১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪২ পিএম
সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ মাঠে গড়াবে আগামীকাল সোমবার। কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে নেপাল। ‘বি’ গ্রুপের অন্য দল বাংলাদেশ। তবে লাল সবুজেরা প্রথম ম্যাচটি হবে আগামী বৃহস্পতিবার। তবে টুর্নামেন্ট পূর্ববর্তী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন হয়ে গেল আজ রবিবার। সেখানেই কথা বলেছেন সাত দলের অধিনায়ক ও কোচ।
বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন নিজের বক্তব্যে বলেছেন,
‘আমরা ৭ সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে এখানে এসেছি। ছেলেরা প্রস্তুত। আমরা সব প্রতিপক্ষকে সম্মান করছি। দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো দেশ উন্নতি করছে। টেননিক্যাল, টেকটিক্যাল দিক থেকে আমাদের খেলোয়াড়েরা প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন
সাক্ষাৎকার: মোহামেডানের অধিনায়কত্ব করা আমার জন্য প্রেরণার |
![]() |
এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে যশোরের শামসুল হুদা একাডেমিকে দীর্ঘ সাত সপ্তাহের নিবিড় অনুশীলন করে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় এবার সেটির ফল পাওয়ার আশা করছে দল। মাঠেই তার প্রমাণ দেবেন নাজমুল হুদা ফয়সালরা। আজকের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল বলেছেন,
‘আমরা মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে প্রস্তুত আছি। নেপালের বিপক্ষে আমাদের প্রথম ম্যাচ। তাদের বিপক্ষে জিতেই আমরা টুর্নামেন্ট শুরু করব। ৭ সপ্তাহের ট্রেনিং নিয়েছি, এখন মাঠে প্রমাণের পালা।’
আরও পড়ুন
২৫ বছরের জন্য বাফুফে পেল আরও আটটি স্টেডিয়াম |
![]() |
টুর্নামেন্ট আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম ম্যাচ খেলার আগে বাংলাদেশ দল সময় পাচ্ছে আরও তিনদিন। বাংলাদেশের পরিকল্পনায় আপাতত নেপাল, কিন্তু চোখ সেমিফাইনালে। বলেছেন ছোটন,
‘নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ নিয়ে আমাদের চিন্তা। নেপাল শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উপভোগ্য হবে আশা করি। আমাদের খেলোয়াড়েরা সর্বোচ্চটা দেবে। আপাতত আমরা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই।’
প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর, স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে তিন দল, তবে ‘বি’ গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান, ভুটান ও মালদ্বীপ।
No posts available.
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৩৮ পিএম
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৭ পিএম
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:০৭ পিএম
কিছু কথা হচ্ছিল বাস্তবতার নিরিখে, কিছু ইতিহাস ঘেঁটে। ইতিহাদে ম্যাচ হলেও অতীত ভেবে ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’তে ম্যানইউকে এগিয়ে রেখেছিলেন কেউ কেউ। তবে নতুন মৌসুমে দুই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীর প্রথম দেখায় শেষ হাসি হেসেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। নিজেদের মাঠে রেড ডেভিলদের ৩-০ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন আর্লিং হালান্ড। অপর গোলটি করেন ফিল ফোডেন।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের সবশেষ দুই ম্যাচে টটেনহ্যাম ও ব্রাইটনের কাছে হেরেছিল ম্যানসিটি। তবে বিরতি থেকে ফিরেই আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টার ম্যাচে চমক দেখাল সিটিজেনরা। ২০২৫-২৬ মৌসুমে ৪ ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট তাদের।
আরও পড়ুন
সালাহর শেষ মূহূর্তের পেনাল্টিতে লিভারপুলের কষ্টার্জিত জয় |
