১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ পিএম
কাগজ জালিয়াতি করে, ভুয়া ফুটবল দল বানিয়ে জাপানে পাড়ি জমানোর পথে বিমানবন্দরে ধরা পড়ে গেলেন পাকিস্তানের এক দল অভিবাসনপ্রত্যাশী। তাদের বিমানবন্দর থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়েছে জাপানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের তদন্ত সংস্থা ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) বরাত দিয়ে খবরটি জানাচ্ছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় সব সংবাদমাধ্যম। মূলত মানবপাচারের উদ্দেশ্যে ফুটবলকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল চক্রটি।
এফআইএ জানিয়েছে, এরই মধ্যে মানবপাচার চক্রের মূল সদস্য মালিক ওয়াকাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
'গোল্ডেন ফুটবল ট্রায়াল' নামের ভুয়া ক্লাবের নামে কাগজপত্র তৈরি করে শিয়ালকোট বিমানবন্দর থেকে জাপানের উদ্দেশে উড়াল দেয় ২২ জনের সেই দল। জাপানের একটি ক্লাবের নামে ভুয়া আমন্ত্রণপত্র বানিয়ে ১৫ দিনের ভিসা নিয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন
মাস সেরা গোলের স্বীকৃতি পেলেন হামজা |
![]() |
এমনকি জাপান সফরের জন্য পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের নামে ভুয়া অনুমতিপত্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নামে নকল সরকারি আদেশও বানিয়ে নেয় ওই দল। নিজ দেশের বিমানবন্দরের চেকিং পার করে জাপানে পৌঁছেও যায় তারা।
কিন্তু জাপানের পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় তাদের সব ভুয়া কাগজপত্র ধরে ফেলে কর্তৃপক্ষ। তাই তাদেরকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ওয়াকাসকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এফআইএ জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া একেকজন ব্যক্তিকে নতুন দেশে পাঠানোর জন্য প্রায় ৪০ লাখ পাকিস্তানি রুপি করে নেওয়া হয়। এমনকি তাদেরকে পেশাদার ফুটবলার হিসেবেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াকাস স্বীকার করেন, গত জুনে একই কায়দায় পাকিস্তান থেকে ১৭ জনকে জাপানে পাঠিয়েছেন তিনি। তবে এবার আর তাতে সফল হননি এই মানবপাচারকারী।
No posts available.
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৩৪ পিএম
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৪৯ পিএম
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
নতুন কাঠামোর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় মৌসুম এরই মধ্যে শুরু হয় গেছে। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে প্রথম রাউন্ড গড়িয়েছে মাঠে। ইউরোপ তথা বিশ্বেরই সেরা সব ফুটবলারদের নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মহারণে নামছে নামি-দামি সব ক্লাবগুলো।
২০২৫-২৬ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আছে একঝাঁক তারকা ফুটবলার। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ৫০ দামি ফুটবলারদের মধ্যে ৪৯ জনই চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে আছেন। কেমন হবে যদি বর্তমান দল বদলের বাজারে সবচেয়ে বেশি দামী ফুটবলারদের নিয়ে একাদশ বানানো হয়? কোন ক্লাবের ফুটবলারদের এই একাদশে আধিপত্য থাকবে? বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান একাদশ কেমন হবে দেখে নেওয়া যাক।
অতি মূল্যবান এই একাদশে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার জয়জয়কার। স্প্যানিশ জায়ান্ট এই দুই ক্লাব থেকে সমান তিনজন করে জায়গা পেয়েছেন। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি দু’জন ও ম্যাচেস্টার সিটির দু’জন আছেন এই একাদশে। বাকি একজন আর্সেনালের ফুটবলার।
আরও পড়ুন
‘এটিই রিয়ালের ডিএনএ', ১০ জন নিয়েও জিতে বললেন এমবাপে |
![]() |
