৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:৫১ পিএম
ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন, শনিবার হাই কমিশন প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় বারের মত মিয়াঁ সুলতান খান দাবা টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন টুর্নামেন্টেটি আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে। বার্ষিক এই টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানের কিংবদন্তি দাবাড়ু মিয়াঁ সুলতান খানের সাফল্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে আয়োজন করা হয়।
এই টুর্নামেন্টে কূটনৈতিক সম্প্রদায়, পেশাজীবি, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের প্রায় ২০০ জন দাবা খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণে করেছে, যা বাংলাদেশে খেলাটিকে ঘিরে তীব্র আকর্ষণের প্রমাণ দেয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফুদ্দিন আহমেদ উজ্জল, গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মুর্শেদ এবং বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মাস্টার খেলোয়াড় রানী হামিদ।
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি কাইংলেট, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল ওয়েরাক্কোদি, ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন উসমানসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
টুর্নামেন্টে সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ চ্যাম্পিয়ন এবং মনন রেজা নীড় রানার্সআপ হন। সুব্রত বিশ্বাস এবং নাঈম হক যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং পাকিস্তান হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ টুর্নামেন্টের বিজয়ী এবং সেরা পারফর্মারদের ট্রফি এবং নগদ পুরস্কার প্রদান করেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজ বক্তব্য উপদেষ্টা ফারুকী বাংলাদেশের দাবা খেলোয়াড়দের এবং কূটনৈতিক সম্প্রদায়কে একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপনে চমৎকার সুযোগ প্রদানের জন্য পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রশংসা করেন। তিনি পাকিস্তান হাইকমিশনের ভবিষ্যতের যেকোনো উদ্যোগে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ টুর্নামেন্ট আয়োজনে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং দাবা ফেডারেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ক্রীড়ানুরাগের মাধ্যমে সীমান্ত অতিক্রম করে মানুষে মানুষে সংযোগ জোরদার করার ক্ষেত্রে ক্রীড়া ইভেন্টের গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন “এই ধরণের ইভেন্টের মাধ্যমেই আমরা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে মানুষে মানুষে যোগাযোগ এবং বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার করার চেষ্টা করছি”। তিনি আরও বলেন এই ইভেন্টের লক্ষ্য হল মিয়াঁ সুলতান খানের সমৃদ্ধ ইতিহাস উদযাপন করা এবং বাংলাদেশের দাবা প্রেমীদের এবং কূটনৈতিক সম্প্রদায়কে একটি সুস্থ বিনোদনে একত্রিত করা।
টুর্নামেন্টের শুরুতে, হাইকমিশনার প্রিন্স করিম আগা খান (৪র্থ) এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং তাকে পাকিস্তানের একজন প্রকৃত বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন, যিনি তার দূরদর্শী নেতৃত্বে মানব সেবায় অবিস্বরণীয় অবদান রেখেছেন। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীরা তার স্মরণে এক মিনিট নীরবতাও পালন করেন।
হাইকমিশনার টুর্নামেন্টের বিজয়ী এবং সেরা খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং আগামী বছর তৃতীয় মিয়াঁ সুলতান খান টুর্নামেন্টের জন্য সকল অংশগ্রহণকারীদেরকে অগ্রীম শুভকামনা জানান। তিনি সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, গ্র্যান্ডমাস্টার, আন্তর্জাতিক মাস্টার এবং গণমাধ্যমকর্মীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান।
No posts available.
