
চলতি আইপিএলে এরই মধ্যে কিছু ম্যাচে রীতিমতো রানবন্যা বইয়ে গেছে। আর এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। একই আসরে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের নিজেদের গড়া রেকর্ড সোমবার নিজেরাই ভেঙেছে প্যাট কামিন্সের। তবে এতেও যেন সন্তুষ্ট নন সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেড। তার আক্ষেপ এখন ৩০০ রান করার!
আরও পড়ুন: স্মিথের পর যুক্তরাষ্ট্রের লিগে নাম লেখালেন হেডও
বোলারদের জন্য ভুলে যাওয়ার এক দিনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করে সানরাইজার্স। পেছনে ফেলে দেয় সম্প্রতি নিজেদের করা ২৭৭ রানের রেকর্ড। তবে ইনিংস বিরতিতে চমকেই দিলেন হেড।
দলের পরবর্তী লক্ষ্য কী, এই প্রশ্নে মারকুটে ওপেনার বলেন, “আমাদের স্কোরের শুরুতে এখন একটা ৩ রান দরকার, তাই না!”

ইনিংসে সানরাইজার্স মোট ২২টি ছক্কা হাঁকিয়েছে, যা আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি এবং হেড তার শততকের পথে মেরেছেন ছয়টি ছক্কা। ৪১ বলে ১০২ রান করেন অজি ব্যাটার।
সানরাইজার্সের ৩ উইকেটে ২৮৭ রান এখন ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ৩ উইকেটে ৩১৪ রানের পর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
No posts available.
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:৫২ পিএম
২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:২৩ পিএম

বিগ ব্যাশে গত ম্যাচে দুই উইকেট পান রিশাদ। তবে সেই ম্যাচে জয় পায়নি তার দল হোবার্ট হারিকেনস। রোববার এই লেগ-স্পিনারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জয়ে ফিরেছে হোবার্ট। মেলবোর্ন রেনেগাডসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রিশাদের দল।
কার্ডিনিয়া ওভালে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে মেলবোর্ন। জবাবে নিখিল চৌধুরী (৭৯*) ও বেন ম্যাকডারমটের (৪৯*) অপরাজিত ইনিংসে ৩৭ বল হাতে রেখে জয় পায় হোবার্ট। চলতি মৌসুমে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।
টস হেরে মেলবোর্নকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় হোবার্ট। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে টিম সেইফার্ট (৩৪) ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের (৩২) ব্যাট থেকে।
এদিন পাওয়ার প্লের পঞ্চম ওভারে রিশাদের হাতে বল তুলে দেন হোবার্ট অধিনায়ক নাথান এলিস। নিজের প্রথম ওভারে ১ বাউন্ডারিসহ ৭ রান দেন রিশাদ। সপ্তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারেও ৭ রান দেন রিশাদ।
এরপর ১১ তম ওভারে আবারো বোলিংয়ে আসেন রিশাদ। এই ওভারে আঁটশাট বোলিং করে মাত্র তিন দেন। এরপর নিজের শেষ ওভারে উইকেটের দেখা পান রিশাদ।
১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে জ্যাক-ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে বোল্ড করেন এই লেগ-স্পিনার। তার শেষ ওভারে আসে ৪ রান। প্রথম স্পেলে ১৪ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় স্পেলে ৬ রান খরচায় ১ উইকেট তুলে নেন। মোট ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন রিশাদ।
বিগ ব্যাশে নিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে পূর্ণ চার ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পেলেন রিশাদ। দ্বিতীয় ম্যাচে মেলবোর্ন স্টার্সের বিপক্ষে ৩৩ রান খরচায় ২ উইকেট নেন, আর প্রথম ম্যাচে ৩ ওভার বোলিং করে উইকেট শুন্য ছিলেন এই লেগ-স্পিনার।
হোবার্টের ইংলিশ পেসার ক্রিস জর্ডান ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন।

অ্যাশেজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়াকে গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল দল বলেছিলেন সাবেক ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। সেই দলটিই দুই ম্যাচ হাতে রেখে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জিতে নিয়েছে অ্যাশেজ। ম্যাচ শেষে ব্রডের কথার জবাব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন।
