ায় যোগ দেওয়া। ১৫ বছর ৯ মাস বয়সে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক। ১৬ বছর বয়সে গোল-অ্যাসিস্টে রেকর্ড, ১৬ বছর ৫৭ দিনে জাতীয় দলে অভিষেক, স্পেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা— সবই যেন এক অবিশ্বাস্য উত্থান। কিন্তু এখানেই কি শেষ?
সান্তিয়াগোর মতো ১৮ বছর বয়সি ইয়ামাল ভীরু বা কাপুরুষ নন। প্রয়োজন কেবল নিয়ন্ত্রিত জীবনধারা— বাবা-মায়ের দিক নির্দেশনা, প্রেমিকা নিকোর সহযোগিতা, আর কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের সঠিক দিকনির্দেশ। তবেই সান্তিয়াগোর মতো এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ানো ইয়ামাল খুঁজে পাবেন আসল গুপ্তধন এবং নিজের হারানো পারফরম্যান্স।
পাওলো কোয়েলহো যেমন নিজেদের মাকতুব বইয়ে লিখেছেন, ‘বর্তমানকে উপভোগ করার সর্বোত্তম উপায় হলো অতীত ভুলে যাওয়া।’ নিজেকে জানার, বোঝার মধ্য দিয়েই ইয়ামাল পৌঁছাতে পারেন নিজের প্রকৃত গন্তব্যে। তার সঙ্গে ‘চুপ থাকা’ও হতে পারে তাঁর জন্য সবচেয়ে কার্যকর নিয়ামক। ইয়ামালের উচিত, কোথায় থামতে হবে, সেটাও ভালোভাবে জানা। কারণ, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাঁর কথার আগুনের আঁচ লেগেছে ৭৮ হাজার দর্শকদেরও।
সাবেক বার্সা মিডফিল্ডার রাফিনিয়া বলেছেন,
‘বয়সের কারণেই এমন আচরণ ইয়ামালের। তাঁর কথাই রিয়ালকে বাড়তি প্রেরণা দিয়েছে।’
আর রিয়ালের সাবেক তারকা গুতির মন্তব্য—
‘রিয়াল আর বার্সার ইতিহাস এখনো পুরোপুরি বোঝার বয়স হয়নি ইয়ামালের। ওর মুখে এমন কথা শুনলে আমারও ভালো লাগত না।’
No posts available.
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৪০ পিএম

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে গ্রুপ পর্বের শুরুটা বাংলাদেশের পাঁচবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের জন্য শুভ হয়নি। প্রথম ম্যাচে ওমানের লিগ চ্যাম্পিয়ন আল সিবের বিপক্ষে ২-৩ গোলে হারের পর কোয়ার্টার ফাইনালের আশা রক্ষার জন্য ক্লাব আল আনসারের বিপক্ষে জয় একমাত্র বিকল্প ছিল। লিগে দেশের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী ক্লাব দেখল মুদ্রার উল্টোপিঠ। লেবাননের জায়ান্টদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে মারিও গোমেজের দলের কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে।
কুয়েতের আল সাবাহ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় ‘বি’ গ্রুপের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আল আনসারের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ও লেবাননের ক্লাব—দু’দলই হার দেখেছিল। হারের ব্যবধানও একই, ২-৩ গোলে। আজ যে দল জিতবে, তারা শেষ আট নিশ্চিতের পথে এগিয়ে যাবে—এমন সহজ সমীকরণ মেলাতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস। লিগ থেকে কার্যত বিদায়ঘণ্টা বেজেছে বাংলাদেশের ক্লাবটির।
আরও পড়ুন
| ফিফা বিশ্বকাপে আকাশছোঁয়া বিস্ময়, সৌদি আরবের ‘স্কাই স্টেডিয়াম’ |
|
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের প্রতিপক্ষ ক্লাব আল কুয়েত। এটি অনেকটা নিয়মরক্ষার ম্যাচ। গ্রুপ ‘বি’ থেকে শীর্ষ পয়েন্টধারীরাই পা রাখবে শেষ আটে। সেক্ষেত্রে লড়াইটা হবে আল সিব ও আল আনসারের মধ্যে।
এদিন ম্যাচঘড়ির ১৫ মিনিটে লিড নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয় বসুন্ধরা কিংসের। কর্নার থেকে সিনিয়র সোহেল রানার জোরালো শট মাজিদি ওসমানের পা ছুঁয়ে পৌঁছে রাকিব হোসেনের সামনে। জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড হেলায় নষ্ট করেন সুযোগ। তাঁর ডান পায়ের শট বারের অনেক ওপর দিয়ে চলে যায়। নিজের এই হেন কাণ্ডের জন্য বিরক্তিও প্রকাশ করেন ২৬ বছর বয়সী রাইট উইঙ্গার।
২০তম মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে একপ্রকার ছোঁ মেরে বল নেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। পাস দেন দরিয়েলতন গোমেজ নাসিমেন্তোকে। বল পেয়েই ছুটতে থাকেন ব্রাজিলীয়ান রাইট উইঙ্গার। তাঁকে থামাতে পেছন পেছন ছোটেন আনসারের চার-পাঁচজন ফুটবলার। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি, চিতার বেগে বক্সে ঢুকে পড়েন দরিয়েলতন। ওয়ান-টু অ্যাকশনে চলে যান একপর্যায়ে। তাঁর সামনে তখন কেবল প্রতিপক্ষ গোলকিপার আসাদ। বসুন্ধরা কিংসের দুর্ভাগ্য নাকি দরিয়েলতনের—কে জানে—ব্রাজিলীয়ান উইঙ্গারের আগেই বল পৌঁছে যায় আল আনসার গোলকিপারের গ্লাভসে।
আরও পড়ুন
| ক্যানসারের কাছে হার মানলেন সাবেক ইংলিশ ফরোয়ার্ড |
|
২৯তম মিনিটে আক্রমণে ওঠে ক্লাব আল আনসার। বাংলাদেশের রক্ষণদেয়ালের আশপাশে বল ওয়ান-টু খেলতে থাকে দলটির ফরোয়ার্ডরা। বারবার চেষ্টাতেও সুযোগ হচ্ছিল না ডিফেন্সে চিড় ধরানোর। উপায়ন্তর না পেয়ে দূরপাল্লার শট নেন আবুবকর জিবরিন আকুকি। লেবানিজ মিডফিল্ডারের সে শটে চোখের শান্তির চেয়ে বিরক্তিই বেশি ঠেকেছে।
৩২তম মিনিটে একপ্রকার গোল পেয়ে যাচ্ছিল আল আনসার। বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠে দলটি। মিডফিল্ডে প্রথমে দুজনকে কাটিয়ে বল যায় ওসমানের কাছে। বল পাওয়া মাত্রই তপু বর্মনকে ড্রিবল করে বক্সের কাছে পৌঁছে যান ৩১ বছর বয়সী এই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। তবে তাঁর প্রচেষ্টা বিফলে যায়—আড়াআড়ি শট বারের ডানপ্রান্ত ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
ওসমান ফের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ান বসুন্ধরা কিংসের জন্য। এর জন্য অবশ্য বেশি দায়ী কিংস ডিফেন্ডার তাজউদ্দিন। মিডফিল্ড থেকে রফিক মাদনিনের দূরপাল্লার শট হেডে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন , হিতে বিপরীত হয়। বক্সের বাইরে চাতক পাখির মতো অপেক্ষমাণ ওসমান চেস্ট ট্র্যাপে বল নিয়ন্ত্রণে নেন। কয়েক গজ সামনে থেকে শটও নেন। কিংস এ যাত্রাতেও বেঁচে যায়। শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান তপু। ওসমানের বাঁ পায়ের জোরালো শট সোজা গিয়ে লাগে বসুন্ধরা কিংস অধিনায়ক তপুর বুকে। তাতেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বল চলে যায় বারের অনেক ওপরে।
আরও পড়ুন
| ক্ষুব্ধ বাটলার হঠাৎ খুশি |
|
শেষ রক্ষা অবশ্য হয়নি বসুন্ধরা কিংসের। ৪৩ মিনিটে গোল হজম করে বাংলাদেশের ক্লাব। গোলবার থেকে প্রায় ১৯–২০ গজ দূরে আল আনসারের ফিলিস্তিনি ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ হেবাউসকে ফাউল করে বসেন রাকিব। সেটপিস থেকে স্পটকিকের দায়িত্ব পড়ে হেবাউসের। তাঁর বুলেটগতির শট দারুণ হেডে জালে জড়ান আকুকি। নাইজেরীয় ফরোয়ার্ডের বল বারের সামনে পৌঁছে। সেটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো জালে জড়িয়ে বসুন্ধরা কিংস গোলরক্ষক শ্রাবন।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫২ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করার সুযোগ তৈরি হয় ক্লাব আল আনসারের। ডি বক্সের মধ্যে এমানুয়েল টনির কড়া ট্যাকেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হেবাউস। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। আলি তনাই কিক নেন—বারের ডানদিকে মারা সে শট দারুণভাবে রুখে দেন শ্রাবন।
আরও পড়ুন
