
মাঠে নামার আগেই খবরটা পেয়ে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ। এমএলএসের প্রথম ম্যাচে নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির ঘাড়ে হাত দেওয়ার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে মেসিকে। একই ম্যাচে একই ধরনের কাণ্ডে জরিমানা গুনতে হচ্ছে উরুগুয়ে তারকাকেও। তবে এগুলো খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা অধিনায়কের খেলায়। বরং কানসাস সিটির বিপক্ষে আরও একবার দেখিয়েছেন নিজের ঝলক।
গত মঙ্গলবার রাতে এমএলএসের ডিসিপ্লিনারি কমিটি মেসিদের আর্থিক জরিমানা করে। তবে আর্থিক পরিমাণে কত সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তার মাঝেই বুধবার ভোরে মাঠে নামেন মেসি ও সুয়ারেজ। কনকাকাপে সাবেক দুই বার্সা সতীর্থই দেখা পান গোলের। সেই সাথে ৩-১ গোলের জয়ে কনক্যাকাপে নিশ্চিত হয় ইন্টার মায়মির শেষ ষোলো।
আরও পড়ুন
| এবার মেসির কাছে রেফারির জার্সির আবদার |
|
এদিন ১৯ মিনিটে দারুণ এক গোল করেন মেসি। সুয়ারেজের ক্রস ডিবক্সের ভেতর বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেটা ভলিতে রূপান্তরিত করেন। এরপরের দৃশ্য তো সবার খুব চেনা। বাঁ পায়ের জোরালো শটে বল জড়ান জালে। প্রথমার্ধে অতিরিক্ত সময়ে আবারও গোলের দেখা পায় মায়ামি। তাদেও আলেন্দে নাম লেখান স্কোর শিটে, এর এক মিনিট মাদে গোলে দেখা পান সুয়ারেজও।
তাতে প্রথমার্ধেই জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় মায়ামির। অবস্থা বুঝে মেসি, সুয়রাজেদের দ্বিতীয়ার্ধে তুলে কোচ নেন হাভিয়ের মাসচেরানো। একটা গোল কানসাস সিটি ফেরত দিলেও বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মায়ামি।
ম্যাচ শেষে মাসচেরানো, তরুণদের বাড়তি প্রশংসা করেছেন।
“অবশ্য আমি অভিজ্ঞদের সাথে কাজ করতে বেশি পছন্দ করি, তবে আমি এটা জানি যে তরুণরাই আমাদের অনেক কিছু দিতে পারে। আমরা চেষ্টা করবো আবার তাদের যথেষ্ট সময় দিতে, তাদের উপর বিশ্বাস রাখতে।”
No posts available.
৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৪ এম

নতুন করে যেন সেই পুরোনো রুপে ফিরেছেন নেইমার জুনিয়র। পরপর দুই ম্যাচে নিজের সেরা সময়ের ঝলক দেখিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন জয়। একইসঙ্গে ঘুচিয়েছেন নিজের দীর্ঘ ৩১ মাসের এক অপেক্ষা। সেটিও মাত্র ১৭ মিনিটে।
ব্রাজিলের সিরি 'আঁ'র ম্যাচে বুধবার রাতে জুভেনতুদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে সান্তোস। মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচের তিনটি গোলই করেছেন নেইমার। যার সৌজন্যে অবনমন এড়ানোর পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে সান্তোস।
দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের সৌজন্যে দীর্ঘ ৩১ মাস পর হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন নেইমার। ২০২২ সালের এপ্রিলে সবশেষ প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) হয়ে ক্লারমন্তের বিপক্ষে তিন গোল করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
আরও পড়ুন
| চোট নিয়েই এবার হ্যাটট্রিক, সান্তোসকে বাঁচালেন মহানায়ক নেইমার |
|
প্রায় ৩১ মাসের অপেক্ষা ঘোচানোর ম্যাচে নেইমার খেলেছেন হাঁটুর চোট নিয়ে। মৌসুম শেষে তার বাম হাঁটুর মেনিসকাসে আর্থ্রোস্কোপিক সার্জারি হওয়ার কথা। কিন্তু শৈশবের ক্লাব সান্তোস বিপদে থাকায় চোট 'ম্যানেজ' করেই খেলছেন নেইমার।
