৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২০ পিএম
আসরের শুরু থেকেই ঢাকা ক্যাপিটালসকে ভোগাচ্ছেন ব্যাটাররা। এদিন অবশ্য তাড়া কাজের কাজটা ঠিকই করে দিলেন। নিজের সেরা সময়কে মনে করিয়ে দেওয়া এক ইনিংসে সাব্বির রহমান রীতিমত ছড়ি ঘোরালেন বোলারদের ওপর। চিটাগং কিংসের রান তাড়ায় ইনিংসের শুরুটা ভালো হলেও মাঝে কিছুটা লড়াই করেছিল ঢাকা। তবে মোহাম্মদ মিঠুন ও শামিম হোসেনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল চিটাগং।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৪তম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ঢাকা করেছিল ৫ উইকেটে ১৭৭ রান। চিটাগং সেটা তাড়া করেছে ৭ উইকেট ও ৩ বল হাতে রেখে।
রান তাড়ায় চিটাগংয়ের শুরুটা হয় ইতিবাচক। প্রথম কয়েকটি ওভারে পারভেজ হোসেন ইমন সেভাবে সুবিধা না করতে পারলেও উসমান খান ছিলেন ইতিবাচক। পাকিস্তান ব্যাটার প্রায় প্রতি ওভারেই চার ও ছক্কার মারের মাধ্যমে রানের চাকা সচল রাখেন। পাওয়ার প্লের শেষের দিকে গিয়ে ছন্দ পান ইমনও। তাতে বোর্ডে বিনা উইকেটে জমা হয় ৫৫ রান, যা জয়ের পথ অনেকটাই সুগম করে দিয়েছিল দলটির।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতিতে মুগ্ধ ইফতিখার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহানের |
এরপর আক্রমণে এসেই ইমনকে ফেরান ফরমানউল্লাহ সাফি। তবে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরার আর সুযোগ না দিয়ে এরপর গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেওয়া জুটি গড়েন উসমান। ঢাকা অধিনায়ক থিসারা তার করা প্রথম ওভারেই হজম করেন ১৮ রান।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফিফটি করার পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উসমান। ৩৩ বলে ৫৫ রান করার পর শিকার হন মুস্তাফিজুর রহমানের। তবে তার আগেই চিটাগংয়ের পূর্ণ হয় দলীয় শতক।
সেট ব্যাটার ক্লার্ক একপ্রান্ত আগলে এরপর এগিয়ে নেন ইনিংস। সাথে পেরেরার ওভারে ১২ রান দিয়ে তাল মেলান মোহাম্মদ মিঠুনও। তবে ১৪ থেকে ১৬, এই তিন ওভারে মাত্র ১৯ রান নিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় চিটাগং।
তবে সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মিঠুন ও শামিম হোসেন। ৩২ রানের অপরাজিত জুটিতে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। অভিজ্ঞ মিঠুন ২১ বলে করেন ২৯, আর শামিম মাত্র ১৪ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় করেন ৩০ রান।
এর আগে সন্ধ্যায় আগে ব্যাট করা ঢাকার ইনিংসকে অনায়াসেই ভাগ করা যায় দুই ভাগে। একটিতে থাকবেন সাব্বির রহমান, যেখানে তিনি রান করেছেন অবলীলায়। আরেক দলে থাকবেন অন্য ব্যাটাররা, যাদের রান করতে কিছুটা ভুগতেই হয়েছে।
আরও পড়ুন
সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নেই সাইফের, আরও ভালো করার প্রত্যয় |
লিটন দাসকে ছাড়াই এই ম্যাচ খেলতে নামা ঢাকাকে হতাশ করে মাত্র ১ রানেই আউট হয়ে যান তারকা ব্যাটার জেসন রয়। স্টিফেন এস্কিনাজিকে নিয়ে এরপর জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম। তবে দুই ব্যাটাররা পারেননি সেভাবে চালিয়ে খেলতে। ফলে ঢাকার রান সেভাবে এগিয়ে যেতে পারেনি এই সময়ে।
এস্কিনাজির বিদায়ের পর হতাশ করেন এস্কিনাজিও। সাব্বির ক্রিজে গিয়ে শুরুতে খুব একটা আশা জাগাতে পারেননি। প্রথম ৯ বলে করেন মাত্র ৪ রান। অন্যপ্রান্তে ৪২ বলে ফিফটি করেন তানজিদ। তিন ছক্কা ও দুই চারে আরাফাত সানির এক ওভারেই ২৬ রান নিয়ে সাব্বিরের ঝড়ের শুরু এরপরই।
পাকিস্তান পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমকে টানা দুই ছক্কার পর হাঁকান একটি চারও। চোখ জুড়ানো সব শটে সাব্বির মনে করিয়ে দেন তার সেরা সময়কে। পঞ্চাশ পা রাখেন স্রেফ ২০ বলে। অন্যপ্রান্তে সেভাবে আর সমর্থন না পেলেও এরপর একাই ঢাকাকে লড়াকু পুঁজি এনে দেওয়ার কাজটা করেন সাব্বির। অপরাজিত থাকেন মাত্র ৩৩ বলে ৮২ রানে, যেখানে ছিল ৯টি ছক্কা ও ৩টি চার।
১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
১০ জানুয়ারি ২০২৫, ৯:১৩ পিএম
১০ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৪২ পিএম
১০ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:২২ পিএম
এই কিছুদিন আগেও জোর গুঞ্জন ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও নির্বাচকদেরও চাওয়া ছিল তামিম ইকবালকে দলে নেওয়ার। তবে নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকলেন তামিম ইকবাল। এক বছরের বেশি সময় জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের।
শুক্রবার রাতে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লম্বা এক পোস্টে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না খেলা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কারণ বিস্তারিতবে তুলে ধরেছেন তামিম। সেই
তামিম শুরুতেই স্পষ্ট করেন চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে না খেলার কারণ। “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর সামনে, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।”
আরও পড়ুন
হারের বৃত্তেই ঘুরপাক সাব্বির-লিটনদের, সিলেটের প্রথম জয় |
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে নাটকীয়ভাবে অবসর নিয়েও দ্রুত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তামিম। তবে নানা ঘটনার জেরে বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে নিজেকে আগেই সরিয়ে নেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এরপর কয়েক দফায় এসেছে তার বাংলাদেশ দলে ফেরার। বোর্ডের পক্ষ থেকেও মিলেছে ইতিবাচক সাড়া। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেও গত এক বছরে আর জাতীয় দলে খেলেননি তামিম।
এরপরও বিষয়টি এতদূর গড়ানোতে কিছুটা আক্ষেপই করেছেন তামিম। “এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তার পরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যে কোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে”
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার ও তিন ফরম্যাটে সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটার তামিম। দেশে-বিদেশে রয়েছে তার অজস্র ভক্ত। তাদের অন্তত চাওয়া ছিল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা খেলে যেন মাঠ থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তামিম।
আরও পড়ুন
হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হলেন ইনজামাম-মিসবাহ সহ ৪ জন |
বিদায় বেলায় তামিম সেটা না হওয়ার পেছনে তুলে ধরেছেন ২০২৩ বিশ্বকাপ না খেলতে পারার আক্ষেপকে। “২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তার পরও আমি যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি, ‘তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।’”
দুই দলের জন্যই আসর শুরু হয়নি প্রত্যাশা অনুযায়ী। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে তুলনামূলক বেশি চাপের মুখে থাকা ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে আলো ছড়ালেন লিটন দাস। খেললেন মনোমুগ্ধকর এক ইনিংস। সাথে সাব্বির রহমানের ক্যামিওতে জেগেছিল জয়ের আশা। তবে জাকির হাসানের ফিফটির পর জাকের আলি, রনি তালুকদার ও অধিনায়ক আরিফুল হকের ব্যাটে চড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স পেল নিজেদের প্রথম জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৬তম ম্যাচে সিলেট জিতেছে ৩ উইকেটে। ঢাকার করা ৬ উইকেটে ১৯৩ রান দলটি পাড়ি দিয়েছে ৮ বল হাতে রেখেই। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই রইল ঢাকা।