| নেগ্রেইরা কেলেঙ্কারিতে আবার আইনি চাপে বার্সা |
|
৭৬ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে ক্লাব আল আনসার। বক্সে গোলের উদ্দেশ্যে শট নেওয়ার আগে তপুর পায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে যান আকুকি। তাতেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করেন হিশেম খালফাল্লাহ। যদিও রেফারির এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
বসুন্ধরা কিংসের কফিনে শেষ পেরেক ডুকে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে। মিডফিল্ড থেকে পাওয়া বল নিয়ে বক্সের সামনে পৌঁছে যান হেবাউস। যদিও তাঁর সামনে ছিলেন তাজউদ্দিন ও টনি। বসুন্ধরার দুই মিডফিল্ডারকে ড্রিবলিং করে বাঁ প্রান্ত দিয়ে চিপ শট নেন ফিলিস্তিনি ফরোয়ার্ড। তাতেই ৩-০ গোলে হেরে চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টারে ওঠার স্বপ্ন ফিকে হয়ে পড়ে বসুন্ধরা কিংসের।

২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভবিষ্যতমুখী ও সাহসী টুর্নামেন্ট হিসেবে উপস্থাপন করতে চায় সৌদি আরব। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, সরকারের প্রস্তাবনায় রয়েছে এমন একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা, যা পৃথিবীর কোনো স্থাপনার মতো হবে না। এটি হবে আকাশে উঁচু একটি স্কাইস্ক্রেপারের (আকাশছোঁয়া ভবন) ওপর। স্টেডিয়ামের উচ্চতা ১১৫০ ফুট হবে।
দিয়ারিও এএসের প্রতিবেদন, নামের মতোই ‘স্কাই স্টেডিয়াম’ হবে নেওম শহরের কেন্দ্রে। নেওম হলো দেশটির উত্তর-পশ্চিম মরুভূমিতে নির্মাণাধীন একটি স্মার্ট মেগাসিটি। সৌদি আরবের অন্যতম বৃহৎ তেল কোম্পানির সহায়তায় স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণ সৌর ও বায়ু শক্তিতে চলবে। দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৬ হাজার।
আরও পড়ুন
| ক্যানসারের কাছে হার মানলেন সাবেক ইংলিশ ফরোয়ার্ড |
|
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্মাণকাজ শুরু হবে ২০২৭ সালে, আর কাজ শেষ হওয়ার আশা করা যাচ্ছে ২০৩২ সালে। সৌদি কর্মকর্তাদের মতে, এই স্টেডিয়াম হবে দেশের ক্রীড়া অবকাঠামোর পরিবর্তনশীল প্রকল্পের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
দেশব্যাপী ১৫টি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি সরকারের- যেগুলো সর্বাধুনিক স্থাপত্য ও টেকসই প্রযুক্তি অনুযায়ী নকশা করা হবে।
আরও পড়ুন
| ক্ষুব্ধ বাটলার হঠাৎ খুশি |
|
নেওম বিশ্বের অন্যতম সাহসী নগর উন্নয়ন প্রকল্প, যা গাড়িহীন, এআই-চালিত এবং মরুভূমি ও পাহাড়ের মধ্যে বিস্তৃত। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তাবিত এক স্টেডিয়াম এমনভাবে ডিজাইন করা হবে, যা পাহাড়ের পাশে তৈরি হবে। নৌকা বা ট্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে প্রবেশযোগ্য করা হবে।
তবে স্কাইস্ক্রেপারের উপরে স্টেডিয়ামের ধারণাটি সেই ভবিষ্যতমুখী স্বপ্নকে আরও দূরে নিয়ে গেছে। বিশ্বাস করা যেন কঠিন হবে, ফুটবল স্টেডিয়াম আকাশের মেঘের মধ্যে অবস্থান করছে।

বয়স ৪২। এই বয়সে অনেক ফুটবলার দিব্যি মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিনশিপের ব্রিস্টল সিটির সাবেক ফরোয়ার্ড মারভিন ব্রাউনকে হার মানতে হলো মরনব্যাধী ক্যানসারের কাছে।
আজ বিবিসি স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর গতকাল (সোমবার) নিজ বাসায় পরলোকগমন করেছেন মারভিন। পিত্তনালীর ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি।
