পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়ার সফর দিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় চলে আসা আমির জামাল চলে এসেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে। রবিবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স স্কোয়াডের সাথে যোগ দিয়েছেন এই উদীয়মান পেসার।
বিপিএলে এদিন ছিল না কোনো ম্যাচ। বিরতির দিন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড ২-এ দুপুর ১২টা থেকে অনুশীলন করে কুমিল্লা। সেখানেই দলের সাথে প্রথমবারের মত দেখা যায় জামালকে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যোগ দিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান
গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক জামালের। ৩ ম্যাচে নেন ১৮ উইকেট। ব্যাট হাতে অভিষেক ম্যাচেই ৮২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
এখন পর্যন্ত ২৬টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জামাল ১০.২১ ইকোনমি রেটে ২৬টি উইকেট নিয়েছেন জামাল।
৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্টে তিনে থাকা কুমিল্লার পরের ম্যাচ আগামী মঙ্গলবার, রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে।
No posts available.
‘ব্যাটল অব স্পিন’-এ রূপ নিয়েছে লাহোর টেস্ট। ম্যাচের বর্তমান চিত্র বলছে, চতুর্থ দিনেই ফল জানা যাবে। বিশেষ করে দুই দলের স্পিনাররা যেভাবে প্রতিপক্ষকে নাচিয়ে ছাড়ছে, তা উপভোগ্যের চেয়েও বেশি বিষাদের। আর চেনা মাঠে পাকিস্তানের এই দুর্দশা দেখে বেশ বিরক্ত দলটির প্রধান কোচ আজহার মাহমুদ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে এক পর্যায়ে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৫০ রান। সেখান থেকে ১৭ রান যোগ করতেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার ও বর্তমান কোচ আজহার মাহমুদ।
আজ (তৃতীয় দিন) দিন শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা ৪ উইকেটে ১৫০ রানে ছিলাম। সেখান থেকে মাত্র ১৭ রান যোগ করতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলি। কাউকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই, দায় শুধু আমাদের শট নির্বাচন আর সিদ্ধান্ত গ্রহণে।’
আজহার আরও বলেন, ‘এটা একেবারে সোজা হিসাব— ১৭ রানে ৬ উইকেট হারানো কখনোই আদর্শ হতে পারে না। পিচ বল ঘুরাচ্ছিল ঠিকই, কিন্তু আউট হওয়াটা ব্যাটসম্যানদের ভুলেই হয়েছে, পিচের কারণে নয়। আমাদের শট সিলেকশন মোটেও ভালো ছিল না। এ দিক থেকে আরও উন্নতি করতে হবে। যদি আমাদের এমন পিচে খেলতে হয়, তবে ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের তিন ব্যাটার কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন এটিও কোচের হতাশার বড় কারণ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা ব্যবহৃত পিচে খেলেছি। এমন পিচে যদি তুমি ভালো ব্যাটিং করো, তাহলে টিকে থাকা সহজ হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে আমাদের ব্যাটাররা ভালো শুরু পেলেও সেটা ৫০ বা ১০০ রানে পরিণত করতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে শফিক আব্দুল্লাহ (৪১) ও বাবর আজম (৪২) রান করেছে, কিন্তু কেউই সেটিকে বড় ইনিংসে রূপ দিতে পারেনি।’
আজহার স্বীকার করেছেন, এমন পিচে রান করাটা কঠিন। তবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সহজ নয়। তবে আমাদের বিভিন্ন ধরনের শটে পারদর্শী হতে হবে। মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা চেষ্টা করেছে, কিন্তু পেসারদের সামলাতে পারেনি। আমাদের উচিত ছিল পুরো সেশন ব্যাটিং করা, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। আমরা ভুল করেছি। ভবিষ্যতে এই দিকটায় নজর দিতে হবে।’
শেষে টেস্ট ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ব্যাটসম্যানদের মনোযোগ হারানো নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি:
‘টেস্টে আপনি বুঝতে পারেন, কখন আপনি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকেন— সেটা সাধারণত সেশন শেষ হওয়ার সময়। সৌদ শাকিল টি-ব্রেকের ঠিক আগে যে অপ্রয়োজনীয় লফটেড শটটা খেলেছে, সেটা ওকে অযথা চাপে ফেলেছে। টি-ব্রেকের পরপরই রিজওয়ান আউট হয়ে যায়। এরপর আমরা শাহিনকে (শাহিন আফ্রিদি) পাঠাই।’
ওয়ানডে সিরিজে ক্রমাগত নতুন তলানিতে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওয়ানডেতে হতাশাজনক পরাজয়ের পর শেষটিতে যেন সেই বিশেষণ ব্যবহারেরও সুযোগ নেই। কারণ ব্যাখ্যাতীত ব্যাটিংয়ে বিশাল ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে তারা।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ২০০ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ২৭.১ ওভারে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০৯ রানে অল আউট হয়ে রেকর্ড গড়েছিল তারা। এবার সেটি ছাপিয়ে পৌঁছে গেল নতুন তলানিতে।
এছাড়া ওয়ানডেতে দেশের বাইরে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও ঠিক ২০০ রানেই হেরেছিল তারা।
সিরিজের তিন ম্যাচ জিতে এই প্রথম বাংলাদেশকে হোয়াইওয়াশ করল আফগানিস্তান। একইসঙ্গে দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যানেও ১১-১১ সমতা ফিরিয়ে আনল তারা।
শেষ ম্যাচে বল হাতে বাংলাদেশের ইনিংস গুঁড়িয়ে দেন বিলাল সামি। ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে ৩৩ রানে ৫ উইকেট নেন তরুণ পেসার। এছাড়া ১২ রানে ৩ উইকেট নেন রশিদ খান। সিরিজে তার শিকার ১১ উইকেট।
রান তাড়ায় সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৪৩ রান। পরের দশ ব্যাটারের স্কোর অনেকটা টেলিফোন নম্বরের মতোই- ৭, ৩, ৭, ৬, ০, ২, ৪, ৫, ৯, ২*!
৩ উইকেটে ৭০ থেকে হঠাৎ ধসে ২৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে এক পর্যায়ে ২৫ ওভারে ১ উইকেটে ১৫০ রান ছিল আফগানদের। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের ২২ ওভারে মাত্র ৮৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু নবীর ঝড়ে শেষ ৩ ওভারে ৫৪ রান করে তিনশর কাছে চলে যায় স্বাগতিকরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। পাওয়ার প্লেতে দুজন মিলে যোগ করেন ৬৬ রান। এতে অবশ্য বড় অবদান ছিল বাংলাদেশের এলোমেলো বোলিংয়ের।
১৬তম ওভারে ৯৯ রানে এই জুটি ভাঙেন তানভির ইসলাম। ৪৪ বলে ৪২ রান করে এলবিডব্লিউ হন গুরবাজ। এরপর সেদিকউল্লাহ অতলকে নিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম। ২৫ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১৫০ রান।
৩২তম ওভারে সাইফের হাতে বল দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তৃতীয় বলেই অতলকে ফিরতি ক্যাচে আউট করেন সাইফ। ২৯ রান করতে ৪৭ বল খেলেন অতল।
এরপর হাশমতউল্লাহ শহিদি ও ইকরাম আলি খিলকেও আউট করেন সাইফ। মাঝে ইকরামের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান ইব্রাহিম। দ্বিতীয় ম্যাচের মতো এবারও ৯৫ রান করেন আফগান ওপেনার।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, নানগেলিয়া খারোটেরা অল্পেই ফিরে গেলে মনে হচ্ছিল আড়াইশও করতে পারবে না আফগানিস্তান। কিন্তু ভিন্ন ভাবনাই ছিল নবীর।
৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ধুন্ধুমার ব্যাটিং চালিয়ে নেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। শেষ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাত্র ১২ বলে তিনি যোগ করেন ৪৪ রান। যেখানে দশম ব্যাটার বিলাল সামির নেই কোনো অবদান।
ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি করে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন নবী।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাইফ নেন ৩ উইকেট। এছাড়া হাসান মাহমুদের শিকার ২টি উইকেট।
আরেকটি
অ্যাশেজ সিরিজ শুরুর আগে বরাবরের মতো
কথার লড়াইয়ে মেতেছেন অস্ট্রেলিয়ার ও ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটাররা। ডেভিড ওয়ার্নারের
খোঁচার জবাব দিয়ে স্টুয়ার্ট ব্রড বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার এই দলটি ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে
বাজে।
পার্থে
আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজ। মাসখানেক আগেই ওয়ার্নার বলে দিয়েছেন, নিজ
দেশে ইংল্যান্ডকে ৪-০তে হারাবে অস্ট্রেলিয়া। যা শুনে চুপ থাকতে পারেননি ব্রড। ওয়ার্নারের
মন্তব্যের জবাবে খোঁচা মারতে ছাড়েননি ব্রডও।
২০১০-১১
মৌসুমের পর আর অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে অ্যাশেজ সিরিজ জিততে পারেনি ইংল্যান্ডের। সেবার ৩-১
ব্যবধানে জিতে ঐতিহ্যবাহী ছাইদানি ধরে রেখেছিল তারা। সেই সাফল্য এখন বিস্মৃত অতীত।
অস্ট্রেলিয়াতে
গিয়ে সবশেষ তিন সফরে ৫-০, ৪-০- ও ৪-০ ব্যবধানে হেরেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে তাই
যথাযথ সমীহ করতে ভুল করেননি ব্রড। তবে ঘরের মাঠে তারাই যে চাপে থাকবে সেই কথাও বলেন
ইংল্যান্ডের সাবেক পেসার।
“ইংল্যান্ড হোক বা অন্য যে কোনো দল, অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জেতা খুব খুব কঠিন। অস্ট্রেলিয়াই নিঃসন্দেহে ফেবারিট। তাই প্রশ্ন হলো, কোন দল সবচেয়ে বেশি চাপে থাকবে?”
“চাপে থাকবে অস্ট্রেলিয়াই। কারণ তাদের জয়ের প্রত্যাশা বেশি। তারা ঘরের মাঠে দুর্দান্ত। তবে স্কোয়াড নিয়ে একটু তাদের একটু সংশয় আছে, প্যাট কামিন্সের ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন আছে।”
এরপর
ব্রড জানান, গত দেড় দশকে আর এত বাজে ছিল না অস্ট্রেলিয়ার কোনো দল।
“আমি
এখন যেটি বলব, সেটি মতামত নয়, বাস্তব সত্য। ২০১০ সালের পর থেকে এটিই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে
বাজে দল। সেবার ইংল্যান্ড জিতেছিল। আর একইসময়ে ২০১০ সালের পর থেকে এটিই ইংল্যান্ডের
সবচেয়ে ভালো দল।”
“তাই
এসব মিলে আসলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এটি দুর্দান্ত এক অ্যাশেজ হবে।”
শুরুতে আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। মাঝে সাইফ হাসানের ঘূর্ণিতে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষে সব ওলটপালট করে দেন মোহাম্মদ নবী। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আফগানদের তিনশর কাছে নিয়ে যান অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান করল আফগানিস্তান। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের সামনে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ।
দ্বিতীয় ম্যাচের মতো এবারও ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন ইব্রাহিম। পরে চমৎকার বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সাইফ। আর শেষে ৩৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে সব এলোমেলো করে দেন নবী।
এক পর্যায়ে ২৫ ওভারে ১ উইকেটে ১৫০ রান ছিল আফগানদের। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের ২২ ওভারে মাত্র ৮৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু নবীর ঝড়ে শেষ ৩ ওভারে ৫৪ রান করে তিনশর কাছে চলে যায় স্বাগতিকরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। পাওয়ার প্লেতে দুজন মিলে যোগ করেন ৬৬ রান। এতে অবশ্য বড় অবদান ছিল বাংলাদেশের এলোমেলো বোলিংয়ের।
১৬তম ওভারে ৯৯ রানে এই জুটি ভাঙেন তানভির ইসলাম। ৪৪ বলে ৪২ রান করে এলবিডব্লিউ হন গুরবাজ। এরপর সেদিকউল্লাহ অতলকে নিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম। ২৫ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১৫০ রান।
৩২তম ওভারে সাইফের হাতে বল দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তৃতীয় বলেই অতলকে ফিরতি ক্যাচে আউট করেন সাইফ। ২৯ রান করতে ৪৭ বল খেলেন অতল।
এরপর হাশমতউল্লাহ শহিদি ও ইকরাম আলি খিলকেও আউট করেন সাইফ। মাঝে ইকরামের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান ইব্রাহিম। দ্বিতীয় ম্যাচের মতো এবারও ৯৫ রান করেন আফগান ওপেনার।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, নানগেলিয়া খারোটেরা অল্পেই ফিরে গেলে মনে হচ্ছিল আড়াইশও করতে পারবে না আফগানিস্তান। কিন্তু ভিন্ন ভাবনাই ছিল নবীর।
৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ধুন্ধুমার ব্যাটিং চালিয়ে নেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। শেষ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাত্র ১২ বলে তিনি যোগ করেন ৪৪ রান। যেখানে দশম ব্যাটার বিলাল সামির নেই কোনো অবদান।
ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি করে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন নবী।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাইফ নেন ৩ উইকেট। এছাড়া হাসান মাহমুদের শিকার ২টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ৫০ ওভারে ২৯৩/৯ (গুরবাজ ৪২, ইব্রাহিম ৯৫, অতল ২৯, হাশমত ২, ইকরাম ২, ওমরজাই ২০, নবী ৬২*, রশিদ ৮, খারোটে ১০, গাজানফার ০, সামি ০*; নাহিদ ৮.২-০-৫৬-০, হাসান ৬-০-৫৭-২, তানভির ১০-০-৪৬-২, মিরাজ ৯.৪-০-৬৭-১, রিশাদ ১০-০-৪৩-০, শামীম ২-০-১২-০, সাইফ ৪-১-৬-৩)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। শুভমান গিলদের জয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন দেশটির কোচ গৌতম গম্ভীর। ঘরের মাঠের পিচ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। গম্ভীর জানিয়েছেন, উইকেটে আরও বাউন্স ও ক্যারি থাকা দরকার।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাত উইকেটে হারিয়েছে ভারত। ম্যাচে ২০০ ওভারের বেশি বল করতে হয়েছে জাসপ্রিত বুমরাহদের। ম্যাচ শেষে গম্ভীর বলেছেন, 'এখানে আরও ভালো পিচ হতে পারত। হ্যাঁ, আমরা পঞ্চম দিনে জয় পেয়েছি, কিন্তু বলের ক্যারি থাকা উচিত। ফাস্ট বোলারদের জন্যও কিছু না কিছু থাকা দরকার। সব সময় স্পিনারদের গুরুত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু যখন দলে দুটি মানসম্পন্ন পেসার থাকে, তখন তাদেরও সুযোগ থাকা উচিত।'
গত বছর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর ভারত স্কয়ার টার্নার পিচ থেকে সরে এসেছে। এখন এমন উইকেট তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে ব্যাট ও বলের মধ্যে ভারসাম্য থাকে। আহমেদাবাদে প্রথম টেস্টে বোলাররা সহায়তা পেলেও দিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্টে উইকেটের জন্য বোলারদের পরিশ্রম করতে হয়েছে।
পিচে ক্যারি না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গম্ভীর আরও বলেছেন, 'টার্ন না থাকলেও সমস্যা নেই, কিন্তু ক্যারি না থাকাটা চিন্তার বিষয়। ভবিষ্যতের জন্য ভালো পিচ তৈরি করা জরুরি। কারণ টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব সবার। আর সেটা শুরু হয় ভালো পিচ দিয়ে।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতলেন শুভমান গিল। গিলকে দয়া করে অধিনায়কত্ব দেয়া হয়নি বলেও জানান গম্ভীর। ভারতের অধিনায়ক বলেছেন, 'ওকে অধিনায়ক করে কেউ দয়া করেনি। সে এটার প্রাপ্য। কঠোর পরিশ্রম করেছে সে। প্রতিটি দিক থেকেই যোগ্য। একজন কোচ হিসেবে আমি এমন কাউকেই চাই যে সঠিক কথা বলে, পরিশ্রম করে এবং নিজের শরীরকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে সবার আগে মাঠে নামে।'