ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে জয় পেয়েছেন দ্বিতীয় বাছাই কার্লোস আলকারাজ। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের আর্থার রিন্দেরনেককে সরাসরি সেটে ৭-৬(৭-৩), ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেন স্প্যানিশ তারকা।
গ্র্যান্ড স্ল্যামের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ ১৩টি টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে আলকারাজ। এখন তাঁর বয়স ২২ বছর ৩ মাস। বরিস বেকারের চেয়ে ছয় মাস কম বয়সে এই মাইলফলকে পৌঁছলেন তিনি।
আরও পড়ুন
অবিশ্বাস্য ইমাম, চার সেঞ্চুরিতে নির্বাচকদের দিলেন বার্তা |
![]() |
ম্যাচ চলাকালীন আলকারাজ একটি চমকপ্রদ 'বিহাইন্ড দ্য ব্যাক' শট খেলেন, যা দেখে দর্শকেরাও অনকে সময় অবাক হন। নিউ ইয়র্কের কার্ড কোটে রাউন্ড সিক্সটিনের ম্যাচেও আলকারাজের সেই অসাধারণ শট মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
খেলা শেষে সেই বিহাইন্ড দ্য ব্যাক শট প্রসঙ্গে আলকারাজ বলেন,
‘কখনো কখনো আমি এটি অনুশীলন করি। মিথ্যা বলব না। অনুশীলন বা ম্যাচে সুযোগ থাকলে চেষ্টা করি।'
কোয়ার্টার ফাইনালে আগামীকাল আলকারাজের প্রতিপক্ষ চেক প্রজাতন্ত্রের ২০তম বাছাই জিরি লেহেকা।
No posts available.
২৮ আগস্ট ২০২৫, ৬:৫৯ পিএম
অসাধারণ জয়ে ইউএস ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে নোভাক জোকোভিচ। চতুর্থ রাউন্ডে ইয়ান-লেনার্ড স্ট্রাফকে ৬-৩, ৬-৩, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী সার্বিয়ান তারকা। এর সৌজন্যে গ্র্যান্ড স্ল্যামে গড়েছেন রেকর্ডও।
সবচেয়ে বেশি বয়সী পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমের চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছেন জোকোভিচ। সব মিলিয়ে রেকর্ড ৬৪তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছালেন টেনিসের মহাতারকা।
স্ট্রাফ টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও জোকোভিচের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেননি। সার্ভিস ও রিটার্নে শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোকোভিচ ম্যাচ শেষ করেন মাত্র এক ঘণ্টা ৪৯ মিনিটে।
ম্যাচ চলাকালীন কাঁধ-ঘাড় ও হাতে অস্বস্তি অনুভব করে দুবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় জোকোভিচকে। তবে চিকিৎসা বিরতি থেকে ফিরে নিজেকে আরও নিংড়ে দেন।
ম্যাচ শেষে জোকোভিচ বলেন, 'আমি এমন একজন খেলোয়াড়কে সার্ভে হারালাম, যিনি এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি এস (সরাসরি পয়েন্ট জয় করা সার্ভ) করেছেন। এটা আমার জন্য বড় আত্মবিশ্বাসের বিষয়।'
কোয়ার্টার ফাইনালে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ চতুর্থ বাছাই টেলর ফ্রিটজ। তবে অতীত পরিসংখ্যান কথা বলছে সার্বিয়ান তারকার পক্ষেই, ফ্রিটজের বিপক্ষে জোকোভিচের একতরফা রেকর্ড ১০-০।
সাফল্যে ভরপুর ক্যারিয়ারে এখন মাঠে নামলেই যেন নতুন নতুন রেকর্ড ধরা দেয় নোভাক জোকোভিচের ঝুলিতে। ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে জিতেই যেমন গড়লেন এক জোড়া রেকর্ড। একইসঙ্গে ছাড়িয়ে গেলেন আরেক কিংবদন্তি রজার ফেদেরারকে।
আর্থার অ্যাশলে স্টেডিয়ামে ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ক্যামেরন নরিকে ৬-৪, ৬ (৪)-৭ (৭), ৬-২, ৬-৩ গেমে হারিয়ে চতুর্থ রাউন্ড তথা শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করেছেন সার্বিয়ান তারকা জোকোভিচ।
আরও পড়ুন
দুর্দান্ত জয়ে ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে আলকারাজ |
![]() |
টেনিসের মেজর কোনো টুর্নামেন্টের হার্ড কোর্টে জোকোভিচের এটি ১৯২তম জয়। রজার ফেদেরারকে (১৯১) ছাড়িয়ে তিনিই এখন হার্ড কোর্টে সর্বোচ্চ জয়ের মালিক। রেকর্ড গড়ে এখন ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার আরও কাছে জোকোভিচ।
এছাড়া ১৯৯১ সালের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৩৮ বছর হওয়ার পর ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন জোকোভিচ। সবশেষ ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জিমি কনর্স ৩৮ বছর বয়সে এই সাফল্য পেয়েছিলেন।
আর নরির বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে জোকোভিচের রেকর্ড এখন ৭-০!
