দাপটের সঙ্গে এরই মধ্যে বিশ্বকাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। ১০ মাস দূরে এখনো বিশ্বকাপ, কোচ লিওনেল স্কালোনির বড় দায়িত্ব এখন দল গোছানো। আন্তর্জাতিক বিরতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তরুণ খেলোয়াড়দের পরখ করেছেন তিনি।
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের পর পুয়ের্তো রিকোর জালে হাফ-ডজন গোল উৎসব। সেপ্টম্বর ও অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে কোচ স্কালোনি জানালেন, মাস্তানতুনো ও নিকো পাজ আর্জেন্টিনার ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
রিয়াল মাদ্রিদের দুই উইঙ্গারকে বিশেষ হিসেবেই দেখছেন স্কালোনি, যা তাঁর কথায় অনেকটাই স্পষ্ট। পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে ৬-০ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে দুই তরুণ খেলোয়াড়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন আর্জেন্টিনার কোচ।
আরও পড়ুন
জামাল বললেন, চার গোলের মধ্যে তিনটি আমরা উপহার দিয়েছি |
![]() |
রিয়াল থেকে ধারে সিরি-আ ক্লাব কোমোর হয়ে খেলছেন পাজ। মাস্তানতুনো এখন নিয়মিতই খেলছেন মাদ্রিদের ক্লাবটিতে। দুই শিষ্যকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে স্কালোনি বলেন, ‘তারা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। দুজনই বাঁ পায়ে দক্ষ এবং প্রায় একই অবস্থানে খেলেন, যদিও তাদের খেলার ধরন আলাদা। আমরা এখনো পরীক্ষা করছি। তারা তরুণ খেলোয়াড় যারা বর্তমানে স্টার্টিং লাইনআপে নেই, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হলো তাদের খেলার সুযোগ দেওয়া। ভবিষ্যতে তারা অবশ্যই একসঙ্গে খেলতে পারবে।’
ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে স্কালোনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। চারজন নতুন খেলোয়াড়— ফ্লাকো লোপেজ, অনিবল মোরেনো, লাউতারো রিভেরো এবং ফাকুন্দো কাম্বেসেসকে এই ম্যাচে সুযোগ দেওয়া সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। এই জার্সি পরা গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও লিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে অভিষেক করেছি, এবং সেটা এখনও আমার স্মৃতিতে আছে। তাদের জন্যও এটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
মেসির অবস্থা সম্পর্কেও স্কালোনি বলেন, ‘গতকাল আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, খেলতে প্রস্তুত কি না। তিনি বলেছিলেন, হ্যাঁ। এটি আমাদের সবসময় আনন্দ দেয়। তিনি আমাদের সঙ্গে গত সপ্তাহে অনুশীলন করেছেন। আমরা ভেনেজুয়েলার ম্যাচে তাকে খেলাইনি। আজকের ম্যাচে তিনি খেলতে সক্ষম ছিলেন। তিনি এবং রদ্রিগো উভয়েই নিজেদের বাড়িতে খেলছে এমন অনুভব করেছেন।’
স্কালোনি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে কিছু ম্যাচে অনেক তরুণ খেলোয়াড় অবদান রাখতে পারে। তাদের পেছন থেকে উঠে আসার সুযোগ আছে। এই খেলোয়াড়রা প্রমাণ করেছে যে তারা জাতীয় দলে থাকতে পারে। পরীক্ষায় তারা তাদের সামর্থ্য দেখাবে এবং কখনো হতাশ করবে না। প্রতিপক্ষ যাই হোক না কেন, আমাদের স্তর ঠিক আছে।’
No posts available.