জানা গেছে, দীর্ঘসময় হাসপাতালে থাকার পর গত সপ্তাহে বাড়িতে ফেরেন মারভিন। পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন ব্যয় করেন। এরপর সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৯৯ সালে মাত্র ১৬ বছর ৭১ দিন বয়সে চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক হয়েছিল মারভিনের। ২০০৪ সালে ফরেস্ট গ্রিন রোভার্সে নাম লেখানোর আগ পর্যন্ত অভিষিক্ত ক্লাবের জার্সিতে ২৬ ম্যাচ খেলেন তিনি। ক্লাবটির অনূর্ধ্ব ১৬ ১৭ দলের নির্ভরযোগ্য প্লেয়ার ছিলেন ইংল্যান্ডের ইংলিশ ফুটবলার।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ২০২৪ সালে কোরশাম টাউন এফসির জয়েন্ট ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন মারভিন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাবের খেলোয়াড় ও স্টাফদের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন। তাঁর যোগদানের পরই ১০টি ম্যাচ জিতে টাউন এফসি। অথচ সেসময়ে বেশ খারাপ সময় পার করছিল ক্লাবটি।
সাদামাটা জীবন যাপন করা মারভিন মৃত্যুকালে পরিবারের জন্য তেমন কিছুই রেখে যেতে পারেননি। ফলে তার পরিবারের জন্য কমিউনিটি এবং মানুষের সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ফান্ডরেইজারের মাধ্যমে তাঁর স্ত্রী আলেক্সিস এবং দুই কন্যার জন্য ৬৩ হাজার পাউন্ডেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই অর্থ পরিবারকে সাময়িকভাবে আর্থিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে, যেমন দৈনন্দিন খরচ, চিকিৎসা খরচ, এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার জন্য।

সাড়ে তিন মাস পর মাঠে ফিরে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পরের ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধান আরও বেড়েছে, ফল ৫-১। দুটি হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর হেড কোচ পিটার বাটলারের ভিন্ন মত; হঠাৎ ক্ষুব্ধ, হঠাৎ খুশি।
গত শুক্রবার ব্যাংককের থনবুরি প্রাকটিস গ্রাউন্ডে হারের পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় বাটলার বলেন,
'কয়েকজন ফুটবলার ভুল মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছে, এমন গাফিলতি আমি কিছুতেই সহ্য করব না।'
এক দিন যেতেই বদলায় নারীদের ব্রিটিশ কোচের সুর। দ্বিতীয় ম্যাচের আগের দিন রোববার জানান,
‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাব নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।’
সোমবার মাঠে নেমে মেয়েদের পারফরম্যান্সের উন্নতি কতটা হয়েছে তা হয়ত ম্যাচের স্কোর লাইনেই দৃশ্যমান।
সেই ম্যাচ শেষে কোচের প্রতিক্রিয়া কেমন হয় সেটি ছিল জানার অপেক্ষা। এবার বাটলারের সুর আরও নরম,
‘খেলার কিছু দিক নিয়ে আমি সত্যিই সন্তুষ্ট, যদিও কিছু জায়গায় আমরা সংগ্রাম করবই। বিশেষ করে শারীরিক দিক, রিসোর্স, অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধায়।’
সুযোগ-সুবিধায় ও অনুশীলনে পিছিয়ে থেকে আগের ম্যাচেও তো নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই ম্যাচের পর কেন ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন সেটি কিছুটা বিস্ময়। এমনকি ৫-১ গোলে হারের পর এটাও জানান, থাইল্যান্ডে তাদের মাঠে ১০ বার খেললে বাংলাদেশ নাকি ৯ বারই হারবে। যদিও দেশ ছাড়ার আগে জেতার কথাই বলে যান বাংলাদেশ কোচ।
ভারতের কাছে হেরে ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি থাইল্যান্ড। তবে দুবার বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাদের। কিন্তু তাদের বিপক্ষে লড়াই করতে পারবে না বাংলাদেশ, এমনটা মনে করেন না সাবেক ও বিশ্লেষকেরা।
