বয়স মোটে ১৭, এই সময়ে শীর্ষ পর্যায়ে ফুটবল খেলতে পারাটাই বিশেষ কিছু। তবে ভিন্ন ধাতুতে গড়া এন্দ্রিক এই বয়সেই ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন এবং ম্যাচও জিতিয়ে ফেলেছেন। প্রতিভাবান এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র৷ তার বিশ্বাস, একদিন সেরাদের কাতারে চলে যাবেন এই তরুণ।
সেই ২০২২ সালে বয়স যখন মাত্র ১৬, তখনই এন্দ্রিককে দলে টানার জন্য চুক্তিবদ্ধ করে ফেলে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ৷ এর আগে থেকেই তাকে বলা হচ্ছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের ভবিষ্যৎ বড় তারকা৷ এখন পর্যন্ত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে এন্দ্রিক প্রতিভার জোর সাক্ষরই রাখছেন।
আরও পড়ুন: এন্দ্রিকের অভিষেক গোলে ইংল্যান্ডকে হারালো ব্রাজিল
ওয়েম্বলিতে গত শনিবার রাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে বদলি হিসেবে এন্দ্রিক যা করেছেন, তা কেউই আগে করতে পারেনি। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণী একমাত্র গোলটি করে ১৭ বছর বয়সে বিখ্যাত এই স্টেডিয়ামের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এখন তিনিই।
ম্যাচের পর এন্দ্রিককে নিয়ে আশার বাণীই শুনিয়েছেন দরিভাল। “সে এখন পর্যন্ত যে মনোভাব দেখাচ্ছে, সেটা ধরে রাখতে পারলে একদিন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পাশাপাশি বিশ্ব ফুটবলেরও খুব বড় নাম হয়ে উঠবে।”
আগামী জুলাইয়ে ১৮-তে পা দিয়ে রিয়ালে পাকাপাকিভাবে যোগ দেবেন এন্দ্রিক। তার আগে জাতীয় দলের হয়ে এই অর্জনে আনন্দের সীমা নেই তার। “আমি শুধু এটা নিয়েই ভাবছি! এটা আমার জন্য একটা অসাধারণ এক স্মৃতি। এখানে আমার পরিবার আছে, আমার বান্ধবী, আমার এজেন্টও আছে। আমি খুব বেশি কান্নাকাটি করার মানুষ নই, আমি নিজেকে সামলে রাখছি, তবে এটি বিশেষ কিছু এবং আমি খুব খুশি।”
এই ম্যাচ হারের মধ্য দিয়ে ২১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেয়েছে ইংল্যান্ড। এন্দ্রিক প্রশংসা পেয়েছেন দলটির কোচ গ্যারেথ সাউথগেটেরও। “আমরা জানি যে সে একজন বিপজ্জনক খেলোয়াড়। আমাদের ডিফেন্স আরও ভালোভাবে সামলানো উচিত ছিল। তবে এটা তার জন্য একটি দুর্দান্ত মুহূর্ত।”
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:৫৩ এম
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:২৭ এম
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:০৩ এম
ফুটবল একাডেমি চালু করছে বসুন্ধরা কিংস। ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে কার্যক্রম। জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের ফুটবলে যে দিন বদলের গল্প শুনিয়েছিল তা বাস্তবে রুপ দিতেই এবার গ্রাসরুটে হাত দিচ্ছে এবার কিংস। ৬-১১ বছর বয়সী ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই থাকছে একাডেমিতে ভর্তির সুযোগ। ১১-১৫ ও ১৫-১৮ বছর বয়সী ছেলে ফুটবলারদের জন্য আছে আরও দুইটি বয়সভিত্তিক ক্যাটাগরি।
বাংলাদেশে টানা ৫ বার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। ক্লাব সৃষ্টির ১০ বছরের ভেতর এএফসি কাপ, এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে-অফেও খেলেছে বসুন্ধরা কিংস। তাতে এশিয়াতে ধীরে ধীরে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠছে ক্লাবটি। দেশী-বিদেশী তারকা ফুটবলার দলে ভিড়িয়ে এরই মধ্যে ক্লাবটি বিপুল অর্থও বিনিয়োগ করেছে। এবার ভিন্ন এক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ক্লাবটি।
বসুন্ধরা কিংসের লক্ষ্য ধীরে ধীরে এই একাডেমি থেকে ফুটবলার তৈরি করে ক্লাবের খেলোয়াড়ের চাহিদা পূরণ করা। আপাতত বিভিন্ন বয়সের এই শিশু-কিশোরদের অনুশীলন চলবে সপ্তাহে ৩ দিন, থাকবে ভিন্ন ব্যাচ। ফুটবল শিক্ষার মূল পরিকল্পনা করবেন বসুন্ধরা কিংসের রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরি তিতা। আর প্রতি দলের জন্য থাকবে প্রশিক্ষিত ফুটবল কোচ।
যেভাবে ভর্তি হওয়া যাবে কিংস ফুটবল একাডেমিতে
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত কিংসের নিজস্ব অবকাঠামোতেই হবে অনুশীলন। আতর্জাতিক স্টেডিয়াম বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা, কিংসের ট্রেনিং গ্রাউন্ড তো আছেই, সঙ্গে আছে ৫টি টার্ফ। মূলত সেখানেই হবে ফুটবল প্রশিক্ষণ।
ফি নির্ধারণ হয়েছে ভর্তির জন্য ১০ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা করে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসিন্দাদের জন্য থাকছে বিশেষ ছাড়।
আরও তথ্যের জন্য বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ক্লাবটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে।
আবাসিক ব্যবস্থা হবে কবে?
বসুন্ধরা কিংস প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান জানিয়েছেন ঢাকার তুলনায় এর বাইরের অঞ্চল থেকে বেশি সাড়া পাচ্ছেন তারা। আপাতত আবাসিক ফুটবল একাডেমি চালু করতে না পারলেও দ্রুতই ঢাকার বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা আছে ক্লাবটির, “বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার একদিনেই অভূতপূর্ব সাড়া মিলছে। যেটা আমাদের প্রেরণা যোগাচ্ছে। আমাদের ক্লাব হাউজ তৈরির কাজ চলছে। সেটা শেষ হলেই আমরা আবাসিক একাডেমির কাজে হাত দেব। এমনকি আমরা বিদেশের নামকরা কিছু ক্লাবের একাডেমির সঙ্গেও আলোচনা করেছি, যাতে দ্রুতই তাদের তত্ত্বাবধানে আমরা একাডেমির কার্যক্রম আরও উন্নত করতে পারি।“
মেয়ের সুবিধা কেমন?
আপাতত ৬-১১ বছর বয়সী মেয়েরা অংশ নিতে পারবে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবল একাডেমিতে। ১১উর্ধ্ব আগ্রহী মেয়েদের জন্য উইমেনস কোচ ও ট্রেনার নিয়োগের পর সেই কার্যক্রমও চালু করার আশ্বাস দিয়েছে কিংস কর্তৃপক্ষ।
বাবা গৌরবমন্ডিত পেশাদারি ক্যারিয়ার থেকে অবসরে গিয়েছিলেন মার্কো মাতেরাৎজিকে ঢুঁশ মেরে লাল কার্ড দেখে। চ্যাম্পিয়নও হয়তো হতে পারতেন, তবে যেটা হয়নি সেটা নিয়ে বাক্য খরচের প্রয়োজন নেই। জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, লিগ শিরোপা, বিশ্বকাপও–এরকম অর্জনের প্রাপ্তির ঢেঁকুর তুলে অবশ্য বাবার মতো অবসরে যেতে পারছেন না জিজু জুনিয়র। বাবার দেখানো পথ ধরে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি চাপিয়ে খেলেছেন মাত্র একটা ম্যাচ, সবশেষ খেলছিলেন স্প্যানিশ তৃতীয় বিভাগের গ্রুপ ওয়ানের দল ফুয়েনলাব্রাদায়। এবার বয়স ত্রিশের কোঠা ছোঁয়ার ঠিক আগেই ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন জিনেদিন জিদানের বড় ছেলে এনজো জিদান, জানাচ্ছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম আস ডটকম
২০০৪ সালে পা রেখেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের অ্যাকাডেমিতে। হয়তো স্বপ্ন ছিল, যে ক্লাবে তাঁর বাবা সম্ভাব্য সবকিছু অর্জন করেছেন, সেই লস মেরাঙ্গেসদের জার্সি একদিন চাপিয়ে বার্নাব্যুর মাঠ মাতাবেন। প্রথম সুযোগটা করে দিয়েছিলেন জোসে মরিনিয়ো, ২০১১ সালে এনজো ক্লাবের প্রথম দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছিলেন। কিন্তু নিজের স্বপ্নটা বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরোও পাঁচ বছর।
এনজো এরমাঝে মাদ্রিদ জুভেনিল আর কাস্তিয়া দলের হয়ে খেলেছেন, কাস্তিয়ার অধিনায়কও ছিলেন একসময়। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এনজো জিদান তাঁর একমাত্র ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর। ইসকোর বদলি হিসেবে নেমে অভিষেকের ম্যাচ স্মরণীয় করে রেখেছিলেন ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে গোল করে। কিন্ত মাদ্রিদের হয়ে ক্যারিয়ার বড় করার স্বপ্নটা থেমে গিয়েছিল সেখানেই।
এরপর বাস্তবতা এনজোকে নিয়ে গেছে আলাভেসে, রায়ো মাহাদাহোনদা, আলমেরিয়ার মতো ক্লাবে। ফুটবল নিয়ে যে এত বড় স্বপ্নটা দেখেছিলেন, তাঁর বিস্তৃতিও সংকুচিত হয়েছে ক্রমে। মূল বিভাগ থেকে বের হয়ে যাযাবর হয়ে চলে গিয়েছিলেন তৃতীয় বিভাগেও। সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২৩ সালে, ফুয়েনলাব্রাদার হয়ে।
এবার সিদ্ধান্ত নিলেন, ঢের হয়েছে। তিন সন্তান আর স্ত্রী-র সঙ্গে সময় কাটানো আর পারিবারিক ব্যবসার দেখভালের জন্য বুটজোড়া-জার্সি তুলে রাখছেন আলমারিতে, এনজো তাঁর ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ত্রিশে পৌছানোর আগেই, জানাচ্ছে আস ডটকম।
প্রায় দুই দশক ধরেই ফুটবল মাঠে দাপট দেখিয়ে যেচ্ছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। রোনালদো তো এরই মধ্যে ৪০-এ পা রেখেছেন। মেসি হাঁটছেন সে পথেই। তবে মাঠের ফুটবলে দু’জন এখনো দুর্দান্ত। গোল করছেন ,করাচ্ছেন। যার পেছনের মূল কারণ তাদের দারুণ ফিটনেস। নিজেদের ঠিক রাখতে দু’জনই অনুসরণ করেন একই ধরণের পন্থা। যেখানে দুই তারকাই প্রাধান্য দেন ঘুমকে। এই একটি জায়গায় দারুণ মিল তাদের।
ত্রিশের পর যেখানে ফুটবলারদের ক্যারিয়ার নুইয়ে পড়ে সেখানে এই দু’জনই দেখিয়েছেন উল্টোটা। মেসিতো ৩৫ বছরে জিতেছেন বিশ্বকাপ, আর রোনালদো ত্রিশ ছোঁয়ার পর ভেঙেছেন একের পর এক রেকর্ড। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়ও দু’জনের ফিটনেসের দিকে আঙুল তোলার সুযোগ তারা দিচ্ছেন না।
খাবার রুটিন থেকে শুরু করে বিশ্রাম সব কিছুই তারা করেন ঘড়ির কাটা মেপে। এমনকি কতটুকু তারা দিনে ঘুমাবেন সেটার জন্যও আলাদা কোচও আছে তাদের। সম্প্রতি স্প্যানিশ ঘুম বিশেষজ্ঞ এদুয়ার্দে এস্তিভি এক পডকাস্টে জানিয়েছেন এমন তথ্যই, “মেসি সব মিলিয়ে দিনে ১১ ঘণ্টার মত ঘুমান, রোনালদোর ঘুমের সময়ও একই। এমনকি রোনালদোর ঘুমের কোচ আছে একজন, যিনি তাকে জানায় যে কত ঘণ্টা তাকে ঘুমাতে হবে।”
মাঠের ফুটবলে লোকে কেবল দেখে ফুটবলারদের সাফল্যই, এর বাইরেও যে তাদের কতটা পরিশ্রম করতে হয় তা থাকে আলোচনার বাইরে। এদুয়ার্দে এস্তিভি সেই পডকাস্টে আলোচনায় এনেছেন সেই কথাও, “ম্যাচে তারা নিজেদের সামর্থ্যের সবই দেয়, সেজন্য তাদের সেরে উঠতে সময়ই নিতে হয়। যদিও মানুষ মনে করে ফুটবলারদের কমই খাটতে হয়, যা মোটেও সত্য নয়। কারণ তাদের অনুশীলনে প্রচুর সময় দিতে হয়। কয়েক দিন আগেই আলোচনায় এসেছে পেশীর চোটের অন্যতম কারণ ঘুম কম হওয়া।”
অবশ্য মেসি-রোনালদো দুজনই এখন ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন দুই মহাদেশে। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর পর্তুগিজ অধিনায়কের অবস্থান সৌদি আরবের ফুটবলে।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে