৩০ এপ্রিল ২০২৫, ৬:১১ পিএম
দিনের শুরুতেই ম্যাচের লাগাম স্পষ্টভাবে ছিল না কোনো দলের হাতে। তবে অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে লড়িয়ে এক ইনিংসে ক্রমেই বাংলাদেশকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেলেন মিরাজ, করলেন দারুণ এক শতক। তাতে বড় একটা লিড পেয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আর দাঁড়ানোর সুযোগ দিল না জিম্বাবুয়েকে। ব্যাটের পর বল হাতেও বাজিমাত করা মিরাজ পেলেন ফাইফারের দেখা, যা স্বাগতিকদের সাত ম্যাচ পর এনে দিল টেস্ট জয়।
চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছে ইনিংস ও ১০৬ রানে। সিরিজ ড্র হয়েছে ১-১ স্কোরলাইনে।
দ্বিতীয় দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম মিলে সকালের প্রথম ঘণ্টা কাটিয়ে দেন নির্বিঘ্নেই। তুলনামূলক ইতিবাচক ব্যাটিং করা মিরাজ শুরু থেকেই মন দেন দ্রুত রান তোলায়। প্রায় প্রতি ওভারেই হাঁকান বাউন্ডারি। সময়ের সাথে তাইজুলও কিছু রান বের করছিলেন। তবে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বেশি।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরে বাতিল ওয়ানডে সিরিজ |
![]() |
পুরো ম্যাচে দারুণ বল করা ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে স্টাম্পড হওয়ার আগে তাইজুলের ব্যাট থেকে আসে ৩ চারে ২০ রান। এরপরই শুরু হয় মিরাজ ও তানজিমের সেই প্রতিরোধ। অন্য প্রান্তে সঙ্গীর ব্যাটে আস্থা রেখে ফিফটি পেরিয়ে যাওয়ার পরও মিরাজ হাঁটেননি আগ্রাসনের দিকে। বরং দুজনেই মন দেন দেখেশুনে খেলে রান বের করার।
তাতে ধীরে ধীরে বড় হয় জুটি, বাড়তে থাকে বাংলাদেশের লিড আর স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচে ফেরার আশায় থাকা জিম্বাবুয়েকে ভাসায় হতাশায়। প্রথম ১৯ বলে ২ রান করা তানজিম মাসেকেসাকে ছক্কা মেরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার আভাস দেন। সেট হয়ে এরপর ভালোভাবেই মিরাজকে সঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস বড় করার কাজটা সহজ করেন এই ম্যাচ দিয়ে টেস্টে অভিষিক্ত তানজিম।
আশির ঘরে মাসেকেসার এক ওভারে দুইবার অল্পের জন্য আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান মিরাজ। একবার হতে পারতেন ক্যাচ আউট, আরেকবার রিভিউ নিয়ে সফল হন এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্তে। এরপর স্বাচ্ছন্দ্যেই পা রাখেন নব্বইয়ের ঘরে। আরেক প্রান্তে তানজিমও ছিলেন ফিফটির পথে। তবে ৯ রানের জন্য হতাশ হতে হয় তাকে।
তবে তার আগে উপহার দেন নবম উইকেটে ৯৬ রানের জুটি। এরপর দেখার বিষয় ছিল মিরাজ কতোটা টেনে নিতে পারেন নিজের ও দলের ইনিংস। তানজিম ফিফটি মিস করলেও মিরাজ আর সেই ভুল করেননি। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শেষ ব্যাটার হিসেবে মাসেকেসার বলে স্টাম্পড হন, তার আগে নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১০৪ রান, যা তিনি সাজান ১১ চার ও এক ছক্কায়। ১১৫ রানে ৫ উইকেট নেন লেগ স্পিনার মাসেকেসা। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৪৪৪ রানে।
২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা জিম্বাবুয়ে টার্নিং উইকেটে খাবি খায় শুরু থেকেই। দুই প্রান্ত থেকে মিরাজ ও তাইজুলকে আক্রমণে এনে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার মঞ্চ সাজান শান্ত, যা দুজন মিলে সামাল দেন দৃঢ়তার সাথে।
আরও পড়ুন
১৪ বছরেই বিশ্ব জয়ের গান, 'বেবি বস' সুরিয়াভানসির সাহসী লড়াই |
![]() |
তাইজুল একপ্রান্তে নিজের কাজটা করে যান নিয়ম মেনেই। তবে এই ইনিংসে তাকে পার্শ্বচরিত্র বানিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান মিরাজই। অন্যপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে নীরব প্রতিরোধ জানিয়ে একাই শেষ পর্যন্ত লড়ে যান বেন কারান। অভিজ্ঞ এই ওপেনারের কারণেই মূলত ম্যাচ গড়ায় দিনের শেষ ভাগ পর্যন্ত।
নবম ব্যাটার হিসেবে তার আউটের আগ পর্যন্ত ফলাফল ছাপিয়ে মূল বিষয় ছিল ম্যাচ চতুর্থ দিনে গড়ায় কিনা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা আর হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। তাতে ১১১ রানেই প্যাকড হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
মাত্র ৩২ রানে পাঁচ উইকেট নেন মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নেওয়া তাইজুল শিকার করেন তিন উইকেট। আর আরেক স্পিনার নাঈম হাসান পান একটি উইকেট। অন্যটি হয় রান আউট।
No posts available.
