
গত আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই বিশ্ব ক্রিকেটে আলোচনায় বৈভব সূর্যবংশী। মাঠে প্রতিনিয়ত ঝড় তুলে নজর কেড়েছেন ১৪ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটার। রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের ম্যাচে গতকাল মাত্র ৩২ বলে সেঞ্চুরি করে আরও একবার তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে তোলপাড় সৃষ্টি করা এই ব্যাটিংয়েও নাকি বাবাবে সন্তুষ্ট করতে পারেননি সূর্যবংশী।
কাতারের দোহায় গতকাল ভারত ‘এ’ দলের হয়ে মাঠে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তাণ্ডব চালান সুর্যবংশী। মাত্র ৩২ বলে সেঞ্চুরি করা এই তরুণ ব্যাটার ৪২ বল খেলেই তুলে নেন ১৪৪ রান। ৩৪২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ইনিংসে মারেন ১১ চার ও ১৫ ছক্কা। ভারতের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির তালিকায় এটি যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি।
ম্যাচের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) একটি ভিডিও শেয়ার করে, যেখানে সুর্যবংশী বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। সেখানে বাবা সঞ্জীব সুর্যবংশী বলছিলেন,
‘ও বলটায় তো ছক্কা হওয়া উচিত ছিল।’
বাবার এমন মন্তব্যের বিষয়ে সুর্যবংশী জানান,
’আমি ২০০ রান করলেও বাবা বলবেন আরও ১০ রান করা যেত। কিন্তু মা সবসময় খুশি হন, আমি সেঞ্চুরি করি বা শূন্য- সবসময় বলেন, “ভাল করছো, চালিয়ে যাও।”
তরুণ এই ব্যাটার নিজের ব্যাটিং নিয়ে বলেন,
’আমি অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করি না। ছোটবেলা থেকে যা প্র্যাকটিস করেছি, সেটাই মাঠে কাজে লাগাই। নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলি। আজ যদি আর একটু খেলতে পারতাম, স্কোর ২০–৩০ রান বাড়তে পারত, নিজের রেকর্ডও হতে পারত।‘
আইপিএল ২০২৫ এ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে অভিষেক করেন সুর্যবংশী। মাত্র ৭ ইনিংসে একটি সেঞ্চুরিসহ তিনি করেন ২৫২ রান, স্ট্রাইক রেট ছিল ২০৬.৫৫। জুনে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে যুব টেস্টে ৭৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যুব টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন ভারত অনূর্ধ্ব–১৯ দলের এই ওপেনার। যুব ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড ও ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরির রেকর্ড দুটিই দখলে রয়েছে সুর্যবংশীর।
No posts available.
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৬:২৫ পিএম

রাজস্থান রয়্যালস ছেড়ে চেন্নাই সুপার কিংসে এসে অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন না সাঞ্জু স্যামসন। সামনের আইপিএলেও চেন্নাইকে নেতৃত্ব দেবেন রুতুরাজ গাইকদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় এটি নিশ্চিত করেছে চেন্নাই।
আইপিএলের ট্রেডিং উইন্ডোতে দুই অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা, স্যাম কারানের পরিবর্তে স্যামসনকে নিয়েছে চেন্নাই। তখন থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন, অধিনায়কত্বও পেতে পারেন অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় চেন্নাই লিখেছে, 'দলকে এগিয়ে নিন, অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকদ।' এতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন না স্যামসন। শুধু একজন ওপেনার হিসেবেই খেলবেন আইপিএলে অধিনায়কত্ব করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকা ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার।
আরও পড়ুন
| ‘২০০ করলেও বাবা তৃপ্ত হন না’ |
|
২০২৩ সালের আইপিএলে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন হয় চেন্নাই। পরবর্তী মৌসুমের শুরুতে মহেন্দ্র সিং ধোনির জায়গায় চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব পান রুতুরাজ। এরপর ২০২৪ সালে পঞ্চম ও ২০২৫ সালের আইপিএলে সবার নিচে থেকে শেষ করে চেন্নাই।
