মনে আছে ২০১৪ সালের মারাকানার কথা? জার্মানির কাছে বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ মুহুর্তে গোল খেয়ে হৃদয় ভেঙেছিল আর্জন্টিনার। বড়দের মত এবার ছোটদেরও স্বপ্ন ভেঙেছে সেই জার্মানির কাছেই। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ট্রাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে জার্মানি।
দারুণ এই ম্যাচে কি ছিল না? ক্ষণে ক্ষণে বদলেছে ম্যাচের রঙ। একবার আর্জেন্টিনা এগিয়েছে তো আরেকবার জার্মান। তবে শেষ পর্যন্ত টাইবেকারে গিয়ে শেষ হাসিটা জার্মানিরই।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্যারিস ব্রুনারের গোলে খেলার নবম মিনিটে এগিয়ে যায় জার্মানি অনূর্ধ্ব-১৭ দল। অগাস্তিন রুবার্তোর নৈপূণ্যে শুরুর ওই গোল শোধ দিয়ে মাঝবিরতির আগে লিডও নেয় আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৭ দল। ৩৬ মিনিটে স্কোর ১-১ করার পর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করে আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন অগাস্তিন রুবার্তো।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধের দারুণ এক প্রত্যাবর্তন ঘটায় জার্মানি। গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ফিনিশে জার্মানিকে সমতায় ফেরান ব্রুনার। এরপর আর্জেন্টিনার বিপদ আরও বাড়ে ম্যাক্স মোরেশডাটের গোলে। ডিবক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে হেডে বল জালে জড়ান এই স্ট্রাইকার।
আর্জেন্টিনার হার যখন সময়ের ব্যাপার তখনই আরো একবার দলকে পথ দেখান রুবের্তো। যোগ করা ৮ মিনিটের শেষ সময়ে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই তরুণ।
যেখানে নায়ক বনে যান জার্মান গোলরক্ষক কনস্ট্যান্টিন হেইডি। আর্জেন্টিনার প্রথম দুই শট ঠেকিয়ে দলকে অনেকটাই এগিয়ে দেন। গোল মিস করেছেন ব্রাজিলের বিপক্ষে হেট্রিকের দেখা পাওয়া আর্জিন্টিনার এচেভেরিও। সেদিনের নায়ক আজ বনে গেছেন ভিলেনই। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের টাইব্রেকারের হারে ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হলো আর্জেন্টিনার।
বড়দের বিশ্বকাপে তিনবার শিরোপা জিতলেও ছোটদের আসরে একবারও ট্রফি জিততে পারেনি আর্জেন্টিনা। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালেও তো খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনার ছোটরা। এবার যেই দারুণ ফর্মেই ছিল তারা, তবে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে যাওয়া হলো না।
আগামী ২ ডিসেম্বর ইন্দোনিশিয়ায় বসবে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল। যেখানে জার্মানির প্রতিপক্ষ ফ্রান্স এবং মালির ম্যাচে বিজয়ী দল।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:১২ পিএম
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ পিএম
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:৪৯ পিএম
গেল কিছু দিন থেকেই গুঞ্জনটা ভাসছিল। রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নাম বদলে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের নামে নামকরণের কথা শোনা যাচ্ছিল বেশ। যদিও সেটার অনুমোদন দেননি খোদ পেরেজই। তবে এবার শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। স্প্যানিশ গণমাধ্যম ‘মার্কা’ দাবি করছে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নাম বদলের জন্য রিয়াল বোর্ড থেকে গ্রিন সিগিন্যাল মিলেছে। গণমাধ্যমটির দাবি, নুতুন নাম হতে যাচ্ছে ‘দ্য বার্নাব্যু’।
মার্কা বলছে মূলত মার্কিটিংয়ের কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষ রিয়াল বোর্ড।
বছর খানেক আগেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে নতুন রূপে সাজিয়েছে রিয়াল। মাঠের নানা সুবিধা বাড়ানো সহ বৃদ্ধি করা হয়েছে দর্শক ধারণ ক্ষমতা। এছাড়া পরিবর্তন করা হয়েছে মাঠের টার্ফ এবং নানা ধরণের ইভেন্ট আয়োজনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যেখান থেকে বেশ বড় অঙ্কের অর্থ আয় করতে পারছে রিয়াল।
আরও পড়ুন
সবচেয়ে বেশি খেলেছেন কুন্দে, তালিকায় আছেন রিয়াল-লিভারপুল ফুটবলারও |
