৮ জুন ২০২৪, ৪:২৬ পিএম

মাত্র তিন উইকেটে শ্রীলঙ্কা যখন ১০০ রান করে ফেলেছিল, বাংলাদেশকে বড় একটা টার্গেট দেওয়ার দিকেই চোখ ছিল রানেরই। তবে মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সামনে মামুলি স্কোরই গড়তে পারে লঙ্কানরা। রান তাড়ায় শুরুটা মোটেও আশাব্যঞ্জক না হলেও তাওহীদ হৃদয়ের ক্যামিওতে জয়ের পথ সুগম হয় নাজমুল হাসান শান্তর দলের। তবে আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ে হারের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল বেশ। তবে মাহমুদউল্লাহর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এক ক্যামিওতে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হল বাংলাদেশের।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছে ২ উইকেটের জয়। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেট তারা স্পর্শ করেছে ৬ বল হাতে রেখেই।
এক ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে তিনে এখন বাংলাদেশ। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান-রেটে এগিয়ে প্রথম দুই আছে যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস। টানা দুই পরাজয়ে গ্রুপের তলানিতে শ্রীলঙ্কা। চারে আছে এক ম্যাচ হারা নেপাল।
আরও পড়ুন: ‘সাকিব আল হাসান মানেই কিংবদন্তি’
চোটের কারণে এই ম্যাচের জন্য ফিট হতে পারেননি শরীফুল ইসলাম। তবে চোট কাটিয়ে দলে ফেরেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। তানজিম হাসান সাকিবের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে চার মেরে আগ্রাসনের ইঙ্গিত দেন পথুম নিশাঙ্কা। তাসকিনকে কুশাল মেন্ডিস আক্রমণে স্বাগত জানান টানা দুই বাউন্ডারিতে। তবে শেষ হাসি হাসেন বোলারই।
অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান কুশাল। ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই চার মেরে দেন কামিন্দু মেন্ডিস। পঞ্চম ওভারটি করেন সাকিব আল হাসাব, ব্যাটার নিশাঙ্কা চড়াও হন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারের ওপর। চারটি চারে তুলে নেন ১৬ রান। আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ৪ রান করা কামিন্দুকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশের চিন্তার কারণ হয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলে ফিফটির দিকেই যাচ্ছিলেন নিশাঙ্কা। আবারও দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হন মুস্তাফিজুর। তার কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ তুলে দেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তার আগে মাত্র ২৭ বলে করেন ৪৮ রান। চাপ বজায় রেখে এর পরের কয়েকটি ওভারে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের সেভাবে রান বাড়ানোর সুযোগ দেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
১৫তম ওভারের ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ওভারটা করেন রিশাদ। তরুণ এই লেগ স্পিনার প্রথমে ফেরান চরিথ আসালাঙ্কাকে। পরের বলেই আবার আঘাত। এবার তার শিকার হন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে এরপর সেভাবে রানই তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।

তাতে ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১২৪। ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর, আর ২২ রানে সমানসংখ্যক উইকেট নেন রিশাদ।
এমন একটা টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাংলাদেশকে দুশ্চিন্তায় ফেলে প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগে দ্বিতীয় ওভারে নুয়ান থুসারার প্রথম শিকারে পরিণত হন তানজিদ হাসান তামিম। বোল্ড হন মাত্র ৩ রানে।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে রানের গতি কমে যায় বাংলাদেশের। অধিনায়ক শান্ত ব্যর্থ হন বিপদে দলকে পথ দেখাতে। ইনিংসের শুরু থেকেই সংগ্রাম করার পর ১৩ বলে মাত্র ৭ রানে থামে তার পথচলা। অন্যপ্রান্তে লিটন দাস ব্যাট করছিলেন ১০০ স্ট্রাইক রেটে। তবে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত তাওহীদ ব্যাটিং করেন স্বাভাবিক মেজাজেই। তাতে সচল হয় রানের চাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথ ও সুপার এইট সমীকরণের মারপ্যাঁচ
শুরুটা করেন হাসারাঙ্গাকে স্লগ সুইপে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে। এরপর লিটনও মাথিশা পাথিরানাকে ছক্কা মারেন। তবে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে হেলে পরে মূলত ১২তম ওভারে। প্রথম তিন বলে হাসারাঙ্গাকে হ্যাটট্রিক ছক্কা মেরে বল ও রানের ব্যবধান একেবারেই কমিয়ে ফেলেন তাওহীদ। তবে অতি-আগ্রাসী হতে গিয়ে আরেকটি বড় শট মারার প্রয়াসে সেই ওভারেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তরুণ এই ব্যাটার। তবে তার আগে কাজের কাজটা করে দেন। ৬টি ছক্কা ও এক চারে মাত্র ২০ বলে করেন ৪০ রান।
এই উইকেটের পর ম্যাচে ফিরে আসে শ্রীলঙ্কা। ৩৮ বলে ৩৬ রানে শেষ হয় লিটনের ইনিংস। দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর ওপর ম্যাচ শেষের প্রত্যাশা থাকলেও শুরুতে তারা রান করতে ভোগেন। বিশেষ করে সাকিব, পাথিরানার বলে আপার কাট করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে খেলেন ১৪ বলে ৮ রানের ইনিংস, যা চাপ আরও বাড়িয়ে দেয় দলকে।
ম্যাচে দারুণ বোলিং করা থুসারা পরপর দুই বলে রিশাদ ও তাসকিন আহমেদকে ফিরিয়ে রোমাঞ্চ বাড়িয়ে দেন। প্রতিটি বলেই তাতে ছড়ায় উত্তেজনা। তবে ১৯তম ওভারের প্রথম বলে দাসুন শানাকাকে ছক্কা মেরে সব রোমাঞ্চের ইতি টানা মাহমুদউল্লার ব্যাট থেকেই পরে আসে ম্যাচ জেতানো রান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ১৬ রানে, আর তানজিম সাকিব ১ রানে। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন থুসারা।
No posts available.
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১১ পিএম
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:১৬ পিএম