গত আইপিএলে অবশ্য বেশিরভাগ ম্যাচে ছিলেন না রুতুরাজ। তার অনুপস্থিতিতে ধোনিই তখন দলকে নেতৃত্ব দেন।
আইপিএল মিনি নিলামের আগে জাদেজা, কারান, ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র ও মাথিশা পাথিরানাকে ছেড়ে দিয়েছে চেন্নাই। ৪টি বিদেশি কোটাসহ সর্বোচ্চ ৮ জন ক্রিকেটার কেনার জন্য নিলামে ৪৩.৪০ কোটি রুপি আছে তাদের।
আবু ধাবির ইতিহাদ এরেনায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর হবে সামনের আইপিএলের মিনি নিলাম।

ভারতের জন্য বড় এক ধাক্কাই বটে। কলকাতা টেস্ট থেকে একরকম ছিটকেই গেলেন শুবমান গিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় দিনে গলার পেশীতে চোট পান ভারতীয় ব্যাটার। ঘাড়ের চোটে কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাকে।
আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই মাত্র ৩ বল খেলেই মাঠ ছাড়েন গিল। প্রোটিয়া স্পিনার সিমন হার্মারকে স্লগ-সুইপ করার সময় গিল আঘাত পান তিনি। শটটি খেলার পরই সঙ্গে সঙ্গে ঘাড়ের পিছনের দিকে হাত দিয়ে ব্যথায় কাতরে ওঠেন এবং দ্রুত ফিজিওর সাহায্য চান। প্রাথমিক পরীক্ষার পর, মাত্র ৩ বল খেলে ৪ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায় 'রিটায়ার্ড হার্ট' হন গিল।
প্রথম সেশনের পর বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানায়,
‘শুবমান গিলের গলায় পেশীতে সমস্যা হয়েছে এবং তাকে বিসিসিআইয়ের মেডিকেল টিম পর্যবেক্ষণে রেখেছে।’
ঘণ্টাখানেক পর স্ট্রেচারে শুইয়ে গিলকে ঘাড়ের কলার পরিয়ে মাঠের বাইরে আনা হয়। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দ্রুত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে স্টেডিয়াম থেকে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।
গিলের চোট নিয়ে ভারতের সহকারী কোচ মর্নি মর্কেল বলেছেন,
‘গিল খুব ফিট, নিজের খেয়াল রাখে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এই চোট হয়তো রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবেও হতে পারে।’
গত কয়েক মাসই ভারতের ব্যস্ত সূচিতে দম ফেলার সময় পাননি গিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে পর অস্ট্রেলিয়ায় সফর। ব্রিসবেনে ম্যাচ খেলেই কলকাতা ফেরা। সব মিলিয়ে বেশ ধকল সহ্য করতে হয়েছে ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ককে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে অবশ্য সুবিধাজনক জায়গায় আছে ভারত। দ্বিতীয় দিনেই জয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের ৭ উইকেটে তুলে নিয়েছে তারা। সফরকারীদের লিড মাত্র ৬৩।

আগামী মাসে হবে আইপিএলের ১৯তম মৌসুমের খেলোয়াড় নিলাম। তার আগে আজকে দলগুলোর 'রিটেইনড' (ধরে রাখা) ও 'রিলিজড' (ছেড়ে দেওয়া) ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ছেড়ে দেওয়ার তালিকায় সবচেয়ে বড় চমক হিসবে এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের নাম।
আইপিএলে ২০১৪ সাল থেকে কলকাতার হয়ে খেলছেন রাসেল। ২০২৫ সালের মেগা নিলামের আগে ১২ কোটি টাকায় রুপিতে এই তাঁরকা ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
২০১৯ আইপিএলে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন রাসেল। কলকাতার হয়ে ২০১৪ ও ২০২৪ মৌসুমের শিরোপা জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। গত মৌসুমে ১০ ইনিংসে ১৬৭ রান করেছেন ১৬৩.৭২ স্ট্রাইক রেটে। বোলিংয়ে ৯ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
রাসেল ছাড়াও গত নিলামে দলটির সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ভেঙ্কটেশ আয়ারকে ছেড়ে দিয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন দলটি। কলকাতার ছেড়ে দেওয়ার তালিকায় বিদেশিদের মধ্যে আরো আছেন কুইন্টন ডি কক, আনরিখ নরকিয়া, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, মঈন আলি ও স্পেনসার জনসন।
অন্যদিকে চেন্নাই সুপার কিংস রবিন্দ্র জাদেজা ও স্যাম কারানকে ট্রেডে ছেড়ে দেওয়ার পর আজ মাথীশা পাথিরানা, ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রাবিন্দ্রাকে ছেড়ে দিয়েছে।