৪-৩-৩ ফর্মেশনে সাজানো হয়েছে সবচেয়ে দামি এই একাদশ। আক্রমণভাগে ফরোয়ার্ড পজিশনে আছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার আর্লিং হল্যান্ড। ম্যান সিটির নরওয়েজিয়ান এই ফরোয়ার্ডে দাম ১৮ কোটি ইউরো। বাঁ পাশে আছেন সমমূল্যের রিয়াল তারকা কিলিয়ান এমবাপে। আর আক্রমণভাগের ডান প্রান্তে থাকা লামিনে ইয়ামলের দাম এই একাদশের সর্বোচ্চ। বার্সেলোনার ১৮ বছর বয়সী এই উইঙ্গারের নামের পাশে লিখা ২০ কোটি ইউরো।
মাঝমাঠে সবচেয়ে দামি ফুটবলার জুড বেলিংহাম। রিয়ালের ইংলিশ এই মিডফিল্ডারের দাম ১৮ কোটি ইউরো। রিয়ালের বেলিংহ্যামের সতীর্থ ভালভের্দে আছেন মিডফিল্ডে। উরুগুইয়ান এই তারকার মূল্য ১৩ কোটি ইউরো। তাদের সঙ্গে মাঝমাঠের আরেক সদস্য রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি বার্সার মিডফিল্ডার পেদ্রি। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের দাম ১৪ কোটি।
রক্ষণে সবচেয়ে দামি সদস্য বার্সার পাউ কুবার্সি ও আর্সেনালের উইলিয়াম সালিবা। দল বদলের বাজারে দুই ডিফেন্ডারের বর্তমান দাম ৮ কোটি ইউরো। লেফট-ব্যাক ও রাইট ব্যাক পজিশনে আছেন দুই পিএসজি ফুটবলার। ফরাসি ক্লাবটির মরক্কোর ফুল-ব্যাক আশরাফ হাকিমির দাম ৮ কোটি আর পর্তুগিজ ফুটবলার নুনো মেন্ডিসের মূল্য ৭ কোটি ইউরো। সবশেষ গোলপোস্টের নিচে আছেন এই মৌসুমে পিএসজি ছেড়ে ম্যান সিটিতে যোগ দেওয়া জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।
শুরুতে দুই গোল করে এগিয়ে গিয়েও পরে তিনটি হজম করে হেরে গেল বেনফিকা। দলের পরাজয়ের মাশুল গুনলেন প্রধান কোচ ব্রুনো লেগ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই তাকে বিদায় জানিয়ে দিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজারবাইজানের ক্লাব কারাবাগের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা। ম্যাচের ১৬ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ফেলেছিল বেনফিকা। পরে প্রথমার্ধ শেষেও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল তারা।
পরে দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল হজম করে পরাজয় নিয়ে ঘরের মাঠ ছাড়তে হয় বেনফিকার। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ব্রুনোকে চাকরিচ্যুত করার ঘোষণা দেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট রুই কস্তা।
আরও পড়ুন
‘এটিই রিয়ালের ডিএনএ', ১০ জন নিয়েও জিতে বললেন এমবাপে |
![]() |
“আমি জানাতে চাই, আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি যে ব্রুনো লেগ আর ক্লাবের কোচ হিসেবে থাকছেন না। ক্লাবের হয়ে তার সকল প্রচেষ্টার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন (বিদায়ের) সময় এসে গেছে।”
ব্রুনোর কোচিংয়ে চলতি মৌসুমে পর্তুগিজ সুপার কাপ জিতেছে বেনফিকা। লিগে প্রথম চার ম্যাচের তিনটি জিতেছে তারা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক ম্যাচের ব্যর্থতাই কাল হলো ৪৯ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ কোচের।
বেনফিকার সম্ভাব্য নতুন কোচ হিসেবে হোসে মরিনহোর কথা জানাচ্ছে পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যমগুলো। ক্লাব প্রেসিডেন্ট কস্তা বলেছেন, আগামী শনিবার বেনফিকার পরবর্তী ম্যাচের আগেই ক্লাবের ডাগআউটে থাকবেন নতুন।
এই কারণেই জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে মরিনহোর নাম। গত ২৯ আগস্ট থেকে চাকরিবিহীন অবস্থায় আছেন ‘স্পেশাল ওয়ান’ খ্যাত এই কোচ। সেদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফ ম্যাচে বেনফিকার কাছে হেরেছিল মরিনহোর ফেনারবেচ। পরে তাকে বরখাস্ত করে ক্লাবটি।
