শুরুটা ভালো না হলেও শেষটা খুব একটা খারাপ হয়নি নেদারল্যান্ডসের। দুই লোয়ার অর্ডারের কল্যাণে শ্রীলঙ্কাকে ২৬৩ রানের টার্গেট দিয়েছে ডাচরা।
টস জিতে কোন দ্বিধা ছাড়াই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তবে অধিনায়কের সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি ডাচ ব্যাটাররা। ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই উইকেটের দেখা পায় শ্রীলঙ্কা। কাসুন রাজিথার বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন নেদারল্যান্ডসের ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং।
এরপর অবশ্য ম্যাক্স ও’ডাউড এবং কোলিন অ্যাকারম্যানের ৪১ রানের জুটিতে শুরুর চাপটা সামলে উঠেন ডাচরা। দু’জনের জুটি ভাঙেন রাজিথা। নিজের পঞ্চম ওভারে এসে তুলে নেন ও’ডাউডের উইকেট।
আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট বোলার টার্গেট করেই সফল ওয়ার্নার
এরপর নেদারল্যান্ডস ব্যাটারদের শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। লঙ্কান বোলারদের সামনে অনেকটা দিশেহারাই হয়ে উঠেন ডাচ ব্যাটাররা। ২৩ রানের মধ্যে হারিয়ে বসে আরও তিনটি উইকেট। মাঝে অধিনায়ক এডওয়ার্ডস আসা জাগালেও আজ আর পারলেন না। থামতে হয়েছে থিকশানার কাছে। ফেরার আগে করেছেন ১৬ বলে ১৬ রান।
৯১ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারানো ডাচদের অল আউট হওয়া যখন অনেকটা সময়ের ব্যপার ছিলো তখনই তাদের ম্যাচে ফেরান সাইব্র্যান্ড এনজেলব্রাখ এবং লোগান ভ্যান বিক। অর্ধশতক তুলে নেন দুজনই। তাদের ১৩০ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। আউট হওয়ার আগে সাইব্র্যান্ড এনজেলব্রাখ খেলেন ৮২ বলে ৭০ রানের অসাধারণ ইনিংস। লোগান ভ্যান বিকের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ চার’টি করে উইকেট গিয়েছে কাসুন রাজিথা এবং দিলশান মাদুশাঙ্কা পকেটে। একটি উইকেট পেয়েছেন মাহিশ থিকশানা।
No posts available.
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২:৩৯ পিএম
আইসিসির সব সদস্য দেশকে টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস দিয়ে দেওয়ার পর থেকে নিয়মিতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায় অদ্ভুত সব রেকর্ড আর কীর্তি। তেমনই এক অনন্য রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন ভানুয়াতু নারী দলের অধিনায়ক রাচেল অ্যান্ড্রু।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইয়ে মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে একই ম্যাচে ফিফটি ও হ্যাটট্রিক করেছেন রাচেল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কদের মধ্যে এটিই প্রথম ফিফটি ও হ্যাটট্রিকের ঘটনা।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপের আগে ধোঁয়াশায় ভারত |
![]() |
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ৭১ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রাচেল। পরে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে নেন ৩ উইকেট। ইন্দোনেশিয়ার ইনিংসে ১৯তম ওভারে পরপর তিন বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ভানুয়াতু অধিনায়ক।
রাচেলের ইতিহাস গড়া পারফরম্যান্সের পর ৭ রানে ম্যাচ জিতে বাছাইয়ে যাত্রা শুরু করে ভানুয়াতু।
সব মিলিয়ে একই ম্যাচে ফিফটি ও হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার রাচেল। চলতি বছরের শুরুর দিকে ফ্রান্সের বিপক্ষে এক ম্যাচে তারই সতীর্থ সেলিনা সোলমান ফিফটি ও হ্যাটট্রিকের প্রথম কীর্তি গড়েন।
ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫৬ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে কোনো রান খরচ না করেই ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সোলমান।
আরও পড়ুন
শেষ ম্যাচ খেলার ৬ বছর পর পাকিস্তানি পেসারের অবসর |
![]() |
ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে যাত্রা শুরুর পর বাছাইয়ে 'বি' গ্রুপের দুই নম্বরে অবস্থান করছে ভানুয়ারু। সবার ওপরে রয়েছে স্বাগতিক ফিজি।
আট দলের বাছাইপর্ব থেকে শীর্ষে থাকা দল পাবে বৈশ্বিক বাছাইপর্বের টিকেট। যেখানে এরই মধ্যে ঠিক হয়েছে বাকি ৯ দল- বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র।
এশিয়া কাপ আসে, যায়। লিপিবদ্ধ হয় অজস্র রেকর্ড-গল্প আর সুখ-দুখের কল্পকাহিনি। ১৬শ শতাব্দীতে মাঠে গড়ানো ক্রিকেট ধারে-ভারে-ঐতিহ্যে এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। ব্যাট-বলের ময়দানি লড়াই আরও চিত্তাকর্ষক করে তুলতে বদলে ফেলা হয়েছে এর ফরম্যাট। যার আধুনিকতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টি ও টি-টেন। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় শুরু হচ্ছে আট জাতির টুর্নামেন্টের ১৭তম আসর। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে আফগানিস্তান-হংকং। আগামীকাল (বুধবার) একই সময়ে আসরের অন্যতম ফেভারিট ভারতের সঙ্গে খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করা এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি (৮ বার) শিরোপাজয়ী দল ভারত। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যান ইন ব্লুজরা এবার পড়েছে ‘এ’ গ্রুপে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ছাড়াও সূর্যকুমার যাদবদের গ্রুপে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব-আমিরাত। আগামীকাল স্বাগতিক আরব আমিরাতের ম্যাচের আগে দলের একাদশ, বিশেষ করে বোলিং-ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে কথা বলেছেন দলের বোলিং কোচ মর্নে মরকেল। যদিও মোহাম্মদ ওয়াসিমদের বিপক্ষে কেমন একাদশে হতে পারে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দেননি সাবেক প্রোটিয়া এই তারকা পেসার।
আরও পড়ুন
স্টোকসকে নিয়ে সুসংবাদ পেল ইংল্যান্ড |
![]() |
দুবাইয়ে সবশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চারজন স্পিনার নিয়ে আক্রমণভাগ সাজিয়েছিল ভারত। মরকেল মনে করেন, এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। কন্ডিশন বিবেচনায় এবার তাদের ভিন্ন পরিকল্পনায় এগোতে হতে পারে। তিনি বলেন, ‘দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট আবারও দেখতে হবে। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় এখানে অনেক ম্যাচ হয়েছে। আমার মনে হয়, ক্রিকেট কিছুটা সারফেস হারিয়েছে। ক্লান্ত বলা যেতে পারে।’
তিনি যোগ করেন, ‘সবকিছু বিবেচনায় আমরা রাতের দিকে আরেকবার উইকেট দেখব। আমার ধারণা, উইকেটে ঘাস রয়েছে। ফলে, প্রথম ম্যাচে নামার আগে আমরা বুঝে নিতে পারব কোন কৌশল সবচেয়ে ভালো কাযকর হবে। তবে আপাতত আমরা সব ধরনের বিকল্পের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং ম্যাচের দিন সকালে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
যদি ভারত অতিরিক্ত একজন পেসার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তবে নতুন বলে জাসপ্রিত বুমরাহর সঙ্গী হতে পারেন আর্শদীপ। একই সঙ্গে, তরুণ পেসার হার্ষিত রানা ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া—এই দুইজনও পেস আক্রমণের অংশ হতে পারেন। আর ভারতের ভাণ্ডারে রয়েছে একাধিক স্পিনার। বরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব—এই তিনজন প্রথম ম্যাচে কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেয়।
স্পিন বিভাগ, বিশেষ করে কুলদ্বীপকে বেশ আশাবাদী কোচ মরকেল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, কুলদ্বীপ বেশ প্রফেশনাল। ইংল্যান্ড সফরে সে তার সর্বোচ্চটা দেখিয়েছে। তাছাড়া কুলদীপ তার ক্যারিয়ারে অনেক ওভার বল করেছে। সে জানে কী করতে হবে টি-টোয়েন্টি এবং সাদা বলের ক্রিকেটে। যখন আমরা ট্রেনিং করি, তখন সেটা যেন ফোকাসড হয়, যেন এর পেছনে একটা লক্ষ্য থাকে এবং আমরা যেন সেই লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করি।’