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:৪৪ পিএম
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম
শেষ ম্যাচে নিয়মিত দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনকে বিশ্রাম দিলো বাংলাদেশ। তাতেই ঘুচল প্রায় দুই বছরের এক অপেক্ষা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর আবার বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে দেখা গেল দুই ডানহাতি ব্যাটার।
তামিম ও ইমনের অনুপস্থিতিতে ইনিংস সূচনা করতে নামেন লিটন কুমার দাস ও সাইফ হাসান। তাদের সৌজন্যে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৮১ ইনিংস পর আবার দুই ডানহাতি ওপেনারের দেখা পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
শুধু টি-টোয়েন্টির হিসেব করলে, ৪০ ম্যাচ পর আবার দুই ডানহাতি ওপেনার ব্যবহার করল বাংলাদেশ।
প্রায় দুই বছরে খেলা এই মাঝের ৮১ ইনিংসে ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি ব্যবহার করে বাংলাদেশ। এর অন্তত একপ্রান্তে ছিলেন একজন বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
বিদায়ী ম্যাচে মেসিকে দুঃখ দিতে চান ভেনেজুয়েলা কোচ |
![]() |
এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস সূচনা করেন লিটন ও রনি তালুকদার। সেদিন ১৩ রানে ভেঙে যায় তাদের জুটি। প্রায় দুই বছর পর লিটন ও সাইফের জুটিতে এলো ১৯ বলে ৩৯ রান।
আগের দুই ম্যাচে তৃতীয় উইকেটে জুটি বেধেছিলেন লিটন ও সাইফ। প্রথম ম্যাচে ৪৬ বলে ৬৪ ও পরের ম্যাচে ২৬ বলে ৪৬ রান যোগ করেছিলেন তারা। দুই ম্যাচেই অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তারা। তবে শেষ ম্যাচে চতুর্থ ওভারে ভেঙেছে লিটন-সাইফের জুটি।
সাইফের বিদায়ের পর তিন নম্বরে নেমেছেন আরেক ডানহাতি ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর এবারই প্রথম বাংলাদেশের টপ-অর্ডারে দেখা গেল তিন ডানহাতি ব্যাটার।
সেদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম তিন ব্যাটার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান ও লিটন কুমার দাস।
সিরিজের শেষ ম্যাচে আর টস জিততে পারলেন না লিটন কুমার দাস। তাই বদলে গেল বাংলাদেশের ভাগ্য। এবার টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন স্কট এডওয়ার্ডস। সিরিজে প্রথমবার আগে ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলায় এই ম্যাচের একাদশে ৫টি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে নিয়মিত দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমকে।
এর বাইরে দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদকেও রাখা হয়েছে একাদশের বাইরে। এই ম্যাচে খেলছেন না অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান।
হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে শেষ টি-টোয়েন্টি সুযোগ পেয়েছেন নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আর প্রথম ম্যাচের পর আবার একাদশে ফেরানো হয়েছে শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেনকে।
আরও পড়ুন
ঝুঁকি নিয়ে হলেও অ্যাশেজে তোপ দাগতে চান কামিন্স |
![]() |
এক্ষেত্রে বলে রাখা যায়, চলতি বছর মুস্তাফিজুর রহমানকে একাদশের বাইরে রেখে এখন পর্যন্ত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাই এবার নেদারল্যান্ডসকে হোয়াইটওয়াশ করতে হলে ভিন্ন কিছুই করতে হবে তাদের।
বাংলাদেশ একাদশ:
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, নাসুম আহমেদ।
নেদারল্যান্ডস একাদশ:
ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিত সিং,অনিল নিদামানুরু, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), নোয়াহ ক্রোয়েস, কাইল ক্লেইন, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকেরেন, শরিজ আহমাদ, ড্যানিয়েল ডোরাম, টিম প্রিঙ্গেল।
জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর থেকে অস্ট্রেলিয়া দলে নেই প্যাট কামিন্স। সেই সফরে ব্যাকে (পিঠ) চোট পান অজি অধিনায়ক। সিরিজে খেললেও পুরোদমে বোলিং করতে পারেননি। এখন আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে। চলতি মাসে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজও মিস করবেন তিনি।