আয় আরও বাড়াতেই স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করার দিকে ঝুঁকছে রিয়াল। অবশ্য এমনটা নতুন না। রিয়ালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদ চলতি মৌসুমে রিয়াদ এয়ারলাইন্সের সাথে নয় বছরের চুক্তি করেছে। ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো থেকে স্টেডিয়ামের নাম দেওয়া হয়েছে রিয়াদ এয়ার মেট্রোপলিটানো। যেখান থেকে বিশাল পরিমাণ অর্থই আয় করেছে তারা। রিয়ালও সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাচ্ছে।
১৯৫৫ সালে রিয়ালের ঘরের মাঠে নাম দেওয়া হয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। রিয়ালের তখনকার প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ফুটবলার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নামেই নামকরণ হয় এই স্টেডিয়ামটির। যিনি ৩৪ বছর দায়িত্ব সামলেছেন রিয়ালের প্রেসিডেন্টের। নতুন নামকরণ হলেও অবশ্য থাকবে তার নাম, সেই সাথে যুক্ত হতে পারে কোনো একটা স্পন্সর কোম্পানির নাম।
লম্বা সময় ধরেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ধুঁকছে। তাদের ব্যর্থতার সময়টা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রিমিয়ার লিগে সিটিজেনরা গেল দশকে দেখিয়েছে এক চেটিয়া দাপট। তাতে ম্যানচেস্টারের রঙ লাল থেকে বদলে পরিণত হয়েছে নীলে। চলতি মৌসুমে দুই দলই হাঁটছে একই পথে। দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে ম্যানচেস্টার যেন রঙ হারিয়ে অন্ধকারে।
বৃহস্পতিবার বক্সিং ডে-তে দুই দল আরও একবার হতাশ করেছে সমর্থকদের। ঘরের মাঠে এভারটনের সাথে এগিয়ে গিয়েও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি। ইউনাইটেডের ভাগ্যে অবশ্য তাও জোটেনি। উলভসের মাঠে গিয়ে ২-০ গোলের হার নিয়ে ফিরেছে রেড ডেভিলরা।
তাতে পয়েন্ট টেবিলে ইউনাইটেডকে খুঁজে পেতে সমর্থকরা কিছুটা বেগই পাবে। অবশ্য অবনমনের দিক থেকে খোঁজা শুরু করলে কাজটা সহজ হয়ে যাওয়ার কথা। নতুন কোচ রুবেন আমোরিমের অধীনে শেষ পাঁচ প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে তারা দেখেছে চার হার। সব মিলিয়ে ১৮ ম্যাচ খেলে তারা জয়ের চেয়ে হারই দেখেছে বেশি। ৬ জয়ের বিপরীতে ৮ হারে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৪ নম্বরে আছে ইউনাইটেড।
অবনমনে থাকা দলগুলোর সাথে ইউনাইটেডের ব্যবধানটা ৮ এখন পয়েন্টের। তাতে আমোরিম কোনোমতে টিকে থাকাটাকেই দিচ্ছেন প্রাধান্য,
“আমাদের এখন কোনো মতে টিকে থাকতে হবে। জেতার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে এবং এই বাজে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে লড়াই করে যেতে হবে।”
অন্যদিকে সিটি আছে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে। পেপ গার্দিওলার দল গেল পাঁচ ম্যাচ ধরেই জয়হীন। সব মিলিয়ে শেষ ১৩ ম্যাচে তারা জয় পেয়েছে মোটে তিনটা। একের পর এক চোট আর ছন্দহীন ফুটবলে সিটি যেন বড্ড অচেনা। তৈরি হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পাওয়া নিয়েও শঙ্কা।
সর্বশেষ সাত মৌসুমের মধ্যে ছয়বার প্রিমিয়ার লিগ জেতা সিটির আত্মবিশ্বাস পৌঁছেছে তলানিতে। এভারটন ম্যাচ শেষে তাই দলের আত্মবিশ্বাস ফেরানোর কথাই বলেছেন সিটি কোচ,
“ আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ম্যাচ জিতলে আত্ববিশ্বাস এমনিতেই আসবে। এভারটনের সাথে আমরা ভালোই খেলেছি। অনেক সুযোগ তৈরি করেছি,তবে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসেনি।”
বছরের শেষটা খুব একটা মন্দ হয়নি, লা লিগা বিরতিতে যাওয়ার আগে রিয়াল মাদ্রিদের প্রেক্ষিতে এমনটা বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। আর প্রেক্ষাপটে যদি বার্সেলোনার তুলনা আনা হয়, তাহলে তো কথাই নেই! বার্সেলোনা যেখানে সাত ম্যাচে সর্বহারা হয়ে নেমে গেছে পয়েন্ট টেবিলের তিনে, সেখানে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আতলেতিকোর পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র এক, দুই দল খেলেছেও একটি করে ম্যাচ কম। কিন্তু নতুন বছর ২০২৫ এ পা রাখার আগ মুহূর্তে আবার ঘুরে ফিরে আসছে পুরোনো আলাপ–শীতে নতুন কোনো মুখ আসবে কী?
