
২৫৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম শেখ যোগ করেছিলেন ৫৫ রান। তবে মিরাজের আউটের পর মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ।
আরেক ওপেনার নাঈম শেখ অবশ্য তাঁর পুরো ইনিংস জুড়েই ভুগেছেন। এশিয়া কাপে টানা চার ম্যাচে সুযোগ পেয়েও কোন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আজও আউট হয়েছেন ৪৬ বল থেকে মাত্র ২১ রান করে।
আরও পড়ুন: সাকিব-মুশফিকের পর ফিরলেন হৃদয়ও
ওদিকে মিরাজ ২৯ বল থেকে খেলেছেন ২৮ রানের ইনিংস। দুই ওপেনার ফেরার পর দলের হাল ধরতে পারেননি লিটন দাস কিংবা সাকিব আল হাসানও। দুজনের প্যাভিলয়নে ফিরেছেন দলকে বিপদে ফেলে।
লিটন দাস আজ করতে পেরেছেন মোটে ১১ রান। ওদিকে সাকিব আল হাসান ৭ বল থেকে করেছেন তিন রান। ফলে মাত্র ৮৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এবার হৃদয়, মুশফিকের ব্যাটে চড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ।
No posts available.

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় যুব ওয়ানডেতে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল দিয়ে মাত্র ১৭৩ রানে থেমে গেল যুবাদের ইনিংস। ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান করেছিল আফগানিস্তান।
টানা বৃষ্টির কারণে পরিবর্তিত সূচিতে বগুড়ার বদলে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বুধবার তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল স্বাগতিক যুবারা। পরে ভেসে যায় দ্বিতীয় ওয়ানডে।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে তাই এখন ১-১ সমতা। একই মাঠে শুক্রবার হবে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে।
বুধবারের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন তিন নম্বরে নামা ফয়সাল খান শিনোজাদা। ১০৫ বলের ইনিংসে ১৪ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি।
এছাড়া পাঁচ নম্বরে নেমে ৫ চারে ৭৮ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহবুব খান।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আজিজুল হাকিম তামিম ও আল ফাহাদ।
রান তাড়ায় হতাশ করেন জাওয়াদ আবরার (২৪ বলে ২৫), রিফাত বেগ (২ বলে ০) ও আজিজুল হাকিম তামিম (৩২ বলে ৯)।
চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন কালাম সিদ্দিকি এলিন ও রিজান হোসেন। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৯৩ রানের জুটি। ৩ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মেরে ৫০ বলে ৫২ রান করে আউট হন রিজান। কালামের ব্যাট থেকে আসে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৭৯ বলে ৭১ রান।
শেষ দিকে আর কেউ দায়িত্ব নিতে না পারায় ৭৬ বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

‘হংকং সিক্সেসে’ সাত সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। এই টুর্নামেন্টে আফগানিস্তান দলকে নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব। দলে রয়েছে অভিজ্ঞ ও তরুণ্যের দারুণ মিশ্রণ।
নাইবের নেতৃত্বে দলে আছেন নূর রহমান (উইকেটকিপার), সেদিকউল্লাহ পাচা, ইজাজ আহমদজাই, ফরমানউল্লাহ সফি, শরফউদ্দিন আশরাফ ও করিম জানাত। করিম ও নাইম দুজনই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
টুর্নামেন্টে আফগানিস্তান পড়েছে ‘পুল–এ’-তে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী পরশু হংকংয়ের টিন কুং রোড রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে হবে ২০২৫ হংকং সিক্সেস। আফগানিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে নেপালের বিপক্ষে।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণ খেলোয়াড়দের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি রোমাঞ্চকরও। আফগানিস্তানের জন্য এটি এক মূল্যবান সুযোগ—যেখানে নবীনরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর পাশাপাশি অভিজ্ঞরা টি–টোয়েন্টির দক্ষতা শানিয়ে নিতে পারবেন।
হংকং সিক্সেসে আফগানিস্তান দল:
গুলবাদিন নাইব (অধিনায়ক), নূর রহমান (উইকেটকিপার), সেদিকউল্লাহ পাচা, ইজাজ আহমদজাই, ফরমানউল্লাহ সফি, শরফউদ্দিন আশরাফ ও করিম জানাত।

