
ফিফা বিশ্বকাপ অনেক দূরের স্বপ্ন বাংলাদেশের জন্য। এএফসি এশিয়ান কাপের দরজাও লাল সবুজেরা খুলতে পারছে না লম্বা সময় ধরে। তবে ১৮ নভেম্বর ভারতকে হারানোয় দেশের ফুটবলে এখন আনন্দের জোয়ার। আগামী বছরটা বিশ্বকাপের। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি।
পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান কোকাকোলার সঙ্গে মিলে প্রতিবারই বিশ্বকাপের আগে ট্রফি ট্যুরের আয়োজন করে ফিফা। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ঢাকায় ১৪ জানুয়ারি বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা। যদিও ট্রফি কোথায় প্রদর্শন করা হবে তা এখনো ঠিক হয়নি।
ঢাকার আগে ভারতের দিল্লি ও গুয়াহাটিতে ট্রফি প্রদর্শন করানো হবে। ২০২২ বিশ্বকাপের আগেও ঢাকায় আনা হয়েছিল বিশ্বকাপ ট্রফি। সঙ্গে এসেছিলেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান কারেম্বু ও ফিফার সাত প্রতিনিধি।
৩৬ ঘণ্টার সেই সফরে বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে ছিল নানা আয়োজন। হয়েছিল কনসার্টও। ২০১৩ সালেও ঢাকায় এসেছিল বিশ্বকাপ ট্রফি, তবে সেটি ছিল আসল ট্রফির রেপ্লিকা।
বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড় ও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া ট্রফি স্পর্শ করার অধিকার থাকে না কারও।
No posts available.
২২ নভেম্বর ২০২৫, ২:০৭ পিএম

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে আজ পূর্ব তিমুরকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-০ গোলে। জোড়া গোল করেন মোহাম্মদ মানিক।
চীনের টংলিয়াং লং স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচের ১১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে মানিকের ক্রসে হেডে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন রিফাত কাজী। ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মানিক নিজেই। নাজমুল হুদা ফয়সালের ফ্রি কিকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জালে জড়ান তিনি।
৪৩ মিনিটে আসে তৃতীয় গোল। ডি বক্সে জটলার মধ্য থেকে পাওয়া বলের ঠিকানা খুঁজে নিতে অসুবিধা হয়নি মানিকের। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও দুটির বেশি গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ৷ ৪৯ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন বায়েজিত বোস্তামি। ৮৮ মিনিটে শেষ গোলটি আসে আকাশ আহমেদের পা থেকে। তাতে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
আগামী সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ব্রুনাই। ৬ দলের লড়াইয়ে কেবল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলই মূলপর্বে খেলার সু্যোগ পাবে।

গত মঙ্গলবা ডেনামার্ককে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে স্কটল্যান্ড। ২৮ বছরের অপেক্ষার পর বিশ্বকাপে ফেরার আনন্দে আত্মহারা স্কটিশ সমর্থকেরা। উদযাপনের সেই ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছিল ইউরোপীয়ান ফুটবল সংস্থা (ইউয়েফা)। তবে পরবর্তীতে সেই ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে তারা।
ভিডিও সরিয়ে নেওয়ায় শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। তবে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছে ইউয়েফা।
নিজেদের মাঠ হ্যাম্পডন পার্কে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ৪-২ জয় পায় স্কটল্যান্ড। গোল করেছেন স্কট ম্যাকটোমিনে, লরেন্স শ্যাঙ্কল্যান্ড, কিয়েরান টিয়ারনি ও কেনি ম্যাকলিন।
জয়ের আনন্দে স্কটিশ ফুটবল ফেডারেশন ও সমর্থকেরা ভিডিও প্রকাশ করলে ইউয়েফা অনুমোদনহীন বলে মেইলে জানায়। তারপর ক্ষমা চাইল সংস্থাটি। এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ভিডিওগুলো পুনরায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।‘
স্কটিশ ফুটবল সমর্থক সমিতির (এসএফএসএ) সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল গুডউইন বলেন, ‘ভিডিওতে খেলোয়াড়রা দেখা যাচ্ছিল না, শুধু সমর্থকদের উল্লাস দেখানো হয়েছিল। ইউয়েফা এতটাই বাস্তবতা থেকে দূরে যে সাধারণ ফ্যানদের উদযাপন ভিডিও সরাতে বলেছে।‘
ভিডিওগুলোর মধ্যে একটি ছিল পাবের, যেখানে কেনি ম্যাকলিনের গোলের পর সমর্থকেরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। স্কটিশ সংস্কৃতি বিষয়ক মুখপাত্র নেইল বিবি বলেন, ‘ভিডিও সরানো অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ ছিল। স্কটল্যান্ডের এই জয় দেশের জন্য ইতিহাস রচনা করেছে এবং ফুটবলকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেছে।‘