আগের ম্যাচে এক গোল ও এক অ্যাসিস্ট করে সান্তোসের টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখেন নেইমার। আর এবার হ্যাটট্রিক করে সান্তোসকে অনেকটাই নিরাপদ করে দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৫৬ মিনিটে দ্রুতগতির এক কাউন্টার অ্যাটাকে প্রথম গোল করেন নেইমার। দশ মিনিট পর ইগোর ভিনিসিয়ুসের ক্রসে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান বাড়ান তিনি। আর ৭৩ মিনিটে ঠাণ্ডা মাথার পেনাল্টিতে পূর্ণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক।

এইতো কদিন আগেই সমর্থকদের দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছে। নেইমারকে আর ক্লাবে দেখতে চান না সান্তোসের সমথর্কের একটি অংশ। তাদের অভিযোগ, চোটে বিপর্যস্ত এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার তো কোনো কাজেই আসছে না ক্লাবের। তবে অন্য ধাতুতে গড়া নেইমার বোধহয় অপেক্ষা করছিলেন মোক্ষম সময়ের। হয়তো মনে মনে শপথও করেছিলেন, এবার শৈশবের ক্লাবে সবকিছু উজাড় করে দেব, সেটা যদি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন উৎসর্গ করেও হয়, তাতেও পরোয়া নেই।
ত্যাগ কিংবা উৎসর্গের সংজ্ঞাকে সান্তোসের সমর্থকদের কাছে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিলেন নেইমার। হাঁটুর চোট নিয়েই সান্তোসকে একাই টানা দু’ম্যাচ জেতালেন। আগের ম্যাচে করেছিলেন গোল-অ্যাসিস্ট। এবার ব্রাজিলের সিরি ‘আঁ’ এর ম্যাচে জুভেনতুদের বিপক্ষে ৩–০ গোলে জয়ের ম্যাচে সবক’টি গোল এসেছে নেইমারের নৈপুণ্যেই।
হ্যাটট্রিক করে সান্তোসকে অনেকটা খাদের কিনারা থেকে একাই টেনে তুলে এখন নেইমার আপাতত মহানায়কই বনে গেলেন। অবনমন এড়ানোর লড়াইয়ে টানা দুই জেয়ে মহামূল্যবান ছয়টি পয়েন্ট পেল নেইমাররের ক্লাব। ৩৭ ম্যাচে ১১ জয়, ১১ ড্র ও ১৫ হারে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরে সান্তোস। আগামী সোমবার সান্তোসের পরের ম্যাচ ক্রইজেইরোর বিপক্ষে। এই ম্যাচে জয় পেলেই টিকে যাবে ক্লাবটি। ড্র করলেও থাকবে সুযোগ।
প্রতিপক্ষের মাঠে নেইমারের তিনটি গোলই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে। হাঁটুর চোট নিয়ে খেলেই ৩৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান তারকা দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যবধানে তিনটি গোলই করেন। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর হ্যাটট্রিকের অমৃত স্বাদ পেলেন নেইমার। সবশেষ ২০২২ সালের এপ্রিলে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের হয়ে ক্লেরমঁর বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।
বার্সেলোনার সাবেক তারকা নেইমার ৫৬ মিনিটে দ্রুত এক প্রতি-আক্রমণ থেকে তাঁর প্রথম গোলটি করেন। এরপর প্রায় ১০ মিনিটের মাথায় ইগর ভিনিসিউসের ক্রস থেকে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। শেষদিকে পেনাল্টি থেকে তৃতীয় গোলটি করে হ্যাটিট্রক পূর্ণ করেন সান্তোসের রাজপুত্র। একক নৈপুণ্যে দলকে জিতিয়ে ৮৩ মিনিটে মাঠ ছাড়েন নেইমার।