আরও পড়ুন
আমাদের দলের ১৬ জনই ট্রাম্প কার্ড: লিটন |
![]() |
সবচেয়ে জরুরি যে অংশ-ওপেনিং জুটি। উদ্বোধনী জুটিতে নির্দ্বিধায় থাকবেন অভিষেক শর্মা। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ওপেনিং সতীর্থ কে হবেন, এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সঞ্জু বেশ ভালো ফর্মে রয়েছেন। ওপেনিংয়ে তিনিই সব থেকে বড় দাবিদার। শুভমান গিলকে নিয়েও কথা হচ্ছে বেশ। ভারতেরও ওপেনিং জুটি হিসেবে অভিষেক শর্মা এবং গিলকে দেখা যেতে পারে। সঞ্জুকে নিয়েও সাসপেন্স রয়েছে।
সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে বলা যায় অপ্রতিরোধ্য ভারত। শুভমান গিল, সাঞ্জু স্যামসন, জিতেশ শর্মা, রিঙ্কু সিং, অভিষেক শর্মাদের মত ব্যাটার, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবাম দুবে, অক্ষর প্যাটেলদের মতো অলরাউন্ডারদের পাশাপাশি জসপ্রিত বুমরাহর নেতৃত্বে শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ।
দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার পর অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন উসমান শিনওয়ারি। পাকিস্তান জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি এই পেসার।
২০১৯ সালে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন শিনওয়ারি। প্রায় ৬ বছর পর এলো তার থেমে যাওয়ার ঘোষণা।
পাকিস্তানের জার্সিতে প্রায় ৬ বছরের ক্যারিয়ারে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৪ ম্যাচ খেলেছেন শিনওয়ারি। ২০১৩ সালের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় তার। এরপর একই দলের বিপক্ষে টেস্ট আর ওয়ানডেতেও অভিষেক হয় তার।
আরও পড়ুন
আমাদের দলের ১৬ জনই ট্রাম্প কার্ড: লিটন |
![]() |
ওয়ানডেতেই তুলনামূলক সফল ছিলেন শিনওয়ারি। ১৭ ম্যাচে তার শিকার ৩৪ উইকেট। ২০১৭ সালে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম চার ম্যাচে তিনি নেন ১২ উইকেট।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ৫১ রানে ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার। কিন্তু এরপর আর এক ম্যাচ খেলেই শেষ হয়ে যায় তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার।
ওই বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি খেলেন শিনওয়ারি। বৃষ্টির বাগড়া পড়া ম্যাচে একমাত্র ইনিংসে ১৫ ওভারে ৫৪ রান খরচ করে তিনি পান ১ উইকেট।
অ্যাশেজের আগে বড় সুসংবাদ পেল ইংল্যান্ড। চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন দেশটির টেস্ট দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস।
গত জুলাইয়ে ম্যানচেস্টারে ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন স্টোকস। এরপর আর মাঠে নামা হয়নি ইংলিশ অধিনায়কের। তবে সম্প্রতি তিনি অনুশীলনে ফিরেছেন। নিজের কাউন্টি দল ডারহামের সঙ্গে নেটে লম্বা সময় ব্যাটিং করেছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
ডারহাম কোচ রায়ান ক্যাম্পবেল স্টোকসের অনুশীলনে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
“স্টোকস ব্যাটিংয়ে ফিরেছে এবং (অ্যাশেজ সিরিজের) প্রথম টেস্টের জন্য তৈরি হচ্ছে। গত সপ্তাহে তিনি ব্যাটিং শুরু করেছেন এবং খুব ভালো সেশন হয়েছে। স্কট বার্থউইক এবং কোচ উইল গিডম্যান প্রায় দুই ঘণ্টা তাকে বল ছুঁড়েছে। ব্যাটিং দিকটা ভালো যাচ্ছে। বোলিংয়ে আরও সময় লাগবে।”
এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আঘাত পাওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মার্ক উড। আগামী সপ্তাহে ডারহামের লাল বলের ম্যাচে ফিটনেস প্রমাণ করার জন্য মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে এই পেসারের।
২০১১ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। অ্যাশেজের জন্য এখন থেকেই তাই প্রস্তত হচ্ছে ইংলিশরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ব্যাটার বেন ডাকেট ও জেমি স্মিথকে।
অ্যাশেজ সিরিজে পুরোপুরি ফিট পাওয়ার জন্যই মূলত তাদের বিশ্রামে রেখেছেন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ২০২১-২০২২ অ্যাশেজ সিরিজে ৪-০ ব্যাবধানে হেরেছিল ইংল্যান্ড। সবশেষ ২০২৩ অ্যাশেজে নিজেদের ঘরের মাঠে ২-২ ব্যাবধানে ড্র করেছিল তারা। এবার অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ২১ নভেম্বর পার্থে প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংলিশরা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মোমেন্টামের খেলা। ব্যাট হাতে ছোট্ট কোনো ঝড়ো ইনিংস, বোলিংয়ে এক স্পেলে দ্রুত কয়েকটি উইকেট বদলে দেয় ম্যাচের চিত্রনাট্য। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন পারফরম্যান্সের গুরুত্ব অনেক। এসব ক্রিকেটারদের সাধারণত বলা হয় ট্রাম্প কার্ড।
তবে বাংলাদেশ দলের কাউকে এভাবে আলাদা করতে চান না লিটন কুমার দাস। তার মতে, এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়া দলের ১৬ জনই ট্রাম্প কার্ড। ম্যাচের নির্দিষ্ট সময়ে বা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে যে কারও কাছ থেকে বিশেষ পারফরম্যান্সের আশা বাংলাদেশ অধিনায়কের।
টি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথাই বলেছেন লিটন।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ-আফগানিস্তানকে হারানোর 'বিশ্বাস আছে' হংকংয়ের |
![]() |
“(কাউকে আলাদা করে) ট্রাম্প কার্ড বলব না। আমার মনে হয়, আমাদের দলের ১৬ জনই ট্রাম্প কার্ড।”
“নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে যে ভালো ক্রিকেট খেলবে, যে-ই খেলুক, দল হিসেবে বাংলাদেশ জিতলে ভালো। আমার মনে হয়, আমাদের যে ১৬ জন ক্রিকেটার আছে, সবাই মিলে দল হিসেবে খেলতে পারলে, একটা ভালো ফল আনতে পারব।”
সেই ভালো ফলটা কী বা লক্ষ্য কত বড় তা আবার স্পষ্ট করে বলতে চাননি লিটন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যদিও ট্রফি উঁচিয়ে ধরা স্বপ্নের কথা লিখেছেন তিনি। তবে সাক্ষাৎকারে সরাসরি সেটি বলতে রাজি হননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“এটা অনেক বড় একটা প্রশ্ন যে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব কি পারব না। এটা নিয়ে বিশাল কোনো মন্তব্যও করতে চাচ্ছি না। তবে আমি চাইবো যে আমার দল যেন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে এবং আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেকোনো ম্যাচেই যেন আমরা জিততে পারি।”
অধিনায়ক হিসেবে এটিই লিটনের প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্ট। এরই মধ্যে তার নেতৃত্বে ১৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১০টি জিতেছে বাংলাদেশ। টানা তিনটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতে ছন্দে থেকেই এই টুর্নামেন্ট খেলতে যাবে লিটনের দল।
ব্যক্তিগতভাবে অধিনায়ক হিসেবে বড় উপলক্ষ হলেও, এর জন্য বাড়তি চাপ নিতে চান না লিটন।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ শুরু আজ: প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা হংকংয়ের সামনে আফগানরা |
![]() |
“আমি জিনিসটা উপভোগ করি, অধিনায়কত্ব উপভোগ করি। আপনি যখন খেলতে যাবেন, প্রতিটা ম্যাচ তো ম্যাচের মতোই। হয়তো সেখানে অনেকগুলো দল নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট, একটা বড় ট্যাগ থাকবে যে এশিয়া কাপ।”
“আপনি যখন মাঠে ক্রিকেটার হিসেবে নামবেন, তখন কিন্তু আপনি একটা ম্যাচের জন্যই নামবেন। তো ওইরকম কোনো কিছু না, তবে একটা মানুষের তো... আমাদের দল হিসেবে লক্ষ্য থাকবেই যে, আমরা ভালো কিছু যেন করতে পারি।”