কাঁধের চোটের কারণে এশিয়া কাপ থেকেই ছিটকে গেলেন পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। তাঁর জায়গায় বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ইতোমধ্যেই জামান খানের নাম ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ফলে এশিয়া কাপের মাঝপথে একটা বড় ধাক্কাই খেলা দলটা।
এবারের এশিয়া কাপে চার ম্যাচ খেলা নাসিম শাহ নিয়েছেন ৭ উইকেট। পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণের বড় অস্ত্র এই নাসিম। তবে ইনজুরির কারণে তাঁর আর খেলা হচ্ছেনা এবারের এশিয়া কাপে। তাঁকে ছাড়াই এখন পরিকল্পনা সাজাতে হবে পাকিস্তানকে।
আরও পড়ুন: ভিসা জটিলতার শল্কার মুখে পাকিস্তানের ভারতযাত্রা
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের সময়ই চোটের কারণে মাঠ থেকে উঠে যান নাসিম। আর দলের অন্যতম সেরা এই পেসারকে নিয়ে কোন ঝুকি নিতে চায়না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি জানিয়েছে, বিশ্বকাপ সামনে রেখে নাসিমকে ঘিরে সব রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।
ওদিকে পাকিস্তানের আরেক পেসার হারিস রউফকে নিয়েও আছে শঙ্কা। ভারতের বিপক্ষে রিজার্ভ ডের ম্যাচে নামানো হয়নি তাঁকে। এখনো এই পেসারকে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পিসিবি।
আগামীকাল সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ম্যাচটাই এক অর্থে সেমি ফাইনাল হয়ে দাড়িয়েছে। কেননা এই ম্যাচে যারা জিতবে তাঁরাই ভারতের সাথে খেলবে ফাইনাল।
১৩ আগস্ট ২০২৫, ৭:০১ পিএম
১৩ আগস্ট ২০২৫, ৪:৩১ পিএম
জয়ের জন্য ৪ বলে প্রয়োজন ৯ রান। প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে নিজের কাজ কিছুটা সহজ করলেন গ্রাহাম ক্লার্ক। কিন্তু পরের দুই বল খেললেন ডট। চাপ বেড়ে গেল বহু গুণে। শেষ বলে প্রয়োজন ৫ রান। টাইমাল মিলসের স্লোয়ার ডেলিভারি ছক্কা মেরে দিলেন সবশেষ বিপিএলে আলো ছড়ানো ক্লার্ক।
ইংল্যান্ডের দা হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে বুধবার রাতের ম্যাচে এই কৃতিত্ব দেখান ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার। নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের হয়ে ২৪ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে সাউদার্ন ব্রেভকে হারান গত বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে খেলে যাওয়া ক্লার্ক।
নিজ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় এক দশক ধরেই খেলছেন ক্লার্ক। তবে সেভাবে আলো ছড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় কখনও জাতীয় দলের আশপাশে দেখা যায়নি তাকে। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে বিপিএল খেলতে এসে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সুনাম কুড়ান মিডল-অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।
প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে এসে চিটাগং কিংসের জার্সিতে ১৪ ম্যাচে আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৩১ রান করেন ক্লার্ক। চিটাগংকে রানার্স-আপ করার পথে একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি ফিফটিও করেন তিনি। আসরে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৩.৩৩!