১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৮ এম
১৭ অক্টোবর ২০২৫, ৮:২২ পিএম
এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যেতে চাইনিজ তাইপের দরকার ছিল স্রেফ এক পয়েন্ট। টিকিট নিশ্চিতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল জয়; শক্তিশালী চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারেননি অর্পিতা বিশ্বাসরা। বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে হেরে বিদায় নিল কোচ সাইফুল বারী টিটুর দল।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলায় শুক্রবার রাতে জর্ডানের আকাবা স্টেডিয়ামে চাইনিজ তাইপেকে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ।
ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫২ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির কাছে ৫-০ গোলে হারে বাংলাদেশের কিশোরীরা। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের জালে আরও তিন গোল দেয় চাইনিজ তাইপে।
এদিন চতুর্থ মিনিটে রক্ষনচেড়া পাসে বাংলাদেশের বিপদসমীয় ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়। তবে সুরভি রানীর দারুণ ট্যাকলে বিপদ হয়নি। কর্নার পায় চাইনিজ তাইপে। ওই কর্নারেই বিপদ ডেকে আনে মেয়েরা। বক্সে পেছন থেকে প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়ের পায়ে মেরে বসেন ডিফেন্ডার সুরভী রানী। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন উ চাই জুয়াঙ। বলের লাইনে ঝাপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি বাংলাদেশের গোলকিপার মেঘলা রানী রায়। খেলার ষষ্ঠ মিনিটে ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে লাল সবুজেরা।
এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে আরও চেপে ধরে চাইনিজ তাইপের মেয়েরা। বাংলাদেশকে দেখা যায় কিছুটা ছন্ন ছাড়া। নিজেদের অর্ধে চাইনিজ তাইপে খেলোয়াড়দের বিচরণ অর্পিতাদের কিছুটা ভড়কে দেয়। ১৫ মিনিটের পর বা প্রান্ত দিয়ে একাধিকবার আক্রমণে ওঠেন মামনি চাকমা। এই উইঙ্গারের গতি এ সময় বেশ কয়েকবার পরীক্ষা নেয় প্রতিপক্ষের রক্ষণে। যদিও তার ক্রস কিংবা পাসগুলো বেশিরভাগ সময় খুজে পায়নি ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতিকে।
২৮ মিনিটে গোল হজম করতে বসেছিল বাংলাদেশ। ডান দিকে আনমার্ক থাকা চাইনিজ তাইপের চঙ উ শিন বল পেয়ে যান। বক্সে ঢুকে দুরুহ কোন থেকে এই ফরোয়ার্ড শট নেন পোস্টে; এ যাত্রায় বাংলাদেশ বেচে যায় গোলকিপার মেঘলা রানীর পায়ে বল লেগে ফিরে আসায়। পরে ওয়াঙ উ শিনের ফিরতি শট সহজেই তালুবন্দি করেন বাংলাদেশ গোলকিপার।
৩৪ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে চাইনিজ তাইপে। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে নেওয়া ফ্রি কিক শটে গোলমুখের সামনে জালে প্লেসিং করেন চুঙ উন চেইন।
৩৬ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে মামনি চাকমার জোড়া রান। দ্বিতীয়বার ক্রস থেকে জালে বল ঠেলেন প্রীতি। তবে অফসাইডের কারণে গোল পায়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত জোড়া গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সাইফুল বারী টিটুর দল।
৬৬ মিনিটে ওয়াং ই-আইয়ের প্লেসিং শট জালে জড়ালে বাংলাদেশের ফেরার সম্ভাবনা ফিঁকে হয়ে যায় আরও। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে গোলকিপার মেঘলা রানীর ভুলে আরও এক গোল হজম করে বাংলাদেশ। পরের মিনিটে পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের জাল কাঁপায় প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপে। শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে টিটুর শিষ্যরা।
ইনজুরিতে পথ হারিয়েছেন রদ্রি। স্পেনের ম্যানচেস্টার সিটি তারকাকে নিয়ে এই মুহূর্তে এমন শিরোনামে প্রতিবেদন লেখা খুব একটা দোষের হবে না। ২০২৪ ব্যালন ডি’অর জেতা স্পেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের গত মৌসুমের বড় অংশ কেটেছে বেঞ্চে। হাঁটুর চোট বেশ ভালোভাবেই ভুগিয়েছে তাকে।
নতুন মৌসুমেও পেপ গার্দিওলাকে ভাবাচ্ছেন রদ্রি। ফিফা উইন্ডোতে দেশের হয়ে খেলতে গিয়ে হাম স্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন ম্যানসিটি মিডফিল্ডার। ফলে প্রিমিয়ারি লিগে এভারটনের বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচে দেখা যাবে না তাকে।
২৯ বর্ষী ম্যানসিটি তারকা কবে ফিরতে পারবেন, কবে তাকে দেখা যাবে, এ নিয়েও আসু উত্তর দিতে পারেননি গার্দিওলা। স্রেফ জানিয়েছেন, রদ্রি ফেরার সম্ভাব্য উত্তর তার জানা নেই। বরং তিনি তার লক্ষ্যে ফোকাস দিয়েছেন।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত ম্যানচেস্টার সিটি। লক্ষ্য, গত মৌসুমের হতাশা ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়া। কারণ আট বছর পর প্রথমবারের মতো কোনো বড় শিরোপা ছাড়াই মৌসুম শেষ করেছিল তারা।
এই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতেই দলে জ্বালানি জোগাতে চান কোচ পেপ গার্দিওলা। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো অনুভব করি, আমার ভেতরে সেই শক্তি আছে— যা দিয়ে খেলোয়াড়দের আগের চেয়ে ভালো মৌসুম উপহার দিতে পারি। সেটাই আমার লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘নভেম্বরে বসে আমি কখনোই বলি না আমরা এই শিরোপা জিতব বা ওটা জিতব। আমি জানি না এভারটনের বিপক্ষে কী হবে, তবে আমি জানি— ইন্টারন্যাশনাল ব্রেকের আগে আমরা লিগ টেবিলের শীর্ষ থেকে অনেক দূরে ছিলাম, আর এখন অনেক কাছাকাছি।’
গার্দিওলা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি প্রতিযোগিতায় কাছাকাছি থাকা। আমি দেখছি, আমরা গত মৌসুমের তুলনায় অনেক কিছুতেই উন্নতি করছি। প্রতিটি ম্যাচে আমরা আরও ভালো খেলছি।’
অনেকটা ঘোষণা দিয়েই ২৫ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। এরপর বেশ কিছুদিন নিভৃতে চলে যান তিনি। সেই নিরবতা ভাঙেন রেড বুলের ‘গ্লোবাল হেড অব সকার’ দায়িত্ব নিয়ে। লিভারপুলের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর ক্লপের প্রথম চাকরি এটি।
এবার আরও একটি নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ক্লপ। জার্মান ফুটবল লিগের (ডিএফএল) বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রয়েছেন তিনি। ক্লপের সঙ্গে এই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রয়েছেন জার্মান ফুটবলের একাধিক কিংবদন্তি ও শীর্ষ ক্লাব কর্মকর্তা।
জার্মান ফুটবল লিগের (ডিএফএল) বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রয়েছেন ক্লপ
২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার সামি খেদিরা, সেন্ট পাউলির আন্দ্রেয়াস বোর্নেমান, বায়ার্ন মিউনিখের ইয়োখেন সাউয়ার, আইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের মার্কুস ক্রশে এবং নুরেমবার্গের জোটি খাত্সিয়ালেক্সিউ রয়েছেন বিশেষজ্ঞ এই কমিটিতে। কমিটির সঙ্গে কাজ করবেন ডিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্ক লেনৎস এবং জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী আন্দ্রেয়াস রেটিগ।
বুন্দেসলিগাকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করবেন ক্লপরা। ডিএফএল আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাবেক এই কিংবদন্তিরা লিগের মান উন্নয়ন, গঠন শক্তিশালী করা এবং তরুণ প্রতিভা অন্বেষণ ও উন্নয়নে কাজ করবেন।
ডিএফএল আরও জানিয়েছে, ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ও অন্তর্ভুক্তি, ক্লাবের মান ও কাঠামোর আরও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবেন। প্রাথমিক ফলাফল ২০২৬ সালের সামার লিগ কমিটিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে এবং পরবর্তীতে ৩৬টি ক্লাবের সঙ্গে তা ভাগাভাগি করা হবে।’
ডিএফএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মার্ক লেনৎস বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সব দিক থেকে জার্মান ফুটবলের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখা। আমরা বিশ্বাস করি, বুন্দেসলিগা ও জার্মান ফুটবলকে টেকসইভাবে প্রতিযোগিতামূলক রাখতে হলে অর্থনৈতিক, আইনগত ও ক্রীড়া-সংক্রান্ত কাঠামো যথাযথ প্রক্রিয়ায় নেওয়া।’
চাকরি ছাড়ার কয়েকমাস পরেই রেড বুলের ‘গ্লোবাল সকার প্রধান’ হিসেবে যোগ দেন ক্লপ
ক্লপ চাইলেও নিভৃতে থাকতে পারেননি। ঠিকই ফুটবল তাকে মাঠে নামিয়েছে আরও একবার। এরই মধ্যদিয়ে জার্মান ফুটবলের সঙ্গে নতুন করে পথচলা তৈরি হলো তার। যদিও ক্যারিয়ারের বড় একটা অংশ তিনি জার্মান ক্লাব মেইনজ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে কাটিয়েছেন।
বুন্দেসলিগার ক্লাব মেইনজে সঙ্গে দুর্দান্ত সময় কাটানোর পর ২০০৮ সালে ডর্টমুন্ডে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে ২০২৫ সালে প্রিমিয়ার লিগের দল লিভারপুলে চাকরি নেন ৫৮ বর্ষী জার্মানি কোচ। সেখানে চ্যাম্পিয়নস লিগ, প্রিমিয়ার লিগসহ অসংখ্য টাইটেল জেতেন। এরপর ঘটা করে ছেড়ে দেন চাকুরি।
অল রেডস শিবির থেকে চাকরি ছাড়ার পেছনে ব্যক্তিগত কারণ সামনে আনেন ক্লপ। ফুটবল থেকে দূরে থাকতেই, পরিবারকে একান্ত সময় দিতেই তার এমন পদক্ষেপ ছিল। সত্যিকার অর্থে তিনি সেটা আদৌ পারেননি। কারণ, চাকুরি ছাড়ার কয়েকমাস পরেই রেড বুলের ‘গ্লোবাল সকার প্রধান’ হিসেবে যোগ দেন। এবার নেমে পড়লেন জামার্নের ফুটবল উন্নয়নে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে ১৮৪ থেকে ১৮৩ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আজ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক হালনাগাদ করা র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়েছে আর্জেন্টিনা। অবনতি হয়েছে ব্রাজিলের।
র্যাঙ্কিং হালনাগাদের আগে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, যার একটিতে হেরেছে এবং অন্যটিতে ড্র করেছে। হংকং ও চায়নার বিপক্ষে হোম ম্যাচে ৪–৩ গোলে হেরেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। হংকংয়ে গিয়ে করেছেন ১–১ ড্র।
র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হলেও পয়েন্ট কমেছে বাংলাদেশের। লাল-সবুজ দলের আগে পয়েন্ট ছিল ৮৯৯.২৪, বর্তমানে তা ৮৯৪.৪। অর্থাৎ, বাংলাদেশের পয়েন্ট কমেছে ৫.১৮। মূলত ব্রুনেই দারুসসালাম ১৯ পয়েন্ট হারিয়ে ২ ধাপ নিচে (১৮৫ নম্বরে) নেমে যাওয়াতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
বার্সেলোনা ছাড়ছেন লেভানডফস্কি |
![]() |
বাংলাদেশ এগোলেও হংকংয়ের দুই ধাপ অবনতি হয়েছে। ১৪৬ নম্বর থেকে ১৪৮ নম্বরে নেমেছে দলটি। যদিও তাদের পয়েন্ট ৫.১৮ বেড়ে এখন হয়েছে ১০৫২.৫৪। দলটির আগের পয়েন্ট ১০৪৭.৩৬।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে স্পেন। আর্জেন্টিনা ৩ নম্বর থেকে উঠে এসেছে ২ নম্বরে। দুই থেকে তিনে নেমে গেছে ফ্রান্স। ৪ থেকে ৭ নম্বর অবস্থানে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ২.৭৫ পয়েন্ট হারিয়ে ব্রাজিল ৬ থেকে ৭–এ নেমেছে, আর ৬–এ উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডস। ইংল্যান্ড ও পর্তুগাল আগের অবস্থান যথাক্রমে ৪ ও ৫ নম্বরে।
স্প্যানিশ তরুণ ফুটবলার ল্যান্ড্রি ফারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে বার্সেলোনা। ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত কাতালান ক্লাবে থাকবেন এই ডিফেন্ডার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্সা।
সাত বছর বয়সে বার্সেলোনার একাডেমিতে যোগ দেন ফারে। তাকে ক্লাবের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণের সঙ্গে নতুন চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি আস্থা প্রকাশ করেছে ক্লাবটি।
সেন্টার-ব্যাক ও ফুল-ব্যাক—দুই পজিশনেই খেলতে পারেন ফারে। গত মৌসুমে উয়েফা ইউথ লিগ জয়ী দলে ছিলেন এই ডিফেন্ডার। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে প্রথম দলের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন, যদিও এখনো মাঠে নামার সুযোগ পাননি। বার্সেলোনার হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন ফারে।
ফারের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের যুব ফুটবলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক জোয়ান সোলার এবং যুব ফুটবলের পরিচালক হোসে রামোন আলেক্সাঙ্কো।