ওয়েস্ট
ইন্ডিজের সহজ জয়ের পথে হঠাৎ দেয়াল হয়ে গেলেন মিচেল স্যান্টনার। একের পর এক চার-ছক্কায়
উল্টো নিউ জিল্যান্ডের জয়ের আশা জাগালেন অধিনায়ক। তবে শেষ পর্যন্ত পারলেন না তিনি।
দারুণ জয়ে ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল ক্যারিবিয়ানরা।
অকল্যান্ডে
বুধবার নিউ জিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৬৫ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১০৭
রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। পরে স্যান্টনারের ঝড়ো ফিফটিতে জয়ের আশা জাগালেও
১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
টি-টোয়েন্টি
ফরম্যাটে এই প্রথম নিউ জিল্যান্ডের মাঠে মূল ম্যাচে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অকল্যান্ডে
২০০৮ সালে কিউইদের বিপক্ষে সুপার ওভারে জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। প্রায় দেড় যুগ পর আবার
টি-টোয়েন্টি জিতে মাঠ ছাড়ল তারা।
টস
হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। হতাশ করেন দুই ওপেনার
আলিক আথানেজ ও ব্রেন্ডন কিং। তিন নম্বরে নেমে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস
খেলেন অধিনায়ক শাই হোপ।
পরে
রস্টোন চেজ ২৭ বলে ২৮ ও রভম্যান পাওয়েল ২৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেললে কোনোমতে দেড়শ পার
করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিউ
জিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি ও জ্যাক ফোকস।
রান
তাড়ায় এক পর্যায়ে ৩ উইকেটে ৮৩ রান করে ফেলেছিল নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু এরপর হঠাৎ ধসে
মাত্র ২৪ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
সেখান
থেকে দশম উইকেটে একাই লড়াই করেন স্যান্টনার। ডাফির সঙ্গে মাত্র ২০ বলে গড়েন ৫০ রানের
জুটি। ৮ চারের সঙ্গে ২ ছক্কায় ২৮ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক।
কিন্তু ম্যাচ জেতাতে পারেননি।
ক্যারিবিয়ানদের
পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন চেজ ও জেডেন সিলস।
একই
মাঠে আগামীকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লড়বে দুই দল।
সংক্ষিপ্ত
স্কোর:
ওয়েস্ট
ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৪/৬
(কিং ৩, আথানেজ ১৬, হোপ ৫৩, ওগিস ২, চেইস ২৮, পাওয়েল ৩৩, হোল্ডার ৫, শেফার্ড ৯; ডাফি
৪-০-১৯-২, জেমিসন ৪-০-৩০-১, ফোকস ৪-০-৩৫-২, নিশাম ৩-০-২৩-১, স্যান্টনার ৪-০-৪০-০, রাভিন্দ্রা
১-০-১১-০)
নিউ
জিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৫৭/৯ (রবিনসন
২৭, কনওয়ে ১৩, রাভিন্দ্রা ২১, চ্যাপম্যান ৭, মিচেল ১৩, ব্রেসওয়েল ১, নিশাম ১১, স্যান্টনার
৫৫*, ফোকস ১, জেমিসন ২, ডাফি ১*; সিলস ৪-০-৩২-৩, ফোর্ড ৪-০-৩২-১, হোল্ডার ৪-০-৩৫-০,
শেফার্ড ৩-০-২৬-১, চেইস ৪-০-২৬-৩, আকিল ১-০-৪-১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ রানে জয়ী

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলগত ফলে হোয়াইটওয়াশ হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। এর পুরস্কার তিনি পেলেন আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে। ব্যাটারদের তালিকায় ২০ ধাপ এগোলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার।
ছেলেদের ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ যথারীতি বুধবার প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। তামিম ছাড়াও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে শেখ মেহেদি হাসান, তানজিম হাসান সাকিবদের। বাকিদের হয়েছে অবনতি।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ বলে ৬১ ও শেষটিতে ৬২ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। এর সৌজন্যে ৬৩৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ২০ ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠেছেন ২৫ ছুঁইছুঁই ওপেনার।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই তার সেরা রেটিং ও র্যাঙ্কিং।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের আরও কারও অবশ্য সুখবর নেই। ৯ ধাপ পিছিয়ে ২৯ নম্বরে নেমে গেছেন সাইফ হাসান। ৪৪ নম্বরে অনড় লিটন কুমার দাস। এছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন ৪ ধাপ, জাকের আলি অনিক ২ ধাপ পিছিয়েছেন।
ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের অভিষেক শর্মা। সেরা দশে নেই কোনো পরিবর্তন।
বোলারদের তালিকায় ৬ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ১৭ নম্বরে উঠেছেন শেখ মেহেদি হাসান। ৩ ধাপ এগিয়ে ৩৪ নম্বরে উঠেছেন তানজিম হাসান সাকিব।
এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ১ ধাপ পিছিয়ে ১২ নম্বরে, রিশাদ হোসেন ২ ধাপ পিছিয়ে ২৬ নম্বরে, নাসুম আহমেদ ১ ধাপ পিছিয়ে ৩০ নম্বরে, তাসকিন আহমেদ ৫ ধাপ পিছিয়ে ৪৫ নম্বরে ও শরিফুল ইসলাম ৫ ধাপ পিছিয়ে ৫০ নম্বরে নেমে গেছেন।
বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে যথারীতি বরুণ চক্রর্বতী।

আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আবু ধাবি টি-টেন লিগের নবম আসর। বল মাঠে গড়ানোর শেষ দিকে আগে স্কোয়াড গোছানোয় ব্যস্ত দলগুলো।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে দিল্লি বুলস। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তাদের অফিসিয়াল সামাজিক মাধ্যমে এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ‘তরুণ পেসার উবায়েদ শাহ এবং অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ইফতিখার আহমেদ এবার দলের অংশ হচ্ছেন।’
উবায়েদ শাহ এবারই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ১৯ বছর বয়সী এই পেসার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) মুলতান সুলতানসের হয়ে ১১ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন। দারুণ প্রতিভা আর পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখানোর পুরষ্কার পেলেন উবায়েদ শাহ।
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬৬টি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ১২৯ স্ট্রাইক রেটে চার ফিফটিতে = ৯৯৮ রান করেছেন ৩৫ বছর বয়সী ডান হাতি ব্যাটার। এর আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবং লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) এ খেলার অভিজ্ঞতা আছে ইফতিখারের।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত খেলোয়াড় ড্রাফটে দিল্লি বুলস দলে নিয়েছিল পেসার পাকিস্তানের সালমান ইর্শাদ ও মীর হামজাকে। একই ড্রাফটে ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স দলে নেয় আলি রেজা ও রহস্যময় স্পিনার উসমান তারিককে। আলি রেজা গত আসরে পেশাওয়ার জালমির হয়ে ৯ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন। আর বাঁহাতি পেসার মীর হামজা ছয় মৌসুমে করাচি কিংস ও পেশাওয়ার জালমির হয়ে ২৯ ম্যাচে ৩৩ উইকেট শিকার করেছেন।
পাকিস্তানের আরেক বাঁহাতি পেসার আকিফ জাভেদও প্রস্তুত হচ্ছেন তাঁর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জন্য। স্পিনার উসমান তারিকও এবার তাঁর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ–এ ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে ১০ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন উসমান। এছাড়া, আজমান টাইটান্সের হয়ে খেলবেন পাকিস্তানের জামান খান, আসিফ আলি ও আকিফ জাভেদ।