![]() |
এদিন ম্যাচ ঘড়ির ১৮ মিনিটে ম্যানসিটিকে এগিয়ে নেন ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেন। জার্মেই ডোকুর বাড়ানো বলের সূত্র ধরে দলকে লিড এনে দেন তিনি। ম্যানইউর বিপক্ষে এটি তার ষষ্ঠ গোল। এই গোলে সিটিজেনদের শুরুর একাদশে নিজের অবস্থান নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও উড়িয়ে দিয়েছেন তরুণ এই সেন্টার ফরোয়ার্ড।
হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের ২৯ মিনিটে শোধের সুযোগ পায় ম্যানইউ। এমবেওমো তেড়েফুঁড়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন, কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বেনফোর্ট থেকে ম্যানইউতে যোগ দেওয়া ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড। তার ভুলভাবে মারা শট উড়ে গিয়ে দোনারুমার গোলপোস্টের পেছনের গ্যালারিতে। মুহূর্তটি স্বাগতিক সমর্থকদের হাসি-ঠাট্টা আর উল্লাসের খোরাকে পরিণত হয়। প্রথমার্ধ ম্যানসিটির ১-০ লিডে শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে ম্যানসিটি। এবারের নায়ক আর্লিং হালান্ড। আর অ্যাসিস্টের ছিল প্রথম গোলের সহায়তাকারী ডোকু। এই গোলের মাধ্যমে সিটির হয়ে ১৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন হালান্ড। ৫৫ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। ম্যানইউর রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে বক্সে ডুকে পড়েন হালান্ড। শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।
আরও পড়ুন
ইয়ামালকে নিয়ে দে লা ফুয়েন্তের ওপর চটলেন ফ্লিক |
![]() |
৬১ মিনিটে আরও একবার সুযোগ এমবেওমো। তার বলি শটটি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন জিয়ানলুইজি দোনারুমা। তার ঠিক ৭ মিনিট পর আরেকবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান হালান্ড। নিজেদের অর্ধ থেকে সিলভার লং পাস ধরে সোজা ম্যানউইর বারে ডুকে পড়েন এবং বাঁ-দিকে শট নেন। আলতাই বায়িন্দির ঝাঁপিয়ে পড়েন। ততক্ষণে বল স্পর্শ করে ম্যানইউর জাল। এটাই ম্যাচের শেষ গোল। বায়িন্দির তিন গোল কনসিভির বিপরীতে ক্লিন সিট রেখেছেন দোনারুমা
এদিন ৫৫ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে ম্যানইউ। গোলের জন্য তারা মোট ১৩টি শট নেয়। যেখানে সিটির ছিল একটি কম। তবে অন টার্গেটে তাদের শট ছিল একেবারেই কম-দুটি। এদিকে ম্যানসিটির অন টার্গেটে শট ছিল ৫টি। মূলত এখানেই হেরে বসে সিটি।
পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ধরে রেখে খেলল লিভারপুল। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়ই বল দখলে রেখে একের পর এক শটও নিল অল রেডরা। তবে গোলের খেলায় আসল কাজটাই করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল লিভারপুল।
নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ের পাঁচ মিনিটেই হঠাৎ পেনাল্টি বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর স্পট কিক থেকে নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান লিভারপুলের ফরোয়ার্ড মোহাম্মাদ সালাহ। আর তাতেই প্রায় ড্র হতে যাওয়া ম্যাচটি শেষ মূহূর্তের নাটকীয়তায় ১-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ল আর্নে স্লটের দল।
আরও পড়ুন
ইয়ামালকে নিয়ে দে লা ফুয়েন্তের ওপর চটলেন ফ্লিক |
![]() |
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বার্নলির বিপক্ষে ১-০ গোলের এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আরো পোক্ত হলো লিভারপুল। ৪ ম্যাচে ৪ পুরো ১২ পয়েন্ট নিয়ে নতুন মৌসুমে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল তারা। অন্যদিকে ঘরের মাঠে ২০২৪ সাল থেকে টানা ২৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকার যাত্রায় ছেদ ঘটল বার্নলির।