তবে কামিন্সের নজর অ্যাশেজ সিরিজে। আগামী ২১ নভেম্বর নিজেদের মাঠে শুরু হবে অভিজাত সংস্করণের এই ঐতিহ্যবাহী সিরিজ। সেই সিরিজে খেলতে মরিয়া কামিন্স, প্রস্তুতও করছেন নিজেকে। যদি চোট সুস্থ হয়ে ওঠেন, আশেজে খেলতে ফিটনেস প্রমাণ করার জন্য ঝুঁকি নিতে রাজি তিনি।
কামিন্সদের কাছে অ্যাশেজের গুরুত্ব কতটা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বললেন,
'আশেজ সিরিজ সাইডলাইনে বসে দেখা খুবই ভয়ংকর ব্যাপার, তাই আমরা সবকিছু করব- যাতে আমি প্রস্তুত থাকতে পারি। কয়েকটি সিদ্ধান্ত একটু কাছাকাছি সময়ে নেব, কিন্তু আত্মবিশ্বাসী (খেলার ব্যাপারে)। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ঠিকভাবে করা এবং ভালোভাবে চেষ্টা করা দরকার। আশেজ সিরিজের চেয়ে বড় কিছু নেই। আমি মনে করি আপনি কিছু ঝুঁকি নিতে পারেন এবং একটু আগ্রাসী হতে ইচ্ছুক থাকেন, তাহলে কিছু টেস্ট খেলতে পারেন।’
আরও পড়ুন
অবসর ভেঙে ফিরলেও জায়গা পেলেন না বিশ্বকাপ দলে |
![]() |
কামিন্স বিশ্বাস করেন আশেজের প্রথম ম্যাচের জন্য কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই তিনি মাঠে নামতে পারবেন,
'ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে মনে করি, হয়তো ১৮ বা ১৯ বছর বয়সে যেমন ছিলাম, তার তুলনায় দ্রুত খেলার জন্য তৈরি হতে পারি। তখন হয়তো কয়েকটি শিল্ড ম্যাচ বা ওয়ানডের প্রয়োজন হত। তবে আত্মবিশ্বাসী, শিল্ড ম্যাচ না খেললেও আমি প্রস্তুত হতে পারব।'
জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্টে মাত্র ৬০ ওভার বল করেছিলেন কামিন্স। তারপর থেকে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। এই পেসার বলেন,
‘একমাস বিশ্রামে কাটিয়েছি যাতে এটি (চোট) স্থির হয় এবং গত সোমবার আরেকটি স্ক্যান করিয়েছি, রিপোর্ট খুব খারাপ নয়। তবে কিছুটা সমস্যা আছে এবং পরবর্তী সময়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
ক্রিকেটে ফিরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে কামিন্স বলেন,
'আমি এখনও জিম করছি, তবে দৌড়ানো বা বোলিং করছি না। এটিকে ঠিক করে তারপর গ্রীষ্মের দিকে প্রস্তুতি নেব। প্রথম টেস্ট পর্যন্ত প্রায় ১২ সপ্তাহ সময় আছে। দেখা যাক পরবর্তী সময়ে কী ঘটে।'
নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান জর্জ বেইলি আশা করছেন, কামিন্স ২১ নভেম্বর পার্থে অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন। যদি কামিন্স ফিট না থাকেন, অস্ট্রেলিয়ার কাছে অধিনায়কত্ব এবং বোলিংয়ের বিকল্প রয়েছে।
বিশ্বকাপে খেলার আশায় দুই বছর আগে নেওয়া অবসরের সিদ্ধান্ত বদলে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন ড্যান ফন নিকার্ক। কিন্তু কাজ হলো না তাতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেলেন না দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক।
ভারত ও শ্রীলঙ্কায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য বুধবার ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে জায়গা হয়নি দক নিকার্কের। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আশা অনেকটাই মিইয়ে গেল তার।
চমক জাগিয়ে প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন ১৭ বছর বয়সী উইকেটকিপার-ব্যাটার কারাবা মেসো। তার মতোই প্রথমবার কোনো বিশ্বকাপ খেলার জন্য ডাক পেয়েছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার ননডুমিসো শাঙ্গাস।
আরও পড়ুন
বিসিবি এমন জায়গা, অনেক যোগ্য লোকও আসতে পারে না: নান্নু |
![]() |
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা টপ-অর্ডার আনেক বশ ও দুই অলরাউন্ডার নাদিন ডি ক্লার্ক এবং আনেরি ডার্কসেন এবার প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবেন।
