১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২২ পিএম

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। জয়োৎসব ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে অতিরিক্ত সময়ে গোল হজমের অভ্যাস ফেলে মহা দুশ্চিন্তায়। এবারও তেমন কিছু নয়তো? অলক্ষ্যে এমন উদ্বেগ ছিল স্টেডিয়ামে আগত ২৩ হাজারেরও বেশি সমর্থকের।
দাঁতে দাঁত চেপে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন এবং মিডফিল্ড থেকে রক্ষণে দায়িত্ব পালন করা হামজা চৌধুরী। তাঁদের দৃঢ়তায় লাল-সবুজের সমর্থকরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। শেষ পর্যন্ত রেড অ্যান্ড গ্রিনরা জয়ী হয়েছেন। ২২ বছর পর ভারতকে বাংলাদেশ হারল। একই সঙ্গে জাতীয় স্টেডিয়াম প্রতিধ্বনিত হয়েছে উল্লসিত সমর্থকদের আনন্দে।
মঙ্গলবার পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। একমাত্র গোলটি করেছেন শেখ মোরছালিন। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দুই দলের মধ্যকার প্রথম ম্যাচে ভারতের শিলংয়ে গোলশূন্য ড্র হয়েছিল হাভিয়ের কাবরেরা দলের সঙ্গে।
এই জয়ে বাছাইপর্ব থেকে আগেই বিদায় নেওয়া বাংলাদেশের পয়েন্ট হলো পাঁচ। ১৪ অক্টোবর হংকং ও চায়নার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে এক পয়েন্ট পেয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ঘরের মাঠে ভারতকে পেয়ে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলেছিল বাংলাদেশ। গোলের দেখা মিললো ১১তম মিনিটে। ওই গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে গেল হাভিয়ের কাবরেরা দল।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ভারত প্রথম ১৫-২০ মিনিটে কার্যকরী কোনো আক্রমণ করতে পারেনি। এরপর দুই-একবার ভীতি ছড়িয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণে, যেগুলো সামাল দিয়েছেন হামজা চৌধুরী।
ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে হাতাহাতি হয় সোহেল রানা, তপু বর্মণদের সঙ্গে ভারতের নারাভি নিখিল। হলুদ কার্ড পান তপু ও চাংতে। মাঠে তৈরি হয় যুদ্ধাংদেহী পরিবেশ। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে অতিথিরা সমতায় ফিরতে পারেনি।
পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে তৃতীয় মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট বাঁদিকে ঝাপিয়ে সহজেই রুখে দেন ভারতের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং।
১১ মিনিটে শেখ মোরছালিনের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আক্রমণের শুরুটা হয় গোলদাতা মোরছালিনের কাছ থেকেই। আবাহনী ফরোয়ার্ড রাকিব থেকে বল নিয়ে একাই এগিয়ে যান, ডানপ্রান্তে ঢুকে ক্রস পান রাকিবের কাছ থেকে। একা থাকা গোলরক্ষককে বোকা বানাতে ভুল করেননি বাংলাদেশের তরুণ তারকা। এটি মোরছালিনের লাল-সবুজ জার্সিতে সপ্তম গোল।
২২ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে রাকিবের ক্রস সহজেই তালুবন্দি করেন ভারতের গোলকিপার সিন্ধু। এই সময়ে প্রতিপক্ষকে রুখতে বেশ কয়েকবার ঝলক দেখান হামজা। দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ট্যাকেলে গ্যালারির সমর্থকদের উজ্জীবিত করেছেন তিনি।
২৭ মিনিটে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের রক্ষণের অন্যতম সেরা সেনানী তারিক কাজী। তাঁর বদলি হিসেবে নামেন শাকিল আহাদ তপু।
৩১ মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলে বল পায় লালিয়ানজুয়ালা চাংতে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা পোস্ট ছেড়ে বাইরে থাকায় গোলপোস্টও ছিল ফাঁকা। চাংতের দূরপাল্লার শট প্রায় পোস্টে যাচ্ছিল, ত্রাতায় হাজির হন হামজা। হেড করে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন তিনি।
পরবর্তী কয়েক মিনিটে আবারও রক্ষণে ঝলক দেখান হামজা। ভারতের ফুটবলারদের সঙ্গে তপু বর্মণের ট্যাকলের ঘটনায় কার্ড দেখান রেফারি।
হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আগেই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছিলেন, "এই ম্যাচে অনেক কার্ড হবে, গালাগালি হবে, অনেক কথা হবে।" প্রথমার্ধেই তার ছাপ পড়ল।
৩৮ মিনিটে গোললাইন থেকে হেডে বল ক্লিয়ার করে দলকে রক্ষা করেন রাকিব।
৪৪ মিনিটে সাদ উদ্দিনের ফ্রি কিক ভারতের দেয়ালে বাধা পেয়ে হামজার কাছে আসে। হামজা বুক বা পায়ের শট নেন, কিন্তু অল্পের জন্য রক্ষা পায় ভারত।
৫১ মিনিটে ভারতের বদলি মহেশ সিংয়ের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৬৪ মিনিটে মোহাম্মদ সানানের শট রক্ষা করেন মিতুল। ৭০ মিনিটে সানানের আচমকা শটও বাঁ দিকে ঝাপিয়ে রক্ষা করেন মিতুল।
৭০ মিনিটে গোল করা মোরছালিনকে তুলে নেন কোচ কাবরেরা। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন শাহরিয়ার ইমন, তাজ উদ্দিন ও জায়ান।
৭৯ মিনিটে ভারতের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এগিয়ে যান শাকিল আহাদ তপু। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ভারতের গোলরক্ষকের হাতে জমা পড়ে।
৮২ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন ভারতের অধিনায়ক সন্দেশ জিঙ্গান। বলের হাতে লাগার পর বাংলাদেশের ফুটবলাররা পেনাল্টি চাইলে রেফারি ক্লিফোর্ড ডায়পুতা তা নাকচ করেন।
যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে গোলকিপারকে প্রায় একাই পেয়েছিলেন ফাহিম, তবে গোল করতে পারেননি। গোলকিকের পর বাজল ম্যাচ শেষের বাঁশি।
জয়ে মাতোয়ারা হলো জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি। সবুজ গালিচায় শুয়ে পড়লেন হামজা চৌধুরী। ২২ বছরের অপেক্ষার পর পাওয়া জয়ে বাংলাদেশ পেল বহুল প্রত্যাশিত এক জয়।
No posts available.
২২ নভেম্বর ২০২৫, ২:০৭ পিএম