বার্নলির মাঠ টার্ফ মুরে প্রথম থেকেই লিভারপুলের আক্রমণ দারুণভাবেই সামলে নেয় স্বাগতিকদের রক্ষণভাগ। পুরো ম্যাচে ৮১ শতাংশ বল দখলে রেখে ২৭টি শট নেয় সফরকারীরা। তবে লক্ষ্যে ছিল মাত্র ৪টি। বার্নলির রক্ষণের দৃঢ়তায় ডি-বক্সের সামনে এসে থেমে যায় লিভারপুলের আক্রমণ।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির ভাস্কর্য উন্মোচন বায়ার্নের |
![]() |
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলকে এগিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ পান ফেদেরিকো কিয়েসা। তবে ৭৩ মিনিটে তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮৪ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্নলি। ক্লাবটির মিডফিল্ডার লেসলি উগোচুকু দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠে ছাড়েন।
লিভারপুলকে রুখে দিয়ে এক পয়েন্ট অর্জনের দিকেই এগোচ্ছিল বার্নলি। তবে স্বাগতিকদের দর্শকদের হতাশ হতে হয় ক্লাবটির মিডফিল্ডার হ্যানিবাল মেজব্রির এক হ্যান্ডবলে। বদলি নামা লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার জেরেমি ফ্রিমপংয়ের ক্রস ডি-বক্সে হ্যানিবালের কনুইয়ে লাগে। আর তাতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় লিভারপুল। স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল করেননি সালাহ।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। এক বিবৃতিতে বার্সা জানিয়েছে ,চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে অনিশ্চিত ইয়ামাল। পাশাপাশি সোমবার লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে থাকছেন না ১৮ বর্ষী স্পেনিয়ার্ড।
দলের গুরুত্বপূর্ণ উইঙ্গারের ইনজুরিতে বেজায় চটেছেন বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। রীতিমত স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের ওপর ক্ষোভ জেড়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, পরবর্তী ম্যাচের জন্য ইয়ামাল ফিট নয়। সে ইনজুরি নিয়েই স্পেনের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির ভাস্কর্য উন্মোচন বায়ার্নের |
![]() |
হ্যান্সি ফ্লিকের অভিযোগ, পেইন কিলার খেয়েই স্পেনের হয়ে খেলেছেন ইয়ামান। তিনি বলেন,
'তারা (স্পেন) প্রতিটি ম্যাচে তারা কমপক্ষে তিন গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ইয়ামাল দুটি ম্যাচেই ৭৩ ও ৭৯ মিনিট পর্যন্ত খেলেছেন। ম্যাচগুলোর মাঝেই সে ট্রেনিংও করতে পারেননি। এটা কি আসলেই খেলোয়াড়ের যত্ন নেওয়া? এ নিয়ে আমি খুবই হতাশ।’
জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনের সময় তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে আরো সতর্ক হওয়া উচিত বলেন ফ্লিক। তিনি বলেন,
‘আমি জাতীয় দলের হয়ে কাজ করেছি, জানি কাজটা কত কঠিন। আমি কখনো তার (দে লা ফুয়েন্তে) সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। বার্তা ছিল একটা, কিন্তু সরাসরি কথা হয়নি। আমার স্প্যানিশ ভালো না, আর তাঁর ইংরেজি ভালো না, হয়তো এটাই একটা সমস্যা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যোগাযোগটা ভালো হওয়া উচিত। শুধু ইয়ামালই নয়, আমাদের আরও অনেক খেলোয়াড় রয়েছে যারা একই অবস্থা ভোগ করছে।’
জার্মান শব্দ ‘দের কায়সার’ অর্থাৎ সম্রাট নামে পরিচিত তিনি। গত বছরের ৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি দেনি এই জার্মান কিংবদন্তি। ক’দিন আগেই তাঁর ৮০তম জন্মবার্ষিকি পালন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ের কথা।
