টানা তিন পরাজয়। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এতোটা খারাপ সময় কবে কাটিয়েছে সেটা খুঁজে পেতে বেগ পাওয়ারই কথা। প্রায় দুই দশকের বেশি সময় পর ব্রাজিল দলকে পড়তে হয়েছে এমন লজ্জায়। তবে সময়টা খারাপ গেলেও ব্রাজিল বস ফের্নান্দো দিনিজের চোখে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলের পারফরম্যান্স নিকট অতীতের সেরা।
বিশ্বকাপের বাছাইয়ে নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো সেলেসাওদের হারের স্বাদ দিয়েছে মেসিরা। সেই সাথে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচে কোন গোল না পাওয়ার যন্ত্রণা তো আছেই। সব পরিসংখ্যান ব্রাজিলের বিপক্ষে গেলেও ব্রাজিল কোচের মতে দল হিসেবে ব্রাজিলের পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না।
“এটা সেরা পারফর্মেন্স কি না, বলা মুশকিল। বলিভিয়ার বিপক্ষে দল খুব ভালো খেলেছিল। কিন্তু আপনি যদি দ্বৈরথের কথা ভাবেন, আর্জেন্টিনা দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে এসেছে। তারা গত বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর এই ম্যাচে যা হয়েছে, সব যদি আপনি বিবেচনায় নেন, তবে এটা আমাদের সেরা পারফরম্যান্স না হলেও সেরা পারফরম্যান্সগুলোর একটি।“
তবে দিনিজ ব্রাজিলের পারফরম্যান্সকে সেরা মানলেও সমর্থকরা যে তা মানছেন না ম্যাচ শেষেই তা বুঝা গেছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হারার পর সমর্থকেরা দুয়ো দিয়েছেন দিনিজকে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ট্রলের শিকার হচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান এই কোচ। যদিও এসবকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন তিনি,
“সমর্থকদের যা খুশি, করার অধিকার আছে। আমাদের কাজ নিজেদের সেরাটা দেওয়া। সমর্থকরা আবেগপ্রবণ এবং তারা জিততে চায়। তাই তাদের দুয়ো দেওয়ার অধিকারও আছে। তারা চায়, আমরা ভালো খেলি এবং জিতে আসি। আমার ধারণা, দল ভালো খেলেছে, কিন্তু জিততে পারিনি। আর দল হারলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক।“
এখন পর্যন্ত লাতিন আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল ম্যাচ খেলেছে ছয়টা। যার মধ্যে তিনটিতেই দেখেছে হারের মুখ। এমন ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে দল পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাওয়াটাকেই দায়ী করছেন দিনিজ,
“ দল পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দলের বেশির ভাগই তুরুণ প্লেয়ার। তাই এদের ওপর ভরসা রাখতে হবে। এরাইতো আমাদের ভবিষ্যৎ। সময়ের সাথে সাথে তারা নিজেদের খেলায় উন্নতি করবে।“
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে
রিয়াল মাদ্রিদ আর চোট যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে এই মৌসুমে৷ লম্বা সেই তালিকায় শনিবার ওসাসুনার বিপক্ষে যোগ হয়েছে এদের মিলিতাওয়ের। ক্লাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বলেও ধারণা করা হচ্ছে যে, এসিএল চোটে পড়েছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এবং শেষ হয়ে গেছে তার এই মৌসুম।
লা লিগার ম্যাচটির ৩০তম মিনিটে চোট পেয়ে লুটিয়ে পড়েন মিলিতাও। আঘাত এতোটাই গুরুতর যে, তাকে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় স্ট্রেচারে করে। ওই সময়ে হতাশায় জার্সি দিয়ে চোখের জলে মুখ ঢেকে রাখেন অভিজ্ঞ এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন
আরও লম্বা সময়ের জন্য রিয়ালের জার্সিতেই মিলিতাও |
স্প্যানিশ কিছু সংবাদমাধ্যম ও জনপ্রিয় সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমারো দাবি, এই চোট গুরুতর এবং এই মৌসুমে আর মাঠে দেখা যাবে না মিলিতাওকে।
আর ম্যাচের পর রিয়াল মাদ্রিদ টিভির সাথে কথা বলার সময় ব্রাহিম দিয়াস আভাস দেন মিলিতাওয়ের গুরুতর চোটের। “আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না, কারণ সতীর্থদের কাঁদতে দেখলে আমার কষ্ট হয়। মনে হচ্ছে এটা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গুরুতর হতে পারে। আমরা তাকে মিস করব।”
এসিএল চোট গত বছর থেকেই বেশ ভোগাচ্ছে রিয়ালের খেলোয়াড়দের। গত বছর হাঁটুতে চোট পাওয়া সেন্টার-ব্যাক ডেভিড আলাবা এখনও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি। আরেক ডিফেন্ডার দানি কারভাহালও এসিএল চোটে ছিটকে গেছেন এই মৌসুম থেকে। গেল মৌসুম একই চোট পেয়েছিলেন মিলিতাও।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুসের হ্যাটট্রিকে এক ম্যাচে ৩ চোটের ধাক্কা সামলে বড় জয় রিয়ালের |