সে যাই হোক, বাস্তবতাই হয়ত বুঝিয়ে দিতে চাইছেন বাটলার। তবে সেটি একেক ম্যাচে একেক রকম কেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। আবার ম্যাচ খারাপ খেললে সেটি শুধরে দেবেন কোচ। ড্রেসিংরুমে কথা বলে সমস্যা ঠিক করে নেবেন, খেলোয়াড়েরাও হয়তো এমনটাই প্রত্যাশা করেন। বাটলার হাঁটলেন ভিন্ন পথে, বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় খেলোয়াড়দের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন।
কঠিন বাস্তবতার মুখে বাটলারের দল এবারই প্রথমস তা-ও কিন্তু নয়। গত জুন-জুলাইয়ে মিয়ানমারে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই খেলেন ঋতুপর্ণা-মনিকারা। তখনকার র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ঘরের মাঠের মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারায় তাঁরা।
সেই টুর্নামেন্টেই প্রথম ম্যাচে র্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে বাংলাদেশ। কিন্তু ওই দলের সঙ্গে এই দলের যেন বিস্তর পার্থক্য। ঠিক এখানেই কি দ্বিমত বাটলারের?
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার রেহানা পারভীনের টি-স্পোর্টসকে বলেন,
‘তিন মাস আগের আর পরের দলের সঙ্গে অনেক পার্থক্য। এখানে কোচ দায় এড়াতে পারেন না। ফলাফল যাই হোক আমাদের কিছু জায়গায় দুর্বলতা স্পস্ট মনে হলো। ডিফেন্সে যারা আছে তাঁদের খারাপ বলব না, তবে অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। জানি না মাসুরা (পারভীন), সাবিনাদের (খাতুন) কেন দলে নেওয়া হচ্ছে না। তারা তো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বড় ম্যাচে আমাদের অভিজ্ঞ ফুটবলার নামাতে হবে।’
সাফজয়ী সাবেক ফুটবলার সীরাত জাহান স্বপ্নার মতে, খেলোয়াড়দের কারো কোনো সমস্যা বা ঘাটতি থাকলে কোচ যেন তাঁদের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করেন। তিনি বললেন,
‘যেহেতু আমি এই কোচের সঙ্গে কাজ করিনি, তাঁর সম্পর্কে বলতে পারব না। তবে কোনো খেলোয়াড়ের যদি অপ্রোচ বা খেলায় ঘাটতি থাকে, সেটা তাঁকে আলাদাভাবে বলতে পারেন।’
অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দলে ফেরানো প্রসঙ্গে স্বপ্না বলেন,
‘যদি মাসুরা-সাবিনারা ফিট থাকে, আর দলে অভিজ্ঞতার যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে তাদরে ফেরানো যেতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।’
সবশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণের দুর্বলতা ছিল স্পষ্ট। অধিনায়ক আফঈদাসহ শামসুন্নাহার (সিনিয়র), নবিরনদের স্লো রানের সুযোগ নিয়েছে প্রতিপক্ষ দলটি। বাংলাদেশের পাঁচটি গোল হজমের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কোচের হাই লাইন ডিফেন্স। থ্রু পাস, উড়ন্ত বলে প্রায় সময়ই বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করেছেন স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা। খুব সহজেই গোলের সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা। গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা কয়েক দফা পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসেও দলকে গোল হজম থেকে রক্ষা করতে পারেননি। এই ম্যাচে তারপরও একাধিক সেভ করেছেন তিনি, তা না হলে পরাজয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো।
প্রথম ম্যাচে হারের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলা কোচের তির্যক মন্তব্য কতটা শৃঙ্খলাবদ্ধ- তা নিয়ে হচ্ছে সমালোচনা। নিয়ম-শৃঙ্খলা নিয়ে শিষ্যদের সবচেয়ে বেশি পাঠ করিয়ে থাকেন কোচরা। সেই নিয়মের অধ্যায় তো আবার কোচদের জন্যও রয়েছে!