অসুস্থতার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি থেকে ছিটকে গেছেন অক্ষর প্যাটেল। তাঁর জায়গায় দলে ডাক পড়েছে আরেক স্পিন অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদের।
আজ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বিসিসিআই উল্লেখ করেছে, লখনৌতে রয়েছেন প্যাটেল। যেখানে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি। অসুস্থতার কারণে এবং কিছু পরীক্ষা বাকি থাকায় প্যাটেল চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না।
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন না জসপ্রিত বুমরাহ। ব্যক্তিগত কারণে অনুপস্থিত ছিলেন ভারতীয় পেসার। তবে চতুর্থ ম্যাচে তাঁকে মাঠে দেখা যাবে। প্যাটেল ও বুমরাহর স্থলে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন কুলদীপ যাদব ও হর্ষিত রানা।
নতুন অর্ন্তভুক্ত হওয়া শাহবাজ ভারতের জার্সিতে তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে তিনি এশিয়ান গেমসে খেলেছিলেন। বর্তমানে তিনি সায়েদ মুস্তাক আলী ট্রফিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন। তবে হঠাৎ দলে ডাক পেয়েছেন তিনি।
চতুর্থ ও পঞ্চম টি টোয়েন্টির জন্য ভারত দল: সূর্যকুমার যাদব (ক্যাপ্টেন), শুবমন গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবম দুবে, জিতেশ শর্মা (উইকেটকিপার), সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), জসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী, আরশদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, ওয়াশিংটন সুন্দর ও শাহবাজ আহমেদ।

শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার জিততে প্রয়োজন ৮ রান। বাকি আছে ২ উইকেট। পরপর দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে দিলেন চামিকা হিনাটিগালা। পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেল আফগানিস্তান আর বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সেমি-ফাইনালে উঠে গেল শ্রীলঙ্কা।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে সোমবার আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাদের এই জয়ে নিশ্চিত হয়েছে 'বি' গ্রুপের দুই সেমি-ফাইনালিস্ট দল। বাংলাদেশের পাশাপাশি সেরা চারে উঠেছে লঙ্কানরাও।
গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচে দুটি করে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচই হেরে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে আফগানিস্তান ও নেপালের। তাই গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে নির্ধারিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দল।
সোমবারের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৩৫ রানে অল আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। সাতজন ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করলেও একজনের বেশি ফিফটি করতে পারেননি। দলের সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ওসমান সাদাত।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন সেথমিকা সেনেবিরত্নে ও দুলনিথ সিগেরা। এছাড়া হিনাটিগালা ও রাসিথ নিমসারা পান ২টি করে উইকেট।
পরে রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন বিরান সামুদিথা। আর শেষ দিকে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন হিনাটিগালা। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
একই মাঠে বুধবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লড়বে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

