৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:১১ পিএম
উৎসবমুখর পরিবেশে শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যারাথনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এই সময় চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিপি, এসবিপি, ওএসপি, বিএএম, এনডিসি, পিএসসি, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন স্পন্সরবৃন্দ, গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ এবং ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি দৌড়বিদ উপস্থিত ছিলেন।
এই ম্যারাথনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯ হাজার ৭৬০ জন পুরুষ ও ৭৬৭ জন নারীসহ সর্বমোট ১০ হাজার ১২৭ জন দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করেন।
ফুল ম্যারাথনে পুরুষ বিভাগে মো: আল-আমিন এবং মহিলা বিভাগে পাপিয়া খাতুন ১ম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেন। হাফ ম্যারাথনে পুরুষ বিভাগে মো: আশিক আহমেদ এবং মহিলা বিভাগে রিঙ্কি বিশ্বাস ১ম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এছাড়াও, ১০ কিলোমিটার (সাধারণ) পুরুষ বিভাগে এম সোয়ান এবং মহিলা বিভাগে প্রিয়া আক্তার ; ১০ কিলোমিটার (প্রথমবার) অংশগ্রহণকারী পুরুষ বিভাগে মো: তুহিন আল মামুন এবং মহিলা বিভাগে মোসাঃ সুমাইয়া আখতার এবং ১০ কিলোমিটার (ভেটেরান) পুরুষ বিভাগে জসিম উদ্দিন আহমেদ এবং মহিলা বিভাগে ইরি লি কৈকি ১ম স্থান অর্জন করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এই ম্যারাথন শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি বিশ্বব্যাপী সংহতি ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা বহন করছে।” ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন ২০২৫ বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে সামাজিক এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিশেষে তিনি, ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন-২০২৫ এ অংশগ্রহণকারী সকল দেশি-বিদেশি অ্যাথলেটবৃন্দকে এবং এই আয়োজনকে সাফল্যমন্ডিত করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য যে, সকাল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, বিএসপি, এনডিসি, এইচডিএমসি, পিএসসি, পিএইচডি প্রধান অতিথি হিসেবে এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ম্যারাথনটি ঢাকার ৩০০ ফিট সড়কের পাশে অবস্থিত নৌবাহিনীর ঘাঁটি হতে শুরু হয়ে ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে কাঞ্চন ব্রীজ হয়ে একই রাস্তায় ফেরত এসে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে শেষ হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:২১ পিএম
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:৫১ পিএম
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:২৫ পিএম
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম
ম্যাচ শেষে দাঁড়িয়ে আছি স্টেডিয়ামের বাইরে। স্পেন কিছুক্ষণ আগে ৭ গোল দিয়েছে কোস্টারিকার জালে। কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় জয়, ইতিহাসেরও অন্যতম। সব সেট করে দাঁড়িয়ে আছি প্রোডিউসারের কলের অপেক্ষায়। খানিকটা দূর থেকে খুব সাধারণ প্রশ্ন এলো প্রায় নিত্য দিনকার মতোই,- “টি স্পোর্টস? ফ্রম হোয়ের?”
জবাব দিলাম, বাংলাদেশ। আমার এক কানে হেড ফোন, তাতে টি স্পোর্টসের লাইভ কাভারেজ শুনছি। মনোযোগও সেদিকেই। কিন্তু এর মাঝেও স্পষ্টই শুনতে পেলাম- প্রশ্নকর্তা একটা রিমার্ক রেখে গেলেন। চিৎকার করে একটা কথাই বললেন, সাকিব আল হাসান।
হাত নাড়িয়ে সম্ভাষণ জানালাম, ক্লান্তিও উবে গেল নিমিষেই। কিন্তু কার উদ্দেশ্যে হাত নাড়লাম তাও জানিনা।
সহজেই বুঝতে পারলাম, বাংলাদেশ নামের প্রতিশব্দ তাঁর কাছে ক্রিকেটার সাকিব। হয়ত তাঁর মতো আরও কোটি-কোটি মানুষের কাছেও তাই।
আলোর ঝলকানিতে ভদ্রলোকের চেহারা মনে নাই। সাকিবের নামের শব্দচয়ন ভঙ্গি শুনে যতটুকু ধারণা করতে পারি তিনি হয়ত উপমহাদেশের কেউ হবেন। হয়ত উপমহাদেশ ছাড়িয়ে অন্য কোথাকার। তবে সহসা যেটা অনুমান করে নেওয়া যায় ; তিনি হয়ত স্পেনের কেউ হবেন না, কোস্টারিকার কেউ হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অনুমানের ব্যপ্তি খাটো করলে বুঝতে পারি নিশ্চয়ই ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের কেউই হবেন। এখন ক্রিকেট তো নেদারল্যান্ডসও খেলে। সেখানকার কোনো একজন তো হতে পারেন? তবে যে দেশে ক্রিকেটের পেশাদার কাঠামো অনুপস্থিত সেখানকার কেউ জিওগ্রাফির সঙ্গে একজন ক্রিকেটারকে পরিচায়ক হিসেবে মেনে নেবেন- সেই সুযোগ বেশ কম!