হাই লাইন ডিফেন্সকেই হারের বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। থাইল্যান্ড থেকে দল আজ দেশে ফেরার কথা। সফরে কোচ বাটলারের দুই-তিন দফায় মন্তব্য কীভাবে দেখছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ অবশ্য এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আগামীকাল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

স্পেনের ফুটবলের অন্যতম বিস্ফোরক মামলা ‘নেগ্রেইরা কেস’। বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারিকে অর্থ প্রদান করে ম্যাচের ফল প্রভাবিত করার এই মামলার তদন্ত চলছে এখনো।
কাতালান ক্লাবটির অনিয়মের এই মামলায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। বার্সেলোনার একটি আদালত কাতালান জায়ান্টদের উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করেছে। আদালতের ওই নিদের্শনায় ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে জোসে মারিয়া এনরিকেজ নেগ্রেইরা ও তার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলিকে দেওয়া ৮ মিলিয়ন ইউরোর সমস্ত চুক্তি এবং সহায়ক নথিপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম ‘এল মুন্ডো’ জানিয়েছে, তদন্তকারীরা বার্সার আর্কাইভে মূল চুক্তি বা যে কোনো লিখিত নথির কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি, যা রেফারিকে এই অর্থ প্রদানের যৌক্তিকতা দেখায়। এই অর্থ ‘রেফারিং পরামর্শ সেবা’ এর জন্য দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি বার্সার। অবশ্য নথিপত্রের অভাব বার্সেলোনা ও প্রাক্তন রেফারি কমিটির উপ-সভাপতি নেগ্রেইরার সম্পর্কের প্রকৃতি নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন
| রিয়ালে প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ ভিনিসিয়ুসের |
|
আদালতের নির্দেশ শুধুমাত্র প্রশাসনিক নথিপত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বার্সেলোনাকে একটি আইনি সত্তা হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির সাবেক কোচ লুইস এনরিক, এরনেস্তো ভালভারদে, এবং বর্তমান ক্লাব সভাপতি জোয়ান লাপার্তার সাক্ষ্য নেয়ার দিন নির্ধারিণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে হাজির হবেন তারা।
২০২৩ সালের মার্চে সরকারি কৌঁসুলিরা বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারিকে ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৭৩ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা) দেওয়ার অভিযোগ আনেন। স্প্যানিশ রেফারিং কমিটির সাবেক সহসভাপতি হোসে মারিয়া এনরিক নেগ্রেইরার প্রতিষ্ঠানকে ওই ১৯ বছরে ৮৪ কোটির বেশি টাকা দেয় বার্সা। তদন্তের মূল বিষয় হলো, এই লেনদেনগুলো বৈধ পরামর্শ ফি ছিল কি না নাকি বার্সেলোনার পক্ষে রেফারির সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা ছিল তা নিশ্চিত করা।
আদালত চেয়েছে বার্সার এই লেনদেনকে বৈধ দেখানোর জন্য যেকোনো ধরনের নথি বা উপাদান উপস্থাপন করা হোক। যেমন লিখিত প্রতিবেদন, সার্ভিস রেকর্ড, অথবা ক্লাব ও প্রাক্তন রেফারির মধ্যে যোগাযোগ। এখন পর্যন্ত কোনও ভৌত প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা বার্সার দীর্ঘদিনের দাবিকে সমর্থন করতে পারে যে, অর্থগুলো আইনি কৌশলগত পরামর্শ এবং তরুণ খেলোয়াড়দের স্কাউটিং এর জন্য দেওয়া হয়েছিল।
বার্সেলোনা কোন ধরনের নথি উপস্থাপন করবে সেটিও খতিয়ে দেখবে বার্সেলোনা, মামলার ভবিষ্যৎ রূপ নির্ধারণে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বার্সা পর্যাপ্ত নথি প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়, তবে আর্থিক ও ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট অসংগতির সংশয় আরও তীব্র হতে পারে।