জার্মান ও বায়ার্ন মিউনিখের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার ও কোচের সম্মানে একটি ভাষ্কার্য নির্মাণ করা হয়েছে। বায়ার্নের স্টেডিয়াম অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনার বাইরে এই ‘সম্রাটের’ ভাষ্কার্য্ উন্মোচন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সাত সপ্তাহের প্রস্তুতি, এবার প্রমাণের চ্যালেঞ্জ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের |
![]() |
বেকেনবাওয়ের ব্রোঞ্জের এই প্রতিকৃতি উন্মোচনের সময় উপস্থিত ছিলেন তার দীর্ঘদিনের জীবন সঙ্গী হেইডি বেকেনবাওয়ার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভক্তদের ডোনেশনের মাধ্যমে এই প্রকল্প অর্থায়ন করা কুর্ট লান্ডাউয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি।
এসময় বায়ার্ন কিংবদন্তিকে স্বরণ করে ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হেইনার বলেন,
‘এটি বেকেনবাওয়ার এবং তিনি যা যা ধারণ করতেন তার মূর্ত প্রতীক। তাঁর স্টাইল, চিন্তাভাবনা, আর বায়ার্নের জন্য। মিউনিখ এখানে কেবল একটি স্মৃতিস্তম্ভ পাচ্ছে না – এটি পুরো শহরেরই গর্বিত, আত্মবিশ্বাসী, মার্জিত এবং সরলতার প্রতিফলন।’
খেলোয়াড়ি জীবনে জার্মানির হয়ে বেকেনবাওয়ার অনন্য ইতিহাসই রচনা করেছেন। জাতীয় দলের জার্সিতে ১০৩ ম্যাচ খেলে ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ জেতেন এই ডিফেন্ডার। এর আগে ১৯৭২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (বর্তমানে ইউরো) জিতেছেন তিনি। কোচিং ক্যারিয়ারেও জার্মানির হয়ে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন বেকেনবাওয়ার। ১৯৯০ সালে ডাগ-আউটে থেকে ওয়েস্ট জার্মানিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।
আরও পড়ুন
সাক্ষাৎকার: মোহামেডানের অধিনায়কত্ব করা আমার জন্য প্রেরণার |
![]() |
ক্লাব ক্যারিয়ারে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে অমর গল্প লিখেছেন বেকেনবাওয়ার। বাভারিয়ানদের হয়ে টানা তিনবার (১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬) ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছেন। এ ছাড়া ঘরোয়া লিগের শিরোপা সহ বহু অর্জন আছে তার নামের পাশে।
১৯৭২ ও ১৯৭৬ সালে ফুটবলে সবচেয়ে সম্মানিয় স্বীকৃতি ব্যালন ডি’অর জেতা ফুটবলার বেকেনবাওয়ের। ফুটবল ইতিহাসে ডিফেন্ডারদের মধ্যে এই পুরষ্কার জেতার ঘটনা যেখানে বিরল, জার্মান লিজেন্ড সেই কীর্তি গড়েছেন।
বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে আগামী শুক্রবার শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের ২০২৫-২৬ মৌসুম। ওই দিন কুমিল্লায় মুখোমুখি হবে ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এবং সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শিরোপা ধরে রাখতে দলবদলে সেভাবে ঘর গোছাতে পারেনি সাদা-কালোরা। চ্যাম্পিয়ন দলের বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার, বিশেষকরে সুলেমান দিয়াবাতে ও ইমানুয়েল সানডের মতো ফুটবলারদের ধরে রাখতে পারেনি তারা। তারপরও যারা আছেন তাদের নিয়েই শিরোপা ধরে রাখতে মরিয়া মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি। গতকাল শনিবার মেহেদি হাসান মিঠুকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। মোহামেডানে অধিনায়কত্ব পাওয়া এবং নতুন মৌসুমে দলের ও নিজের প্রত্যাশা নিয়ে এই ডিফেন্ডার কথা বলেছেন টি-স্পোর্টসের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুবেল রেহান।
টি-স্পোর্টস: মোহামেডানে তিন বছর কাটানোর পর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেলেন
মেহেদি হাসান মিঠু: আসলে গত বছর সহ-অধিনায়ক ছিলাম, এই বছর অধিনায়ক হলাম। অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাব... আসলে এখানে তো খেলাটাই অনেক বড়; আর অধিনায়কত্ব করা তো আরও বড় ব্যাপার।
টি-স্পোর্টস: অধিনায়ক হওয়টাকে কিভাবে নিচ্ছেন, চাপ নাকি প্রেরণা?