ইতালিকে অসাধারণ জয় এনে দিলেন ফ্লাভিও কোবোল্লি। বেলজিয়ামের জিজু বার্গসকে ৬-৩, ৬-৭ (৫-৭), ৭-৬ (১৭-১৫) হারিয়ে আবারও ডেভিস কাপের ফাইনালে ইতালি।
শেষ সেটের ১৭-১৫ টাইব্রেক ছিল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে ষষ্ঠ দীর্ঘতম।
৪৩ নম্বর বাছাই বার্গস দারুণ লড়াই দেখান ২২ নম্বর বাছাই কোবোল্লির বিপক্ষে। টাইব্রেকারে দুজনই একাধিক ম্যাচ পয়েন্ট নষ্ট করেন, শেষ পর্যন্ত সার্ভিস উইনারে জয় নিশ্চিত করেন কোবোল্লি।
৩ ঘন্টা ৪ মিনিট চলা লড়াই জিতে জার্সি খুলে সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপন করেন কোবোল্লি। কান্নায় ভেঙে পড়া বার্গসকে গিয়ে সান্ত্বনা দেন তিনিই।
এর আগে প্রথম সিঙ্গেলস সেমিফাইনালে ইতালির মাত্তেও বেরেত্তিনি বেলজিয়ামের রাফায়েল কোলিনিওঁকে ৬-৩, ৬-৪ হারিয়ে হারান। ফলে ডাবলস ম্যাচ ছাড়াই ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় ইতালির।
ডেভিস কাপের টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন ইতালি। শিরোপা জয়ের হ্যাটট্রিকের লড়াইয়ে কাল ফাইনালে ইতালির প্রতিপক্ষ হবে জার্মানি-স্পেন সেমিফাইনালের বিজয়ী দল।

চলতি মাসে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। সেই ম্যাচে লাল কার্ড দেখা লুইস দিয়াস এবার পেয়েছেন তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।
আশরাফ হাকিমির ওপর তার ট্যাকলকে গুরুতর ফাউল হিসেবে বিবেচনা করে এই শাস্তি দিয়েছে ইউয়েফা।
গত ৫ নভেম্বর প্যারিসে ম্যাচটি দিয়াসের জন্য ছিল নাটকীয়। প্রথমার্ধে দুটি গোল করলেও বিরতির ঠিক আগে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় আর্সেনালের বিপক্ষে বুধবার (২৬ নভেম্বর), স্পোর্টিং লিসবন (৯ ডিসেম্বর) ও ইউনিয়ন সেইন্ট-জিলোয়াজের (২১ জানুয়ারি) বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন না কলম্বিয়ান তারকা।
চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে গ্রুপের শীর্ষে আছে বায়ার্ন। লিভারপুল থেকে এই মৌসুমে যোগ দিয়েই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন দিয়াস। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৭ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল ও ৭ অ্যাসিস্ট।
এদিকে সার্জ নাব্রিকে নিয়ে নতুন দুশ্চিন্তায় বায়ার্ন। জার্মানির হয়ে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ৬-০ জয়ের ম্যাচে খেললেও ক্লাবে ফেরার পর অনুশীলনে মাংসপেশির চোট পেয়েছেন তিনি।
কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি জানিয়েছেন, ফ্রেইবুর্গের বিপক্ষে নাব্রিকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পরের ম্যাচে তাকে ফিরে পাওয়ার আশা করছেন তারা।

দরজায় ধাক্কা লেগে বাঁ পায়ের আঙুল ভেঙেছে ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ড কোল পালমারের। ফলে এক সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে।
চোটের কারণে পরের তিন ম্যাচে দেখা যাবে না ২৩ বছর বয়সি পালমারকে। নামা হবে না বার্নলি, বার্সেলোনা ও আর্সেনালের বিপক্ষে।
আঘাত পাওয়ার কথা জানিয়ে পালমার বলেন, “রাতে অনেকবার জেগেছি। মাথা, পা এবং সর্বত্র আঘাত লেগেছে।”
পালমারের চোটের বিষয়ে চেলসি কোচ এনজো মায়রেসকা বলেন, “গুরুতর কিছু না, কিন্তু আগামী সপ্তাহেও তাকে পাওয়া যাবে না।”
এর আগে কুঁচকির চোটে দুই মাস মাঠের বাইরে ছিলেন পালমার। সবশেষ ২০ সেপ্টেম্বর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। চলতি মৌসুমে চেলসির হয়ে চার ম্যাচ খেলেছেন পালমার।