২০ নভেম্বর ২০২৩, ২:৩৯ পিএম
নতুনদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ১৮ সদস্যের টেস্ট দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। ওপেনিং ব্যাটসম্যান সাইম আইয়ুব এবং ফাস্ট বোলার খুররম শাহজাদ দলে ডাক পেয়ে আছেন টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায়।
অধিনায়কত্ব থেকে বাবর আজম সরে দাঁড়ানোর পর লাল বলের নতুন ক্যাপ্টেন শান মাসুদের অধীনে পাকিস্তানের এটাই প্রথম সফর। এই সফরে পার্থে (১৪-১৮ ডিসেম্বর), মেলবোর্নে (২৬-৩০ ডিসেম্বর) এবং সিডনিতে (৩-৭ জানুয়ারি) তিনটি টেস্ট খেলবে পাকিস্তান।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপ জিতে কোটি কোটি টাকা অস্ট্রেলিয়ার ভাঁড়ারে, বাকিরা কত পেল?
২১ বছর বয়সী আইয়ুব এবার কাইদ-ই-আজম ট্রফিতে করেছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। সেটার পুরস্কার হিসেবেই পেলেন প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে ডাক। এর আগে পাকিস্তানের হয়ে আটটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ভালো খেলার ফল পেয়েছেন শাহজাদও। এই মৌসুমে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে ২০.৩০ গড়ে সর্বোচ্চ ৩৬টি উইকেট শিকার করেছেন ডান হাতি পেসার। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী আরেক পেসার মীর হামজারও জায়গা হয়েছে দলে। এছাড়াও দলে ফিরেছেন সিম-বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ।
এদিকে কাঁধের চোটে বিশ্বকাপ মিস করা নাসিম শাহ নেই অস্ট্রেলিয়া সফরেও। আর শুরুতে এই সফরে যাবার সম্মতি দিলেও পরে নিজেকে দলে না রাখার অনুরোধ করেন হারিস রউফ। তাই নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ দল ঘোষণার সময় কিছুটা হতাশাই প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "হারিস শেষ মুহুর্তে নাম প্রত্যাহার করেছেন এবং আমি মনে করি এটি পাকিস্তান ক্রিকেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।"
আরও পড়ুনঃ ছয় খেলোয়াড় নিয়ে আইসিসি টিম অফ দ্য টুর্নামেন্টে ভারতের আধিপত্য
অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজের জন্য পাকিস্তান স্কোয়াড : শান মাসুদ (অধিনায়ক), আমির জামাল, আবদুল্লাহ শফিক, আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, ইমাম-উল-হক, খুররম শাহজাদ, মীর হামজা, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নোমান আলী, সাইম আইয়ুব, আগা সালমান, সরফরাজ আহমেদ, সৌদ শাকিল, শাহীন আফ্রিদি
No posts available.
দ্বিতীয় ম্যাচ ফসকে যাওয়ায় আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় আবশ্যক ছিল নিগার সুলতানাদের। তবে ব্যাটারদের আরেকটি ব্যর্থতার দিনে নারী বিশ্বকাপে হার দেখতে হলো লাল সবুজ দলকে। কিউই মেয়েদের ২২৭ রানের জবাব দিতে নেমে ১২৭ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আসরে টানা দ্বিতীয় হার নিগারদের। হারের বৃত্ত ভাঙল নিউজিল্যান্ড।
গুয়াহাটিতে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নামে নিউজিল্যান্ড। দলীয় ৩৫-৩৮ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে কিউই শিবিরে অন্ধকার নামিয়ে দেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রাবেয়া খান। যদিও এরপর দেশের বোলারদের একপ্রকার শাসন করেন সোফি ডিভাইন ও ব্রুক হ্যালিডে।
কিউই মেয়েদের চতুর্থ জুটি যখন ভাঙে ততক্ষণে তারা নিরাপদ স্থানে। ৬৯ রানে ব্রুক প্যাভিলিয়নে ফিরলে শতোর্ধ্ব (১১২) জুটি ভাঙে। দলীয় পুঁজি দাঁড়ায় ১৫০ রান।
ব্রুক ফেরার পর সোফিও ফেরেন। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক করেন ৬৩ রান। তারপরও ম্যাডি গ্রিনের প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ২২৮ রানের লক্ষ্য দিতে পারে নিউজিল্যান্ড।
দেশের বোলারদের মধ্যে রাবেয়া খান সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট তোলেন। মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তার, নিশীতা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন তোলেন একটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। ৩৩ রানে হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয় প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটার। রাবেয়া হায়দার (৪), শারমিন আক্তার (৩), নিগার সুলাতানা (৪), সোবহানা মোস্তারি (২) ও সুমাইয়া আক্তাররা (১) ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।
দলীয় সাত রানে টাইগ্রেসদের প্রথম জুটি ভাঙে। রোজমেরি মেয়ারের পেসে কাটা পড়েন শারমিন। সাজঘরে ফেরার রাস্তা তৈরি করে দেন রাবেয়া। একে একে ফেরেন বাকিরাও।
এদিন প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেটে মাত্র ২২ রান করতে পারে বাংলাদেশ। ২০ ওভারে সে রান ঠেকে ৪০ রানে। ত আর ৮৮ রানে তারা হারিয়ে বসে ৭ উইকেট।
নিশ্চিত পতনের মুখে থাকা দলের জন্য কিছুক্ষণ লড়াই করেন ফাহিমা আক্তার। দীর্ঘক্ষণ মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকেন তিনি। ফেরার আগ পর্যন্ত ৮০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন ফাহিমা। শেষ দিকে রাবেয়ার প্রচেষ্টা ছিল সম্মান বাঁচানোর। হয়নি সেটা। টপ-মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে তাদের সে লড়াই ছিল কেবল নিয়মরক্ষার। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে থামে দল।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে লিয়া তাহুহু ও জেস কের তিনটি করে উইকেট তোলেন। দুটি উইকেট তোলেন রোজমেরি মেয়ার।
ক্যাপ্টেন্সির গুণের জন্য প্রশংসিত আকবর আলী। বয়সভিত্তিক দল বা ঘরোয়া ক্রিকেট—আকবরের নেতৃত্ব মানেই শিরোপা উৎসব। এবারও সেই ধারাবাহিকতা পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশি হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক এবার এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে পা রেখেছেন। এনসিএলের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের প্রথম আসরে তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর।
আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চিটাগংকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে রংপুর। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ খুলনা। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগংকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে খুলনা। এলিমিনেটরে ঢাকাকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল রংপুর। আজ রংপুর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চিটাগংকে হতাশ করে ট্রফির মঞ্চে পা রাখতে সক্ষম হয়।
এই জয়ে রংপুরকে অপেক্ষা করতে হয় শেষ বল পর্যন্ত। জয় পেতে প্রয়োজন ছিল মাত্র এক রান। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ওপর শেষ মুহূর্তের চাপ গড়ে দেন নাইম ইসলাম। তবে শেষ বলে মোহাম্মদ আশরাফুল হাসানের বল বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে ফাইনালে পৌঁছে দেন তিনি।
শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল তিন রান। প্রথম দুই বল ডট। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন নাইম। চতুর্থ বল আবারও ডট। পঞ্চম বলে আলাউদ্দিন বাবু এক রান নেন, স্কোর সমতায় ফেরে। তবে শেষ বলে নাইম ইসলাম বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেন।
এদিন টস জিতে চিটাগংকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আকবর আলী। সাদিকুর রহমান ও ইয়াসির আলীর ফিফটিতে ভর করে রংপুরকে ১৬৮ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় চিটাগং। জবাব দেয় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। জাহিদ জাভেদ ও নাসির হোসেনের ভয়ডরহীন শুরু, আর ফিনিশিং করেন মোহাম্মদ নাইম।
লক্ষ্য তাড়ায় রংপুরের উদ্বোধনী জুটি ৭৬ রান পর্যন্ত গড়তে সক্ষম হয়। নাসির ও জাহিদ শুরু থেকে সাবধানী, দুই ওভারে যোগ করেন মাত্র ৯ রান। তৃতীয় ওভারে আহমেদ শরিফ প্রথম ও পঞ্চম বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিরবতা ভাঙেন। চতুর্থ ওভারে ৯ রান যোগ হয়, পঞ্চম ওভারে নাসির হোসেন জাতীয় দলের স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ আশরাফুল হাসানের শেষ দুই বলে একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ইকবাল হোসেনের সঙ্গে জুটি গড়েন নাসির। এসময় নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। ফেরার আগে ৪১ বলে ৫৪ রান করেন। যা সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কায়। দলীয় ১১৮ রান পর্যন্ত টপঅর্ডারের তিন ব্যাটার ফেরার পরও জয় নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি রংপুরকে।
শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করেন নাইম ইসলাম ও আলাউদ্দিন বাবু। মাঠ ছাড়ার আগে ১৯০.৪৮ স্ট্রাইক রেটে ২১ বলে ৪০ রান করা আকবর আলী প্রতিপক্ষ বোলারদের শাসন করে মাঠ ত্যাগ করেন। আর শেষদিকে নাইম ইসলাম ও আলাউদ্দিন বাবু দলকে আরও একটি জয় উপহার দেন।
তিন সংস্করণ মিলে ভারতের হয়ে ৫০তম ম্যাচ খেলছেন যশস্বী জয়সওয়াল। সে ম্যাচটি আবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। এই মাঠে আজই প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন ভারতের তরুণ ব্যাটার। তবে জয়সওয়ালের মনোমুগ্ধ ব্যাটিংয়ে প্রথম দর্শনেই যেন প্রেম দিল্লির সঙ্গে!
জয়সওয়ালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন আজ ভারত তুলেছে ৩১৮ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলাররা তপ্ত রোদে শুধু খেটেই গেছেন, বিপরীতে সারা দিনে নিতে পেরেছেন শুধু দুটি উইকেট। তিন পেসার ও তিন স্পিনার ব্যবহার করেছে উইন্ডিজ। ঘূর্ণি জাদুতে উইকেট দুটি নিয়েছেন জোমেল ওয়ারিক্যান।