ব্রিসবেন হিটকে নতুন উচ্চতায় তোলার বার্তা নিয়ে বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগ শুরুর কথা বলেছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু অভিষেক ম্যাচে তিনি দেখলেন ঠিক এর বিপরীত। অস্ট্রেলিয়ার লিগে ভুলে যাওয়ার মতোই এক অভিষেক হয়েছে পাকিস্তানি পেসারের।
জিলংয়ে সোমবার মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে ব্রিসবেনের হয়ে বিগ ব্যাশে পথচলা শুরু করেন আফ্রিদি। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই তাকে পুরো ৪ ওভার বোলিং করাতে পারেনি ব্রিসবেন। কারণ একাধিক 'বিমার' (কোমর-উচ্চতার নো বল) করায় তৃতীয় ওভারেই আফ্রিদির বোলিং নিষিদ্ধ করে দেন আম্পায়াররা।
যেটুকু বোলিং করেছেন, তাতেও বেশ খরুচে ছিলেন আফ্রিদি। ২.৪ ওভারে ৪ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা খেয়ে ৪৩ রান দিয়েছেন তিনি। বিপরীতে পাননি কোনো উইকেট। ১৬টি বৈধ ডেলিভারি করার পথে ২ ওয়াইড ও ৩টি নো বল করেছেন আফ্রিদি।
এদিন দ্বিতীয় ওভারে প্রথম আক্রমণে আনা হয় আফ্রিদিকে। একটি ওয়াইড বলসহ মোট ৯ রান দেন তিনি। পরে ১৩তম ওভারে আবার আক্রমণে এসে দুই চার ও এক ছক্কা হজম করে ১৯ রান দেন ২৫ বছর বয়সী পেসার।
১৮তম ওভারে আবার বোলিংয়ে আসেন আফ্রিদি। প্রথম বলে ছক্কা হজম করেন তিনি। তৃতীয় ডেলিভারি আফ্রিদি করেন কোমর উচ্চতার নো বল। ফ্রি হিটে কোনো বাউন্ডারি দেননি। তবে পরের বল আবার করেন নো বল।
এবারও ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেনি মেলবোর্নের ব্যাটাররা। পরের ডেলিভারি আবার কোমর উচ্চতার নো বল করলে আম্পায়াররা থামিয়ে দেন আফ্রিদিকে। যে কারণে ওভারের দুই বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় তার স্পেল।
ওই ওভারে ৪ বলেই ১৫ রান দিয়ে ফেলেন আফ্রিদি। সব মিলিয়ে ১৬টি বৈধ ডেলিভারিতে ৪৩ রান দিয়ে শেষ হয় আফ্রিদির অভিষেক।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের পেস বিভাগের নেতা তাসকিন আহমেদ। গতির ঝড় ও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলেছেন তিনি। এবার তার কাছে আরও বড় চাওয়া জানিয়ে রাখলেন শোয়েব আখতার।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের ১২তম মৌসুম। এবারের টুর্নামেন্টে ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শোয়েব। রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে সোমবার হয় চুক্তিসাক্ষর অনুষ্ঠান।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে শোয়েব আখতার বলেন, এবারের বিপিএলে তাসকিনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারিটি দেখতে চান তিনি।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিমি. প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ডেলিভারি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন শোয়েব আখতার। সেই রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ণ। এবার বিপিএলে তাসকিনের কাছে সেই রেকর্ড ভাঙার আবদার করে রাখেন পাকিস্তানের গতি তারকা।
“আমি চাই তাসকিন আমার গতির রেকর্ড ভেঙে দিক।”
এবার দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন শোয়েব আখতার। বিপিএল শুরু হলে আবারও দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। এই দফায় বাংলাদেশে এসে নিজের ভালো লাগার কথা বললেন শোয়েব।
“আমি এই দেশকে অনেক ভালোবাসি। অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। তবে এখানে আসা হচ্ছিল না। বাংলাদেশের ব্যাপারে আমার ভালোবাসা সবাই জানে। আর বাংলাদেশও আমাকে কতটা ভালোবাসে সেটিও আমি জীবনভর দেখেছি। তাই অনেক ধন্যবাদ। এখানে এসে আমি সত্যিই খুশি।”

আফগানিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া জয়ের পর নেপালের সঙ্গে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে মোহাম্মদ সবুজ, সাদ ইসলামদের চমৎকার বোলিংয়ের পর জাওয়াদ আবরারের ঝড়ো ফিফটিতে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে রোববার আগে ব্যাট করতে নামা নেপালকে মাত্র ১৩০ রানে অল আউট করে দেয় বাংলাদেশ। পরে জাওয়াদের ঝড়ে ১৫১ বল বাকি থাকতে জিতে যায় তারা।
যুব এশিয়া কাপে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের মিশনে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। রোববার আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। অন্যথায় সুযোগ থাকবে পরের ম্যাচ খেলে শেষ চার নিশ্চিত করার।
নেপালের বিপক্ষে রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। মাত্র ২৯ রানে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান রিফাত বেগ (৫) ও আজিজুল হাকিম তামিম (১)।
তবে বিপদ আর বাড়তে দেননি জাওয়াদ ও কালাম সিদ্দিকি এলিন। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১১৫ বলে ৯২ রানের জুটি। ৬৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন কালাম।
আরও পড়ুন
| বদলে যেতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের সূচি |
|
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৮ বলে ৭০ রান করেন আগের ম্যাচে ৯৬ রান করা জাওয়াদ। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা নেপালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আট নম্বরে নামা অভিষেক তিওয়ারি। আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সবুজ। এছাড়া সাদ, শাহরিয়ার আহমেদ ও তামিম নেন ২টি করে উইকেট।
বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।