গত সপ্তাহে ইএসপিএন ব্রাজিলকে জানিয়েছিল, মৌসুম শেষে বাঁ হাঁটুর মেনিস্কাস ইনজুরির কারণে আর্থ্রোস্কোপিক সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে নেইমারের। ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নাকি তিনি চিকিৎসার মধ্যে থেকেই সান্তোসের শেষ দুই ম্যাচে খেলেছেন। চোট নিয়ে খেলার ঝুঁকি মাথায় রেখেই সান্তোসকে উদ্ধারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নেইমার শেষ পর্যন্ত নিজের লক্ষ্যে অবিচলই থাকলেন।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার দশা হয়েছিল। মাঠে শোচনীয় পারফরম্যান্সের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে কোন্দলের গুঞ্জন। এক কিলিয়ান এমবাপে ছাড়া আক্রমণভাগে ছন্দহীনতা বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। সবকিছু মিলিয়ে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির কক্ষপথে ফেরার জন্য প্রয়োজন ছিল কেবল একটি দারুণ জয়। অবশেষ সেই জয়ের দেখা পেল রিয়াল। আরও একবার ক্লাবটির ত্রাতা হয়ে আর্বিভাব হলেন সেই এমবাপেই।
লা লিগায় গতকাল অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষের মাঠে জোড়া গোল করে রিয়ালের জয়ের নায়ক এমবাপে। অন্য গোলটি আসে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার নৈপুণ্যে।
লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে ড্র করার পর অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল রিয়াল। দারুণ এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে এনেছে জাবি আলোনসোর দল। ১৫ ম্যাচে ১১ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রেয়াল মাদ্রিদ। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা।সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে বিলবাও।
জয়ের ফেরার মিশনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস দুটি শট নেন, তবে সে দফা অ্যাথলেটিক বিলবাওকে বাঁচিয়ে দেয় তাদের গোলকিপার উনাই সিমন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৭ মিনিটেই রিয়ালকে লিড এনে দেন এমবাপে।
আরও পড়ুন
| আর্সেনালের জয়ের রাতে ধরাশায়ী চেলসি-লিভারপুল |
|
ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের বাড়ানো বলদারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে ব্যবধান ১-০ করেন ফরাসি তারকা ফরোয়ার্ড এমবাপে।
পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় অ্যাথলেটিকও। স্বাগতিকদের একাধিক শট দারুণভাবে রুখে দেন রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া।
৩৮ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান ২-০ করার ভালো সুযোগ পান ভিনিসিয়ুস। এবার ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের শট ঠেকিয়ে দেন অ্যাথলেটিকের গোলকিপার। অবশ্য ব্যবধান দ্বিগুণ করতে খুব একটা সময় নেয়নি তারা। মিনিট চারেক পর চমৎকার গোছানো এক আক্রমণে ব্যবধান ২-০ করেন কামাভিঙ্গা।
বিরতির পর আরেকদফা দারুণ সেভে রিয়ালের জাল অক্ষত রাখেন কোর্তোয়া। মিকেলের দূরপাল্লার শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় একহাত দিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান বেলজিয়ান এই গোলকিপার।
একদিকে রিয়ালের গোলপোস্টের সামনে দেয়াল হয়ে ছিলেন কোর্তোয়া। অন্যদিকে অ্যাথলেটিকে রক্ষণ দেয়াল ভেঙে চুরমার করেন এমবাপে। ৫৯ মিনিটে আলভারো কারেরাসের পাস থেকে ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি তারকা।
লা লিগায় চলতি মৌসুমে ১৫ ম্যাচে এমবাপের গোল হলো ১৬টি। ৮ গোল করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন বার্সেলোনার ফেরান তরেস।
