চীনের সকালটা আজ রোববার অন্যরকম ছিল বাংলাদেশের বক্সার মো. সেলিম হোসেনের। ঘুম থেকে উঠেই রিংয়ে ছুটেন। কোচ শফিউল আজম মাসুদের অধীনে ঘণ্টাব্যাপী অনুশীলনে ঘাম ঝরান। গেল রাতে আনন্দে ভালো ঘুম হয়নি তার। অবশ্য ঘুম না হওয়ারই কথা। এশিয়ান গেমসের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন।
এটি তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। চলমান হ্যাংজু এশিয়ান গেমসে শনিবার হ্যাংজু জিমন্যাসিয়ামে অনূর্ধ্ব-৫৭ কেজিতে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তাজিকিস্তানের আসরর ভকিধবকে নকআউট করে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখেন বাংলার এ তরুণ বক্সার রাজশাহীর ছেলে সেলিম।
পদক জয় থেকে এখন নিঃশ্বাস দূরত্বে দাঁড়িয়ে সেলিম। আগামী ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনালে জাপানী প্রতিযোগীর মুখোমুখি হবেন তিনি। ওই ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে। আর সেমিফাইনালে উঠলেই অন্তত ব্রোঞ্জ জয় নিশ্চিত। তবে পদক নিয়ে আপাতত বাড়তি ভাবনা নেই।
চীন থেকে সেলিম মুঠোফোনে জানান, ‘৩৭ বছর পর বাংলাদেশের কোনো বক্সার টানা দুই ম্যাচ জিতল। এর আগে প্রথম রাউন্ড থেকেই আমাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে যেত। আমি এবার তা হতে দেয়নি। প্রিলিমিনারি রাউন্ডে শ্রীলংকার প্রতিযোগীকে হারিয়ে প্রি-কোয়ার্টারে হারিয়েছি শক্তিশালী তাজিকিস্তানের প্রতিযোগীকে। কোয়ার্টার ফাইনালেও ইনশাল্লাহ জিতব। জাপানের প্রতিযোগীকে হারানোর ক্ষমতা আমার আছে। আমি দেশবাসীসহ সকলের দোয়া চাই।’
৩৭ বছর আগে এশিয়ান গেমসে ইতিহাস রচনা করেছিলেন বক্সার মোশাররফ হোসেন। ১৯৮৬ সিউল এশিয়ান গেমসে সেবার ৮১ কেজি লাইট হেভিওয়েট বিভাগে নেপালের প্রতিযোগীকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। এশিয়ান গেমস বা এশিয়াডে এটিই ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে পাওয়া বাংলাদেশের সেরা অর্জন। সেই অর্জনে এবার ভাগ বসানোর সুযোগ মো. সেলিম হোসেনের।
কাকতালীয়ভাবে মোশাররফ হোসেন এবং সেলিম হোসেনের বাড়ি রাজশাহী শহরেই। ৩৭ বছরের পদক জয়ের অপেক্ষার অবসান ঘুচাতে সব ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন সেলিম। অথচ তাকে ঘিরে কোনো স্বপ্নই ছিল না বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) কিংবা বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশনের।
সব স্বপ্ন আর পদক জয়ের ভাবনায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস। দেশ ছাড়ার আগে অলিম্পিক এবং বক্সিং ফেডারেশনের কর্তারা বলেছিলেন হ্যাংজু এশিয়ান গেমসে পদক জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে জিন্নাতের। অথচ রিংয়ে নেমে জিন্নাত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতাই গড়তে পারেননি। বাই পেয়ে প্রথম রাউন্ড পার করলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে ৫-০ ব্যবধানে হেরে যান আলোচিত এ নারী বক্সার।
অথচ সেলিম গেমসে আসার আগে প্রায় দুই সপ্তাহ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। রক্তে প্লাটিলেট নেমে গিয়েছিল ৯৫ হাজারে। দুর্বল শরীরেও অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছিলেন সেলিম। সেই পরিশ্রমেরই ফল এশিয়ান গেমসে পাচ্ছেন এ
১৫ ঘণ্টা আগে
১৭ ঘণ্টা আগে
১৮ ঘণ্টা আগে
১৮ ঘণ্টা আগে
২১ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে