৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১:১৯ পিএম
পুরো ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি না এখনো নেইমার সেটা নিজেই বলেছিলেন। তাই সান্তোস কোচ কোনো ঝুঁকি নেননি। বোতাফোগোর বিপক্ষে নেইমারের দ্বিতীয় অভিষেকটা তিনি করিয়েছেন বদলি হিসেবে। তবে অল্পে সময়েই নেইমার দেখিয়েছেন ঝলক। আর জিতে নিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেই সাথে জবাব দিয়েছেন আল হিলাল কোচকে।
এদিন সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোয় নেইমার মাঠে নেমেছিলেন ৫২ মিনিটে। এরপর বাকি সময় গোলের দেখা না মিললেও ঠিকই সুযোগ তৈরি করেছিলেন সতীর্থদের জন্য। নিয়েছেন ৬ শটও। তার বেশ কিছু মুভমেন্টের পাশাপাশি ফাইনাল থার্ডে তার পাসগুলো ছিল নজর কাড়া। তাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তার হাতেই।
সান্তোসের জার্সিতে প্রথম ম্যাচটা নেইমার যেন সমালোচকদের জবাব দেওয়ার মঞ্চ হিসেবেই বেছে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে আল হিলাল কোচ হোর্হে হেসুসকে। যিনি দাবি করিছিলেন নেইমারের শারীরিক অবস্থা তার দলের পর্যায়ে না। সান্তোসে প্রথম ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়ে আল হিলাল কোচকে নেইমার জবাবটা দিতে ভোলেননি।
“কিছু দিন থেকেই এই আলোচনা চলে আসছিল। আমি খুবই বিচলিত ছিলাম, যখন তিনি বলেছিলেন তার দলের পর্যায়ে আমার ফিটনেস নেই। যদিও অনুশীলনে আমি ব্যতিক্রম ছিলাম। কিন্তু আমার ফিটনেস নিয়ে ভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়েছিল। আমার সামনে তাই সুযোগ ছিল কেবল মাঠেই নিজেকে প্রমাণ করার, সব সমালোচনার জবাব দেওয়ার।”
এরপর অবশ্য নেইমার জানিয়েছেন বাস্তবতাও। নিজেকে পুরোপুরি ফিরে পেতে সময় চেয়েছেন তিনি,
“আমি খেলতে প্রস্তুত আছি। তবে সেটা ৯০ মিনিট পুরোটা না। লম্বা সময় ধরেই চোটে পড়ে মাঠের বাইরে ছিলেন। এরপর আমি ফিরে এসে আবারও চোটে পড়েছিলাম। আমাকে আরও ম্যাচ খেলতে হবে নিজেকে শতভাগ ম্যাচ ফিরে পেতে।”
No posts available.
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৬ এম
সাবেক লিভারপুল ও চেলসি কোচ ম্যাট বিয়ার্ড ৪৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে উইমেন্স সুপার লিগ কতৃপক্ষ।
বিয়ার্ডের অধীনে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পরপর দুটি উইমেন্স সুপার লিগ শিরোপা জেতে লিভারপুল নারী দল। দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে লিভারপুল, চেলসি, ওয়েস্ট হ্যাম, ব্রিস্টল সিটির মতো ক্লাবের ডাগ-আউট সামলেছিলেন বিয়ার্ড।
২০২১ সালে আবার লিভারপুলে ফিরে আসেন ম্যাট বিয়ার্ড। দুই মৌসুম দ্বিতীয় স্তরে খেলার পর অল রেডদের আবারো শীর্ষ স্তরে নিয়ে যান তিনি। ফেব্রুয়ারিতে লিভারপুল ছেড়ে দেন বিয়ার্ড। সবশেষ বার্নলির হয়ে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন এই অভিজ্ঞ কোচ।
তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছে লিভারপুল কতৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে ক্লাবটি লিখেছে, 'ক্লাবের সকলের পক্ষ থেকে ম্যাটের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এই মর্মান্তিক সময়ে। ম্যাট শুধু একজন প্রতিশ্রুতিশীল ও সফল ম্যানেজারই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত সৎ এবং আন্তরিক মানুষ, যাকে সহকর্মীরা সবাই সবসময় ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।'
উইমেন্স সুপার লিগে আজ অ্যাস্টন ভিলার ও লিভারপুলের মাঠে নামার কথা ছিলো। তবে বিয়ার্ডের মৃত্যুর দুঃসংবাদের কারণে ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে।
