টানা ২য় ম্যাচ হেরে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ২য় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ভিয়েতনামে আজ বাংলাদেশকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ফিলিপাইন।
প্রথম ম্যাচ ভিয়েতনামের সাথে হেরে শুরু করা বাংলাদেশের মূলপর্বে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচ জয় ছাড়া ভিন্ন পথ ছিলো না। তবে, শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ৩য় মিনিটেই ফিলিপাইনকে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার ইসাবেলা। পেনাল্টি এরিয়ার ভেতরে বাইলাইনের কাছাকাছি জায়গা থেকে গোলপোস্টে নেয়া ইসাবেলার শট হাত ফসকে যায় বাংলাদেশ গোলকিপার সঙ্গীতা রানীর। সেখানেই পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত
অবশ্য সেই পিছিয়ে যাওয়া ছিলো ক্ষণিকের। সেই গোলের কাউন্টার অ্যাটাক থেকেই বাংলাদেশের সমতা। পেনাল্টি এরিয়ার ভেতর থেকে চিপে বাংলাদেশেকে গোল এনে দেন সাগরিকা।
গোলকিপার থেকে বিল্ডআপ, সেই বল নিয়েই বাংলাদেশের হাই লাইন ডিফেন্ডিংকে টপকে যান ফিলিপাইন ফরোয়ার্ড লিনা। বল ব্লক করতে এগিয়ে আসা গোলকিপার সঙ্গীতাও আটকাতে পারেননি লিনাকে। ৩২ মিনিটে স্কোরলাইন হয়ে যায় ফিলিপাইন ২, বাংলাদেশ ১।
আর ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার কয়েক সেকেন্ড আগে বাংলাদেশের জালে শেষ আঘাতটা করেন জেলেনা সুন। কর্নার থেকে হেডে গোল এই ডিফেন্ডারের।আর তাতেই বাংলাদেশের হার ৩-১ গোলে।
বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে সিঙ্গাপুরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো বাংলাদেশ। তুর্কমেনিস্তানকে ৬-০ আর স্বাগতিকদের হারায় ৩-০ গোলে, তাতেই জায়গা হয় বাছাইপর্বের ২য় রাউন্ডে। নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের কিশোরীরা।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সর্বশেষ খেলার আপডেট জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসে এছাড়া ফেসবুকে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন ও ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
জিম্বাবুয়ের হার অনকেটা নিশ্চিত হয়ে যায় প্রথম দিন! অলৌকিক কিছু না ঘটলে হার ঠেকানোর কোনো উপায় ছিল না। জ্যাকারি ফোকসের তোপ দাগানো বোলিংয়ে সেই কাজ অনায়াসে করে নিয়েছে কিউইরা। পেয়েছে রানের দিক থেকে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়। বুলাওয়েতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ৩৫৯ রানের রেকর্ড গড়া জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। আর জিম্বাবুয়ে পেয়েছে টেস্টে নিজেদের সবচেয়ে বড় হারের তিক্ত স্বাদ।
ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে নিউজিল্যান্ডের তিনটি বড় জয়ই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এর আগের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ২০১২ সালে নেপিয়ারে পাওয়া ইনিংস ও ৩০১ রানের জয়। শুধু তা-ই নয়, টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ের তালিকায় আজকের জয়টি জায়গা করেছে তিন নম্বরে। তার চেয়ে বড় দুই জয় - ১৯৩৮ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংস ও ৫৭৯ রানে হারায় ইংল্যান্ড। সেটি এখন পর্যন্ত রানের দিক থেকে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের জয় ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়াদের ইনিংস ও ৩৬০ রানে হারিয়েছিল অজিরা।
টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬০১ রান। লিড ছিল ৪৭৬ রানের। আজ তৃতীয় দিন আর ব্যাটিংয়ে নামেনি তারা। এ রান তাড়া করে নিউজিল্যান্ডকে আবার লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়া - জিম্বাবুয়ের জন্য ছিল ‘আকাশ-কুসুম’ স্বপ্ন। অভিষেক টেস্টে ফোকসের রেকর্ড বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। প্রথম ইনিংসে করেছিল তারা ১২৫ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ৯ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁতেই ব্যর্থ হন। নিক ওয়েলচ সর্বোচ্চ ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক ক্রেগ এরভিন করেন ১৭ রান। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ফোকস শিকার করেছেন ৫ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি ও জ্যাকব ডাফি।