ম্যাচের বাকি সময় আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। লিগে রিয়ালের পরের ম্যাচে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে। ঘরের মাঠ সান্তিয়োগো বার্নাব্যুতে ক্লাবটিকে আতিয়েতা দেবে তাঁরা।

দারুণ এক রাত গেল আর্সেনালের। শুধু নিজেদের জয়ের জন্যই নয়, লিগ জয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীদের হোঁচট খাওয়া গানারদের হয়তো পৈশাচিক আনন্দ দিয়েছে। আর্সেনালের জয়ের রাতে যে হোঁচট খেয়েছে চেলসি ও লিভারপুল।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গতকাল রাতে ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ব্রেন্টফোর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। মিকেল মেরিনোর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান বুকায়ো সাকা।
লিগে জয়ের ধারায় ফিরে আবারও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লে হলো লিভারপুলকে। এবার ঘরের মাঠে তাদের রুখে দিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের চমক সান্ডারল্যান্ড। অ্যান ফিল্ডে অল রেডরা কোনোমতে ১-১ গোলে ড্র করেছে। সেই এক গোলটিও যে প্রতিপক্ষ থেকে উপহার পেল লিভারপুল। ৬৭ মিনিটে সান্ডারল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার পর ৮১ মিনিটে আত্মঘাতি গোলে অন্তত এক পয়েন্ট পাওয়ার স্বান্ত্বনা নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্নে স্লটের দল।
চেলসির দশা আরও করুণ। অবনমন অঞ্চলে থাকা লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেরেই গেল ব্লুজরা। প্রতিপক্ষের মাঠে এঞ্জো মারেস্কার দলের হারের ব্যবধান ১-৩। প্রথামার্ধে দুই দফা পিছিয়ে পড়ার পর পেদ্রো নেতোর গোলে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান কমায় চেলসি। তবে ৭২ মিনিটে আরেক দফা চেলসির জালে স্বাগতিকরা বল পাঠালে ঘুরে দাড়ানোর সব দরজা বন্ধ হয়ে যায় সফরকারীদের।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২০২৫-২৬ মৌসুমে মাত্র একটি ম্যাচে হার দেখা দুর্দান্ত আর্সেনাল আরেকটি ম্যাচ থেকে পুরো তিন পয়েন্ট তুলে লিগ জয়ের দৌড়ে আরও এগিয়ে গেল। ১৪ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আরও জেঁকে বসেছে মিকেল আর্তেতার দল। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি পাঁচ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে।
এদিকে নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম বাজে মৌসুমের স্বাক্ষী হওয়া লিভারপুল ১৪ ম্যাচে ৭ জয়, এক ড্র ও ৬ হারে ২২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে আছে। ২৪ পয়েন্ট পাওয়া চেলসি আছে চারে।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের ১১ মিনিটে প্রথম শট নিয়েই এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ডান দিক থেকে বেন হোয়াইটের ক্রসে হেডে জাল কাঁপান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মেরিনো। এরপর বেশিরভাগ সময় নিজেদের কাছে বল রেখে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও মিলছিল না ফল। এক গোলের লিড নিয়ে খুব একটা স্তস্ত্বিতেও ছিল না গানাররা। অবশেষে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সব অনিশ্চয়তার ইতি টানেন সাকা। মেরিনোর থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে ব্রেন্টফোর্ডের একজনকে কাটিয়ে জোরাল শটে গোলটি করেন ইংলিশ তারকা ফরোয়ার্ড।