মেহেদি হাসান মিঠু: চাপ মনে করছি না। একটা দায়িত্ব পেয়েছি, চেষ্টা করব দায়িত্ব পালন করতে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে। দলের জন্য ভালো কিছু করতে এটা আমার জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
টি-স্পোর্টস: আপনার অধিনায়ক হওয়াকে সতীর্থরা কিভাবে নিয়েছেন?
মেহেদি হাসান মিঠু: আমি যখন নতুন করে আবার চুক্তি করি, তখন থেকেই সবাই বলছে যে আমিই অধিনায়ক হবো। তাঁরা সবাই খুশি হয়েছেন। সবাই এখানে অনেক সাপোর্টিভ।
টি-স্পোর্টস: লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান, কি মনে হয় শিরোপা ধরে রাখা কতটা কঠিন হবে
মেহেদি হাসান মিঠু: ইচ্ছা তো আছে শিরোপা ধরে রাখার, বাকিটা দেখা যাক কি হয়। আমরা জেতার জন্য খেলি, শিরোপা জিততে খেলি।
টি-স্পোর্টস: সবশেষ দলবদলে মোহামেডান ছেড়ে অনেকেই চলে গেছেন
মেহেদি হাসান মিঠু: আসলে সবাই তো থাকবে না। কেউ থাকবে, কেউ থাকবে না। যারা আছে তাদের নিয়েই এগোতো হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী এই দল নিয়েই।
টি-স্পোর্টস: মোহামেডানের শক্তির দিক কোনটি
মেহেদি হাসান মিঠু: ওইভাবে তো বলা যায় না। গত বছরের তুলনায় ফরোয়ার্ড লাইন কিছুটা দুর্বল; যেহেতু সুলেমান দিয়াবাতে নাই, সানডে নাই, আসলে এই দুজন আমাদেরকে ওপরে অনেক সাপোর্ট করছে। তাদের না থাকা একটু ভোগাবে।
টি-স্পোর্টস: নতুন মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি কেমন?
মেহেদি হাসান মিঠু: আসলে মোহামেডানের নিজস্ব মাঠ না থাকায় আমাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটা একটু কঠিনই। তারপরও সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করে যাতে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি না থাকে।
টি-স্পোর্টস: তারপরও আপনারা মাঠে সেরাটা কীভাবে দেন
মেহেদি হাসান মিঠু: মোহামেডানের মাঠ, অফিসিয়াল, ম্যানেজমেন্ট... এসব নিয়ে আমরা চিন্তা করি না। আমরা চিন্তা করি মাঠেই শতভাগ দেওয়া। প্রমাণ করতে দেওয়া মাঠ না থাকলেও আমরা খেলতে পারি। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে খেলা, মাঠে সর্বোচ্চটা নিংড়ে নেওয়া।
টি-স্পোর্টস: সাদা-কালো সমর্থকদের জন্য কী বলবেন
মেহেদি হাসান মিঠু: সমর্থকদের কাছে চাওয়া- নতুন মৌসুমে আমাদের সাপোর্ট করা। আমরা চাই তারা মাঠে আসুক, আমাদের পূর্ণ সমর্থক দিক।
টি-স্পোর্টস: আগেরবার চ্যালেঞ্জ কাপে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছিলেন। এবারও মৌসুম শুরু হবে চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে। এবার কি আশা করছেন?
মেহেদি হাসান মিঠু: গত বছর আমরা বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছি। এ বছর আমাদের প্রত্যাশা চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করা।