বিয়ার্ড তাঁর কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মিলওয়াল এফসিতে। এরপর ২০০৯ সালে তিনি চেলসিতে যোগ দেন। চেলসি নারী দলের ভিত্তি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ম্যাট বিয়ার্ড।
তার মৃত্যুর খবরে শোক বার্তা জানিয়ে চেলসি লিখেছে, 'ম্যাট এমন একজন ব্যক্তি যিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিন বছরের কোচিংয়ে চেলসি নারী দলের ভিত্তি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যা পরবর্তীতে এমা হেইসের সময়ে আরও বিস্ততৃত হয়। তিনি ইংল্যান্ড নারী ফুটবলের অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এবং ফুটবল জগতের সকলের কাছেই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।'
ফুটবল ক্যারিয়ারে মুড়ি-মুড়কির মতো রেকর্ড করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তূগিজ মহাতারকা তো মাঝেমধ্যে মজা করেই বলেন, ‘আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না, রেকর্ডই আমার পেছনে ছুটে।’ ক্যারিয়ারের উষালগ্নে এসেও একের পর এক রেকর্ডে নাম লিখিয়ে যাচ্ছেন ‘সিআর সেভেন’।
বর্ণাঢ্য ফুটবল অধ্যায়ে একটি রেকর্ড অবশ্য হাতছাড়া হতে যাচ্ছে রোনালদোর। দারুণ ছন্দে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইন তাড়া করছেন আল নাসরের ফরোয়ার্ডকে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে কোনো ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে কম ম্যাচে গোলের সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেন কেইন।
টটেনহ্যাম থেকে বায়ার্নে যোগ দিয়ে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০৩ ম্যাচ খেলেছেন কেইন। বাভারিয়ানদের হয়ে তাঁর মোট গোল সংখ্যা ৯৮ গোল। সবশেষ বুন্দেসলিগায় হফেনহাইমের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন কেইন। আগামী শুক্রবার বুন্দেসলিগায় ভেরডার ব্রেমেনের বিপক্ষে দুই গোল করলেই দ্রুততম সময়ে গোলের সেঞ্চুরির রেকর্ড করবেন ইংলিশ স্ট্রাইকার।
এই রেকর্ডের যৌথ মালিকানা এখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং আর্লিং হাল্যান্ডের । রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১০৫ ম্যাচে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন রোনালদো। আর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সমান সংখ্যাক ম্যাচ খেলে সিআর সেভেনের পাশে বসেছেন নরওয়েজিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড হাল্যান্ড।
হফেনহাইমের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে বুন্দেসলিগায় একটি রেকর্ডও করেন কেইন। জার্মান লিগটিতে বায়ার্নের হয়ে মাত্র ৬৭ ম্যাচে ৭০ গোল পূর্ণ করেছেন ৩২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। বুন্দেসলিগার ইতিহাসের দ্রুততম সময়ে ৭০ গোল করা ফুটবলার এখন কেইন।
বুন্দেসলিগার আগের মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা কেইন ২০২৫-২৬ মৌসুমেও রীতিমতো উড়ছেন। বায়ার্নের এই তারকা ফরোয়ার্ড ৪ ম্যাচে আটবার বল জালে জড়িয়েছেন। এর মধ্যে দু’বার হ্যাটট্রিকের স্বাদও পেয়েছেন তিনি।
ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার ব্যালন ডি’অর এবার কার হাতে ওঠবে? ফ্রান্স ফুটবলের জমকালো অনুষ্ঠানে কে পাবেন মৌসুম সেরার স্বীকৃতি ? সেটা জানতে অপেক্ষাটা কেবল আর একদিনের। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল রাতে ঘোষণা করা হবে ‘গোল্ডেন বল’ বিজয়ীর নাম।
একবিংশ শতাব্দিতে ব্যালন ডি’অরের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির নাম। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই দুই ফুটবলারের দাপটে একই সময়ের অন্য তারকাররা আড়ালেই রয়ে গেছেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও এই দুই মহারতারকার উজ্জ্বল আলোয় সাদামাটাই মনে হতো অন্যদের।
কেমন হতো যদি গত দুই দশকে মেসি-রোনালদো না থাকতো? এই সময়টায় ব্যালন ডি’অর জেতার লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাপ্য ছিলেন কারা? ফুটবল ভিত্তিক সাইট গোল ডট কম এমন কিছু ফুটবলারের তালিকা তৈরি করেছে, যাদের ব্যাক্তিগত কিংবা দলীয় অর্জন ব্যালন ডি’অর জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আলো ছড়িয়েও ব্যালন ডি’অর স্পর্শ করতে পারেনি যারা।
জ্লাতান ইব্রাহিমোবিচ
ফুটবল ইতিহাসে মাত্র ছয়জন খেলোয়াড় ইব্রাহিমোভিচের চেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছেন। এই একটি পরিসংখ্যানই তো যথেষ্ট কতটা সাফল্য পেয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। গোল করায় এই শতাব্দীতে মেসি ও রোনালদোর পরেই তার অবস্থান। তবে তুলনামূলক দুর্বল জাতীয় দলে থাকায় পিছিয়ে পড়েন ইব্রাহিমোভিচ।
ব্যালন ডি’অরে ইব্রাহিমোভিচের সর্বোচ্চ অবস্থান ছিল চতুর্থ। ২০১৪ সালে তখন পিএসজির হয়ে খেলতেন তিনি। মাঠে তার পারফরম্যান্সের ছাড়াও ক্যারিশমা, সাহসী চরিত্র আর মাঠের ভেতর-বাইরের নানান বিষয়ে মন্তব্য করে বোমা ফাটাতে পচ্ছন্দ করতেন ইব্রা।
জাভি হার্নান্দেজ
বার্সেলোনার ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবলার জাভি হার্নান্দেজ। কাতালান ক্লাবটিতে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ আর আটটি লা লিগা শিরোপা। সেইসাথে স্পেনকে টানা দুটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ (২০০৮, ২০১২) এবং একটি বিশ্বকাপ (২০১০) জেতানোর নেতৃত্বও দিয়েছেন।
২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বার্সা ও স্পেন দু’দলই ছিল অপ্রতিরোধ্য। এই সময়টাতেই জাভি টানা তিনবার ব্যালন ডি’অর ভোটিংয়ে তৃতীয় হন। প্রতি বারই বিজয়ী ছিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার অবিশ্বাস্য গোলসংখ্যা ও ব্যক্তিগত ঝলকে সেরার এই স্বীকৃতি পাওয়া হয়নি জাভির।
লুইজ সুয়ারেজ
মেসি-রোনালদো যুগে গোল্ডেন বুট জয়ী একমাত্র ফুটবলার লুইজ সুয়ারেজ। তবে ব্যালন ডি’অরে শীর্ষ তিনেও কখনো জায়গা হয়নি সাবেক বার্সো তারকার। মেসি, নেইমারকে নিয়ে বার্সায় তাদের ‘এমএসএন’ আক্রমণ ত্রয়ী ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হয়ে থাকবে। উরুগুয়াইন এই ফরোয়ার্ডের পারফরম্যান্স হয়তো ব্যালন ডি’অরের স্বীকৃতি পাওয়ার মতো ছিল। কিন্তু ক্লাব ক্যারিয়ারে তাকে যে শুধু মেসির ছায়াতেই থাকতে হয়েছে।
রবার্ট লেভানদোভস্কি
অনেকের মতে ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবিচারের একটি হলো লেভানদোভস্কির এখনও ব্যালন ডি’অর না পাওয়া। ২০২০ সালে ৫৫ গোল করে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছিলেন পোলিশ েএই তারকা ফরোয়ার্ড। তবে সে বছর করোনা মহামারি কেড়ে নেয় তার প্রাপ্য ব্যালন ডি’অর। করোনার কারণে ব্যালন ডি’অর কতৃপক্ষ পুরস্কার অনুষ্ঠান বাতিল করে। পরের বছরও তিনি মেসির পেছনে দ্বিতীয় হন, যদিও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার গোলসংখ্যা ছিল ৬২, মেসির চেয়ে ২৪ বেশি।
নেইমার জুনিয়র