২০০০ সালে নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতে বেনফিকার হয়ে কাজ করেছিলেন মরিনহো। তাই গুঞ্জন সত্যি হলে প্রায় দুই যুগ পর আবার ক্যারিয়ারের প্রথম ক্লাবে ফিরতে পারেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর রিয়াল মাদ্রিদ সমার্থক শব্দ বললে ভুল হবে না। ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত পর্যন্ত লড়ে যায়। পিছিয়ে পড়ে নিজেদের পক্ষে ফল আনার ভূরিভূরি নজির আছে রিয়ালের।
পিএসজি থেকে লস ব্লাঙ্কোসে নাম লেখানো কিলিয়ান এমবাপে এখন সেটা ভালো করেই জানেন। তাইতো নতুন মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে দারুণ প্রত্যাবর্তনের এক জয়ের পর রিয়ালের হার না মানা ‘ডিএনএ’ এর কথা বললেন এমবাপে। ফরাসি ক্লাব মার্শেইয়ের বিপক্ষে গতকাল পিছিয়ে পড়ে ১০ জনের দল নিয়েও ২-১ গোলের জয় পায় রিয়াল।
ঘরের মাঠে সান্তিয়াগো বার্নাবুতে ২২ মিনিটে মাশেইয়ের উইঙ্গার টিম ওয়েহর গোলে পিছিয়ে যায় রিয়াল। পরে। পরে ২৮ ও ৮১ মিনিটে জোড়া পেনাল্টিতে দলকে জেতান এমবাপে। এর আগে ৭২ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ক্লাবটির ডিফেন্ডার দানি কার্ভাহাল।
আরও পড়ুন
জাপানের বিমানবন্দরে ধরা পাকিস্তানের ‘নকল’ ফুটবল দল |
![]() |
ম্যাচ শেষে দলের লড়াকু মানসিকতার সঙ্গে সমর্থকদের বিশ্বাসের প্রশংসা ঝরে পড়ে এমবাপের কণ্ঠে। রিয়ালের তারকা ফরোয়ার্ড বলেন, ‘এটিই রিয়াল মাদ্রিদের ডিএনএ। ম্যাচে যা-ই হোক, সবসময় আপনি জিততে পারেন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে, সতীর্থদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আপনার আশপাশে থাকা সবাই, স্টেডিয়ামের দর্শকরা- সবাই আপনাকে জয়ের দিকে ঠেলে নেয়।’
লাল কার্ড দেখে একজন কমে যাওয়ার পরও ঘাবড়ে যাওয়ার বদলে জেতার মরিয়া চেষ্টাই চালানোর কথা বলেন এমবাপে, ‘আমরা যখন লাল কার্ড দেখলাম, দলের কেউই চাপ নেয়নি। আমরা জয়ের জন্য চেষ্টা করতে মরিয়া ছিলাম। ম্যাচটি জিততে মরিয়া ছিলাম এবং দর্শকদের জয়ের আনন্দ দিতে চেয়েছিলাম।’
এদিকে রিয়ালের দ্বিতীয় পেনাল্টি নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন মার্শেইয়ের কোচ রবার্তো দি জার্বি। মার্শেইয়ের ডি-বক্সে ফাকুন্দো মেদিনার হাতে বল লাগলে ম্যাচের দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় রিয়াল। তবে রেফারির এই সিদ্ধান্ত মানতেই পারছেন না মার্শেই কোচ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি ক্লাবটির কোচ বলেন, ‘দ্বিতীয় পেনাল্টিটা একেবারেই লজ্জাজনক। ওটা কখনই পেনাল্টি ছিল না। আমার দলের পক্ষে হলেও আমি একই কথা বলতাম। এটা কোনোভাবেই পেনাল্টি হতে পারে না।’
অবশ্য আধুনিক হ্যান্ডবলের নিয়ম নিয়ে বিভ্রান্তি যে আছে সেটা স্বীকার করছেন এমবাপে। তবে রেফারি যদি পেনাল্টির বাঁশি বাজান তাতে সেটা গোলে রূপ দিতে কোনো সমস্যা দেখছেন না রিয়ালের ১০ নম্বর, ‘হ্যান্ডবলের বিষয়টা ভীষণ জটিল। কখনো তারা বলে হ্যান্ডবলের সবগুলোই পেনাল্টি দেবে, আবার পরে দেয় না। এর মধ্যে কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমরা নিয়ম মেনে চলি যদি সেটা পেনাল্টি হয়, তবে সেটা পেনাল্টিই। আমার কাছে এটা পেনাল্টি, তবে কেউ যদি বলে এটা নয়, সেটাও বুঝতে পারি। নিয়মটা নিয়েই সবার বিভ্রান্তি। হয় হ্যান্ডবল, নয়তো নয়। কিন্তু রেফারি যদি পেনাল্টি দেন, আমি সেটা নেব এবং গোল করব, বিষয়টা এতোটুকুই।’
মাঠে তাঁর আসল কাজটা গোল করা নয়। কখনো ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কখনো বা রাইট-ব্যাক পজিশনে খেলেন হামজা চৌধুরী। যে পজিশনে গোল করা থেকে গোল ঠেকানোর দায়িত্বটাই বেশি। তবে আগস্টে চোখধাঁধানো এক গোল করে বসেন লেস্টার সিটির এই ফুটবলার। হামজার সেই গোলটি লেস্টারের আগস্টের মাসের সেরা গোলের স্বীকৃতিই পেয়ে গেল।
লেস্টার সিটি তাদের অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজে হামজার গোলের ভিডিওটি শেয়ার করে। সমর্থকদের ভোটে তাঁর গোলটি আগস্টের সেরা নির্বাচিত হয়। চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাবটি সেই গোলের ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘আগস্টে আপনাদের বাছাই করা মাস সেরা গোল। এলসিএফসি অ্যাপের মাধ্যমে আপনি হাডার্সফিল্ডের বিপক্ষে হামজার গোলটিকে মাসের সেরা হিসেবে ভোট দিয়েছেন।’