এছাড়া গত মৌসুমের এসিএল চোট কাটিয়ে ফেরা গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া নতুন চোটে এখন আছেন মাঠের বাইরে। তিনি ও চোট আক্রান্ত মিডফিল্ডার অহেলিয়া চুয়ামেনির ডিসেম্বরের আগে মাঠে ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম।
৯ নভেম্বর ২০২৪, ৯:০৮ পিএম
ওসাসুনার বিপক্ষে প্রথমার্ধটা রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের জন্য কাটল অম্লমধুর এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। এক দিকে গোল করছে দল, আর অন্যদিকে একের পর এক চোটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা। তাতে শক্তি অনেকটাই কমে গেলেও বিরতির পরও দাপুটে ফুটবলই খেলল কার্লো আনচেলত্তির দল। হ্যাটট্রিক করলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাতে শেষ দুই ম্যাচে বিশাল দুটি পরাজয়ের পর রিয়াল পেল স্বস্তির এক জয়।
লা লিগার শনিবাররে ম্যাচে রিয়াল জিতেছে ৪-০ গোলে। ভিনিসিয়ুস বাদে জালের দেখা পেয়েছেন মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। এর মধ্য দিয়ে ঘরের মাঠে শেষ দুই ম্যাচে বার্সেলোনা ও এসি মিলানের কাছে শেষ দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৪-০ ও ৩-১ ব্যবধানে হারের ধাক্কা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠেছে স্প্যানিশ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
আরও পড়ুন
রিয়ালের রেকর্ড নাকি বার্সার চমক? |
পুরো ম্যাচেই বজায় ছিল একতরফা আধিপাত্য। ম্যাচে গোলের জন্য ১৮টি শট নিয়ে আনচেলত্তির দল লক্ষ্যে রাখতে পারে ৮টি। বিপরীতে গোলের জন্য ওসাসুনা নিতে পারে মাত্র দুটি শট, সেগুলোও থাকেনি লক্ষ্যে।
এই মৌসুমে রিয়ালে যোগ দেওয়া কিলিয়ান এমবাপে কয়েক ম্যাচ ধরেই আছেন নিজের ছায়া হয়ে। এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। ১৩তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম বলার মত আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনিই। তবে ফরাসি তারকার বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শট ব্লক করে দেন ওসাসুনার এক ডিফেন্ডার।
সাত মিনিট পর রিয়ালকে চিন্তায় ফেলে মুখ ঢেকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন উইঙ্গার রদ্রিগো। ৩০তম মিনিটে ফের চোটের হানা। এবার হাঁটুতে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় ডিফেন্ডার এদের মিলিতাওকে। এর চার মিনিট পর লিড পায় মাদ্রিদের ক্লাবটি। বক্সের ভেতর বেলিংহামের পাস থেকে ডান পায়ের শটে বাঁদিক থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন ভিনিসিয়ুস।
আরও পড়ুন
আনচেলত্তির ‘ভয়ে’ রিয়ালের ট্রেনিং-এ যাচ্ছেন না ক্রুস |
৪২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান বেলিংহাম। অভিষিক্ত রাউল আসেনসিওর কাছ থেকে বক্সের মাঝামাঝি জায়গা থেকে বল জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন ইংলিশ তারকা। এই মৌসুমে এটি তার প্রথম গোল। বিরতির পর চোটের শিকার ডিফেন্ডার লুকাস ভাসকেসের বদলি হিসেবে নামেন মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ।
৬১তম মিনিটে দ্রুততার সাথে পাল্টা আক্রমণে ওসাসুনাকে চমকে দেয় রিয়াল। গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিনের লম্বা করে বাড়ানো বল পেয়ে এগিয়ে যান ভিনিসিয়ুস। গতিতে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ছয় গজ থেকে নেওয়া শটে স্কোরলাইন ৪-০ করে ফেলেন ব্যালন ডি’অরের এবারের রানার্সআপ। এই মৌসুমে লা লিগায় ১২ ম্যাচে ৮ গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস।
আট মিনিট পর ফের ওসাসুনার জালে বল। আরও একবার গোলদাতা সেই ভিনিসিয়ুস। অ্যাসিস্ট করেন মরোক্কান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্রাহিম দিয়াস।
বাকি সময়ে আরও কিছু আক্রমণ শানালেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি রিয়াল।
আরও পড়ুন
‘ভিনিসিয়ুসের উদযাপনে বিব্রত রিয়ালের সমর্থকরাও’ |
এই জয়ের মাধ্যমে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে বার্সেলোনার সাথে ব্যবধান কমিয়ে এনেছে ভিনিসিয়ুস-এমবাপেরা। ১২ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ২৭, আর শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার ৩৩।