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৩২ পিএম
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৩১ পিএম
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:৫৫ পিএম
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮ এম

আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন সিরিজ। পাঁচ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ২৬ ডিসেম্বর। পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে ১৮ দেশের শাটলাররা তাদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করবেন।
সিরিজ শুরুর আগে ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। যা ১৬ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২০ ডিসেম্বর শেষ হয়। সেখানে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ১৭টি দেশ এতে অংশ নিয়েছিল।
এই সিরিজেও খুব একটা পরির্বতন আসছে না। নতুন করে কাজাখস্তান যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ভারতের কয়েকজন শাটলার ফিরে যাচ্ছেন, তাদের জায়গায় আসছেন নতুন কয়েকজন। ৫ হাজার ডলারের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজে টপ সিডেড খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশের টপ সিডেড হিসেবে আল আমিন জুমার, মোয়াজ্জেম হোসেন অহিদুলরা থাকছেন।
চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে প্রাইজমানি ছিল সাড়ে ১৭ হাজার ডলার; সিরিজে ৫ হাজার ডলার। দুই টুর্নামেন্টের পার্থক্য জানতে চাইলে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির সুমন জানান,
‘এখানে মূল্য পার্থক্য হলো পয়েন্টে। চ্যালেঞ্জে বেশি পয়েন্ট। সিরিজে কম।’

ঢাকায় আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে উঠে আগেই ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার জুটি। তবে ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জে স্বর্ণ জিততে পারেননি তাঁরা। আজ শনিবার মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে মালয়েশিয়ান জুটির কাছে হেরে গেছেন তারা।
এদিন প্রথম সেটে লড়াই করলেও, পরের সেটে আর পেরে ওঠেননি জুমার-ঊর্মি। ২৭-২১ ও ২১-১৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরে রৌপ্য জিতেছেন তাঁরা। রাষ্ট্রীয় শোক দিবসের কারণে ফাইনালে কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। এদিক কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রত্যেক শাটলার এবং কোচ-কর্তারা মাঠে যে যার কাজ সম্পন্ন করেছেন। তবে আনন্দ-অনুষ্ঠান না থাকলেও, ফাইনালে ওঠার কারণে অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের মিশ্র দ্বৈতের তারকা জুটি জুমার-ঊর্মি।
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি হাবিব উল্যা ডন দুজনকে পাঁচশত করে মোট ১ হাজার ডলার অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন। একই সঙ্গে শাটলারদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশী কোচসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানেরও আশ্বাস দিয়েছেন হাবিব উল্যা ডন।
ফাইনাল শেষে আল আমিন জুমার বলেন,
‘প্রথমবারের মতো আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরেছি এটা যেমন আনন্দের, তেমনি চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে একটু তো খারাপ লাগছেই। ওরা আমাদের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা ট্রেনিংয়ে অনেক এগিয়ে। সেদিক থেকে আমরা কিছুটা হলেও পিছিয়ে। একক, দ্বৈত এবং মিশ্র দ্বৈত তিন বিভাগেই আমি খেলেছি। আমি কোনো ক্লান্তি অনুভব করেনি, আনন্দ নিয়েই খেলেছি। এবার পারিনি, ভবিষ্যতে অবশ্যই দেশের জন্য স্বর্ণ পদক জিতে আনব।'
ফাইনাল শেষে ঊর্মি আক্তার জানান,
‘এসএ গেমস সামনে রেখে আমরা যে তিন মাসের ট্রেনিংয়ে ছিলাম, সেটা অনেক কাজে দিয়েছে। ওই কারণেই এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরেছি। ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক পার্থক্য। ওদের ড্রেস দেখলেই বুঝবেন। ওরা বড় বড় স্পন্সর নিয়ে খেলে। আমাদের সেভাবে কোনো স্পন্সর নেই। দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেনিংয়ের সুবিধা নেই। আমরাও যদি ওদের মতো সব ধরনের সুবিধা পেতাম, তাহলে আরও অনেকদূর যেতে পারতাম। কারণ ওরাও মানুষ, আমরাও মানুষ।'