দিনের ৯০ ওভারের মধ্যে ৫৩টি করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনাররা। নতুন বলে পেসাররা ছিলেন ব্যর্থ। তাঁদের দারুণভাবে সামলে ওপেনিং জুটিতে ভারতের ওপেনার জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল যোগ করেন ৫৮ রান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করা রাহুলকে স্টাম্পিংয়ের সৌজন্যে ফেরান ওয়ারিক্যান। ৩৪ বলে ৩৮ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
দ্বিতীয় উইকেটে স্পিন সামলে দলের স্কোর ২৫১ রানে পৌঁছে দেন জয়সওয়াল ও সাই সুদর্শন। ততক্ষণে সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি উদযাপন করে নেন জয়সওয়াল। দুজনে নির্বঘ্নে কাটিয়ে দেন দ্বিতীয় সেশন। সুদর্শনও হাঁটছিলেন তিন অঙ্কের পথে। তৃতীয় সেশনে তাঁর আক্ষেপ বাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বার ব্রেক-থ্রু এনে দেন ওয়ারিক্যান। ১৬৫ বলে ১২ চারে ৮৭ রানে ফেরেন সুদর্শন।
তৃতীয় সেশনে ৬৭ রানের আরেকটি অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন অধিনায়ক শুবমান গিল ও জয়সওয়াল। ২০ রানে অপরাজিত গিল। ১৭৩ রান থেকে কাল দ্বিতীয় আবারও ব্যাটিংয়ে নামবেন জয়সওয়াল। ইনিংসে এখন পর্যন্ত মেরেছেন ২২টি চার। টেস্টের উদ্বেধনী দিনে ভারতের হয়ে কোনো ব্যাটারের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড এটি।
বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের সেরা তারকাদের একজন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার এই তরুণ উইঙ্গারকে নিয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই মানুষের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। ১৮ বছর বয়সী স্প্যানিশ উইঙ্গার কি করছেন, কোথায় যাচ্ছেন সবই যেন আলোচনার বিষয়বস্তু।
ইয়ামাল সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন মাঠের বাইরে নানা কারণে। জন্মদিনের জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন, সামাজিক মাধ্যম ব্যাক্তিত্ব ফাতি ভাজকেসের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনসহ নানা প্রসঙ্গে। তাতে মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে তার ব্যক্তিগত জীবনই যেন সংবাদ শিরোনাম দখল করে নিয়েছে।
ইয়ামালের ব্যাক্তি জীবন টেনে অনেকে তো গেল গেল রবও তুলছেন। তবে এই প্রসঙ্গে ইয়ামাল পাশে পাচ্ছেন তাঁর ক্লাব বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপেকে। বার্সা ফুটবলারের ব্যাক্তিজীবন নিয়ে মাথা ঘামাতে নিষেধ করলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
পাকিস্তান সফরে বড় ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা |
![]() |
‘মুভিস্টার প্লাসকে’ দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল প্রসঙ্গে এমবাপে বলেন, ‘মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক কথা বলে, কিন্তু আমি মনে করি সবাই ওকে একা থাকতে দেওয়া উচিত। হ্যাঁ, সে দারুণ ফুটবলার হতে পারে, কিন্তু দিন শেষে সে কেবলই ১৮ বছরের এক তরুণ—যে ভুল করবে, ভালো কিছু করবে, আবার খারাপও করবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের জীবন থেকেই সে শিখে নেবে, কোনটা তার জন্য ভালো, কোনটা নয়।’
অল্প বয়সে খ্যাতির চূড়ায় ওঠার অভিজ্ঞতা আছে এমবাপেরও। ফলে তিনি ভালো করেই জানেন, তরুণ ফুটবলারদের ওপর গণমাধ্যম ও জনমতের চাপ কতটা কঠিন হতে পারে। তার মতে, মাঠের বাইরের ছোটখাটো ভুলগুলো স্বাভাবিক, কারণ শেষ পর্যন্ত একজন ফুটবলারের আসল বিচার হয় মাঠের পারফরম্যান্সেই।
ইয়ামালের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে এমবাপে আরও বলেন, ‘আমাদের উচিত শুধু মাঠে সে কী করছে সেটাতেই মনোযোগ দেওয়া। মাঠের বাইরের বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়, যদি না সেগুলো খুব গুরুতর হয়। শেষ পর্যন্ত সে অত্যন্ত প্রতিভাবান এক খেলোয়াড়, আমি আশা করি সে নিজের পথে এগিয়ে যাবে—আর আমি তার জন্য শুভকামনা জানাই।’
আন্তর্জাতিক বিরতিতে ইউরোপিয়ান বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আজারবাইজানের মুখোমুখি হবে কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্স। আর আগামীকাল স্পেনের প্রতিপক্ষ জর্জিয়া। অবশ্য চোটে থাকা ইয়ামালকে ছাড়াই মাঠে নামবে ‘লা রোজারা’।
অ্যাশেজ শুরু হতে আরও ছয় সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। পিঠের চোটে জুলাই থেকে মাঠের বাইরে থাকা এই পেসারকে নিয়ে কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, ফিটনেস রেসটা এখন ‘টাইট’ হয়ে আসছে। কোচের কথা অনুযায়ী, সময় কমে আসছে, পুরোপুরি ফিট হওয়ার মতো যথেষ্ট সময় হয়তো আর থাকছে না কামিন্সের।
৩২ বছর বয়সী কামিন্স শেষবার খেলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জুলাইয়ে। তারপর থেকেই পুনর্বাসনে আছেন। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২১ নভেম্বর পার্থে প্রথম টেস্ট মিস করতে পারেন, এমনকি পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কাও আছে।
তবে আজ ম্যাকডোনাল্ড জানালেন, আশার আলো এখনো নিভে যায়নি। তিনি বলেন, ‘অধিনায়কের প্রথম টেস্টে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে এখন অনেক বেশি ইতিবাচকতা আছে। কিন্তু অ্যাশেজের মতো সিরিজের ধকল সামলাতে হলে অন্তত চার-সাড়ে চার সপ্তাহের বোলিং প্রস্তুতি লাগবে।’
আরও পড়ুন
পাকিস্তান সফরে বড় ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা |
![]() |
ম্যাকডোনাল্ড সতর্ক করে বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, সময়টা এখন টাইট হয়ে আসছে। আমরা এখনো আশাবাদী, আশান্বিত। তবে আগামী সপ্তাহে আমরা সম্ভবত ভালোভাবে বুঝতে পারব, সে কোথায় আছে।’
তবু অস্ট্রেলিয়া কোচ মনে করছেন, কামিন্স পুরোপুরি তৈরি না থাকলেও দলভুক্তির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাঁর ভাষায়, ‘ও যদি সামান্য কম প্রস্তুতও থাকে, তবুও আমরা ভাবব তাকে দলে রাখার বিষয়টি।’
অস্ট্রেলিয়ার সফল পেসারদের একজন কামিন্স। এখন পর্যন্ত ৩০৯ টেস্ট উইকেট নিয়েছেন, বোলিং গড় ২২.১০। নিজেদের মাঠে তিনি আরও ভয়ঙ্কর—১৭৭ উইকেট নিয়েছেন, গড় ১৯.৯২। শুধু ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই তাঁর শিকার ১৯ টেস্টে ৯১ উইকেট।
ইংল্যান্ড কামিন্সের অবস্থাকে দেখছে কিছুটা বাড়তি সুবিধা হিসেবে। দলের সহ-অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক স্বীকার করেছেন, কামিন্স না খেললে সেটি ইংল্যান্ডের জন্য ‘বোনাস’ হবে, তবে কোনো বিকল্পকেও হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।
ব্রুক বলেন, ‘প্যাট কামিন্স অনেক বছর ধরে দারুণ এক বোলার। ওর গতি আর নিখুঁত দক্ষতা একসঙ্গে কাজ করে। ও না থাকলে অবশ্যই আমাদের জন্য বোনাস।’সতর্ক করে যোগ করেন, ‘তাদের দলে অসাধারণ সব বোলার আছে। আমি নিশ্চিত, ওরা কারও না কারও জায়গায় দক্ষ বোলার নামাবে। কাউকেই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন
মারুফাকে নিয়ে সুখবর দিল বিসিবি |
![]() |
নিজ দলের অধিনায়ক বেন স্টোকসকেও পুরো সিরিজে পাওয়া যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী ব্রুক। ভারত সিরিজের পর থেকে কাঁধের চোটে ভুগছেন স্টোকস, টানা চার সিরিজে সম্পূর্ণ ফিট ছিলেন না তিনি।
ব্রুক বলেন, ‘আমি ভাইস-ক্যাপ্টেন হিসেবে খুব বেশি কিছু করতে হয় না। সবাই জানে স্টোকসি কেমন—অসাধারণ নেতা, মাঠে আর মাঠের বাইরে সব জায়গায় দারুণ প্রভাব রাখে। আমি ওর পাশে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। আমার পূর্ণ বিশ্বাস, সে সব পাঁচটি টেস্ট খেলবে। সে এক জন যোদ্ধা, সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত।’