
তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। মুয়াজ্জিনের আজান কিংবা পাখির কিচির মিচির ডাক—সবকিছুই যেন নির্মল সতেজ। রাজধানী তখনো নিরব, ঘুমে বিভোর অনেকে। কাজে যাওয়ার তাড়া নেই, জগিংয়ের শুরুটাও খানিক পরে।
কিন্তু, আলো ফুটে ওঠার আগেই একজন মা ঠিকই জেগে ওঠেন। তিনি জানেন, তাঁকে জাগতেই হবে। মাঠ ডাকছে তাঁর সন্তানকে। তাকে প্রস্তুত করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই প্রাথমিক নিস্তার মায়ের।
আদতে মায়ের দায়িত্ব এখানেই শেষ মনে হলেও এর দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বিস্তর। সন্তানের সারাদিনের আহারাদি, স্বাস্থ্য, পড়াশোনা, বিশ্রাম-সবকিছু নিয়েও ভাবতে হয় মাকে। পারিবারিক দায়িত্ব বা সন্তানের ভবিষ্যত নিয়েও মধ্যরাত পর্যন্ত ভাবেন মায়েরা। সন্তান ঘুমিয়ে থাকলেও মাকে থাকতে হয় সজাগ। পরের দিনের কর্মপরিকল্পনা সাজাতে হয় তাঁকে। এই মায়েদের ত্যাগ ও যত্নেই এগিয়ে যাচ্ছে সন্তান, এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী।
এই গুণী মায়েদের জন্যই প্রাণ পেয়েছে বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের স্কুল হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা। বৃহস্পতিবার ছিল লিগ ভিত্তিক সুপার সিক্সের ম্যাচ। ছেলেদের বিভাগে ছয়টি এবং মেয়েদের বিভাগে আজ প্রতিটা দল খেলেছে পাঁচটি করে ম্যাচ। পয়েন্টের ভিত্তিতে দুই বিভাগে হয় চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ। দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকার সানিডেইল স্কুল।
মাঠের লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়নরা যখন উচ্ছ্বসিত, তখন সাইডলাইনে ছিল আরেক উৎসবমুখর পরিবেশ। তরুণ এই খেলোয়াড়দের অভিভাবকরা যেন নিজেদের বাচ্চাদের চেয়েও বেশি খুশি।
প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই পল্টনের শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী জাতীয় স্টেডিয়ামে এমন চিত্র। বৃহস্পতিবার দেখা গেল এমন কয়েকজন মাকে, যারা নিজেদের বাচ্চাকে সমর্থনে এসেছেন। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের কেউ গৃহিণী, কেউ ডাক্তার, কেউ বা ব্যবসায়ী। তবে হ্যান্ডবল মাঠে সবারই একটি পরিচয়—তরুণ ক্রীড়াবিদদের মা।
এদিন নারিন্দা গভর্মেন্ট হাই স্কুলকে ৩৬-১৭ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতে সানিডেইল। ম্যাচ সেরা হন আরিফ ইহতিরাম খান। তিনি টি-স্পোর্টসের প্রতিবেদককে জানান, ‘অনুভূতি বোঝানোর মতো না, অনেক ভালো লেগেছে। মাকে দেখাতে পেরে খুশি।’ ইহতিরাম যখন ট্রফি হাতে উচ্ছ্বসিত, মা তখন আনন্দে আত্মহারা।
                        ইহতিরামের মা বলেন,
‘অনেক দিন ধরে ওরা টুর্নামেন্ট খেলছে। প্রতিটা ম্যাচ দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে। আসলে ঢাকায় বাচ্চাদের খেলার জন্য খুব একটা জায়গা নেই। খেলার মধ্যে থাকলে ভালো হয়। সব স্কুলে এমন সুযোগ থাকলে ভালো হয়।’
নাজিয়া আক্তার পেশায় একজন ডাক্তার। পাবলিক হেলথে কর্মরত। শত ব্যস্ততার মাঝেও ছুটে আসেন ছেলের সঙ্গে। এদিনও দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলেন হ্যান্ডবল মাঠে। ছেলেকে নিয়ে বলেন,
‘সত্যি বলতে ক্লান্তি লাগে না। আমার সব সময় বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। ওদের আমি যখন স্কুলে আনতে যাই তখন ভালো লাগে, মনে হয় মা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। পড়াশোনার পাশাপাশি যদি ভালো কাজ করতে পারে তবে খুশি। আমি মনে করি খেলাধুলা থাকলে হার-জিতের মানসিকতা বিকাশ হয়। খেলাধুলা যে শিক্ষা দেয় সেটা অনেক কাজে লাগে।’
নিজের সম্পর্কে মায়ের এমন মন্তব্য শুনে ছেলে ইহতিরাম বলেন,
‘এমন মা সবাই পায় না, আমি খুব খুশি।’
হ্যান্ডবল মাঠে দেখা যায় এক তরুণীকে, খুশিমনে এদিক-সেদিক হাঁটছেন। কিছুক্ষণ পরই এক খুদে হ্যান্ডবল খেলোয়াড়কে জড়িয়ে ধরে উৎসাহ দেন। মূলত ভাইয়ের সঙ্গে এসেছিলেন মাসুরা হোসেন আদিতি। গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে খেলছেন তাঁর ভাই। তিনি বলেন,
‘আমার ভাইকে নিয়ে আমি অনেক গর্ব করি। ও দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। সে বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, ফুটবল—মোট কথা মাল্টি-ট্যালেন্টেড একটা বাচ্চা। আসলে ওর প্রেরণা আমাদের মা-ই।'
                        এমনই এক মায়ের অদম্য প্রেরণায় আজ শিরোপা হাতে তুলে নিতে পেরেছেন বলে জানান সানিডেইলের আলিজে চৌধুরী। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া আলিজে বলেন,
‘আমি সত্যি খুব প্রাউড ফিল করছি। ওনারা (মা-বাবা) আমাকে খুব সাপোর্ট করে, এমনটা সবাই করে না। একদিন জাতীয় দলে খেলে মায়ের মুখ আরও উজ্জ্বল করতে চাই।’
মেয়ের সেই দিনের অপেক্ষায় মা মিতি চৌধুরী। ব্যক্তি জীবনে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। মেয়ের সাফল্য নিয়ে বলেন,
‘আমি অনেক খুশি। কারণ ভিকারুননিসা অনেক ভালো খেলে, সেই টিমকে হারিয়েছে আমার মেয়েরা।’ ক্যারিয়ার গড়েছেন ব্যবসায়, তবে ছোটবেলায় নিজেও খেলতেন হ্যান্ডবল। এখন মেয়েকে হ্যান্ডবলে দেখে খুশি এই মা বলেন, ‘যখন দেখি বাচ্চার খেলার প্রতি এত আগ্রহ, ওদের স্বপ্ন, ওরা খেলতে চায়, এটা দেখে আমি যত ব্যস্ত থাকি তবুও সময় বের করি। ছোটবেলা থেকে আমি নিজেও হ্যান্ডবল খেলতাম। আমার মেয়েরও ছোটবেলা থেকে হ্যান্ডবলের প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল। বাসা থেকে সবার ওর জন্য অনেক সাপোর্ট আছে।’
মা-বাবাদের প্রতি আলিজের মায়ের বার্তা,
‘আমি চাই সবাই যেন তাদের বাচ্চাদের খেলাধুলায় পাঠায়। এটা মেন্টাল হেলথে অনেক সহায়ক।’
সানিডেইলের শিরোপা জেতা দলের অন্যতম সদস্য আমানা। তাঁর মা কায়েছমা জামান এসেছিলেন মেয়ের খেলা দেখতে। তিনি একটি হোম কিচেন পরিচালনা করেন। একজন নারী সফল উদ্যোক্তা। ব্যস্ততার মাঝেও মেয়েকে সময় দেন তিনি। বলেছেন সেটিই,
‘কোচদের ভূমিকা অনেক। কারণ আমাদের প্র্যাকটিস শুরু হয় স্কুল ক্লাসের আগে। ৬টায় যেতে হয়, তখন প্র্যাকটিস করে। এরপর স্কুল শেষ করে বিকেল পাঁচটায় বাসায় আসে। ওদের জন্য আমাদের আরও সকালে উঠতে হয়। যেহেতু ওদের একটা ভালো টিফিন দিতে হয়।’
আমানা এরই মধ্যে খেলেছেন ইংল্যান্ড ও সুইডেনে। সেখানে ছিলেন তাঁর মা কায়েছমা জামান। বাংলাদেশের সঙ্গে দুই দেশের সুযোগ-সুবিধায় যে বিস্তর ফারাক সেটি উল্লেখ করে বলেন,
‘যতটুকু দেখেছি, বাংলাদেশে হ্যান্ডবলের সুযোগ-সুবিধা কম। আমার মেয়ে ইংল্যান্ডে ইনডোর স্কুল টুর্নামেন্ট খেলেছে। সেখানে সুযোগ-সুবিধা অনেক। বাইরের দেশে গেলে বোঝা যায় তারা কতটা এগিয়ে। সুইডেনে দেখেছি ওদের কি পরিমাণ সুযোগ। ইনডোর ও আউটডোর মাঠ আছে। আমার মেয়ে দুবার বিদেশে খেলেছে।’
হ্যান্ডবলে ঢাকার এই নতুন জাগরণ দেখে বেশ আশাবাদী নারী জাতীয় হ্যান্ডবল দলের কোচ ডালিয়া আক্তার। তবে আক্ষেপও আছে তাঁর,
‘ঢাকায় হ্যান্ডবল নিয়ে আগ্রহ নতুন করে তৈরি হয়েছে, এটা সত্যি দারুণ। তবে আমার চাওয়া ঢাকার বাইরেও যেন এমনটা হয়।’
ঢাকার স্কুল হ্যান্ডবলে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই উচ্চবিত্ত পরিবারের। অতীত বলে, তাঁদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকই ক্যারিয়ার হিসেবে হ্যান্ডবলকে বেছে নেন। এদের কেউ খেলাটির প্রতি ভালোবাসা থেকেই রয়ে যান। নির্মম বাস্তবতা হলো—দেশের হ্যান্ডবলে সে অর্থে পাওয়ার কিছু নেই। যে কারণে এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন অনেকেই।
হ্যান্ডবল মাঠে মায়েদের আগমন ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় ডালিয়া,
‘এটা ইতিবাচক দিক। ঢাকার ব্যস্ততার মধ্যেও মায়েরা নিজের সন্তানকে সাপোর্ট দিচ্ছেন, তাদের হ্যান্ডবলে উদ্বুদ্ধ করছেন। তাঁদের দ্বারা এই বার্তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে আমার বিশ্বাস। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীদের যেভাবে বাধাবিপত্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেটির ঢাল হতে পারেন এই মায়েরাই।’
No posts available.
১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম
১ নভেম্বর ২০২৫, ৮:০১ পিএম

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ নভেম্বর। একই দিনে হবে সংস্থাটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। নির্বাচন ও এজিএম দুটোই কক্সবাজারে করতে যাচ্ছে বিওএ।
আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সোমবার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে হওয়া বিওএর কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই কমিশন অনুমোদন পায়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিওএর সহসভাপতি অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। সংস্থাটির সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশে থাকায় তিনি সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।
কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সালেহীন মনোয়ার, যিনি বিকেএসপির সাবেক মহাপরিচালক। তাঁর সঙ্গে সদস্য হিসেবে থাকছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য তাহমিনা রহমান।

দাবা বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টার আরিয়ান তারিকে রুখে দিয়েছিলেন মনন রেজা নীড়। তবে আজ একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পেরে উঠেননি তিনি। তাই প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক মাস্টারকে।
ভারতের গোয়ায় চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আরেক প্রতিনিধি ফাহাদ রহমানও প্রথম রাউন্ডের বৈতরণী পার হতে পারেননি। তবে ইউক্রেনের গ্র্যান্ডমাস্টার ভাসিল ইভানচুকের বিপক্ষে ড্র করেছেন তিনি।
শনিবারের ম্যাচে হারের কারণে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পাননি ফাহাদ। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে একমাত্র এনামুল হক রাজীবের।

এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে টঙ্গী স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। প্রতিযোগিতার জন্য আজ রোববার ১৬ জনের দল ঘোষণা করেছেন কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ।
একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় আর্চারির বাংলাদেশ লিগের ফাইনাল। চার লিগের পয়েন্ট যোগ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। রানার্সআপ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে তীরন্দাজ ও বাংলাদেশ আনসার।
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করার প্রত্যয় কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখের। তিনি বলেন, ‘আগের আসরে কোনো পদক জিততে পারিনি আমরা। এবার অন্তত তিনটি পদক জিততে চাই।’ তবে কোন কোন ইভেন্টে পদক জেতার সম্ভাবনা আছে, সেটি জানাননি বাংলাদেশের এই জার্মান কোচ।
আগামী ৮ নভেম্বর থেকে পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। ঘরের মাঠের প্রতিযোগিতায় সুবিধা কতটা নিতে পারবে বাংলাদেশ, সেটি বলা কঠিন। কারণ এখন পর্যন্ত জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ পায়নি দেশের আর্চাররা। সেখানে বর্তমানে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প চলছে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে।
কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ বলেন,
‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের জন্য ফেডারেশনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম আমি। সেখানকার বাতাসের প্রবাহটা কিছুটা ভিন্ন, সেটা পরীক্ষা করতে চাই। টঙ্গীতে একেবারেই বাতাস নেই।’
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০২১ সালের এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি পদক জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে চান বাংলাদেশ কোচ।
জাতীয় দলের আর্চার সাগর ইসলাম বলেন,
‘আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট। নিজেদের মাঠে খেলব—এই সুবিধাটা আমাদের আছে। এবার আমাদের লক্ষ্য উপরে থাকার। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে নামব।’
এশিয়ান আর্চারির আসর শেষ হবে ১৪ নভেম্বর। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে দুই ভেন্যুতে—জাতীয় স্টেডিয়ামে ৮ থেকে ১২ নভেম্বর এবং আর্মি স্টেডিয়ামে ১৩ ও ১৪ নভেম্বর।
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশ দল
রিকার্ভ পুরুষ দল: আব্দুর রহমান আলিফ, সাগর ইসলাম, রাকিব মিয়া ও রামকৃষ্ণ সাহা।
রিকার্ভ নারী দল: সিমা আক্তার শিমু, ইতি খাতুন, সোনালি রায় ও মোসাম্মত মনিরা আক্তার।
কম্পাউন্ড পুরুষ দল: মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান, হিমু বাছাড়, নেওয়াজ আহমেদ রাকিব ও সোহেল রানা।
কম্পাউন্ড নারী দল: বন্যা আক্তার, পুষ্পিতা জামান, কুলসুম খাতুন ও মিথিলা আক্তার।

চমক দেখালেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড়। দাবা বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে আজ নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টার আরিয়ান তারিকে রুখে দিয়েছেন তিনি। তবে হেরেছেন আরেক বাংলাদেশি দাবাড়ু ফাহাদ রহমান।
ভারতের গোয়ায় শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দাবা বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড। নীড় এদিন খেলতে বসেন সাদা ঘুঁটি নিয়ে। শুরুটা করেন রোসোলোমিও অ্যাটাক (অবস্থানগত আক্রমণ) কৌশলে। মিডল গেমে ভুল করলেও এন্ড গেমে দারুণ প্রতিরোধ দেখান তিনি। ফলে ৪২তম চালে গিয়ে ড্র মেনে নেন নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টারও।
অন্যদিকে, সাদা ঘুঁটির সুবিধা পেয়েও ফাহাদ ছিলেন ভুলের মধ্যেই। শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করেন ম্যাচ ড্র করার। কিন্তু তাঁকে হারাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ইউক্রেনিয়ান গ্র্যান্ডমাস্টার ভাসিল ইভানচুকের।
আগামীকাল রোববার কালো ঘুঁটি নিয়ে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবেন নীড়-ফাহাদ। জিতলে নীড় পৌঁছে যাবেন দ্বিতীয় রাউন্ডে।
গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবই বাংলাদেশের একমাত্র দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পেরেছিলেন। এবার সেই পথে কেউ হাটতে পারেন কি-না দেখার অপেক্ষা।

ঢাকা জেলা প্রশাসক ভলিবলে প্রতিযোগিতায় বালক-বালিকা দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট শিক্ষা থানা দল। আজ বিকেল ৩টায় শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের মেয়েদের ফাইনালে ক্যান্টনমেন্ট শিক্ষা থানা দল ২-০ সেটে হারিয়েছে রমনা শিক্ষা থানা দলকে।
বিকেল ৪টায় ছেলেদের ফাইনালে নবাবগঞ্জ উপজেলা বালক দলকে ২-১ সেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যান্টনমেন্ট শিক্ষা থানা দল। গত ১৮ অক্টোবর থেকে উপজেলা পর্যায়ে শুরু হয় আন্তঃইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে ৫টি উপজেলা চ্যাম্পিয়ন দল নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মাহাবুব-উল-আলম। সমাপনী ও বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার প্রদান করেন তিনি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্টেট তানভীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক হাসান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) ও টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক শামীমা সুলতানা, টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্র।
ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য ও সাবেক জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম, জপাল শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিমল ঘোষ বুলুসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।