অক্টোবরে ব্রড বলেন, ২০১০–১১ মৌসুমে ইংল্যান্ড যে দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জিতেছিল, তার পর থেকে এটি সবচেয়ে দুর্বল অজি দল। সেই সিরিজে দুটি টেস্ট খেলেছিলেন ব্রড নিজেও।
আজ সিরিজ জয় নিশ্চিতের পর ব্রডের সেই কথার জবাবে লাবুশেন বলেন,
‘১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল দল বলা হয়েছিল আমাদের। এখন ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অবস্থায় বসে থাকতে মন্দ লাগছে না।‘
অ্যাডিলেড টেস্টে ৪৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড আজ অলআউট হয়েছে ৩৫২ রানে। ৮২ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। পুরো ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি ছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৩৮ জন। এর আগে পার্থ ও ব্রিসবেন টেস্টে ৮ উইকেটের জয় পায় স্বাগতিকরা।
তবে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেই তৃপ্তির ঠেকুর তুলতে চান না অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা। অজি ব্যাটার লাবুশেন জানান,
‘কাজ এখনও শেষ হয়নি, আমরা চাই ৫-০ ব্যবধানে জিতেই অ্যাশেজ শেষ করতে।‘
চলতি অ্যাশেজে চোটের কারণে শুরু থেকেই পূর্ণ শক্তির দল পায়নি অস্ট্রেলিয়া। নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স চোটের কারণে খেলতে পারেননি প্রথম দুই টেস্টে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন আরেক পেসার জশ হ্যাজেলউড। দ্বিতীয় টেস্টে বাদ পড়েন নাথান লায়নও।
প্রথম দুই ম্যাচে নিয়মিত বোলিং আক্রমণ থেকে একমাত্র সদস্য ছিলেন মিচেল স্টার্ক। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথম দুই টেস্টে ম্যাচসেরা হন স্টার্ক। চলতি অ্যাশেজের প্রথম তিন টেস্টে এই বাহাতি পেসারের উইকেট এখন ২২।
পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলেও ম্যাচ জেতার উপায় অস্ট্রেলিয়া খুঁজে নেয় বলে জানান স্টার্ক।
’আমরা কোনো না কোনোভাবে পথ বের করে নিই। অনেক বছর ধরেই এই দলটার একটা বৈশিষ্ট্য এটা। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলেও আমরা ম্যাচ জেতার উপায় খুঁজে নিই।‘

বরাবরের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ মৌসুমেও তারকাখচিত শক্তিশালী দল গঠন করেছে রংপুর রাইডার্স। সবসময়ের ন্যায় 'জয়ের লড়াই' স্লোগানে এবার তাদের অভিযান জার্সিতে তৃতীয় তারকা যোগ করার।
সেই মিশনে বড় দায়িত্ব থাকবে তরুণ গতিতারকা নাহিদ রানার ওপর। মোস্তাফিজুর রহমান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, আকিফ জাভেদদের নিয়ে গড়া পেস বিভাগে গতির ঝড় তোলার কাজটা করতে হবে তারই। সেটি ঠিকঠাক করে রংপুরকে চ্যাম্পিয়ন করাতে চান নাহিদ।
এখন পর্যন্ত ২০১৭ সালের বিপিএল ও ২০২৪ সালের গ্লোবাল সুপার লিগ শিরোপা জিতেছে রংপুর। তাই তাদের জার্সিতে রয়েছে দুটি স্টার। বিপিএলের নতুন মৌসুম শুরুর আগে টি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাহিদ বলেছেন, জার্সিতে নতুন স্টার যোগ করাতে চান তিনি।
টি স্পোর্টস: রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে আপাতত দুটো স্টার। তিন নম্বরটা হবে এবার?
নাহিদ: ইনশাআল্লাহ্! চেষ্টা করব। তিনটা স্টার হওয়ার জন্য যা যা করা লাগবে, প্রসেস অনুযায়ী চেষ্টা করব।
টি স্পোর্টস: রংপুরের ট্রফি জিততে আপনার কাঁধে একটা বড় দায়িত্ব থাকবে। সঙ্গে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দেশের দুজন অন্যতম সেরা পেসার। এটা কি একটা বাড়তি দায়িত্ব নাকি একটু চাপও মনে হচ্ছে?
নাহিদ: না! চাপ বলে কোন কিছু কিছু মনে হচ্ছে না। কারণ চাপ নিলেই চাপ। আমি শুধু উপভোগ করছি এবং চেষ্টা করছি যে কীভাবে রংপুর রাইডার্সকে ম্যাচ জেতানো যায়।
টি স্পোর্টস: মোস্তাফিজের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা রংপুর রাইডার্স নিয়ে কোনো?
নাহিদ: না! রংপুর রাইডার্সে মানে নিলাম হওয়ার পর উনি তো খেলা নিয়ে ব্যস্ত আইএলটিতে তো সেভাবে কথা হয় নাই তবে আসলে ইনশাল্লাহ কথা হবে।
টি স্পোর্টস: সবাই বলাবলি করছে নাহিদ রানার গতি নাকি একটু কমে গেছে। ব্যাপারটা কি সত্যি নাকি?