বিপিএল মাতিয়ে এবার দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও 'হিরো' হলেন ক্লার্ক। নির্ধারিত ১০০ বলে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান করে সাউদার্ন ব্রেভ। জবাবে ৫৫ বলে ৭৫ রান করতে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে নর্দার্ন সুপারচার্জার্স।
৪৫ বলে ৬৫ রানের সমীকরণে ক্রিজে যান ক্লার্ক। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে তেমন সমর্থন পাচ্ছিলেন না তিনি। এক পাশ আগলে রেখে দলকে তিনি রাখেন জয়ের কক্ষে। পরে শেষ ওভারে টাইমাল মিলসের শেষ বলে ছক্কা মেরে তিনিই জেতেন 'ম্যাচ হিরো' (ম্যান অব দা ম্যাচ) পুরস্কার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই বড় দুঃসংবাদ পেল অস্ট্রেলিয়া। একসঙ্গে ছিটকে গেলেন তিন ক্রিকেটার। এদের একজন আবার খেলতে পারবেন না সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও।
চোটের কারণে ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে ছিটকে গেছেন মিচেল ওয়েন, ম্যাথু শর্ট ও ল্যান্স মরিস। তাদের জায়গায় সুযোগ পেলেন অ্যারন হার্ডি, ম্যাথু কুনেমান ও কুপার কনোলি। টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেই দলের সঙ্গে আছেন কুনেমান ও হার্ডি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েনের হেলমেটে লাগে কাগিসো রাবাদার একটি গতিময় বাউন্সার ডেলিভারি। তাৎক্ষণিক কনকাশন পরীক্ষায় পাস করেন ওয়েন। তবে ড্রেসিং রুমে ফেরার পর বিলম্বিত কনকাশনের শিকার হন তরুণ ব্যাটার।
তাই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রটোকল অনুযায়ী, ১২ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে ওয়েনকে। যে কারণে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজের পুরোটাই মিস করবেন ২৩ বছর বয়সী মিডল-অর্ডার ব্যাটার।
গত বছর তিনটি ওয়ানডে খেলার পর চোটে পড়েছিলেন মরিস। এরপর দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই ফেরার কথা ছিল ২৭ বছর বয়সী ফাস্ট বোলারের। কিন্তু পিঠের চোটে সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল তার।
এছাড়া সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাইড স্ট্রেইনে আক্রান্ত হওয়া শর্ট এখনও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি। শুরুতে তাকে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টির দল থেকে বাইরে রাখা হয়। কিন্তু এখন আরও চারটি ম্যাচ খেলা হবে না তার।
কেয়ার্নসে শনিবার সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লড়বে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে একই মাঠে ১৯ তারিখ শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। এরপর ম্যাকাইয়ে গিয়ে ২২ ও ২৪ তারিখ বাকি দুই ম্যাচ খেলবে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার পরিবর্তিত স্কোয়াড: মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), হ্যাভিয়ের বার্টলেট, অ্যালেক্স ক্যারি, কুপার কনোলি, বেন ডোয়ার্শিস, নাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যারন হার্ডি, জশ হেইজেলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইংলিস, ম্যাথু কুনেমান, মার্নাস লাবুশেইন, অ্যাডাম জ্যাম্পা।
দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জিতে গতকাল দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ যুবারা। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েতে লম্বা সফর শেষে আপাতত কদিনের বিশ্রাম তারা। এর মধ্যে মিরপুরে চনমনে মেজাজে দেখা গেল রিজান হোসেনকে।
রিজানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ফাইনালে একাই গড়ে দেন ম্যাচের পার্থক্য। ব্যাট হাতে ৯৫ রান, বল হাতে ৫ উইকেট।
রিজান জানালেন, সেঞ্চুরি আর ৫ উইকেট নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। যদিও ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি। এ নিয়ে অবশ্য তাঁর আক্ষেপ নেই। তবে সেঞ্চুরি আর ৫ উইকটে নেওয়ার অনুপ্রেরণা পাওয়ার পেছনে আছে দারুণ গল্প।
আরও পড়ুন
সোহানদের সামনে কাল শক্তিশালী পাকিস্তান |
![]() |
ক্রিকেটে রিজান কাকে অনুকরণ করেন কিংবা আদর্শ কে? এমন প্রশ্নের জাবাবে টি স্পোর্টসকে বললেন, ‘আমি আইডল হিসেবে একজনকেই দেখি, ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস।’
সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকটে নিয়েছিলেন স্টোকস। আইডলের সেই অর্জন জেঁকে বসে রিজানকেও। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ফাইনালে সেই অসাধারণ কাজটি করতে চেয়েছিলেন তিনি,‘ওর (স্টোকস) ব্যাটিং, বোলিং ও মাঠে থাকলে যে আবহটা থাকে…। সম্প্রতি ও শুধু টেস্ট খেলছে, কদিন আগেও ৫ উইকেট ও সেঞ্চুরি করেছে। সেটা দেখে আমার মধ্যেও একটা ব্যাপার কাজ করেছে, আমার আইডল যেহেতু…(নিয়েছে)। সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট যদি নিতে পারি, একটুর জন্য হয়নি। তবে যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।’
তবে ফাইনালে নিজের রান-আউট নিয়ে কিছুটা আপত্তি রিজানের। তবু আউট ও সেঞ্চুরি করতে না পারায় তাঁর কোনো আক্ষেপ নেই, ‘না, যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আক্ষেপ একটু আছে(হাসি), আমার রান-আউটটা একটু….। আম্পায়ার একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে অবশ্যই আমি সম্মান জানাই। যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।’
আরও পড়ুন
৩০ ম্যাচে সেঞ্চুরি নেই, ৫ বছর পর তিনে নেমে গেলেন বাবর |
![]() |
ত্রিদেশীয় সিরিজে ৭ ম্যাচে ৪.২৯ ইকোনমিতে ১০ উইকেট নেন রিজান। ব্যাট হাতে করছেন ১৮৭ রান। দুই তালিকায় চতুর্থ নম্বরে এই অলরাউন্ডার। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সফরেও তিন ওয়ানডেতে দুই ফিফটি করেছেন রিজান। অবশ্য তার আগে থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন। নিজের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে রিজান বললেন, ‘(বাংলাদেশ দলের হয়ে) ৫০০ উইকটে ও হাজার হাজার রান করতে চাই।’
তার আগে নিজের কাজটা ভালোভাবে করে যেতে হবে রিজানকে। তারপরই তো জাতীয় দলের দরজা খুলবে।
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে গত বছর ফাইনালে হেরে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশ এইচপির। রানার্স আপ হয়ে ফিরেছিল তারা। অস্ট্রেলিয়ার ডারউনে এবার এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। কাল উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামছে তারা। তবে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী পাকিস্তান শাহিনস। টি-টেন স্টেডিয়ামে ম্যাচটি সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়ার কথা।
নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, নাঈম শেখ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের মতো জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা আছেন বাংলাদেশ দলে। বোলিং আক্রমণে আছেন রিপন মণ্ডল, মুশফিক হাসান, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা। জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক সার্কিটে পরীক্ষিত না হলেও ঘরোয়া লিগ ও বয়সভিত্তিক খেলায় আলো ছড়িয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশের প্রস্তুতি হয়েছে বেশ দারুণ। ডারউইনে নিজেদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে স্থানীয় দল ডিআইএক্সআইকে ৩৭ রানের হারান সোহানরা। অচেনা কন্ডিশনে লড়াইয়ে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে উপকৃত হওয়ার কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের কোচ মিজানুর রহমান বাবুলও।
আরও পড়ুন
৩০ ম্যাচে সেঞ্চুরি নেই, ৫ বছর পর তিনে নেমে গেলেন বাবর |
![]() |
ডারউইনের আবহাওয়া-উইকেট সব কিছুই বাংলাদেশের জন্য অচেনা। বাংলাদেশের সঙ্গে সেখানকার উইকেটের ধরনের পার্থক্যও ব্যাপক। প্রস্তুতি ম্যাচে সোহান-রাব্বিরা পেয়েছেন আগাম ধারণা। ম্যাচশেষে কোচ বলেছিলেন, ‘(প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার) সবচেয়ে বড় উপকার হলো খাপ খাইয়ে নেওয়া। এখানে অনেক বাতাস থাকে। তাই কোন লাইন-লেংথে বোলিং করতে হবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে যেই লেংথে বোলিং করে, এখানে সেটা সমস্যা হয়।’
বোলারদের মতো ব্যাটারদেরও হয় দারুণ অভিজ্ঞতা। সে প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘ব্যাটাররা শটস খেলার ক্ষেত্রেও চিন্তা করে যে অনেক বড় মাঠ। তাই বাতাসের পক্ষে বা বাতাসের বিপক্ষে শট খেলা নিয়ে চিন্তা থাকে। এ জন্য অনেক কিছুই বুঝে নেওয়ার বিষয় ছিল। তাই প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলে খুব উপকার হয়েছে।’