সাকিব বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন, ঠিক ততোটুকুর ভেতরই যতটুকুর গন্ডি ক্রিকেটের আছে। এর বাইরে যাওয়ার সাধ্য যেখানে ক্রিকেটেরই হয় না, সেখানে একজন ক্রিকেটারের হবে কী করে?
সন্দেহাতীত ভাবে সাকিব আল হাসানই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার। কারণ এখানে ক্রিকেটটা বড়। কারণ, সাকিব এই আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছেন, এই কাদায় হেটেছেন, এই ধুলো মাড়িয়েছেন, নিজেদের মেধা দিয়ে এই দেশের এক্সিসটিং ‘বিশ্ব থেকে যোজন পিছিয়ে থাক প্রায় অকেজো একটা সিস্টেমের’ ভেতর দিয়েও তিনি ক্রিকেটে নিজেকে বিশ্বের সেরায় পরিণত করতে পেরেছিলেন।
ব্যস এইটুকুই যথেষ্ট। ঠিক এই জায়গাতেই হামজা চৌধুরীর চেয়ে এ দেশের লোকেদের কাছে এগিয়ে থাকবেন সাকিব। আর হামজা বেড়ে উঠেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে নামকরা ফুটবল ইন্সিটিটিশনগুলোর একটা থেকে। ক্রিকেটের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই বলইলেই চলে, তবে এটুকু বুঝি বাংলাদেশ থেকে সাকিবের সাকিব হওয়ার ১% এর বেশি সম্ভাবনা সম্ভবত ছিল না। বাকি ৯৯ শতাংশ নিজ গুণে পেরেছেন বলেই তিনি সাকিব হয়েছেন।
তবে কোনো কিছুই স্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। ছোটবেলায় হামজাও ছুটিতে দেশে এসেছেন, বিয়ানিবাজারের মাঠে তার বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বলে লাথিটা মেরেছিলেন বলেই র্যা ঙ্কিং-এর ১৮৫ তম দেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টেলিভিশনে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটটাও দেখেছেন, সাকিবকে ১৯ বিশ্বকাপে অতিমানব হতে দেখে নিশ্চয়ই ভেবেছেন, দেশটায় আর যাই হোক খেলার আবেগের অভাব নাই।
*
লিওনেল মেসির কৈশোরটাই কেটেছে আর্জেন্টিনার বাইরে। একটা সময় নিজ দেশের লোকেরাই তাকে আপন করতে পারেননি। অপরিসীম ভালোবাসার সঙ্গে মেসি গাল মন্দও শুনেছেন,। দিয়েগো মারাদোনা বহু অকাজ-কুকাজ করেও মারাদোনাই রয়ে গেছেন। মেসি তাঁর সমান হবেন না কোনোদিন। তাতে মেসির হাত কই? বার্সেলোনা ত্রাতা না হলে এই মেসি কি আর মেসি হন? মারাদোনা বহু আগেই ওখানে ইশ্বর হয়ে গেছেন, সবার গল্প এক ছাঁচে পড়ে না। তবে সবাই এক ছাদের নিচের থাকতে পারেন।
ডুয়েট ইয়র্ক, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ফুটবলার। ব্রায়ান লারা, একই দেশের ক্রিকেটার। একজন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চ্যাম্পিয়নস লিগ উইনার, আরেকজন- লারা তো লারা। এদের ভেতর কে বেশি জনপ্রিয়? এই নিয়ে ত্রিনিদাদে আলোচনা হয়। হামজা না সাকিব- কার তারকাখ্যাতি কতো বেশি এই নিয়ে দর্শক- সমর্থকদের আলোচনার আগ্রহ না থাকাটাই বরং অস্বাভাবিক। এই আলোচনা থাকবে, এবং এই আলোচনায় বাইনারি এবং নন-বাইনারি দুই মতই থাকতে পারে। দুই পক্ষেই থাকতে পারে।
প্রশ্ন হচ্ছে কেন থাকতে পারে? জবাবটাও সহজ, ফুটবলের ব্যপ্তির কারণে।
জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে ধারাবাহিক জনপ্রিয় স্পোর্টিং ইভেন্ট। গেল কয়েক দশক ধরেই পৃথিবীর ট্রেন্ডটা এমন। টাকাই সব, টাকার অঙ্কে এই লিগের ধারে কাছেও আসে না কিছু। জার্মানি-ইতালির টপ ফুটবলার, কোচরা প্রিমিয়ার লিগের মিড টেবিল টিমে নাম লিখিয়ে ফেলেন অনায়াসেই। বেতনের সঙ্গে, ব্র্যান্ড ভ্যালুটাও ভালো। গোটা এশিয়া থেকে কয়জনের সুযোগ হয় সেই লিগে? এশিয়ার ম্যাপটায় চোখ বুলিয়ে ফেলতে পারেন, উপমহাদেশটাইকেই ছোট মনে হচ্ছে না? এতো বড় এশিয়া থেক এতোদিন মোটে ৫টা মহা সৌভাগ্যবান দেশের সুযোগ হয়েছে বিশ্বকাপ খেলার। সামনে সংখ্যাটা বাড়ছে আরও। এরা সবাই ফুটবল খেলে, দু একটা দেশ বাদ দিলে সবাই পেশাদার ফুটবল খেলে। এই প্রতিযোগিতার মাপকাঠি অন্য কিছুর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার উপায় থাকে?
প্রায় শূন্য টাকা খরচা করে একজন এফএ কাপ উইনারের স্বেচ্ছায় বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপানোর গভীরতা বুঝতে পারা কি এতোই কঠিন? চিন্তা-ভাবনার সীমানা প্রাচীর বেঁধে দিলে অবশ্য সবই কঠিন।
প্রিমিয়ার লিগের একটা ফুটবল ম্যাচে ইংলিশ, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, অ্যারাবিক, বাংলা- সহ আরও কত ভাষায় সপ্তাহান্তে ধারাবাহিকিভাবে ধারাভাষ্য হয়। এই তো মাস দুই আগের ঘটনা- লেস্টার সিটির ম্যাচে বিইন স্পোর্টসের অ্যারাবিক কমেন্টেটর হামজার পায়ে যতবার বল যাচ্ছে ঠিক ততোবারই ‘ইয়া বাঙালি, ইয়া বাঙালি’ বলে গলা ফাটালেন; এর গভীরতা বোঝা খুব কঠিন?
মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় লোকেরা ক্রিকেটটা চেনেন না। বাংলাদেশ শব্দটা শুনলে তাদের মাথায় চট করে কী খেলে যাওয়া উচিত? কোনো ক্রিকেটারের নাম কি? নিশ্চয়ই নয়? হয়ত আপনার আমার মতো তামাটে বা কালচে রঙের খেটে খাওয়া কারও ছবিই তাঁদের চোখে ভাসে। এক হামজা যে কেবল বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েই ‘কামলা’ থেকে আপনার আমার ইমেইজ ‘আপগ্রেড’ করে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিলেন, তা বুঝতে মেধা খরচ করতে হয়?
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর ফিফার এক রিপোর্টার বাংলাদেশের এক সুপারস্টারের ইন্টারভিউ করতে চেয়েছিলেন। তাকে সাকিব আল হাসানের সন্ধানই দিয়েছিলাম। সাকিব নিজেও রাজি হয়েছিলেন, এরপর যে কোনো কারণেই হোক সাকিবের সেই কাজটা আর আগায়নি। ফিফা হামজার ইন্টারভিউও করবে, আজ হোক কাল হোক করবে, সে জন্য আমার কাছে আসতে হবে না, বরং আমারই ধর্ন্যা দেওয়া লাগবে ফিফার কাছে।
সুপারস্টার বলতে আপনি কী বোঝেন? আপনি যা বোঝেন আমিও তাই বুঝি। তবে সেই সংজ্ঞা ক্ষেত্র বিশেষে পালটে যেতেই পারে। বৈশ্বিক সুপারস্টার এই দুইজনের সম্ভবত কেউ নন। একজন থাকলে সেটা সম্ভবত বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান। যিনি এক ফোনকলে মেসিকে খুঁজতে পারেন, রোনালদোকেও চাইতে পারেন। বাকি দুইজনের পক্ষে সে প্রায় অসম্ভব।
সুপারস্টার আপাত দৃষ্টিতে খুব সহজ শব্দ মনে হয়। কিন্তু এর ভেতর ভাগ আছে অনেক। এরকম একটা জিনিস নিয়ে তর্ক হবে না? না হওয়াটাই তো অস্বাভাবিক!
শক্তি-সামর্থ্যে কাবাডিতে বাংলাদেশের চেয়ে সবসময়ই পিছিয়ে নেপাল। ফলে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে লাল-সবুজ দলের জয়টাই অনিবার্য ফলাফল। প্রথম ম্যাচে হয়েছেও তাই। সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৪ পয়েন্টের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
পল্টন ময়দানে বিকাল সাড়ে তিনটায় সিরিজের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম।
শনিবারের ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দল ৫৩-২৯ পয়েন্টে জয় তুলে নিয়েছে। সাথে লিড নিয়েছে ১-০ ব্যবধানে। প্রথমার্ধ থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেওয়া বাংলাদেশ নেপালকে চাপে রেখে ২৮-১১ পয়েন্টে এগিয়ে বিরতিতে যায়। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ না দিয়ে, বড় জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এই সিরিজের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫১ বছর পর বাংলাদেশে হচ্ছে কাবাডির টেস্ট সিরিজ। এর আগে সবশেষ ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের প্রথমবারের মত কাবাডি টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর এই প্রতিযোগিতা এবার ফিরল আবার।
প্রথম ম্যাচের মত সিরিজেও বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, ইতিহাস বা পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে নেপালের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দুই দলের সাক্ষাতে নেপাল জয় পায়নি কখনই।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন, শনিবার হাই কমিশন প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় বারের মত মিয়াঁ সুলতান খান দাবা টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন টুর্নামেন্টেটি আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে। বার্ষিক এই টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানের কিংবদন্তি দাবাড়ু মিয়াঁ সুলতান খানের সাফল্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে আয়োজন করা হয়।
এই টুর্নামেন্টে কূটনৈতিক সম্প্রদায়, পেশাজীবি, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের প্রায় ২০০ জন দাবা খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণে করেছে, যা বাংলাদেশে খেলাটিকে ঘিরে তীব্র আকর্ষণের প্রমাণ দেয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফুদ্দিন আহমেদ উজ্জল, গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মুর্শেদ এবং বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মাস্টার খেলোয়াড় রানী হামিদ।
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি কাইংলেট, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল ওয়েরাক্কোদি, ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন উসমানসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
টুর্নামেন্টে সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ চ্যাম্পিয়ন এবং মনন রেজা নীড় রানার্সআপ হন। সুব্রত বিশ্বাস এবং নাঈম হক যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং পাকিস্তান হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ টুর্নামেন্টের বিজয়ী এবং সেরা পারফর্মারদের ট্রফি এবং নগদ পুরস্কার প্রদান করেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজ বক্তব্য উপদেষ্টা ফারুকী বাংলাদেশের দাবা খেলোয়াড়দের এবং কূটনৈতিক সম্প্রদায়কে একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপনে চমৎকার সুযোগ প্রদানের জন্য পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রশংসা করেন। তিনি পাকিস্তান হাইকমিশনের ভবিষ্যতের যেকোনো উদ্যোগে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ টুর্নামেন্ট আয়োজনে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং দাবা ফেডারেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ক্রীড়ানুরাগের মাধ্যমে সীমান্ত অতিক্রম করে মানুষে মানুষে সংযোগ জোরদার করার ক্ষেত্রে ক্রীড়া ইভেন্টের গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন “এই ধরণের ইভেন্টের মাধ্যমেই আমরা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে মানুষে মানুষে যোগাযোগ এবং বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার করার চেষ্টা করছি”। তিনি আরও বলেন এই ইভেন্টের লক্ষ্য হল মিয়াঁ সুলতান খানের সমৃদ্ধ ইতিহাস উদযাপন করা এবং বাংলাদেশের দাবা প্রেমীদের এবং কূটনৈতিক সম্প্রদায়কে একটি সুস্থ বিনোদনে একত্রিত করা।
টুর্নামেন্টের শুরুতে, হাইকমিশনার প্রিন্স করিম আগা খান (৪র্থ) এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং তাকে পাকিস্তানের একজন প্রকৃত বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন, যিনি তার দূরদর্শী নেতৃত্বে মানব সেবায় অবিস্বরণীয় অবদান রেখেছেন। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীরা তার স্মরণে এক মিনিট নীরবতাও পালন করেন।
হাইকমিশনার টুর্নামেন্টের বিজয়ী এবং সেরা খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং আগামী বছর তৃতীয় মিয়াঁ সুলতান খান টুর্নামেন্টের জন্য সকল অংশগ্রহণকারীদেরকে অগ্রীম শুভকামনা জানান। তিনি সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, গ্র্যান্ডমাস্টার, আন্তর্জাতিক মাস্টার এবং গণমাধ্যমকর্মীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান।
উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন আয়োজিত তারুণ্যের উৎসবে আরচ্যারীর চূড়ান্ত পর্ব ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে শেষ হয়েছে।
দিনব্যাপী নানা আয়োজনে আরচ্যারী প্রতিযোগিতা ছাড়াও ছিল পিঠা উৎসব, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বর্ণাঢ্য র্যালি দিয়ে শুরু হয় কার্যক্রম।
এরপর চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম ও বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব মোঃ আবুল হাসান, আর্চারি ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ ফারুক ঢালী, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান ও জাতীয় দলের হেড কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী আর্চারি ফেডারেশনের কার্যক্রম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরচ্যারীর সাফল্যের প্রশংসা করেন তিনি। পদক জয়ের ক্ষেত্রে দেশের অন্য যে কোন খেলার চেয়ে আর্চারি এগিয়ে বলে উল্লেখ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব। এই খেলার উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতার কথা জানান তিনি।
আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানান। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আর্চারির যে সাফল্য তাতে এই ফেডারেশন জাতীয় সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা রাখে বলে মনে করেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে ২০১৯ সাউথ এশিয়ান গেমসে আরচ্যারীর ১০টি সোনার মধ্যে বাংলাদেশের সবকটি জয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি।
এছাড়া অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের আর্চারদের সরাসরি অংশগ্রহণ অন্য ফেডারেশন থেকে আরচ্যারীকে আলাদা করেছে বলে জানান কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল।
দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শেষে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি। তিনটি স্বর্ণ, তিনটি রৌপ্য ও চারটি ব্রোঞ্জসহ মোট ১০ টি পদক জিতেছে বিকেএসপির আরচ্যাররা। দুটি স্বর্ণ ও একটি রৌপ্য সহ মোট তিনটি পদক জিতে দ্বিতীয় হয়েছে নড়াইল জেলা। আর তৃতীয় হয়েছে ফরিদপুর জেলা।
মোট আটটি ইভেন্টে হয়েছে প্রতিযোগিতা। আটটি দলের ছেলে ও মেয়ে মিলে মোট ৫৯ জন আরচ্যার অংশ নেয় চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায়।
বিকেলে হয়েছে সমাপণী অনুষ্ঠান। সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
সমাপণী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম , যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ হিরুজ্জামান, বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল, আরচ্যারী ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ ফারুক ঢালী।
তারুণ্যের উৎসবকে ধারণ করে চূড়ান্ত পর্বের আগে নীলফামারী, ফরিদপুর, টঙ্গীর আরচ্যারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নাটোরের খুবজীপুর, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে নানা আয়োজন সম্পন্ন করছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন। গত ১৫ জানুয়ারী নীলফামারী থেকে শুরু হয়েছিল আর্চারি ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব।
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভাগীয় পর্যায়ের আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী আদর্শ কলেজকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যম্পিয়ন সরকারি নগরকান্দা মহাবিদ্যালয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে শুরু থেকেই জমে ওঠে খেলা। প্রথমার্থ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়। দ্বিতীয়ার্ধেও জমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আক্রমণের ধার বাড়ায় সরকারি নগরকান্দা মহাবিদ্যালয়। অল্প সময়ের দুই গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ফরিদপুরের কলেজটি। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হওয়ায় জয়ের উল্লাসে মাতে সরকারি নগরকান্দা মহাবিদ্যালয়। ফাইনালে খেলা দুটি দলই ঢাকা বিভাগ থেকে জায়গা করে নিয়েছে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়। পরবর্তী পর্যায়ে যেখানে খেলবে প্রত্যেক বিভাগের সেরা দুটি করে দল।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার জনাব শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), জনাব মোঃ আলী আজম। উপস্থিত ছিলেন৷ সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মুমিনুল হাসান, ক্রীড়া পরিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক তারিকুজ্জামান নান্নু ও ঢাকা জেলার ক্রীড়া অফিসার, সুমন কুমার মিত্র।
"এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই" স্লোগানে তারুণ্যের উৎসব- ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ের আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিসের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই টুর্নামেন্ট।
No recent posts available.