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে আজ পূর্ব তিমুরকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-০ গোলে। জোড়া গোল করেন মোহাম্মদ মানিক।
চীনের টংলিয়াং লং স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচের ১১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে মানিকের ক্রসে হেডে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন রিফাত কাজী। ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মানিক নিজেই। নাজমুল হুদা ফয়সালের ফ্রি কিকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জালে জড়ান তিনি।
৪৩ মিনিটে আসে তৃতীয় গোল। ডি বক্সে জটলার মধ্য থেকে পাওয়া বলের ঠিকানা খুঁজে নিতে অসুবিধা হয়নি মানিকের। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও দুটির বেশি গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ৷ ৪৯ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন বায়েজিত বোস্তামি। ৮৮ মিনিটে শেষ গোলটি আসে আকাশ আহমেদের পা থেকে। তাতে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
আগামী সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ব্রুনাই। ৬ দলের লড়াইয়ে কেবল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলই মূলপর্বে খেলার সু্যোগ পাবে।

গত মঙ্গলবা ডেনামার্ককে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে স্কটল্যান্ড। ২৮ বছরের অপেক্ষার পর বিশ্বকাপে ফেরার আনন্দে আত্মহারা স্কটিশ সমর্থকেরা। উদযাপনের সেই ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছিল ইউরোপীয়ান ফুটবল সংস্থা (ইউয়েফা)। তবে পরবর্তীতে সেই ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে তারা।
ভিডিও সরিয়ে নেওয়ায় শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। তবে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছে ইউয়েফা।
নিজেদের মাঠ হ্যাম্পডন পার্কে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ৪-২ জয় পায় স্কটল্যান্ড। গোল করেছেন স্কট ম্যাকটোমিনে, লরেন্স শ্যাঙ্কল্যান্ড, কিয়েরান টিয়ারনি ও কেনি ম্যাকলিন।
জয়ের আনন্দে স্কটিশ ফুটবল ফেডারেশন ও সমর্থকেরা ভিডিও প্রকাশ করলে ইউয়েফা অনুমোদনহীন বলে মেইলে জানায়। তারপর ক্ষমা চাইল সংস্থাটি। এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ভিডিওগুলো পুনরায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।‘
স্কটিশ ফুটবল সমর্থক সমিতির (এসএফএসএ) সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল গুডউইন বলেন, ‘ভিডিওতে খেলোয়াড়রা দেখা যাচ্ছিল না, শুধু সমর্থকদের উল্লাস দেখানো হয়েছিল। ইউয়েফা এতটাই বাস্তবতা থেকে দূরে যে সাধারণ ফ্যানদের উদযাপন ভিডিও সরাতে বলেছে।‘
ভিডিওগুলোর মধ্যে একটি ছিল পাবের, যেখানে কেনি ম্যাকলিনের গোলের পর সমর্থকেরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। স্কটিশ সংস্কৃতি বিষয়ক মুখপাত্র নেইল বিবি বলেন, ‘ভিডিও সরানো অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ ছিল। স্কটল্যান্ডের এই জয় দেশের জন্য ইতিহাস রচনা করেছে এবং ফুটবলকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেছে।‘

ইতালিকে অসাধারণ জয় এনে দিলেন ফ্লাভিও কোবোল্লি। বেলজিয়ামের জিজু বার্গসকে ৬-৩, ৬-৭ (৫-৭), ৭-৬ (১৭-১৫) হারিয়ে আবারও ডেভিস কাপের ফাইনালে ইতালি।
শেষ সেটের ১৭-১৫ টাইব্রেক ছিল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে ষষ্ঠ দীর্ঘতম।
৪৩ নম্বর বাছাই বার্গস দারুণ লড়াই দেখান ২২ নম্বর বাছাই কোবোল্লির বিপক্ষে। টাইব্রেকারে দুজনই একাধিক ম্যাচ পয়েন্ট নষ্ট করেন, শেষ পর্যন্ত সার্ভিস উইনারে জয় নিশ্চিত করেন কোবোল্লি।
৩ ঘন্টা ৪ মিনিট চলা লড়াই জিতে জার্সি খুলে সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপন করেন কোবোল্লি। কান্নায় ভেঙে পড়া বার্গসকে গিয়ে সান্ত্বনা দেন তিনিই।
এর আগে প্রথম সিঙ্গেলস সেমিফাইনালে ইতালির মাত্তেও বেরেত্তিনি বেলজিয়ামের রাফায়েল কোলিনিওঁকে ৬-৩, ৬-৪ হারিয়ে হারান। ফলে ডাবলস ম্যাচ ছাড়াই ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় ইতালির।
ডেভিস কাপের টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন ইতালি। শিরোপা জয়ের হ্যাটট্রিকের লড়াইয়ে কাল ফাইনালে ইতালির প্রতিপক্ষ হবে জার্মানি-স্পেন সেমিফাইনালের বিজয়ী দল।

চলতি মাসে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। সেই ম্যাচে লাল কার্ড দেখা লুইস দিয়াস এবার পেয়েছেন তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।
আশরাফ হাকিমির ওপর তার ট্যাকলকে গুরুতর ফাউল হিসেবে বিবেচনা করে এই শাস্তি দিয়েছে ইউয়েফা।
গত ৫ নভেম্বর প্যারিসে ম্যাচটি দিয়াসের জন্য ছিল নাটকীয়। প্রথমার্ধে দুটি গোল করলেও বিরতির ঠিক আগে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় আর্সেনালের বিপক্ষে বুধবার (২৬ নভেম্বর), স্পোর্টিং লিসবন (৯ ডিসেম্বর) ও ইউনিয়ন সেইন্ট-জিলোয়াজের (২১ জানুয়ারি) বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন না কলম্বিয়ান তারকা।
চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে গ্রুপের শীর্ষে আছে বায়ার্ন। লিভারপুল থেকে এই মৌসুমে যোগ দিয়েই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন দিয়াস। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৭ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল ও ৭ অ্যাসিস্ট।
এদিকে সার্জ নাব্রিকে নিয়ে নতুন দুশ্চিন্তায় বায়ার্ন। জার্মানির হয়ে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ৬-০ জয়ের ম্যাচে খেললেও ক্লাবে ফেরার পর অনুশীলনে মাংসপেশির চোট পেয়েছেন তিনি।
কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি জানিয়েছেন, ফ্রেইবুর্গের বিপক্ষে নাব্রিকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পরের ম্যাচে তাকে ফিরে পাওয়ার আশা করছেন তারা।

দরজায় ধাক্কা লেগে বাঁ পায়ের আঙুল ভেঙেছে ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ড কোল পালমারের। ফলে এক সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে।
চোটের কারণে পরের তিন ম্যাচে দেখা যাবে না ২৩ বছর বয়সি পালমারকে। নামা হবে না বার্নলি, বার্সেলোনা ও আর্সেনালের বিপক্ষে।
আঘাত পাওয়ার কথা জানিয়ে পালমার বলেন, “রাতে অনেকবার জেগেছি। মাথা, পা এবং সর্বত্র আঘাত লেগেছে।”
পালমারের চোটের বিষয়ে চেলসি কোচ এনজো মায়রেসকা বলেন, “গুরুতর কিছু না, কিন্তু আগামী সপ্তাহেও তাকে পাওয়া যাবে না।”
এর আগে কুঁচকির চোটে দুই মাস মাঠের বাইরে ছিলেন পালমার। সবশেষ ২০ সেপ্টেম্বর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। চলতি মৌসুমে চেলসির হয়ে চার ম্যাচ খেলেছেন পালমার।