একটা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ইন্ডিয়া টিম। সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। এখন পাকিস্তানে গিয়েই খেলতে হবে। আর না হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জয়ী হয়ে যাবে পাকিস্তান। ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় লড়বে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা চরমে। বহুদিনের এই সমস্যার প্রভাব সর্বত্রই লক্ষণীয়। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও সেটা স্পস্ট। ফুটবল থেকে ক্রিকেট যে কোনো ডিসিপ্লিন নিয়েই ভেসে ওঠে দুই দেশের মতপার্থক্য। অনেক ক্ষেত্রেই নমনীয় পাকিস্তান। কিন্তু অনড় ইন্ডিয়া। পাকিস্তানে দল পাঠাবে না ওরা।
কিন্তু এবার টেনিসের ডেভিস কাপ নিয়ে কঠিন পরিস্থিতি। এই প্রতিযোগিতাকে বলা হয় টেনিসের বিশ্বকাপ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ডেভিস কাপ ওয়ার্ল্ড গ্রুপ- ১ এর প্লে-অফ ম্যাচ ইন্ডিয়ার। এই ম্যাচটা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে চেয়েছিল ইন্ডিয়া। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের কাছে আবেদনও করেছিল। কিন্তু ইন্ডিয়ার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে টেনিসের আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইটিএফ)। ফলে এখন পাকিস্তানে গিয়েই খেলতে হবে। অথবা নিজেদের সরিয়ে নিতে হবে এই প্রতিযোগিতা থেকে। আর অংশ না নিলে ইন্ডিয়া নেমে যাবে ওয়ার্ল্ড গ্রুপ-২’য়ে।
‘অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশন’ কোনোভাবেই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না। যে কোনোভাবে এই আসরে খেলতে চায় তারা। সবশেষ ৬০ বছর আগে ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানে গিয়ে ডেভিস কাপে খেলেছে ইন্ডিয়া। সেবার ওরা জিতে এসেছিল ৪-০ ব্যবধানে।
২০১৯ সালেও পাকিস্তানে ভেন্যু ছিল ইন্ডিয়ার। সেখানে খেলতে যেতে অসম্মতি জানায় দলটা। সেবার তাদের আবেদন গ্রহণ করেছিল ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ)। নিরপেক্ষ ভেন্যু কাজাখস্তানে খেলেছিল দুই দল। সেবারও জিতেছিল ইন্ডিয়া।
একে তো বড় মঞ্চ। তার ওপর দুই দেশের শীতল সম্পর্ক। মাঠের লড়াই হয়ে ওঠে অনেক বেশী মর্যাদার লড়াই। তাই যে কোনোভাবেই হোক এই প্রতিযোগিতায় লড়তে চায় ইন্ডিয়া। কিন্তু পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে হলে দরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের অনুমতি। ইসলামাবাদে এই দুই দলের খেলা অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশন আবেদন জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে। সবুজ সংকেতের জন্য আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
২০ দিন আগে