বছর পেরোলেই পাকিস্তানে বসবে এসএ গেমসের নতুন আসর। আগামী জানুয়ারির ২৩ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত হবে আসরটি। ওই গেমসের প্রস্তুতির তোড়জোড় সেভাবে এখনও দেখা যায়নি দেশের ক্রীড়াঙ্গনে।
তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন। দলগত ইভেন্টে গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সবার আগেই তারা ক্যাম্প শুরু করে দিয়েছে। এবার নারী জাতীয় হ্যান্ডবলেও সেই প্রস্তুতির বাতাস।
রাজধানীর পল্টনের শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী স্টেডিয়ামে শুক্রবার শুরু হচ্ছে ৩৬তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে সার্ভিসেস সংস্থা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা মিলিয়ে ১৯টি দল। দুই পর্বের প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বের খেলাগুলো হবে ১৬ আগস্ট। যেখানে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ১০টি দল।
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, ফরিদপুর, বরগুনা, শেরপুর, কক্সবাজার, বাংলাদেশ পুলিশ, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও দিনাজপুর প্রথম পর্বে খেলবে।
দ্বিতীয় পর্বের খেলা কোর্টে গড়াবে ২০ আগস্ট। এই পর্বে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ৯ দল- জামালপুর, নওগাঁ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চগড়, নড়াইল, যশোর, ঢাকা, বগুড়া ও গোপালগঞ্জ।
দুই পর্বের চারটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল নিয়ে ২৪ আগস্ট হবে সেমিফাইনাল। ফাইনাল ২৫ আগস্ট।
জাতীয় নারী হ্যান্ডবলে চ্যাম্পিয়নসহ রানার্সআপ দলের জন্য বেড়েছে প্রাইজমানি। চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার; রানার্সআপ দল ১৫ হাজার, ৩য় স্থান অর্জনকারী দল পাবে ১০ হাজার টাকা। এর বাইরে প্রথম ৮টি দলকে উৎসাহ ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে ১০ হাজার করে টাকা। আর সেরা খেলোয়াড় পাবেন ট্রফির পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা।
এছাড়াও নারী হ্যান্ডবলে প্রথমবারের মত প্রতি দলের ১৪ জন করে খেলোয়াড়কে ম্যাচ প্রতি ১০০ টাকা করে পকেটমানি দেওয়া হবে।
জাতীয় নারী হ্যান্ডবল উপলক্ষে আজ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সম্মেলন কক্ষে হয়ে গেল সংবাদ সম্মেলন। এই প্রতিযোগিতা থেকে আসন্ন এসএ গেমসের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করা হবে বলেন জানালেন বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এর আগে জাতীয় পুরুষ হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা থেকে অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় বাছাই করেছি। ওই সময় সিলেকশন করা সহজ হয়েছে। এবার নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা থেকেও এসএ গেমসের জন্য খেলোয়াড় সিলেকশন করতে পারব।
১৩ আগস্ট ২০২৫, ৪:১৯ পিএম
৯ আগস্ট ২০২৫, ৯:১৭ পিএম
২৬ জুলাই ২০২৫, ৯:৫৪ পিএম
রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সের ইনডোরের ছাদে সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের মূল্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অ্যাকাউন্টে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে (ডিপিডিসি)। আজ এ বাপারে ডিপিডিসিকে চিঠি পাঠিয়েছে তারা।
২০১৮ সালে ইনডোরের ছাদে ২০০ কিলোওয়ার্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হয়ে থাকে। ১৮০০০ ইউনিটের মতো বিদ্যুৎ বিল রোলার স্কেটিং ফেডারেশনকে পরিশোধ করে আসছে ডিপিডিসি। প্রতি ইউনিট ৯.৯৩ টাকা হারে মাসে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স সরকারি অর্থায়নে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) নির্মাণ করে। কমপ্লেক্সটির মালিকানা তারা। তাই ডিপিডিসিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছেই বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের পরিবর্তে এনএসসি তাদের ব্যাংক হিসেব দিয়েছে ডিপিডিসিকে। সেখানেই পরিশোধ করতে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল্য।
এ আয়োজন শুধু একটি দৌড় প্রতিযোগিতা নয় - এটি নিজেকে জয় করার প্রচেষ্টা এবং সাহসিকতার প্রতীক “জুলাই বিপ্লবীদের” প্রতি সম্মান প্রদর্শনের এক শক্তিশালী বার্তা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই মাস সাহস, প্রতিবাদ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রতীক। এ মাসে ঘটে যাওয়া সাহসিকতার স্মৃতিকে স্মরণ করে, দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা সাহসী জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জমসে আয়োজন করছে ‘রান ফর জুলাই ব্রেভহার্টস অ্যাওয়ার্ড বাই উলানজি’।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকেই অংশ নেয়া যাবে এ রানিং ইভেন্টে। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি অংশগ্রহণকারীকে ৭ কিলোমিটার দৌড়াতে হবে—সংখ্যাটি বেছে নেয়া হয়েছে জুলাই বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে। শারীরিক সুস্থতা ও সামাজিক সচেতনতার মেলবন্ধনে এ দৌড়কে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশেষভাবে নতুনদের দৌড়ে উৎসাহিত করতে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। অংশগ্রহণকারী নিজের সুবিধামতো সময়ে ‘স্ট্রাভা’ রানিং অ্যাপ চালু করে ৭ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করবেন। দৌড় শেষে অ্যাপে জমা হওয়া রান ডাটার লিংক নির্ধারিত ফর্মে জমা দিতে হবে।