মিশ্র দ্বৈতের পাশাপাশি আজ আরও চারটি ইভেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ এককে দুই ভারতীয়র লড়াইয়ে মেইরাবা মাইসনাম ২১-৭ ও ২১-১২ পয়েন্টে নুমাইর শাইককে পরাজিত করেন। নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হন যুক্তরাষ্ট্রের ইসিকা জয়সোয়াল। ভারতের তানভি রেড্ডিকে ২২-২০, ২১-২৩ এবং ২১-১৫ পয়েন্টে পরাজিত করে স্বর্ণ জেতেন ইসিকা।
পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে ভিয়েতনামের ড্যাং খাহ-ট্রান হোং জুটিকে ২১-১৯ ও ২১-১২ পয়েন্টের ব্যবধান হারান ভারতের নিরঞ্জন-রুবান কুমার জুটি। সবশেষ নারী দ্বৈতের ফাইনালে থাইল্যান্ডের পাত্থারিন-সারিসা জানপেং জুটির কাছে মালয়েশিয়ার গ্যান মিন-তান জিং জুটিকে ২১-৭, ২০-২২ ও ২১-১৫ পয়েন্টে পরাজিত করেন।

দিনের শুরুতে বাংলাদেশকে সুখবর দেন তারকা শাটলার আল আমিন জুমার ও উর্মি আক্তার। ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করে নাম খেলান মিশ্র দ্বৈতের সেমিফাইনালে। এরপর রাতে হওয়া ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এই জুটি ইতিহাস গড়লেন দেশের ব্যাডমিন্টনে। এবার তাঁরা জায়গা করে নিলেন ফাইনালে।
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জের ইতিহাসে প্রথমবার কোন ইভেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এর আগে সর্বোচ্চ ব্রোঞ্জপদক ছিল লাল-সুবজের। আগামীকাল শনিবার ফাইনালে শিরোপার জন্য মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ও ক্লারিসা সান জুটির বিপক্ষে খেলবেন জুমার-ঊর্মি।
শুক্রবার রাতে পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মিশ্র দ্বৈতের সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাত লোথং ও সারিসা জানপেং জুটিকে সরাসরি ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে (২-০ সেটে) হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন জুমার ও ঊর্মি।
এর আগে সকালে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ পয়েন্টের (২-১ সেট) ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেন আল জুমার-ঊর্মি জুটি। খেলা শেষে উর্মি আক্তার বলেন,
‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার স্বর্ণ জিততে চাই।’
আল আমিন জুমারের কথা,
‘সাত বছর ধরে উর্মিকে নিয়ে আমি মিশ্র দ্বৈতে খেলছি। এবারও পারফর্ম ভাল করছি। মূলত এসএ গেমসের জন্য যে অনুশীলন হয়েছে, তা অনেক কাজে দিয়েছে আমাদের।'
দলের কোচ এলিনা সুলতানা বলেন,
‘দেশের ব্যাডমিন্টনে ইতিহাস তৈরি করল উর্মি ও জুমার। আশাকরি ফাইনালে জিতে সেই ইতিহাসকে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখবে তারা।’

বিব্রতকর এক হ্যাটট্রিট করল ভারত। আরও একবার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডোপ-অপরাধী ক্রীড়াবিদদের দেশের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে দেশটি। গত মঙ্গলবার রাতে রাতে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং সংস্থার (ওয়াডা) ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
ডোপিং পরীক্ষায় এর আগের দুই বছরেও সবচেয়ে বেশি ‘পজিটিভ’ হয়েছিল ভারতের ক্রীড়াবিদরা। ২০২৪ সালে ভারতের ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং সংস্থা (নাডা) মোট ৭,১১৩টি মূত্র ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে, যার মধ্যে ২৬০টি পরীক্ষায় ডোপিং পজিটিভ ধরা পড়েছে।
টানা তৃতীয়বার ডোপিং অপরাধের শীর্ষে থাকা ভারতের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশটি ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া ২০৩৬ কিংবা ২০৪০ সালে অলিম্পিক আয়োজনের লক্ষ্যে ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত বছর ডোপিং মামলায় সবচেয়ে বেশি পজিটিভ হয়েছে অ্যাথলেটিক্স (৭৬টি), এরপর ভারোত্তোলন (৪৩টি) এবং কুস্তি (২৯টি)। জুলাইয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ কুস্তির চ্যাম্পিয়ন ও প্যারিস অলিম্পিকের কোয়ার্টার-ফাইনালিস্ট রীতিকা হুডা ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন এবং তাঁকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