আগের মৌসুমে পুরো বছরজুড়ে জোড়াতালি দিয়ে ব্যাকলাইন সাজিয়েছিলেন আনচেলত্তি। ছিলেন না কোর্তোয়া, মিলিতাও, আলাবার কেউই। ভিনিসিয়ুস ভুগেছেন একটা লম্বা সময়ের ইনজুরিতে। তারপরও লা লিগা, সুপারকোপা আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা কেউ আটকাতে পারেনি। এবারের ক্যাম্পেইনের গল্পটা ভিন্ন। টনি ক্রুস অবসর নেওয়ায় সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের হোল্ডিং রোলটাতে কাউকে সাইন করায়নি মাদ্রিদ বোর্ড। তার ওপর উলটো আবার এসিএল ইনজুরিতে পড়েছেন মিলিতাও, এসিএল ইনজুরিতে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে চমৎকার এক মৌসুম কাটানো দানি কারভাহালেরও। চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় ম্যাচে তিন হার, লিগে বার্সার কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার আর বিলবাওর কাছে নতি স্বীকার–এসব ঘটনার পর আনচেলত্তি যেমন চাপ বোধ করেছেন, তেমনি মাদ্রিদের ইনজুরিপ্রবণ স্কোয়াডে নতুন সাইনিং ভেড়ানোর ব্যাপারে একটা তোরজোড় শোনা গেছে। কিন্তু স্প্যানিশ গণমাধ্যম এএস জানাচ্ছে, মাদ্রিদ ভক্তরা শীতকালে নতুন কোনো সাইনিংয়ের ব্যাপারে আশা করে বসে থাকলে বরং হতাশই হবেন।
আরও পড়ুন
রিয়ালের হয়ে শিরোপা জেতা সবচেয়ে সহজ কাজ: আনচেলত্তি |
মাদ্রিদ সবশেষ শীতকালের দলবদলে ভিড়িয়েছিল ব্রাহিম দিয়াজকে, সেটা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ এর জানুয়ারিতে সেটা ছয় বছরের পুরোনো ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে। শীতের সময়ে ট্রান্সফার মার্কেট বোঝাটাও কঠিন, তাই দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের কথা ভেবে মাদ্রিদের সর্বেসর্বা ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ নতুন সাইনিংয়ের ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখাননি। এবারও একের পর এক ইনজুরির ভিড়ে দলবদলে সক্রিয় হওয়ার গুঞ্জন উঠলে তিনিই সাফ জানিয়ে দেন, জানুয়ারিতে নতুন কোনো মুখ দেখা যাবে না মাদ্রিদ শিবিরে।
তবে এর পেছনে যৌক্তিক কারণও আছে রিয়াল মাদ্রিদের। ডেভিড আলাবার সেরে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং স্প্যানিশ গণমাধ্যম রেলেভোর ভাষ্যনুযায়ী, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই পূর্ণ দমে ম্যাচ খেলতে পারবেন তিনি। মাদ্রিদের জন্য তাদের ব্যাকলাইনে অবশ্য বড় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে এসেছেন তাদের কাসতিয়া গ্র্যাজুয়েট রাউল আসেনসিও। তার উপস্থিতি, ইমপ্যাক্ট বিচার করে জানুয়ারিতে নতুন কোনো সেন্টার ব্যাকের দিকে ঝোঁকার ইচ্ছা নেই লস মেরেঙ্গেসদের, জানাচ্ছে এএস। তাছাড়াও আলফনসো ডেভিসকে পরবর্তী মৌসুমের গ্রীষ্ম থেকে পাওয়ার ব্যাপারে মাদ্রিদের আশার পারদ অনেক তুঙ্গে। বোর্ডের ধারণা, মাদ্রিদকে দেওয়া ‘জেন্টলম্যানস এগ্রিমেন্ট’ রক্ষা করবেন তিনি।
মাদ্রিদের এখন সকল মনোযোগ তাই পরবর্তী মৌসুম, অর্থাৎ ২০২৫-২৬ এর গ্রীষ্মের ট্রান্সফার উইন্ডোকে ঘিরে। এবং সেখানে মাদ্রিদের চিন্তা, ধ্যান ধারণা দুটো পজিশন ঘিরে। একজন নতুন রাইট ব্যাক ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার সাইন করানো।