বার্সেলোনায় মেসির উত্তরসূরি হওয়ার মতো সব যোগ্যতাই ছিল নেইমারের। তবে মেসির ছায়া থেকে বের হতেই কিনা ২০১৭ সালে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। এরপর এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের ক্যারিয়ারও মোড় নেয়। এরপর চোট আর অনিয়মে নেইমারের ক্যারিয়ার কেবল আক্ষেপেরই জন্ম দিয়েছে শুধু।
বার্সেলোনায় মাত্র ১৮৬ ম্যাচে ১৮১ গোল ও অ্যাসিস্ট মিলে নেইমারের অবদান ছিল অবিশ্বাস্য। ২০১৫ ও ২০১৭ সালে ব্যালন ডি’অর র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন্ তবে এরপর আর গোল্ডেন বলের কাছাকাছিই যেতে পারেননি সান্তোসের তারকা ফুটবলার।
ইতালিয়ান সেরি’আ-তে নতুন মৌসুম শুরুর পর টানা তিন ম্যাচে জয় পেয়েছিল জুভেন্তাস ও নাপোলি। চতুর্থ রাউন্ডে এসে ধাক্কা খেল টেবিল টপার জুভেন্তাস। শনিবার রাতে তাদেরকে রুখে দিয়েছে হেলাস ভেরোনা। একই রাতে উদিনেসের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষস্থানের সঙ্গে ব্যবধান কমালো এসি মিলান।
হেলাস ভেরোনার ঘরের মাঠে ১৯ মিনিটে চিকো কনসিকাওয়ের গোলে আগে লিড নিয়েছিল জুভেন্তাসই। প্রথমার্ধের বিরতির এক মিনিট আগে পেনাল্টি থেকে ১-১ গোলে সমতায় ফেরে হেলাস ভেরোনা। পরের অর্ধে চেষ্টা করেও আর গোলের দেখা পায়নি জুভেন্তাস। চার খেলা শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এখনও তালিকার শীর্ষেই আছে জুভেন্তাস। এক ম্যাচ কম খেলে ৯ পয়েন্ট নাপোলির।
জুভেন্তাসের পয়েন্ট হারানোর রাতে ফায়দা তুলে নিয়েছে এসি মিলান। উদিনেসের ঘরের মাঠে ৩-০ গোলের বড় জয়ই পেয়েছে রোজোনেরিরা। খেলায় জোড়া গোল করেছেন আমেরিকান স্ট্রাইকার ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক। আরেক গোল আসে ফ্রান্স মিডফিল্ডার ইউসুফ ফোফানার পা থেকে।
৪ ম্যাচ খেলে ৯ পয়েন্ট মিলানের। তিন জয়ের সঙ্গে রেড এন্ড ব্ল্যাকরা হেরেছে এক ম্যাচ। মিলানের পরের ম্যাচ নাপোলির বিপক্ষে, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর। তার আগে আগামীকাল রাতে নাপোলি মাঠে নামবে পিয়াসার বিপক্ষে।
আক্রমণ, প্রতি আক্রমণে শুরুতেই জমে উঠল ম্যাচ। তবে ডেডলাইন ভাঙতে সময় লাগলো ৩৬ মিনিট। আর্জেন্টাইন উইঙ্গার তাদিও আলেন্দের ওই গোলের পর জোড়া গোল পেলেন লিওনেল মেসি। তাতে দারুণ জয় তুলে নিলো ইন্টার মায়ামি।
মেজর লিগ সকারে রোববার ভোরে ডিসি ইউনাইটেডকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে মেসিদের ক্লাব ইন্টার মায়ামি। আলেন্দের গোলে ইন্টার মায়ামি লিড নেওয়ার পর ডিসি ইউনাইটেডকে ৫৩ মিনিটে সমতায় ফেরান ক্রিশ্চিয়ান বেনটেক।
এরপর ৬৬ ও ৮৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি। যোগ করা সময়ে (৯০+৭) এক গোল পরিশোধ করলেও ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি ডিসি ইউনাইটেড। এই মৌসুমে ২২ ম্যাচ খেলে ২২ গোল করলেন ৩৮ বছর বয়সি বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
গত জুলাইয়ে টানা তিন জয়ের পর আবারও ব্যাক টু ব্যাক জয় তুলে নিল ইন্টার মায়ামি। আগের ম্যাচে ১৭ সেপ্টেম্বর তারা ৩-১ গোলে হারায় সিয়াটল সাউন্ডার্সকে।
রোববার ভোরে পাওয়া জয়ে ইস্টার্ন জোন থেকে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এলো ইন্টার মায়ামি। শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান থাকল ৮।
ম্যাচ শেষে ইন্টার মায়ামি কোচ হাভিয়ের ম্যাসচেরানো বলেছেন, ‘এটা তার (মেসি) জন্য ছিল আরেকটা সাধারণ রাত, কিন্তু অন্য যেকোনো ফুটবলারের জন্য একেবারেই অসাধারণ।’
‘মেসির সক্ষমতা শুধু গোল করাতেই নয়, দলের খেলাকে গুছিয়ে তোলা, সুযোগ তৈরি করা; আর সবচেয়ে প্রয়োজনের সময় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়াই হলো তার বড় বৈশিষ্ট্য।’ যোগ করেন ম্যাসচেরানো।