এছাড়া লরা উলভার্টের নেতৃত্বে মোটামুটি নিয়মিত ক্রিকেটারদের নিয়েই দল সাজানো হয়েছে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে আয়োজিত প্রস্তুতি ক্যাম্পে থাকলেও, দলে জায়গা পাননি ফন নিকার্ক, লারা গোডাল, ফে টানিক্লিফ, লুয়ান্ডা এনটুজা। আর রিজার্ভ হিসেবে নেওয়া হয়েছে মিয়ান স্মিটকে।
প্রধান কোচ মান্ডলার অধীনে এই বিশ্বকাপ দিয়েই প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্ট খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার কোচিংয়ে এখন পর্যন্ত ১০ ওয়ানডে ম্যাচের ৪টি জিতেছে প্রোটিয়ারা।
আরও পড়ুন
বার্সাকে নিয়ে ফ্লিকের শঙ্কা, খুঁজে পাচ্ছেন না ছন্দ |
![]() |
বিশ্বকাপে আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৬ সেপ্টেম্বর শুরু হবে সেই সিরিজ। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে উলভার্টের দল।
নারী বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াড
লরা উলভার্ট (অধিনায়ক), আনেক বশ, তাজমিন ব্রিটস, নাদিন ডি ক্লার্ক, আনেরি ডার্কসেন, সিনালো জাফটা, মারিজান ক্যাপ, আয়াবোঙ্গা খাজা, মাসাবাতা ক্লাস, সুন লুস, কারাবো মেসো, ননকুলুলেকো লাবা, টুমি সেখুখুনে, ননডুমিসো শাঙ্গাস, ক্লো ট্রায়ন।
রিজার্ভ: মিয়ান স্মিট
বেশ কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল গুঞ্জন। অবশেষে মিনহাজুল আবেদিন নিজেই সেটি নিশ্চিত করে দিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। তবে বিসিবিতে যোগ্য লোকেরা অনেক সময় সুযোগ পায় না, এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হবে বিসিবির নির্বাচন। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড। সব ঠিক থাকলে বুলবুল নিজেও নির্বাচনে অংশ নেবেন। সেখানে তিনি পাবেন দীর্ঘ দিনের সতীর্থ নান্নুকেও।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে, নির্বাচন করার ইচ্ছার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন নান্নু।
আরও পড়ুন
কোয়াবের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন সাকিব? |
![]() |
“এটা (বিসিবি নির্বাচন) করার চিন্তাভাবনা তো আগে থেকেই করে রেখেছিলাম। বিসিবি নির্বাচনে সাবেক অধিনায়কদের একটা বার আছে, ক্যাটাগরি সি। তো এই জায়গায় এখনও জানি না কতটুকু কী হবে। তবু চিন্তাভাবনা ইতিবাচক নিয়ে রেখেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে অবশ্যই নির্বাচন করব।”
পরে বিসিবিকে ঘিরে নিজের শঙ্কার কথাও প্রকাশ করেন নান্নু। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
“এটা এমন একটা জায়গা, অনেক যোগ্য লোকও এখানে আসতে পারে না। ক্রিকেটের স্বার্থে কাজ করাটা অনেক বিরাট ব্যাপার। সুযোগ পেলে, যেখানেই যে সুযোগটা আসবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। এখন কিছু বলতে পারছি না। হয়তো আগামী ২-১ দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে বলতে পারব যে কী করতে যাচ্ছি।”
আশির দশক থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত নান্নু। খেলোয়াড়ি জীবন থেকে যাত্রা শেষ করে বোর্ডেই নানান দায়িত্বে কাজ করেছেন ৬০ ছুঁইছুঁই সাবেক স্টাইলিশ ব্যাটার। দেশের ক্রিকেটের দীর্ঘ দিনের এই অভিজ্ঞতা বোর্ডে কাজে লাগাতে চান তিনি।
“২০০৪ সালে অবসর নেওয়ার পর থেকে নানান দায়িত্বে বিসিবিতে কাজ করেছি। সব মিলিয়ে গত ৩-৪ দশক ধরে দেশের ক্রিকেটে কোথায় কী হচ্ছে, কীভাবে এগোনো দরকার, সবকিছুই জানি। আশা করছি, যে অভিজ্ঞতা আছে, সেটা অবশ্যই কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।”
আরও পড়ুন
সভাপতি পদে তামিমের পক্ষে একজোট ক্লাব, বুলবুলের ঘোষণা প্রশ্নবিদ্ধ |
![]() |
তবে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হলে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার কথা এখনও চিন্তা করেননি নান্নু।
“এরকম (নির্বাচিত হলে লক্ষ্য) কোনো চিন্তাভাবনা... কারণ আমি তো অনেক দিন ধরে বিসিবিতে সম্পৃক্ত আছি। এখানে কোন জায়গায় কাজ করতে হবে, কোথায় আরও বেশি কিছু করতে হবে সেসব জানি। তাই এখানে নির্বাচিত হলে, সেই কাজগুলো করার সুযোগটা আরও বেশি থাকবে। সেভাবে চিন্তাভাবনা করেই এগোবো।”