দুই ইনিংসে মিলিয়ে ৭৫ রান দিয়ে ফোকসের শিকার ৯ উইকেট। অভিষেকে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারও এটি। এর আগে উইলিয়াম ও’রুর্কি গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। তার আগে নিউজিল্যান্ড ৩ উইকেটে ৬০১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। রাচিন রবীন্দ্র ১৬৫ ও হেনরি নিকোলস ১৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৫৩ রান করেন ডেভন কনওয়ে। দুই টেস্টের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে আবার কাজ করতে ঢাকায় চলে এলেন টনি হেমিং। শনিবার প্রথম প্রহরে ঢাকায় পা রাখেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অস্ট্রেলিয়ান এই কিউরেটর।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে দুই বছরের জন্য হেমিংকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিসিবি। তবে এক বছর বাকি থাকতেই গত বছরের জুলাইয়ে কাজ ছেড়ে দেন তিনি।
ওই মাসেই তাকে প্রধান কিউরেটর হিসেবে নিয়োগ দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এখনও পিসিবির হয়েই কাজ করছেন হেমিং। তবে এর মধ্যেই নতুন করে বিসিবির সঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা জেগেছে তার।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কিউরেটর গামিনি সিলভার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ভাবছে বিসিবি। কিছু দিন আগে এক বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে শ্রীলঙ্কান কিউরেটরের। তবে সম্প্রতি তার কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বোর্ড।
তাই গামিনিকে সরিয়ে হেমিংকে আবারও নিয়োগ দিতে চায় বোর্ড। শনিবারের বিসিবি সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
ক্রিকেট পিচ, মাটি বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষক হিসেবে প্রায় ৩৭ বছরের অভিজ্ঞতা হেমিংয়ের৷ আশির দশকে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ক্যারিয়ার শুরু তার৷
দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি ও দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর হিসেবেও দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন হেমিং। ওমানেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।
বাংলাদেশে আসার আগে প্রায় অর্ধ যুগ তিনি অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ওয়াকা স্টেডিয়ামে মাটি বিশেষজ্ঞ ও অপটাস স্টেডিয়ামে অ্যারেনা ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন।
ক্রিকেটের বাইরেও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। প্রায় দুই বছর সৌদি আরবের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামের অ্যারেনা ম্যানেজার ছিলেন হেমিং।
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে শনিবার অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে পৌঁছেছে বাংলাদেশ 'এ' দল। তবে দলের সঙ্গে যাওয়া হয়নি হাসান মাহমুদের। রোববার ডারউইনে পৌঁছাবেন ২৫ বছর বয়সী পেসার।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকালে ডারউইনে নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলি রাব্বিদের স্বাগত জানান টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের আয়োজকরা।
টুর্নামেন্টের গত আসরে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ এইচপি (হাই পারফরম্যান্স) দল। সেবার রানার্স আপ হয়ে ফিরেছিল তারা।
সেই হতাশা ভুলিয়ে দেশ ছাড়ার আগে এবার শিরোপা জেতার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে যাওয়ার কথা বলেন 'এ' দলের অধিনায়ক সোহান।
বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তানের 'এ' দল (শাহিনস) অংশ নেবে এই আসরে। এছাড়া নেপালের জাতীয় দলও খেলবে টুর্নামেন্টে।
১১ দলের এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আগামী বৃহস্পতিবার, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান 'এ' দল।
প্রথম রাউন্ডে সব দল খেলবে ৬টি করে ম্যাচ। ১৬ অগাস্ট নেপাল, ১৭ অগাস্ট পার্থ স্কর্চার্স, ১৯ অগাস্ট নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইক, ২১ অগাস্ট মেলবোর্ন স্টারস ও ২৩ অগাস্ট নিজেদের শেষ ম্যাচে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
২৪ অগাস্ট একই দিনে হবে টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শেষে আগামী ২৮ অগাস্ট থেকে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি চার দিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ 'এ' দল।
মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজ সমতায় শেষ করে ভারত। সিরিজজুড়ে দারুণ ছন্দে ছিলেন এ পেসার। আলাদা করে ওভাল টেস্টের কথা তো বলতেই হয়। চোখ রাঙানি দিচ্ছিল হার। কিন্তু সিরাজের আগ্রাসী বোলিংয়ে খাদের কিনারা থেকে রোমাঞ্চকর জয় পায় ভারত। সিরিজে প্রত্যেক ডেলিভারিতে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রয়াস ছলি তাঁর বড় অস্ত্র। সিরাজের এমন লড়াকু মানোভাব দেখে কিংবদন্তি জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে তুলনা করলেন আজিঙ্কা রাহানে।
ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটার রাহানের মতে, হাত পাকিয়ে নিতে অন্য বোলারদের কয়েকটা বল প্রয়োজন হলেও সিরাজ এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। প্রথম বল থেকেই প্রস্তুত থাকেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তাই সিরাজের প্রশংসা ঝরল রাহানের কণ্ঠে,
‘অনেক বোলারের নিজেকে গরম হতে ৮-১০ বল লাগে। কারও লাগে ২ বল। কিন্তু সিরাজ প্রথম বল থেকেই প্রস্তুত থাকে। একদম জেমস অ্যান্ডারসনের মতো—প্রথম বল থেকেই ছন্দে থাকে। এমনকি ওর স্পেলের অষ্টম বা নবম ওভারেও সেই একই আগ্রাসন ও তীব্রতা দেখা যায়।’
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকর ট্রফিতে পাঁচ টেস্টে ২৩ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সিরাজ। বোলিং গড় ছিল ৩২.৪৩। পুরো সিরিজে ১১১০টি ডেলিভারি করেও চোটমুক্ত ছিলেন এ পেসার। কতটা পরিশ্রম ও ধারাবাহিক ছিলেন পরিসংখ্যানই বলছে। তাঁর সঙ্গেই সতীর্থ জসপ্রিত বুমরাহ লড়েছিলেন চোট ও ফিটনেসের সঙ্গে।
রাহানে মনে করেন, সিরাজ এখন অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে শিখেছে। বিশেষ করে যখন বুমরাহ দলে থাকেন না। সে প্রসঙ্গ টেনে এই অভিজ্ঞ ব্যাটার বলেন, ‘আমি ওর(সিরাজ) মধ্যে একটা বড় পরিবর্তন দেখেছি। এখন সে নিজেই নিজের ফিল্ড সাজাতে চায়। যখন কোনো বোলার ক্যাপ্টেনকে বলে, আমাকে এই ফিল্ড সেট করে দাও, তখনই বোঝা যায় সে দায়িত্ব নিতে শিখেছে। এই সিরিজে, বুমরাহ না থাকায়, সেই বাড়তি দায়িত্ব ওকে সহায়তা করেছে।’
আক্রমণাত্মাক মনোভাব সিরাজকে ভয়ংকর বোলারে পরিণত করেছে বলছেন রাহানে। ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে তুলনা করেন সিরাজের। সাবেক ইংলিশ পেসারের আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল - টানা লম্বা স্পেলে বোলিং করার শক্তি। সিরাজের মধ্যেও সে ছায়া খুঁজে পেয়েছেন রাহানে।
সিরাজের লম্বা স্পেলে মুগ্ধ রাহানে বলেন,
‘আমার সিরাজকে সবচেয়ে ভালো লাগে তার দীর্ঘ স্পেল বোলিং। ২০২০-২১ সালের সিরিজেও সে একই রকম তীব্রতা নিয়ে বল করত। অস্ট্রেলিয়ায় যখন ওর অভিষেক হলো, ও রেগে গিয়েছিল, কারণ ওকে দেরিতে বল করতে দিয়েছিলাম। সেই রাগটা আজও আছে ওর মধ্যে। আর এই রাগটাই ওর সেরা পারফরম্যান্সটা বের করে আনে। এই ইংল্যান্ড সিরিজেও আমরা সেটা দেখেছি। ওর বল করার আগ্রাসন ও তীব্রতা যখন প্রথম বল করতে আসে, তখন থেকেই পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে।’
গ্রায়েম ক্রিমার, জিম্বাবুইয়ান লেগস্পিনার যে কিনা ভাল ব্যাট করতেও পারে! ২০১৮ সালে মিরপুরে এক ওয়ানডেতে দশ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের, কিংবা ২০১৬ সালে হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর সেই অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস! আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট থেকে কোথায় জানি হঠাৎই হারিয়ে গিয়েছিলেন। বয়স যখন ৩৯, তখন আবার ফিরছেন ক্রিকেটে। ৭ বছর অর্ন্তধানের পর আবারও ফিরছেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে!
জিম্বাবুয়ের ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন তিনি। ৪৫ ওভারের ক্রিকেটে ফেরার ম্যাচেই ৪৩ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। পরের ম্যাচেও পেয়েছেন চার-চারটি উইকেট। ইতিমধ্যে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন দেশটির নির্বাচকদের। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর আর তাকে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি! এই ৭ বছরে গলফার হওয়ার চেষ্টা করেছেন ক্রিমার!
২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হয়েছিল ক্রিমারের। ঐতিহাসিক সেই টেস্টের জয় ছিল টাইগারদের ইতিহাসে প্রথম। ঐ সিরিজে ৬টি শিকার ছিল ক্রিমারের। এরপর জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন ক্রিমার, কিন্তু সফল হননি। ২০১৬ সালে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে খারাপ করেননি, বলের পাশে ব্যাট হাতেও সফল হচ্ছিলেন। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দল উত্তীর্ণ না হওয়ায় মন ভেঙ্গে যায় ক্রিমারের। ছেড়েই দেন ক্রিকেট। বিমানের পাইলট স্ত্রীকে সহায়তা করার মনস্থির করেন। বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য থিতু হন দুবাইয়ে। সেই জীবনটা কেটে যায় ৭ বছর। এই সময়ের মাঝে ক্রিকেটের কোচিং স্টাফ হিসেবে কিছু কাজ করেছেন, কিন্তু সময় কাটিয়েছেন গলফে।
ক্রিকেটে ফিরেই ঝলমলে তাঁর পারফর্মেন্স। আর তাইতো আবারও জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন এই লেগস্পিনার। ক্রিমারের চোখ আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০১৯ ও ২০২৩ বিশ্বকাপে উত্তীর্ণ হতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এবার সেই লক্ষ্যে সিনিয়র হিসেবে হাত লাগাতে চান ক্রিমার। সেই লড়াইয়ে ফিরছেন ব্যাডবয় ব্রেন্ডন টেইলরও, প্রায় চার বছর পর তিনি ফিরেছেন জাতীয় দলে। বন্ধু ক্রিমারকেও পাশে চান ব্রেন্ডন।