নতুন রাইট ব্যাক রোলে এক ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার আরনল্ডকে ছাড়া আর কারো কথা ভাবতে পারছে না মাদ্রিদ বোর্ড। ২৬ বছর বয়সী এই লিভারপুল রাইট ব্যাককে এরই মধ্যে কয়েকবার নতুন চুক্তি সই করার প্রস্তাব দিয়েছে লিভারপুল, যার সবগুলোই প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রেন্ট। আর জুড বেলিংহামের সঙ্গে ভালো সখ্যতা আছে ট্রেন্টের, সেটাও রিয়ালের জন্য বড় অ্যাডভানটেজ। সবকিছু ঠিক থাকলে অল রেডদের লাল ছেড়ে লস মেরেঙ্গেসদের সাদা কালোতে ট্রেন্টকে দেখাটা অসম্ভব কিছু নয়।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস জাদুতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা রিয়ালের |
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের রোলের জন্য মাদ্রিদের রাডারে আছেন সান সেবাস্তিয়ানের মার্টিন জুবিমেন্দি, যিনি গত গ্রীষ্মেই লিভারপুলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে থেকে গেছেন রিয়াল সোসিয়েদাদে। আছেন পিএসজির পর্তুগিজ তারকা ভিতিনিয়াও, তবে এখনো কারো প্রতি মনস্থির করেনি মাদ্রিদ বোর্ড। আলেইক্স গার্সিয়ার নামও শোনা গেছে কয়েকবার, কিন্তু মিডফিল্ডের ঘাটতি মেটাতে কার দিকে নজর দিবে রিয়াল মাদ্রিদ, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কয়েকদিন, কিংবা মাস
চমৎকার এক মৌসুম পার করছেন মোহাম্মেদ সালাহ, প্রিমিয়ার লিগে ছুটছে তার গোল আর অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড। মুসলমান ধর্মের অনুসারী হওয়ায় মিশরের এই তারকা লিভারপুলের প্রতি আকৃষ্ট করেছেন বিশ্বজুড়ে অনেক মুসলিম ভক্তকে। কিন্তু খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাসের দিন মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখেন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা।
প্রতি বছরের মতো এবারও পরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস, অর্থাৎ বড়দিন উদ্যাপনের ছবি নিজের ৬৩ লাখ ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারদের জন্য পোস্ট করেছেন সালাহ। সেখানে হাস্যোজ্জ্বল সালাহ তার স্ত্রী ম্যাগির সঙ্গে বসে আছেন তার দুই মেয়ে মাক্কা আর কায়ানকে নিয়ে। এমন পোস্টকে ভালোভাবে নেননি সালাহ’র মুসলিম ধর্মাবলম্বী ভক্তরা।
আরও পড়ুন
সালাহ’র জাদুর ঝাঁপি থেকে আবারো মুগ্ধতা, গড়েছেন নতুন রেকর্ডও |
বুধবার রাতে স্ত্রী ও দুই মেয়ের সাথে ক্রিসমাসের জামা গায়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করেন সালাহ।
১৫ ঘণ্টা আগে শেয়ার করা সালাহর সেই পোস্ট এরই মধ্যে দুই মিলয়নের বেশি লাইক পড়েছে। কমেন্ট এসেছে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার।
কয়েকজন তো লিখেছেন এমনটা সালাহর কাছে তারা প্রত্যাশা করেননি। এরকম একজন লিখেছেন ‘তুমি আমাকে হতাশ করেছো, আরেকজন লিখেছেন,
“এখনি এটা ডিলিট কর। কান্নার ইমোজি দিয়ে আরেকজন লিখেছেন, “মুসলমানরা তোমাকে অনুসরণ করে, আর তুমি বিনিময়ে আমাদের এটা ফিরিয়ে দিলে?”