চলতি মাসের শুরুতে ভারতের ইউনিভার্সিটি গেমসে ডোপিং নিয়ে আবারও কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে সংশ্লিষ্টদের। অ্যান্টি-ডোপিং কর্মকর্তাদের উপস্থিতির কারণে অনেক অ্যাথলেট পালিয়ে যাওয়ায় কিছু ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে মাত্র একজন অ্যাথলেট হাজির হয়েছিলেন।
১.৪ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ভারত ২০২২ ও ২০২৩ সালেও বিশ্বের শীর্ষ ডোপিং অপরাধী দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল। ২০২৪ সালে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল ফ্রান্স। দেশটিতে ৯১টি পজিটিভ ধরা পড়ে। তৃতীয় স্থানে ইতালি, ৮৫টি কেস নিয়ে। এরপর যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র (প্রতিটিতে ৭৬টি কেস), তারপর জার্মানি (৫৪) এবং চীন (৪৩)।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর ডোপিংবিরোধী লড়াই নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে ভারতের ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি (নাডা)। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে,
‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে অ্যান্টি-ডোপিং কাঠামো উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে। খেলাধুলায় ডোপিং নামক ব্যাধির মোকাবিলায় নাডা ভারত শুধু পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ায়নি, পাশাপাশি শিক্ষা ও সচেতনতার ওপরও জোর দিয়েছে।’
ওয়াডা প্রতিবেদনটি এমন সময়ে এলো, যখন কয়েক মাস আগেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) ভারতে পারফরম্যান্স-বর্ধক ওষুধের ব্যাপক ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য দেশটিকে সতর্ক করে।
আইওসির উদ্বেগের পর গত আগস্টে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন একটি নতুন অ্যান্টি-ডোপিং প্যানেল গঠন করে। এছাড়া সরকার একটি নতুন জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং বিলও পাস করেছে, যার লক্ষ্য আইন প্রয়োগ জোরদার করা, পরীক্ষার পরিকাঠামো বাড়ানো এবং খেলাধুলায় সর্বোচ্চ মাত্রার সততা নিশ্চিত করা।

ঢাকায় চলমান আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে সুখবর দিলেন তারকা শাটলার আল আমিন জুমার-ঊর্মি আক্তার জুটি। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের সেমিফাইনালে স্বাগতিকদের নিয়েছেন তারা। ঘরের কোর্ট শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেন জুমার-ঊর্মি জুটি।
আজ শুক্রবার মিশ্র দ্বৈতের সেরা সাফল্য আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বাংলাদেশের শাটলার জুটিকে। প্রথম সেট যদিও খুব সহজে জিতেছে। তবে দ্বিতীয় সেটে এক সময় এগিয়ে থেকেও মাত্র ২ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরে যায় জুমার-ঊর্মি। তৃতীয় সেট হয়ে দাঁড়ায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ। সেখানে হয়েছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। একবার বাংলাদেশের জুটি এগিয়ে যায় তো, পরের বার ভারত। এভাবে চলতে থাকে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি বাংলাদেশের। ৩ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শেষ সেট জিতে সেমিতে পা রাখেন জুমার-ঊর্মি।
ম্যাচ শেষে আল আমিন জুমার বলেন, `জয়ের মধ্য আছি ভীষণ খুশি। গতকাল বিকেলে দ্বৈতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছি। আজ সকালে মিশ্র দ্বৈতে সেমিফাইনালে উঠলাম। টানা ম্যাচ খেলার প্রেসার হয়ত শরীরে পড়ছে, তবে জয়ের খুশিতে সব ভুলে সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। বিকেলে আবার ঊর্মিতে নিয়ে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামতে হবে। সবাই দোয়া করবেন।'
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ঊর্মি জানান, 'জুমারের সঙ্গে ৬-৭ বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি। ঘরের মাঠে এখন সেমিফাইনালে উঠলাম। সবাই দোয়া করবেন আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।'