ঘরের মাঠে আরেকটি হারের দ্বারপ্রান্তেই ছিল লিভারপুল। সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে মোট ২৩টি শট নিয়ে মাত্র চারবার লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে স্লটের শিষ্যরা। অল রেডদের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে ৬৭ মিনিটে এগিয়ে যায় সান্ডারল্যান্ড। আরও একবার দলের বিপদের কারণ হলেন নিজেকে হারিয়ে খোঁজা লিভারপুল অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক। বক্সের বাইরে ডাচ এই ডিফেন্ডার বল তুলে দেন প্রতিপক্ষের পায়ে। সতীর্থের পাস পেয়ে তালবির নেওয়া শট ফন ডাইকের পিঠে লেগে একটু দিক পাল্টে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
প্রায় হারতে বসা ম্যাচে ৮১ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি পায় লিভারপুল। অ্যান ফিল্ডের ক্লাবটিতে এখনো পুরোপুরি মানিয়ে নিতে না পারা ফ্লোরিয়ান ভার্টজ বক্সের ভেতর দারুণ নৈপুণ্যে একজনকে কাটিয়ে শট নেন। প্রতিপক্ষের মুকিয়েলের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায় বল। তাতে আত্মঘাতি হিসেবেই ধরা হয় গোলটিকে।
যোগ করা সময়ে লিভারপুলের রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে পুরো তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল সান্ডারল্যান্ড। তবে অল রেডদের বাঁচিয়ে দেন ফেদেরিকো চিয়েসা। সান্ডারল্যান্ডের বদলি নামা উইলসন ইসিডরের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন লিভারপুলের বদলি ইতালিয়ান চিয়েসা।

বার্সেলোনা-আতলেতিকো ম্যাচ দিয়ে প্রত্যাবর্তনের উত্তেজনা লেগেছে ক্যাম্প ন্যুতে। সংস্কারকাজের পরে কাতালান ক্লাবের নতুন রূপ দেখতে ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামটি পরিদর্শন করেছেন লিওনেল মেসি।
শৈশবের স্টেডিয়াম ভ্রমণের পরই আলোচনা জোরদার হয়—আবারও ন্যু ক্যাম্পে ফিরছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তবে বিষয়টি বাস্তবে অসম্ভব বটে। কারণ, ইতোমধ্যে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে নতুন করে তিন বছরের চুক্তি করেছেন মেসি।
মেসি যে বার্সেলোনায় যাচ্ছেন না, তার আরও কিছু বাস্তবসম্মত কারণ রয়েছে। ৩৮ বছর ছুঁইছুঁই রাইট উইঙ্গার ক্যারিয়ারের অন্তিমলগ্নে। ২০২৬ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ এবং মিয়ামির সঙ্গে চুক্তি চুকলেই জার্সি তুলে রাখবেন আলমারিতে। তারপরও বার্সেলোনার ভক্তদের আবদার ও উচ্চাশা থেমে নেই।
মেসিকে নিয়ে বাড়তে থাকা গুঞ্জন নিয়ে কথা বলেছেন বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো। ২০২১ সালে আর্থিক সংকটের কারণে চুক্তি নবায়ন না করতে পারায় কাতালান ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল লিওকে। লা মাসিয়া, যুব টিম ও সিনিয়র টিমসহ মোট ২১ বসন্ত কাতালান ক্লাবে ছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ডেকো বলেন,
“আমি মনে করি এটা সম্ভব নয়, কারণ লিওর সঙ্গে এখনো মিয়ামির চুক্তি আছে এবং এটি কখনও বিবেচনায়ও আনা হয়নি। লিও সর্বদা লিও, এবং তিনি এখনও কিছু অবদান রাখতে পারেন; তিনি একজন মহান খেলোয়াড়। কিন্তু এটা এমন কিছু নয় যা আমরা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।”
আজ কো তি হি জুগেস শো-তে ডেকো আরও বলেন: “বর্তমানে এটা অসম্ভব বটে।”
এর আগে বার্সেলোনার সভাপতি জোয়ান লাপোর্তা জানিয়েছিলেন, মেসির খেলোয়াড় হিসেবে হোমকামিং পরিকল্পনা করা বাস্তবসম্মত নয়, বিশেষ করে যখন মেসি সম্প্রতি ইন্টার মিয়ামিতে আরও তিন বছরের জন্য চুক্তি করেছেন।