আগের ম্যাচের ঢাকা হারলেও ভালো একটি ইনিংস খেলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের প্রথম ওভারে ছক্কা মারে আভাস দিয়েছিলেন এদিনও ভালো কিছুর। তবে রাহকিম কর্নওয়েলের অফস্পিনে ওই ওভারেই বিদায় ঘটে তার। রানের জন্য সংগ্রাম করা লিটন আগের ম্যাচে ছিলেন না একাদশে। এই ম্যাচে ফিরে শুরু থেকেই উপহার দেন ছন্দময় ব্যাটিং।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতিতে মুগ্ধ ইফতিখার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহানের |
তানজিম হাসান সাকিবের করা চতুর্থ ওভারে হাঁকান টানা তিনটি বাউন্ডারি। কিছু বড় শট খেললেও মুনিম সেভাবে তাল মেলাতে পারছিলেন না। তবে চাপ না বাড়িয়ে লিটন এগিয়ে নেন রানের গতি। নাহিদুল ইসলামকে মারেন পরপর দুই বলে চার ছক্কা। ছয় ওভারেই দলীয় ফিফটি হয়ে যায় ঢাকার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভুলে যাওয়ার মত ২০২৪ কাটানো লিটন সিলেটের দর্শকদের উল্লাসে ভাসিয়ে ৬ চার ও ১ ছয়ে প্রায় ১৭০ স্ট্রাইক রেটে ফিফটির দেখা পান স্রেফ ২৯ বলে। কয়েকটি বড় শট খেললেও অন্যপ্রান্তে ঠিক বিপরীত ব্যাটিং উপহার দেন মুনিম। মাত্র ১১০ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাট থেকে ৪৭ বলে আসে ৫২ রান।
মুনিমের বিদায়ের ঠিক আগে ১২৯ রানের জুটির অবদান ঘটে লিটনের আউটে। দুর্দান্ত কিছু শটে আশা জাগাচ্ছিলেন শতকের। তবে ফিরতি স্পেলে আসা কর্নওয়েলকে সুইপ করতে গিয়ে পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে। অবশ্য তার আগে উপহার দেন মাত্র ৪৩ বলে ৭৩ রানের উপভোগ্য এক ইনিংসের।
আরও পড়ুন
ডার্বিশায়ারে নতুন দায়িত্ব পেলেন রংপুর রাইডার্স কোচ আর্থার |
লিটনের পর মুনিমকেও শিকাত বানান কর্নওয়েল। দীর্ঘদেহী এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার বল হাতে নিলেই স্টেডিয়ামের দর্শকরা তাকে চিয়ার করে সমর্থন যুগিয়েছেন সেই সময়ে। ব্যাটিং উইকেটে চার ওভারে মাত্র ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে এর দারুণ প্রতিদানও দেন কর্নওয়েল।
ক্রিজে যেতেই চারে নামা সাব্বিরও পেয়েছেন দর্শকদের অকুন্ঠ সমর্থন। আগের ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করার রেশ ধরে রেখে এই দফায়ও শুরু থেকেই দেখান আগ্রসন। স্রেফ ছক্কায় বাড়ান রানের গতি। টানা তিন ওভারে তানজিম, আল-আমিন হোসেন ও রিস টপলিকে ছক্কায় ওড়ান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। বড় শট মারতে গিয়েই শেষ পর্যন্ত থামতে হয় ২৮ রানে, বল খেলেন মাত্র ১০টি।
সাথে থিসারার ক্যামিও ইনিংস ঢাকার স্কোর পার করে ১৯০। এরপর বল হাতে দলটির শুরুটা ছিল স্বপ্নের। প্রথম বলেই কর্নওয়েলকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওই ওভারেই জাকির হাসানের হাতে হজম করেন ছক্কা। দুই চারে ১১ রানে ইতি ঘটে জর্জ মুন্সির পথচলা।
শুরুটা ভালো পেলেও একই চিত্র ছিল অ্যারন জোন্সেরও। তবে চাপের মুখে একপ্রান্ত আগলে সিলেটকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন জাকির। শুভম রঞ্জনের করা প্রথম ওভারে মারেন চারটি চার, যা পাওয়ার প্লে শেষে তার দলকে এনে দেয় ৭৪ রান।
মোসাদ্দেক হোসেনকে টানা দুই বাউন্ডারি মেরে মাত্র ২৫ বলেই ফিফটি হয়ে যায় জাতীয় দলের এই ব্যাটারের। শুভমকে ছক্কা মেরে এরপরের বলেই থামতে হয় জাকিরকে। তবে তার আগে করেন গুরুত্বপূর্ণ ৫৮ রান (২৭ বল)।
এরপর সিলেট এগিয়ে নিচ্ছিলেন জাকের আলি অনিক ও অভিজ্ঞ রনি তালুকদার। তবে যথাক্রমে ২৪ ও ৩০ রানে পরপর দুই ওভারে তাদের বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় সিলেট। তখনই ত্রাতার ভূমিকায় হাজির আরিফুল।
আরও পড়ুন
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে রাজশাহীর দ্বিতীয় জয় |
আবু জায়ের রাহির এক ওভারে ১৪ রান নিয়ে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন দলের জয়। এরপর তিনিই সারেন বাকি আনুষ্ঠানিকতা। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ২৮ রানে।
আগেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে এসেছেন ইফতিখার আহমেদ। এবার খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে, যেখানে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে গতিময় বোলার নাহিদ রানাকে। এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সম্ভাবনাময় পেসার হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে তরুণ এই বোলারকে। কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতায় নাহিদে মুগ্ধ ইফতিখার। একই সাথে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ফিনিশিং স্কিলও পাচ্ছে তার প্রশংসা।
এখন পর্যন্ত আসরে ছয় ম্যাচ খেলে ছয়টিতেই জিতেছে রংপুর। গতির ঝড় তুলে আলোড়ন ফেলে দেওয়া নাহিদ এর মধ্যে দুই বার হয়েছেন ম্যাচ সেরা। একবার নিয়েছেন চার উইকেট, যা এই ফরম্যাটে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারও। নিয়মিতভাবেই ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে নাহিদ এখন সময়ের অন্যতম আলোচিত পেসার।
আরও পড়ুন
প্রথম বলের ছক্কায় জয়ের বিশ্বাস পেয়েছেন সোহান |
শুক্রবার সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় নাহিদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন অলরাউন্ডার ইফতিখার। “আমার কাছে নাহিদ রানাকে এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা বোলার বলেই মনে হচ্ছে। সে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি টাচ করছে। তার বোলিংটা আমি দারুণ উপভোগ করছি। ১৫০ গতির একটা বোলার দলে থাকলে, সেটা আপনি দারুণ উপভোগ করবেনই।”
রংপুরের শেষ ম্যাচের জয়ের নায়ক অবশ্য নাহিদ নন। সেটা ছিলেন অধিনায়ক সোহান, যিনি তার ক্যারিয়ারে ফিনিশার হিসেবে অনেক ম্যাচ আগে জিতিয়েছেন। তবে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে যা করেছেন, তা ছিল অবিশ্বাস্যই। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ৩০ রান নিয়ে দলকে এনে দেন নাটকীয় এক জয়।
ক্যারিয়ারে অসংখ্য ম্যাচ খেলে ফেলা ইফতিখারের কাছে সোহানের ইনিংসটি পাচ্ছে ‘স্পেশাল’ মর্যাদা। “দেখুন, আমি ক্যারিয়ারে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। শেষ ওভারে ২৬ রান নিয়ে দলকে জিতিয়ে দেওয়া, এটা আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস। পৃথিবীর যে কোনো কন্ডিশনে, যে কোনো বোলারের বিপক্ষেই এটা একটা কঠিন কাজ। এমন ফিনিশিং আমার ক্যারিয়ারের দেখা অন্যতম সেরা ছিল।”
পাকিস্তান ক্রিকেটে অবদানের দারুণ স্বীকৃতি পেলেন দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা চার জন ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ইনজামাম-উল-হক, মিসবাহ-উল-হক, সাঈদ আনোয়ার ও মুশতাক মোহাম্মদ এবং সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
এই চার জন্য যুক্ত হবেন এখন পর্যন্ত এই সম্মান পাওয়া আরও দশজনের সাথে। পিসিবি হল অব ফেম চালু করেছে ২০২১ সাল থেকে।
পাকিস্তানের ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদ্যস ছিলেন ইনজামাম। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১২০টি টেস্ট, ৩৭৮টি ওয়ানডে এবং একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। টেস্টে প্রায় ৯ হাজার রানের পাশাপাশি ওয়ানডেতে করেছেন ১১ হাজারের বেশি রান। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে দেশটির ইতিহাসের টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর (৩২৯ রান)।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতিতে মুগ্ধ ইফতিখার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহানের |
পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়কদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় মিসবাহকে। ২০১০ সালে পাকিস্তান ক্রিকেটের কুখ্যাত স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর তিনি অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। তার হাত ধরে ২০১৬ সালে পাকিস্তান টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে চলে গিয়েছিল।
হল অব ফেমের অন্যজন, সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তানের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার। ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে তার করা ১৯৪ রান একটা লম্বা সময় ধরে ছিল ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। ৫৫ টেস্টে ৪ হাজারের বেশি রানের পাশাপাশি ২৪৭টি ওয়ানডেতে তার নামের পাশে রয়েছে ৮ হাজার ৮২৪ রান।
আর মুশতাকের ১৯৫৯ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তার টেস্ট অভিষেক হয়। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ অভিষিক্ত ক্রিকেটার। তিনি ১৭ বছর বয়সে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। সব মিলিয়ে খেলেছেন ৫৭টি টেস্ট এবং ১০টি ওয়ানডে। তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে।
রংপুর রাইডার্সের প্রধান কোচ হিসেবে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দায়িত্ব পালনের মধ্যেই অন্য ক্লাবে বিস্তৃত হল মিকি আর্থারের ভূমিকা। কাউন্টির দল ডার্বিশায়ারের ক্রিকেটের প্রধান হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নর্দার্ন সুপারচার্জার্স-এর ক্রিকেট পরিচালক হিসেবেও।
ডার্বিশায়ার ২০২৪ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ভীষণ বাজেভাবে শেষ করেছিল। ডিভিশন টু-তে ১৪ ম্যাচে জিতেছিল মাত্র একটি ম্যাচে। এছাড়া টি-২০ ব্লাস্ট ও মেট্রো ব্যাঙ্ক ওয়ানডে কাপে ব্যর্থ হয় নকআউট পর্বে যেতে।
আরও পড়ুন
নাহিদের গতিতে মুগ্ধ ইফতিখার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোহানের |
বিশ্ব ক্রিকেটে এই মুহূর্তে অন্যতম অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত কোচদের একজন হিসেবে বিবেচিত আর্থার। ফ্র্যাঞ্চাইজির পাশাপাশি অভিজ্ঞতা আছে জাতীয় দলের সাথে কয়েকবার কাজ করারও। সবশেষ ছিলেন পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে। সেই আলোকেই তাকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে ডার্বিশায়ার। নতুম ভূমিকায় তিনি কাজ করবেন ক্লাবটির ছেলেদের ও মেয়েদের দলের সাথে।
আর্থার দ্য হানড্রেডে দলকে খেলোয়াড় নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেবেন এবং প্রধান কোচদের সমর্থন দেবেন। অভিজ্ঞ এই কোচ মেট্রো ব্যাঙ্ক ওয়ানডে কাপের সময় কাউন্টির সাথে থাকবেন, যখন আবার একযোগে দ্য হানড্রেডও চলবে।
আর্থার এই মুহূর্তে ব্যস্ত বিপিএল নিয়ে। গ্লোবাল সুপার লিগ দিয়ে প্রথমবার নেন রংপুরের দায়িত্ব। তার কোচিংয়ে পাঁচ দলের আসরে শিরোপা জেতে দলটি। এবারের বিপিএলেও আছে স্বপ্নের ফর্মে। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জিতে আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
আরও পড়ুন
বিফলে গেল সাব্বিরের ঝড়ো ফিফটি, চিটাগংয়ের স্বস্তির জয় |
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
২০ দিন আগে
২৩ দিন আগে