গত ১৪ আগস্ট লিগ কাপে প্রথম রাউন্ডে হার্ডাসফিল্ড টাউনের মুখোমুখি হয় লেস্টার। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে শেষ হওয়া ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত টাই ব্রেকারে গড়ায়। পরে পেনাল্টি শুট আউটে ৩-২ গোলে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যায় হামজার ক্লাব লেস্টার।
অবশ্য হেরে যাওয়া ম্যাচের শুরুতে হামজার গোলেই প্রথমে এগিয়ে যায় লেস্টার সিটি। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হামজা চৌধুরী বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত এক ভলিতে জাল কাঁপান। ডি-বক্সের বাইরে থেকে পাস দেওয়ার পর বল ফিরে পেয়ে ৪–৫ জন ডিফেন্ডারের মাথার ওপর দিয়ে গোল করেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। এটি পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ারে তার মাত্র দ্বিতীয় গোল। প্রথমটি এসেছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসলের বিপক্ষে।
শেফিল্ডে এক মৌসুম ধারে খেলে এই মৌসুমে আবার লেস্টারে ফিরে আসেন হামজা। প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়ে যাওয়া ক্লাবটিতে ফিরে প্রায় সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে মাঠে নামছেন ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
লেস্টারের পরের ম্যাচ আগামী সোমবার কভেন্ট্রির বিপক্ষে। এরপর চ্যাম্পিয়শিপের আরও তিনটি ম্যাচের পর আন্তর্জাতিক বিরতিতে বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামার কথা হামজার। এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইয়ে আগামী ৯ অক্টোবর হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
ইন্টার মায়ামির সাফল্য-ব্যর্থতার পরিপূরক যেন লিওনেল মেসি। পরপর দুই ম্যাচে গোল পাননি তিনি। তাই জিততেও পারেননি মায়ামি। এবার জালের দেখা পেলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। একইসঙ্গে জয়েও ফিরল মায়ামি।
মেজর লিগ সকারের (এমএলসি) ম্যাচে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে সিয়াটল সাউন্ডার্সকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মেসির মায়ামি। দলের সহজ জয়ে একটি করে গোল করেছেন মেসি, জর্দি আলবা ও ইয়ান ফ্রে। সিয়াটলের হয়ে এক গোল শোধ করেন ওবেদ ভার্গাস।
চলতি মাসের শুরুতে লিগস কাপের ফাইনালে সিয়াটলের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল মায়ামি। সপ্তাহ দুয়েক পর ওই পরাজয়ের কিছুটা হলেও প্রতিশোধ দিতে পারল তারা। সিয়াটলের কাছে হারের পর এমএলএসের ম্যাচে শার্লটের বিপক্ষেও হেরেছিল মায়ামি।
আরও পড়ুন
দুই পেনাল্টিতেই গোল করতে পেরে ‘খুশি’ এমবাপে |
![]() |
জয়ে ফেরার ম্যাচে এক গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্টও করেন মেসি। সব মিলিয়ে চলতি বছর তার গোলে অবদান (গোল+অ্যাসিস্ট) হয়ে গেল ৪০টি। এ নিয়ে টানা ১৯ বছর ৪০ বা তার বেশি গোলে অবদান রাখলেন আটবারের ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা।
ম্যাচের ১২ মিনিটে আলবার গোলে লিড নেয় মায়ামি। বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান বাড়ান মেসি। চলতি লিগে এটি তার ২০তম গোল। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৫২ মিনিটে দলের তৃতীয় গোলটি করেন ফ্রে। পরে ৬৯ মিনিটে সিয়াটলের একমাত্র গোল করেন ভার্গাস।
এই জয়ের পর ২৭ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছে মায়ামি। ৩০ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ফিলাডেলফিয়া। মায়ামির ওপরে বাকি তিন দলও খেলেছে ৩০টি করে ম্যাচ।