প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ তোলে ৫ উইকেটে ১৮১ রান। ধারণা পাওয়া যায়, রানপ্রসবা উইকেটই হতে পারে টুর্নামেন্টে।
বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক দিক হতে পারে সোহানের দক্ষ নেতৃত্ব। এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বিপিএল, এনসিএল, ডিপিএলে নেতৃত্ব দিয়েছেনে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ এবার টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে।
আরও পড়ুন
ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংয়ে হেনরি |
![]() |
পাকিস্তান শাহিনসে আছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক মোহাম্মদ ইরফান খান, আহমেদ দানিয়াল, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রররা। সঙ্গে খাজা নাফে, উবাইদ শাহ, ফয়সাল আকরামদের মতো তরুণ্যের মিশ্রণ।
১৬ আগস্ট নেপাল, ১৭ আগস্ট পার্থ স্কর্চার্স, ১৯ অগাস্ট নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইক, ২১ আগস্ট মেলবোর্ন স্টার্স এবং ২৩ আগস্ট অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলবেন নুরুল হাসান সোহানরা।
বড় ইনিংস খেলতে যেন ভুলেই গেছেন বাবর আজম। প্রায় দুই বছর ধরে ওয়ানডে তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই কোনো সেঞ্চুরি নেই পাকিস্তানের তারকা ব্যাটারের। এর মাশুল দিয়ে প্রায় ৫ বছর পর র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দুইয়ের বাইরে চলে গেলেন বাবর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে ৪৭, ০ ও ৯ রান করে আউট হন বাবর। এই ব্যর্থতার কারণে আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ পিছিয়ে গেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
র্যাঙ্কিংয়ের সবশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, ৭৫১ রেটিং নিয়ে এখন তিন নম্বরে আছেন বাবর। প্রায় পাঁচ মাস ধরে কোনো ওয়ানডে না খেললেও, বাবরের ব্যর্থতায় এক ধাপ এগিয়ে দুই নম্বরে উঠে গেছেন রোহিত শর্মা (৭৫৬)।
আরও পড়ুন
ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংয়ে হেনরি |
![]() |
আর নিজের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের তরুণ ওপেনার শুবমান গিল (৭৮৪)।
২০২০ সালের নভেম্বরের পর এবারই প্রথম সেরা দুইয়ের বাইরে গেলেন বাবর। ওই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চমৎকার সিরিজ কাটিয়ে তিন নম্বর থেকে দুইয়ে উঠে যান তিনি। এরপর টানা প্রায় পাঁচ বছর সেরা দুইয়েই থাকেন বাবর। এর মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই তিনি ছিলেন শীর্ষে।
তবে র্যাঙ্কিংয়ে যে পতন আসবে বাবরের, সেটি বোঝাই যাচ্ছিল। কারণ গত দুই বছর ধরে ওয়ানডেতে কোনো সেঞ্চুরি নেই তার। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে নেপালের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
এরপর ৩০ ম্যাচের ২৯ ইনিংসে ৯টি ফিফটি করলেও কোনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি বাবর। সবশেষ পাঁচ ম্যাচে তার ফিফটি শুধু একটি। এই ৩০ ম্যাচে ৩৬.০৭ গড়ে বাবরের সংগ্রহ ৯৩৮ রান। অথচ তার ক্যারিয়ার গড় ৫৪-র বেশি।
নেপালের বিপক্ষে ওই সেঞ্চুরির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই আর সেঞ্চুরির স্বাদ পাননি ৩০ বছর বয়সী তারকা ব্যাটার। এই সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে খেলা ৭২ ইনিংসে বাবরের ফিফটি মাত্র ১৮টি। এছাড়া ১৭ ম্যাচে আউট হয়েছেন দশ রান করার আগেই।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং না বোলিং- কোনটি বেশি ভালো, উত্তর দিলেন সাকিব |
![]() |
সব মিলিয়ে ব্যর্থতার ধারা ক্রমেই বাড়ছে বাবরের। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়ায় সহসাই তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও পাবেন না। কেননা নিকট ভবিষ্যতে পাকিস্তানের কোনো ওয়ানডে বা টেস্ট সিরিজ নেই। তাই রানে ফিরতে কিছু দিন অপেক্ষাই করতে হবে বাবরের।
৬ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৯ দিন আগে
৩০ দিন আগে