রান ডাটা জমা দেয়ার পর অংশগ্রহণকারীর প্রদত্ত ঠিকানায় কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে আকর্ষণীয় মেডেল ও গিফট বক্স। জুলাই ০১, ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া এ ভার্চুয়াল রান ইভেন্টে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে আগস্ট ১০, ২০২৫ পর্যন্ত।
আয়োজকদের ভাষ্যে, এ আয়োজন শুধু একটি দৌড় প্রতিযোগিতা নয় - এটি নিজেকে জয় করার প্রচেষ্টা এবং সাহসিকতার প্রতীক “জুলাই বিপ্লবীদের” প্রতি সম্মান প্রদর্শনের এক শক্তিশালী বার্তা।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৪টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ নাটোর সদর উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম সরাসরি এবং বাকি ১৩টি স্টেডিয়াম ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের-২য় পর্যায় প্রকল্পের আওতাধীন এই স্টেডিয়ামগুলো। আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ যথা সময়ে শেষ হবে।
নাটোর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আসিফ মাহমুদ বলেন,
‘প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫০টি মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ধাপে ধাপে প্রতিটি উপজেলায় নির্মাণ কাজ যথাযথ সময়ে শেষ হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে ক্রীড়াক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণের কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে আজ ১৪টি উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হলো।’
নবনির্মিত স্টেডিয়ামগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে ক্রীড়া উপদেস্টা বলেন, ‘মাঠগুলোতে ক্রীড়াবিদরা যেন নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারেন। উপজেলা পর্যায়ে মাঠগুলো ব্যবহার হলে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক মানের খেলোয়াড় পাওয়া সম্ভব।’
আসিফ মাহমুদ বলেন,
‘তরুণদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। যুব সমাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে এআই, রোবটিক্সসহ প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণের মডিউল প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে—উদ্যোক্তা উন্নয়ন নীতিমালাকে যুগোপযোগীভাবে প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।’
প্রকল্পের প্রথম পর্যায়, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৯-এর জুন পর্যন্ত ১২৫টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৫-এর জুন মেয়াদে ১৮৬টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ঢাকা সেনানিবাসে বিওএর ৫ম সাধারণ পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিওএ-এর সম্মানিত সভাপতি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। এই সভায় কার্যনির্বাহী কমিটি এবং সাধারণ পরিষদের মোট ৮৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে সভার কার্যক্রম আরম্ভ হয়।
সভাপতি সভায় উপস্থিত সাধারণ পরিষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দসহ সকলকে শুভেচ্ছা ও সালাম জানিয়ে তাঁর স্বাগত বক্তব্য শুরু করেন। সভায় সদস্যদের সর্বোচ্চ উপস্থিতিতে সভাপতি সম্মানিত বোধ করেন বলে জানান।
সভাপতি বলেন, আজকের এই সভাটি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে আয়োজিত হচ্ছে। সভাটি আয়োজনে বিভিন্ন কারণে কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে, এ বছরে আমরা ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য খুব শীঘ্রই আরেকটি সাধারণ সভা আয়োজন করবো। সভাপতি গত ২১ মার্চ মাইলস্টোন স্কুলে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং বিমানের পাইলট এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের প্রধান কাজ হচ্ছে অলিম্পিক আন্দোলন জোরদার করার মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে ভ্রাতৃত্ববোধ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে সহযোগিতা করা। তিনি বলেন আমি বিশ্বাস করি প্রকৃত ক্রীড়াবিদ সকল সময়ই সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে। কখনো তারা বিপদগামী হন না। তাই যুব ও তরুণ সমাজকে খেলাধুলায় উৎসাহিত করা জরুরী। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে এবং অলিম্পিক এসোসিয়েশন সাধ্যমতো সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বিওএ-এর বর্তমান গঠনতন্ত্রটি ২৫ বছর আগে আইওসি কর্তৃক অনুমোদনকৃত। যুগোপযোগী ও হালনাগাদ করার লক্ষ্যে আমরা গঠনতন্ত্রটি রিভিউ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির সকলের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রের একটি খসড়া প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী সাধারণ পরিষদের সভায় সকলের মতামত নিয়ে গঠনতন্ত্রটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আগামীতে যে সকল আন্তর্জাতিক গেমসে বাংলাদেশ থেকে খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করবে তাদের প্রতি তিনি শুভকামনা জানান এবং আশা করেন তারা প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল অর্জনে সক্ষম হবেন।
সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন এবং সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাংলাদেশ অলিম্পিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রনাধীন প্রায় ১৭৩ একর জায়গা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য স্পন্সরদের এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্য শেষে মাইলস্টোন স্কুলের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সকল নিহত ছাত্র-ছাত্রীসহ গত আগস্ট-২০২৩ হতে জুন-২০২৪ পর্যন্ত যে সকল ক্রীড়াব্যক্তিত্ব পরলোকগমণ করেছেন, তাঁদের স্মরণে ও সম্মানে দাঁড়িয়ে ০১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভার আলোচ্যসূচী অনুযায়ী বিশদ আলোচনান্তে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় :
১. ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বিওএ’র সম্পাদিত কার্যক্রমের উপর মহাসচিব কর্তৃক উপস্থাপিত প্রতিবেদন সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
২. বিওএ’র ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
৩. বিওএ’র ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য ১২.৪০ (বার কোটি চল্লিশ লক্ষ) কোটি টাকার বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে ঘটনাত্তোর অনুমোদিত হয়।
৪. বিওএ’র ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের হিসাব নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান অঈঘঅইওঘ কে নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।
৫. বিওএ-র কার্যনির্বাহী কমিটিতে ‘বিওএ এ্যাথলেট কমিশন’ এর ০১ (এক) জন সদস্য অন্তর্ভূক্তকরণের বিষয়টি অনুমোদিত হয়।
৬. বিওএ’র কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামী নভেম্বর’২০২৫ মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
পরিশেষে, বিওএ-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতায় অলিম্পিক আন্দোলনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি বিওএ কার্যক্রমকে উত্তরোত্তর গতিশীল এবং বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আজ সকালে বিকেএসপি’তে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বিকেএসপির পরিচালনায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আহত ছাত্রদের নিয়ে আয়োজিত বিশেষ ক্রীড়া প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মাহবুব–উল – আলম প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধন করেন। তিনটি ক্রীড়া বিভাগ আর্চারি, টেবিল টেনিস ও শ্যূটিং এ নির্বাচিত ৪ জন করে ১২ জনকে প্রথমে এক মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং দেয়া হবে। পরবর্তীতে তাদেরকে আরও দুই মাসের নিবিড় প্রশিক্ষণ শেষে প্যারা অলিম্পিক বা স্পেশাল অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যের প্রথমেই জুলাই বিপ্লবে শহীদদের প্রতি সম্মান জানান এবং শহীদদের দেশের জন্য জীবন বিসর্জন থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান। প্রধান অতিথি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়ণের বিরুদ্ধে জুলাই যোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের বিষয়টি তুলে ধরেণ। তিনি জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে আহতদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দু’টি প্রকল্পের কথা বলেন। এর মধ্যে বিকেএসপি পরিচালিত প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও অন্যটি যুবকদেরকে সেলফ ডিফেন্সের প্রশিক্ষণ প্রদান। বিশেষ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি ক্রীড়া বিভাগ দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনার কথা বলেন। এছাড়াও আহতদেরকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে পুনর্বাশিত করার পরিকল্পনার কথাও বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মুনীরুল ইসলাম, জুলাই বিপ্লবের শহীদ জননী ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শামসি আরা জামান এবং তিন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকগণ।
No recent posts available.