নাহিদ: আসলে আমি কোন কিছু মুখে বলতে বিশ্বাসী না আমি কাজেই করে দেখাতে বিশ্বাসী। আমি সবশেষ যে ম্যাচগুলাতে বোলিং করেছি... ঐ ম্যাচগুলা হয়তো যে বলছে (গতি কমেছে) সে হয়তো ম্যাচ দেখেনি। সে যদি ম্যাচ না দেখে থাকে তাহলে ম্যাচগুলা দেখে আসুক যে আমার পেস কমেছে নাকি আগের মতোই আছে।
টি স্পোর্টস: সম্প্রতি দেখা গেছে আপনি ইয়র্কার নিয়ে কাজ করছেন। ইয়র্কার দেওয়াই তো পেসারদের জন্য সবচেয়ে বেশি কঠিন। নাহিদ রানা নিজে কোনটা বেশি ইনজয় করে? ইয়র্কার দেওয়া না বাউন্সার দেওয়া?
নাহিদ: এইটা আসলে নির্দিষ্ট মুহূর্তের উপরে নির্ভর করে যে কেমন পরিস্থিতিতে বোলিং করছি। তবে যদি সার্বিক অবস্থার কথা বলেন যে কোনটা উপভোগ করি, তাহলে সেটা হলো বাউন্সার।
টি স্পোর্টস: আপনি নিজে হচ্ছেন চাপাইনবাবগঞ্জের। রংপুর আপনাদের খুব বেশি দূর না। তো হিসেবে রংপুরের মানুষ আমি নিজে দেখেছি। আপনার হয়তো মনে থাকার কথা আপনি যখন রংপুরে গিয়েছিলেন যে একটা ছবির জন্য মানুষের কী আগ্রহ। আপনি নিজে ঐদিন স্টেজে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছিলেন। এই যে মানুষের ভালোবাসা, এই ভালোবাসা ধরে রাখতে কিন্তু এবার একটা ট্রফি দিতে হবে তাদের।
নাহিদ: হ্যাঁ! ইনশাআল্লাহ্ চেষ্টা করব। রংপুরবাসী আমাদের জন্য দোয়া করবেন এবং রংপুরবাসীকে আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব একটা ট্রফি উপহার দেওয়ার।
টি স্পোর্টস: পেসারদের নিয়ে একটু শুনতে চাই। আমরা দেখেছি, আপনি পিএসএলে ডাক পেয়েছেন। মোস্তাফিজ এবার রেকর্ড দামে আইপিএলে। তাসকিনওআইএলটি টি-টোয়েন্টি খেলছেন। শরিফুলও শ্রীলঙ্কায় খেলেছিল। এই যে সব পেসারের একটা বাইরের লিগে খেলতে যাওয়া, দারুণ করা, বারবার হেডলাইনে আসা। এই ব্যাপারটা কতটা স্বস্তি দেয় একজন পেসার হিসেবে আপনাকে?
নাহিদ: ফিজ ভাইকে দেখে বিশ্বাস আসে। এইটা ধরেন আমাদের জন্য শেখার বিষয় এবং আমাদের জন্য এইটা একটা অনেক বড় পাওয়া যে আমাদের দেশের ফিজ ভাই বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশের বাইরে। এখন আইএলটি২০তে উনি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের দৌড়ে আছেন।
তো এই জিনিসগুলো শুনলে কিংবা ধরেন আমাদের পেস বোলিং অ্যাটাক ধরেন ওয়ার্ল্ডে সব দলই এখন সমীহ করে। তো এই জিনিসটা নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে এবং আমরা ধরেন যখনই যে যেখানে যায় আমরা চেষ্টা করি নিজের দেশকে কেমনে রিপ্রেজেন্ট করা যায়।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জোয়ারে এবার নাম লেখাল আফগানিস্তান। ২০২৬ সালের শেষ দিকে নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ করার ঘোষণা দিল তারা। পাঁচ দলের ‘আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ’ এর খেলা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
এর আগে ২০১৮ সালেও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ নামে একটি লিগ আয়োজন করেছিল তারা। পাঁচ দলের ওই টুর্নামেন্টের শুধু একটি মৌসুমই হয়েছিল। যেখানে ক্রিস গেইল, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, শহীদ আফ্রিদির মতো তারকারাও খেলেছিলেন।
তবে ওই টুর্নামেন্টে পারিশ্রমিক বিতর্ক এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পরে আর আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ হয়নি। সেসব পেছনে রেখে এবার নতুন শুরুর আশা আফগানদের।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) জানিয়েছে, আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী আসরে পাঁচটি শহরভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশ নেবে। আফগানিস্তান জাতীয় দলের শীর্ষ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বিদেশি তারকা ও উদীয়মান স্থানীয় ক্রিকেটাররা খেলবেন।
দুবাইয়ে লিগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসিবি চেয়ারম্যান মিরওয়াইস আশরাফ বলেন,
“আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ আমাদের ক্রিকেটযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে, নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আফগানিস্তান ক্রিকেটকে বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরবে।”
“আমরা আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক- উভয় পর্যায়েই ক্রিকেটের বিকাশ ও ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে দেখি।”
এই লিগ আয়োজনের জন্য এসিবি ক্রিকেট ভেঞ্চার–এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে, যা ট্রান্স গ্রুপ ও আইটিডব্লিউ ইউনিভার্সের যৌথ উদ্যোগ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উদ্বোধনের পর আয়োজকরা পরবর্তী ধাপে যাবেন, যার মধ্যে রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিচয় চূড়ান্ত করা, বাণিজ্যিক অংশীদার নিশ্চিত করা এবং খেলোয়াড় নিলাম বা ড্রাফট প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া।
এছাড়া আফগানিস্তান প্রতি বছর জুলাই–আগস্ট সময়ে পাঁচটি ঘরোয়া দলের অংশগ্রহণে তাদের নিজস্ব টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শাপাগিজা ক্রিকেট লিগ আয়োজন করে আসছে।

এশিয়া কাপে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। সেটিরই যেন বদলা নিলেন পাকিস্তানের যুবারা। ভারতকে ১৯১ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বার যুব (অনুর্ধ্ব-১৯) এশিয়া কাপের শিরোপা জিতলো পাকিস্তান।
রোববার দুবাইয়ে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ২৬.২ ওভারে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। এর আগে ২০১২ সালে ম্যাচ ড্র হওয়ায় ভারতের সঙ্গে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।
আইসিসি একাডেমি মাঠে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। আক্রমনাত্নক শুরু করলেও বেশিদূর যেতে পারেনি হামজা জহুর-সামির মিনহাস জুটি। চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩১ রানে জহুরের উইকেট হারায় পাকিস্তান।
উসমান খানকে নিয়ে ৯২ রানের জুটি গড়েন মিনহাস। ব্যাক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি করেন মাত্র ২৯ বলে। উসমান ৩৫ রান করে আউট হন।
তৃতীয় উইকেটে আহমেদ হুসেইনকে নিয়ে পাকিস্তানের ভিত গড়ে দেন মিনহাস। দুজনে মিলে গড়েন ১৩৭ রানের জুটি। ৭১ বলে সেঞ্চুরি করেন মিনহাস। হুসেইন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬৯ বলে। পরের ওভারে ৫৬ রান করে আয়ুশ মাত্রের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
মিনসাস সেঞ্চুরি করার পরও থামেননি। ১০৫ বলে দেড়শ’ রান পেরিয়ে যান ডানহাতি এই ব্যাটার। টুর্নামেন্টে এটি তাঁর দ্বিতীয় দেড়শ’র বেশি ইনিংস। ভারতের বিপক্ষে আজ ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ফিরে যান ১৭২ রান করে। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৭ টি চার, ৯ টি ছক্কা।
মিনহাসের আউটের পর শেষ সাত ওভারে পঞ্চাশ রানও তুলতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৩৪৭ রান করে ফারহান ইউসুফের দল।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল ভারত। প্রথম দুই ওভারেই তোলে ৩২ রান। তবে তৃতীয় ওভার থেকে যেন ছন্দপতন। অধিনায়ক আয়ুশ আউট হন দুই রান করে। পরের ওভারে মোহাম্মদ সায়েমের (৯ বলে ১৬ রান) উইকেট হারায় ভারত।
পঞ্চম ওভারে হামজা জহুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বৈভব সূর্যবংশী ( ১০ বলে ২৬ রান)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। পাওয়ার প্লে-তে আরও দুই উইকেট হারায় দলটি। প্রথম ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে। দলীয় ৯৪ রানে সপ্তম উইকেটের পতন হয় ভারতের। এরপর অপেক্ষা ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
পাকিস্তানের হয়ে আলী রেজা ৪টি, মোহাম্মদ সায়েম, আব্দুল সোবহান ও হুজাইফা আহসান দুটি করে উইকেট নেন।