আইপিএলের সব দলের রিলিজকৃত (ছেড়ে দেওয়া) খেলোয়াড়দের তালিকাঃ
কলকাতা নাইট রাইডার্স
আন্দ্রে রাসেল, ভেঙ্কটেশ আয়ার, মঈন আলি, কুইন্টন ডি কক, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, আন্দ্রে নর্টিয়ে, স্পেন্সার জনসন, মায়াঙ্ক মারকার্ডে (মুম্বাইতে ট্রেড), চেতন সাকারিয়া, লুভনিথ সিসোদিয়া
চেন্নাই সুপার কিংস
রবীন্দ্র জাদেজা (রাজস্থানে ট্রেড), স্যাম কারান (রাজস্থানে ট্রেড), মাথিশা পাথিরানা, ডেভন কনওয়ে, রাচিন রাভিন্দ্রা, দীপক হুডা, রাহুল ত্রিপাঠী, বিজয় শঙ্কর, বংশ বেদি, অ্যান্ড্রে সিদ্ধার্থ, শেখ রশীদ, কমলেশ নাগারকোটি
রাজস্থান রয়্যালস
কুনাল সিংহ রাঠোর, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহীশ থিকশানা, ফজলহক ফারুকি, আকাশ মাধওয়াল, অশোক শর্মা, কুমার কার্তিকেয়া, সঞ্জু স্যামসন (চেন্নাইতে ট্রেড), নীতিশ রানা (দিল্লিতে ট্রেড)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
লিয়াম লিভিংস্টোন, স্বস্তিক চিকারা, টিম সাইফার্ট, মনোজ ভান্ডাগে, লুঙ্গি এনগিডি, ব্লেসিং মুজারাবানি, মোহিত রাঠে, মায়াঙ্ক আগরওয়াল
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
সত্যনারায়ণ রাজু, বিকনেশ পুথুর, রিস টপলি, বেভন জ্যাকবস, মুজীব উর রহমান, লিজাড উইলিয়ামস, করণ শর্মা, কে.এল. শ্রিজিথ, অর্জুন তেন্ডুলকার (লখনউতে ট্রেড)
লখনউ সুপার জায়ান্টস
আর্যন জুয়েল, ডেভিড মিলার, যুবরাজ চৌধুরি, রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার, আকাশ দীপ, রবি বিশ্নোই, শার্দুল ঠাকুর (মুম্বাইতে ট্রেড)
দিল্লি ক্যাপিটালস
ফাফ ডু প্লেসিস, জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, সেদিকুল্লাহ আতাল, মান্বন্থ কুমার, মোহিত শর্মা, দর্শন নালকান্ডে, ডোনোভান ফ্যারেইরা (রাজস্থানে ট্রেড)
গুজরাট টাইটান্স
দাসুন শনাকা, মহিপাল লোমর, করিম জানাত, জেরাল্ড কোটজি, কুলওয়ন্ত খেজরোলিয়া, শারফেন রাদারফোর্ড (মুম্বাইতে ট্রেড)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
অভিনব মনোহর, অথর্ব তাইদে, সাচিন বেবি, উইয়ান মাল্ডার, সিমর্জিত সিং, রাহুল চাহার, অ্যাডাম জাম্পা, মোহাম্মদ শামি (লখনউতে ট্রেড)
পাঞ্জাব কিংস
জশ ইনগ্লিস, অ্যারন হার্ডি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, কুলদীপ সেন, প্রবীণ দুবে

ভারতে অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর নতুন একটি টুর্নামেন্ট শুরুর ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। নারী ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী আরও জনপ্রিয় ও ছড়িয়ে দিতেই এই আয়োজন আইসিসির।
নারী ক্রিকেটে সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্তক সংস্থা। সেই লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে আইসিসি নারী এমার্জিং নেশনস ট্রফি। ২০ নভেম্বর থাইল্যান্ডে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট।
আইসিসি অফিসিয়াল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশ্বকাপের ঐতিহাসিক সাফল্যের প্রেরণায়, আইসিসি নারী ক্রিকেটের ভবিষ্যত গড়তে বিনিয়োগ চালিয়ে যাচ্ছে। "নারী ইমার্জিং নেশন্স ট্রফ
“হলো একটি তিন-স্তরের উন্নয়ন পথের অংশ, যার মাধ্যমে ক্রিকেটে উদীয়মান দেশগুলোর জন্য উচ্চ-মানের পারফরম্যান্সের সুযোগ তৈরি করা হবে।’
আরও পড়ুন
| ১৬ উইকেট পতনের দিনে চালকের আসনে ভারত |
|
নতুন এই টুর্নামেন্টে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হবে ম্যাচগুলো। টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে আইসিসির আট সহযোগী সদস্য দেশ- থাইল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়া, তানজানিয়া, উগান্ডা, পাপুয়া নিউগিনি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদের মধ্যে পাঁচটি দলের ওয়ানডে স্ট্যাটাস আছে, বাকি তিনটি দল টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অবস্থান থেকে এই প্রতিযোগিতায় খেলবে।
রাউন্ড-রবিন ফরম্যাটে প্রতিটি দল একবার করে মুখোমুখি হবে। ম্যাচগুলো হবে ব্যাংককের টেরডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড ও এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি গ্রাউন্ডে। ৩০ নভেম্বর শেষ দিনের খেলা শেষে পয়েন্ট টেবিলের সেরা দল জিতবে এই টুর্নামেন্ট।
সহযোগী দেশগুলোর উন্নয়নে আরও দুটি নতুন নারী টুর্নামেন্টের ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। ২০২৬ সালে রুয়ান্ডায় হবে পাঁচ দলের নারী চ্যালেঞ্জ ট্রফি। ২০২৭ সাল থেকে শুরু হবে আরেকটি আট দলের নতুন প্রতিযোগিতা, যেখানে সহযোগী দলগুলো খেলবে শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে।

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বোলাররা। গতকাল প্রথম দিনে ১১ উইকেট পতনের পর আজ দ্বিতীয় দিনে আউট হয়েছেন ১৬ ব্যাটার। বোলারদের দাপটে আগামীকাল তৃতীয় দিনেই ফল পেতে যাচ্ছে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টটি।
কলকাতা টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে তোলা ১৫৯ রানের জবাবে আজ ভারত গুটিয়ে যায় ১৮৯ রানে। ৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ৯৩ রানে শেষ করে সফরকারী দল। স্বাগতিকদের থেকে ৬৩ রানে এগিয়ে আগামীকাল ব্যাটিংয়ে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি তিন উইকেট নিয়ে ভারতকে কত রানের লক্ষ্য দেয় তারা সেটারই দেখার।
প্রথম ইনিংসে ভারতকে বেশিদূর যেতে রা দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও। দলীয় ১৮ রানে ফিরে যান রায়ান রিকেলটন। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার এইডেন মার্করাম। ৪ রান করে জাদেজার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।
এরপর উইয়ান মুল্ডার ও টনি জর্জিকে পরপর তুলে নেন জাদেজা। ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় দলের হাল ধরেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তবে অপরপ্রান্তে দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে। ত্রিস্তান স্টাবস, কাইল ভেরেন , মার্কো ইয়ানসেন ইনিংস বড় করতে পারেননি।
দলীয় ৯১ রানেই ৭ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দিনশেষে বাভুমা ২৯ ও করবিন বশ অপরাজিত আছেন ১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নেন জাদেজা, কুলদীপ যাদব নেন ২টি ও অক্ষর প্যাটেল নেন ১ উইকেট।
এর আগে আজ ১ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। গত দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার কে এল রাহুল ও ওয়াশিংটন সুন্দর দিনের শুরুতে সাবধানে খেলতে থাকেন। তবে জুটি বেশিদূর নিতে পারেননি এই দুজন। হার্মারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ২৯ রান করে ফেরেন সুন্দর।
এরপর ঘাড়ে চোট পেয়ে রিটার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন শুভমন গিল। ৩ বলে ৪ রান করে করেন। ভারতের রান যখন ১০৯, কেশব মহারাজের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৩৯ রান করে আউট হন রাহুল।
লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ২৪ বলে ২৭ রান করে ফেরেন ঋশভ পন্ত। ৪ উইকেটে ভারতের স্কোর ১৩৮ রান করে লাঞ্চে যায় ভারত। বিরতি থেকে ফিরে ১৪ রান করে হার্মারের বলে কট এন্ড বোল্ড হন ধ্রুব জুড়েল।
৫ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার রান টপকে লিড নেয় ভারত। তবে এরপর যেন খেই হারায় টিম ইন্ডিয়া। ১৭১ ও ১৭২ রানে পরপর দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ২৭ রান করে রবিন্দ্র জাদেজা ও ১ রান করে ফেরেন কুলদীপ যাদব। শেষ পর্যন্ত ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সাইমন হ্যামার ৪ টি ও মার্কো ইয়ানসেন নেন তিনটি উইকেট।
এর আগে গতকাল জাসপ্রিত বুমরাহর দাপটে প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বল হাতে দারুণ বোলিংয়ে ভারতীয় এই পেসার তুলে নেন পাঁচ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৯৩-৭ (বাভুমা ২৯*, জাদেজা ৪-২৯)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৫৯ অলআউট (মার্করাম ৩১; বুমরাহ ৫-২৭)
ভারত: ১ম ইনিংস ১৮৯ অলআউট (রাহুল ৩৯, হ্যামার ৪-৩০)