অবশ্য এই পোস্টে সালাহ সমালোচনা যেমন পেয়েছেন, সৌহার্দ্যও পেয়েছেন অনেকের। জেমসরেডমনড নামের একজন লিখেছেন,
“এই ধরনের বাজে কমেন্টে কান দিয়ো না তুমি, আশা করছি তুমি ও তোমার পরিবার ভালো একটা সময় কাটাতে পারছো।”
মাঠের বাইরে যেমনই মাঠের পারফরম্যান্সে লিভারপুল ফরোয়ার্ড আছেন ফর্মের তুঙ্গে। সব মিলিয়ে ২৪ ম্যাচে ১৮ গোলের পাশাপাশি করেছেন ১৫ অ্যাসিস্ট।
আরও পড়ুন
নিজের লিভারপুল অধ্যায়ের শেষ দেখছেন সালাহ |
কোচ হিসেবে ব্যক্তিগত ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় পার করছেন পেপ গার্দিওলা। টানা চার মৌসুম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জেতা ম্যানচেস্টার সিটি গত ১২ ম্যাচের ৯টিতেই হেরেছে! উদ্ধার পাওয়ার জন্য এখন পাগলপারা গার্দিওলা। এজন্য আর্জেন্টিনার নতুন সেনসেশন ক্লদিও এচেভেরিকে নিয়ে পরিকল্পনায় বদল এনেছে ম্যানচেস্টার সিটি কর্তৃপক্ষ। জানুয়ারিতেই ক্লদিও এচেভেরি আসবেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। ইনজুরি আর অফফর্মে ভুগতে থাকা সিটির জন্য ত্রাতা হবেন এচেভেরি, এমনটাই প্রত্যাশা কোচ পেপ গার্দিওলার।
যদিও বছরখানেক আগেই সাড়ে ১২ মিলিয়ন ইউরোতে ক্লদিও এচেভেরিকে কিনেছিল ম্যানসিটি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এক বছরের জন্য তাকে রেখে দেয়া হয় নিজ ক্লাব রিভারপ্লেটে। এরপর তাকে স্প্যানিশ ক্লাব জিরোনায় ধারে পাঠানোর পরিকল্পনাও ছিল সিটি ম্যানেজমেন্টের। তবে এবার বাধ্য হয়ে জিরোনা নয়, ম্যানসিটি’র হয়ে তাকে খেলানোর চিন্তা করেছেন গার্দিওলা।
আরও পড়ুন
‘মেসির মত আর কেউ নেই’, বিশ্বাস এমিলিয়ানোর |
ম্যানসিটি’র সাথে চুক্তি করার পর ২০২৪ সালে রিভারপ্লেটের হয়ে ৪ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট করেছেন এই তরুণ। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণের সাফল্যে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে ক্লাবটি। তবে ইতিমধ্যে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন এচেভেরি। এখন শুধুই সিটিজেনদের হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষা। ১৭ ম্যাচে মাত্র ২৭ পয়েন্ট চ্যাম্পিয়নদের, লিগ টেবিলে অবস্থান ৭ নাম্বারে। আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাটাই এখন বড় প্রশ্নের মুখে। ইংলিশ লিগের শিরোপার স্বপ্ন এখন গার্দিওলাও আর দেখছেন না! চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টেবিলেও নেই স্বস্তির খবর। ৬ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট, টেবিলে অবস্থান ২২ নাম্বারে।
গেল বছর নভেম্বরে ক্লদিও এচেভেরির দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে ভর করে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। ট্রান্সফার মার্কেটে আগামীর বড় খেলোয়াড় তিনি। লিওনেল মেসির মতোই খেলার ধরণ। এখন আসছে জানুয়ারিতে মাঠে নেমে কি পরিবর্তন আনতে পারবেন এচেভেরি, সেই প্রশ্ন এখন সিটিজেন ফ্যানদের মনেও!
৬ দিন আগে
৯ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে