আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ব্যস্ত একটা মাস কাটছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্যারিবিয়ান সফর থেকে শুরু করে প্রথমবারের মত হতে যাওয়া গ্লোবাল সুপার লিগ, সব ম্যাচই সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের প্রথম ও একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল টি স্পোর্টস। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কদিন বাদে শুরু হতে যাওয়া আবুধাবি টি-টেনও, সবগুলো ম্যাচই দেখা যাবে টি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে।
আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হয়ে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে আবুধাবি টি-টেনের অষ্টম আসর। এবারের আসরে দলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ১০টি।
আবুধাবি টি-টেনে বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক বড় বড় নাম থাকলেও বাংলাদেশে বাড়তি জনপ্রিয়তা রয়েছে বাংলাদেশী মালিকানায় থাকা দল বাংলা টাইগার্স। শুধু তাই নয়, এই দলে যে এবারও আছেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। সাথে এবার যুক্ত হয়েছেন অভিজ্ঞ ওপেনার সৌম্য সরকার।
আরও পড়ুন
শুরু হচ্ছে টি টেন লিগ, সব ম্যাচ দেখা যাবে টি স্পোর্টসে |
এছাড়াও এই আসরে আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খানকেও দলে টেনেছে দলটি। সাকিব-রশিদদের কোচ হিসেবে এবার কাজ করবেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইউনিস খান।
এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে টিম আবু ধাবির প্রতিপক্ষ আজমান বোল্টস। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায়।
১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:৫০ পিএম
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:২০ পিএম
৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৫:১৯ পিএম
গত বছরটা দুর্দান্ত কাটলেও ২০২৫ সালের শুরুটা হয়েছে একেবারেই বাজে। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। কোপা দেল রের ম্যাচে এরপর জিতলেও সমর্থকদের কাছে দুয়ো পেতে হয় কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। তবে মোটেও চাপ অনুভব করছেন না এই ইতালিয়ান। তিনি বরং বলছেন, ক্লাবের শতভাগ সমর্থন আছে তার প্রতি।
আনচেলত্তির চাপে থাকার কারণটা অবশ্য নানা কারণেই স্পষ্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের সফল দল হয়েও ক্লাবটি এবার পয়েন্ট তালিকায় আছে নাজুক অবস্থানে। লা লিগায় ভালো করলেও সুপার কাপে বার্সেলোনার কাছে যেভাবে ৫-২ গোলে হেরেছে রিয়াল, সেটা সমর্থকদের হতাশ করেছে বেশ। সেল্টা ভিগোকে এরপর ৫-২ গোলে হারালেও সেটা নিয়ে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আরও পড়ুন
ইউনাইটেড ছাড়ছেন আন্তোনি? |
তবে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি জানালেন, কোনো সমস্যা অনুভব করছেন না তিনি। “ক্লাবের সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক আছে। আমি কোনো সমস্যাই দেখছি না। যখন থেকে এখানে এসেছি, তখন থেকেই আমি সমর্থন পাচ্ছি সবার। ক্লাবে শেষ দিন পর্যন্ত আমি সেটাই পাব। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব এবং নিজেদের সেরাটা নিংরে দেওয়ার চেষ্টা করব।”
সেল্টার বিপক্ষে ম্যাচে রিয়াল সমর্থকদের কাছ থেকে আনচেলত্তির দুয়ো পাওয়ার মূল কারণ দলের পড়তি পারফরম্যান্স। স্কোরলাইন বড় হলেও এক ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দুই গোল হজম করে বসেছিল রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দলের এমন খেলা স্বাভাবিকভাবেই ভালো লাগেনি সমর্থকদের।
আরও পড়ুন
বর্ণবাদের শিকার বার্সা ডিফেন্ডার, ক্ষুব্ধ ফ্লিক |
আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে লা লিগায় রিয়াল এখন আছে দুইয়ে। সব প্রতিযোগিতায় সময়টা কঠিন যাচ্ছে বলেই নিজ সমর্থকদের দুয়ো দেওয়াটাও মেনে নিচ্ছেন আনচেলত্তি। “আমার অনেক কিছুই উন্নতি করার আছে। কখনো কখনো আমরা ভালো খেলেছি, আবার কখনো কখনো আমরা তা করতে পারিনি। আর সেসব জায়গাতেই আমাদের উন্নতি করতে হবে। বার্সেলোনার বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্স করাটা আমার দায়। আর তাই দর্শকদের কাছ থেকে দুয়ো পাওয়াট গ্রহণযোগ্য এবং ন্যায্য।।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারত দলে যে খুব বেশি চমক থাকছে না, তা আগেই ধারণা করা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। তারকাসমৃদ্ধ সম্ভাব্য সেরা দলই ঘোষণা করেছে ভারত ক্রিকেট বোর্ড। আর সেখানে বিজয় হাজারে ট্রফিতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েও জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ ব্যাটার করুন নায়ারের।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দলে রাখা হয়েছে অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামিকে, যিনি সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২০২৩ বিশ্বকাপে।
তবে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায় নায়ারের বাদ পড়াটা। চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে অবিশ্বাস্য ৭৫২ গড়ে ৭ ইনিংসে ৭৫২ রান করেছেন তিনি। ছয়বারই ছিলেন অপরাজিত। সেঞ্চুরিই করেছেন চারটি। সর্বনিম্ন স্কোর ৪৪! তবে এমন ফর্মও যথেষ্ট হয়নি তার জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার জন্য।
আগারকার এখানে দেখছেন নায়ারের দুর্ভাগ্য। “৭৫০ প্লাস গড় স্রেফ একটা পাগলাটে সংখ্যা! কিন্তু এটা মাত্র ১৫ জনের স্কোয়াড, তাই এখানে আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারি না।”
ঘোষিত দলে কিছুটা চমক হয়ে এসেছে মোহাম্মদ সিরাজের বাদ পড়াটা। শামিকে জায়গা করে দিতে ডানহাতি এই পেসারকে বাইরে রেখেছে ভারত। আর চোটের কারণে গ্রুপ পর্ব মিস করার শঙ্কা থাকলেও তারকা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ আছেন দলে।
সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন শুবমান গিল। প্রথমবারের মত ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন গত বছর টেস্টে ভারতের সর্বোচ্চ রান করা তরুণ ওপেনার ইয়াশাশভি জয়সওয়াল। স্পিন বিভাগে কুলদিপ যাদবের সাথে রাখা হয়েছে দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ও আকসার প্যাটেল।
ভারত স্কোয়াড (ইংল্যান্ড ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) : রোহিত শার্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল (সহ-অধিনায়ক), ইয়াশাসভি জয়সওয়াল, কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, রিশাভ পান্ত, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, আকসার প্যাটেল, মোহাম্মদ শামি, আর্শদিপ সিং, কুলদিপ যাদব, ওয়াশিংটন সুন্দার, জাসপ্রিত বুমরাহ।
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন আয়োজিত ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে দেশব্যাপী পরিচালিত তারুণ্যের উৎসবের প্রথম পর্ব নীলফামারীতে নানা আয়োজনে সমাপ্ত হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসক চত্ত্বর থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী উৎসবের যাত্রা শুরু হয়। র্যালিটি চৌরঙ্গী মোড় ও বাটার মোড় হয়ে বড় মাঠে এসে আয়োজন শেষ হয়।
পরবর্তীতে পিঠা উৎসব, লোক সংগীত ও লোক নৃত্যের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দিয়ে উৎসবের রঙিনতা আরও বাড়িয়ে দেয়। নীলফামারীর বড় মাঠে পিঠা উৎসব ও আর্চারি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশর আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন, জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌশলি আবু মোহাম্মদ সোয়েম। সভাপতিত্ব করেন নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আরচ্যারী ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো: ফারুক ঢালী, ছাত্র প্রতিনিধি শ্রেষ্ঠ সরকার, নীলফামারী জেলা সমন্বয়ক কমিটির আহবায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আবুল হাশেম।
নীলফামারীতে আর্চারির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বক্তারা। বিউটি রায়, দিয়া সিদ্দিকী, পুষ্পিতা জামানের মতো আর্চারিতে উঠে এসেছেন নীলফামারী থেকে।
নীলফামারীতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আর্চারি একাডেমি করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করার কথা বলেছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। ভারত, শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশে আর্চারি অ্যাকাডেমি করার ব্যাপারে তাদের সম্মতি দিয়েছে বলে জানান আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া আগামী মে মাসে জাতীয় যুব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ নীলফামারীতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নীলফামারী সদর সহ ছয়টি উপজেলার আর্চারি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ১২ জন ছেলে ও ১২ জন মেয়ে তীর ধনুকের লড়াইয়ে অংশ নেয়। ছেলেদের বিভাগে সোনা জিতেছেন নীলফামারী সদর উপজেলার মোঃ কাশেম আলী। আর মেয়েদের বিভাগে একই উপজেলার শিগরীতা রানী সোনা জয় করেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন দেশের ৭টি ভেন্যুতে এই উৎসবের আয়োজন করেছে। নীলফামারীর পর পরবর্তী আয়োজনগুলো হবে ১৮ জানুয়ারি ফরিদপুরে।
২৩ জানুয়ারি রাজশাহীতে, ২৬ জানুয়ারি নড়াইলে, ২৭ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গায়, ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এবং চূড়ান্ত পর্ব ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে।
নেপাল কাবাডি লিগ (এনকেএল)-এ অংশগ্রহণ করতে গেছেন মিজানুর রহমান, ইয়াসিন আরাফাত, মনিরুল চৌধুরী ও সবুজ মিয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এ লিগে অংশগ্রহণের জন্য রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট যোগে তারা নেপাল পৌঁছান।
বাংলাদেশ থেকে এবার ছয় জন খেলোয়াড় নেপাল কাবাডি লিগে অংশগ্রহণ করবেন। বাকি দুজন হচ্ছেন শাহ মোহাম্মদ শাহান ও রোমান হোসেন। তারা ১২ জানুয়ারি নেপাল যাবেন। দুজনই খেলবেন হিমালয়ান রাইডার্সের হয়ে।
দলটির বর্তমানে প্রস্তুতির জন্য ভারত রয়েছে। প্রস্তুতি পর্ব শেষ করে হিমালয়ান রাইডার্স নেপালে ফেরার পর দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগ দেবেন শাহ মোহাম্মদ শাহান ও রোমান হোসেন।
বাংলাদেশের ৬ খেলোয়াড়ের মধ্যে মনিরুল চৌধুরী ও সবুজ মিয়া খেলবেন পোখরা লেকার্সের হয়ে, ইয়াসিন আরাফাত খেলবেন ধানগাদি ওয়াইল্ড-কেটসের হয়ে, মিজানুর রহমান খেলবেন কাঠমুন্ডু মেভারিকসের হয়ে এবং শাহ মোহাম্মদ শাহান ও রোমান হোসেন খেলবেন হিমালয়ান রাইডার্সের হয়ে।
বড় বড় সব ইভেন্ট মিলিয়ে ২০২৪ সালটা সমর্থকদের জন্য ছিল স্মরণীয় একটি বছর। ক্রিকেট কিংবা ফুটবল সবখানেই ছিল বড় বড় টুর্নামেন্ট। ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ফুটবলে চারটি মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট সমর্থকদের যুগিয়েছে বিনোদনের খোরাক। সেদিক থেকে ২০২৫ সালটা ফুটবল সমর্থকদের জন্য কিছুটা হতাশ জাগানিয়াই। কারণ, এই নতুন বছরে নেই কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। ক্রিকেট অবশ্য সমর্থকদের সুযোগ মিলছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিকে নজর রাখার।
ফুটবলে যা যা থাকছে :
আগামী বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেই বড় আসর। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দলগুলোকে পার করতে হবে ব্যস্ত সময়। মার্চ, জুন, অক্টোবর, নভেম্বরে চলবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রস্তুতি। এছাড়াও সুযোগ মিলবে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ কিংবা মহাদেশীয় টুর্নামেন্টগুলোর বাছাই পর্বের জমজমাট লড়াই দেখারও।
বাংলাদেশ ফুটবল দল সেই হিসেবে পাবে বেশ কিছু ম্যাচ। যেখানে দেখা মিলবে হামজা চৌধুরীকে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যেখানে শুরুটা হবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। মার্চে ভারতের মাটিতে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচ খেলবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। দুই মাসের বিরতি দিয়ে জুনে বাংলাদেশে আসবে সিঙ্গাপুর। এরপরের ব্রেকটা তিন মাসের। অক্টোবরে আবারও ঘরের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ আর প্রতিপক্ষ হংকং।
একই মাসে বাংলাদেশ আবারও মাঠে নামবে হংকংয়ের বিপক্ষে সেকেন্ড লেগে। সেটা অবশ্য জামাল-তপুদের জন্য হবে অ্যাওয়ে ম্যাচ। আর নভেম্বরে বাংলাদেশ খেলবে বছরের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে লড়বে লাল-সবুজ বাহিনী।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ছেলেদের বড় ইভেন্ট না থাকলেও থাকছে মেয়েদের ইউরো। সুইজারল্যান্ডে ১৬ দল নিয়ে জুলাইতে বসার কথা এবারের ইউরো।
আর ক্লাব ফুটবল চলবে যথারীতি একই ছন্দে। জুনে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। তবে এবার মৌসুমের শেষ দিকে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের ৩২ ক্লাব নিয়ে গড়াবে এই টুর্নামেন্ট। ২০২৫ সালে ফুটবল সমর্থকদের জন্য এই টুর্নামেন্ট ছড়াতে পারে রোমাঞ্চ।
ক্রিকেটে যা যা থাকছে :
ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য অপেক্ষা করছেন ব্যস্ত একটি বছর। এমনিতেই বছর জুড়ে থাকবে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ব্যস্ততা। সাথে থাকছে দুটি আইসিসি ইভেন্টও।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আট দলের টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক দেশ পাকিস্তান। তবে ভারতের ম্যাচগুলো হবে দুবাইতে। দলটি ফাইনালে গেলে সেটাও হবে দুবাইতেও।
এরপর আছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্স শিপের ফাইনাল। যেটি জুনে সিডনিতে মাঠে গড়ানোর কথা। এছাড়াও রয়েছে এশিয়া কাপ। যেটি আগামী অক্টোবরে ভারত ও দুবাই মিলিয়ে হওয়ার কথা।
২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের জন্য হতে যাচ্ছে আরেকটি ব্যস্ত বছর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষ হবে ফেব্রুয়ারিতে। এর সপ্তাহ খানেক বাদেই টাইগারদের পাড়ি জমাতে হবে পাকিস্তান। উদ্দেশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ক্রিকেটাররা সুযোগ পাবেন কিছুটা বিশ্রামের।
এরপর এপ্রিলে ঘরের মাঠে এপ্রিলে মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ের। এরপর এক মাস বিরতি দিয়ে বাংলাদেশ দল আবারও পাড়ি জমাবে পাকিস্তান। জুনে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল।
পাকিস্তান সফর শেষে জুলাইতে বাংলাদেশের গন্তব্য শ্রীলঙ্কা। দেশে ফিরে আবার মাঠে নামতে হবে টাইগারদের। আগস্টে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে অংশ নিবে বাংলাদেশ।
এরপর অক্টোবরে বাংলাদেশ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেই সিরিজটি হবে অ্যাওয়ে। তবে কোথায় মাঠে গড়াবে, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। সাধারণত আফগানিস্তান তাদের হোম ম্যাচ খেলে ভারত বা দুবাইয়ে। অক্টোবরেই বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলবে ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে। আর নভেম্বরে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ২০২৫।
No recent posts available.