জয় পেতে অবশ্য চোটের সঙ্গেও লড়তে হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী তারকাকে। প্রথম সেট চলাকালে ৫-৪ গেমে এগিয়ে থাকার সময় পিঠের চোটে কোর্টের বাইরে যেতে হয় তাকে। পরে দ্বিতীয় সেট চলাকালে আবারও ফিরে আসে ব্যথা।
আরও পড়ুন
দাপুটে জয়ে ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে সিনার |
![]() |
ব্যথা জয় করে মাঠে নামলেও, দ্বিতীয় সেট আর জিততে পারেননি জোকোভিচ। তবে পরের দুই সেটে দাপট দেখিয়েই জিতে যান তিনি। পেয়ে যান পরের পর্বের টিকেট।
শেষ ষোলোতে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ জার্মানির ইয়ান-লেনার্ড স্ট্রাফ।
আরো একটি দুর্দান্ত জয় তুলে নিলেন কার্লোস আলকারাজ। ইতালির ৩২ নম্বর বাছাই লুসিয়ানো দারদেরিকে সরাসরি সেটে উড়িয়ে ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছেন স্প্যানিশ টেনিস তারকা। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে দারদেরিকে ৬-২, ৬-৪, ৬-০ গেমে হারান তিনি। মাত্র এক ঘণ্টা ৪৪ মিনিটে জয় নিশ্চিত করেন ২২ বছর বয়সী আলকারাজ।
দ্বিতীয় সেটে হাঁটু ও উরুতে অস্বস্তি অনুভব করলে ৪-৪ অবস্থায় চিকিৎসা বিরতি নেন আলকারাজ়। চিকিৎসা নেওয়ার পর প্রতিপক্ষের সার্ভ ভেঙে দ্বিতীয় সেট জিতে নেন তিনি। এরপর তৃতীয় সেটে দ্রুত জয় নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন
দাপুটে জয়ে ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে সিনার |
![]() |
ম্যাচ শেষে আলকারাজ বললেন, 'আমি ভালো আছি। আমি ফিজিওকে ডাকলাম কারণ সে যখন আমার সার্ভিস ব্রেক করল, তখন শেষ পয়েন্টে হাঁটুতে কিছু একটা ঠিকঠাক লাগছিল না। তবে পাঁচ-ছয় পয়েন্টের মধ্যেই সেটা চলে যায়।'
সকালে ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন আলকারাজ। সকালে ম্যাচ খেলতে ওঠা কঠিন বলে বললেন তিনি, 'আমি সকালের মানুষ নই। সকালে ওঠা আমার জন্য কঠিন। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে ম্যাচ শুরু করা আমার জন্য নতুন। তবে আজ সকালে উঠে ওয়ার্ম আপ করেছি। আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল ভালোভাবে শুরু করা, মনোযোগী থাকা, শক্তি বজায় রাখা এবং খেলার ছন্দ ঠিক রাখা। আমি শুরু থেকেই ভালো খেলেছি, প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছি এবং লম্বা র্যালি খেলতে বাধ্য করেছি। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি গর্বিত।'
চতুর্থ রাউন্ডে আলকারাজের প্রতিপক্ষ ফরাসি আর্থার রিন্দারনেশ। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের শেষ ১৬তে উঠেছেন তিনি। ৮২তম বাছাই রিন্দারনেশ বেঞ্জামিন বনজিকে ৪-৬, ৬-৩, ৬-৩, ৬-২ গেমে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছেন।
ইউএস ওপেনে নিজের আধিপত্য ধরে রেখেছেন এক নম্বর টেনিস তারকা ইয়ানিক সিনার। কোর্টে নামার পর প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগই দিচ্ছেন না তিনি। দ্বিতীয় রাউন্ডে আজ অস্ট্রেলিয়ার আলেক্সেই পপিরিনকে মাত্র দুই ঘণ্টা এক মিনিটের লড়াইয়ে ৬-৩, ৬-২, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দিয়েছেন সিনার।
প্রথম রাউন্ডের পর দ্বিতীয় রাউন্ডেও সরাসরি সেটে জেতেন সিনার। প্রথম সেটে পপিরিন কিছুটা লড়াই করলেও পরের দুই সেটে সুযোগই পাননি। নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে ২৪ বছর বয়সী সিনার বলেন, 'খুব খুশি, এই ম্যাচগুলো আমি যতটা সম্ভব ভালোভাবে খেলতে পেরেছি। সার্ভের দিকে আরও মনোযোগ দিচ্ছি, তবে বাকি খেলার দিকগুলো নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী।'
আরও পড়ুন
৬০ হাজার টাকা আর্জেন্টিনায় মেসির শেষ ম্যাচের টিকিট |
![]() |
চলতি মৌসুমে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামেরই ফাইনালে উঠেছেন সিনার। জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ও উইম্বলডন ওপেনের শিরোপা। ফ্রেঞ্চ ওপেনে অবশ্য হেরেছিলেন কার্লোস আলকারাজের কাছে।
ইউএস ওপেনে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এগোচ্ছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিনার। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাঁচবার পরপর ইউএস ওপেন জেতা রজার ফেদেরারের পর এবার প্রথমবারের মতো এ শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ ইতালিয়ান তারকার সামনে।
তৃতীয় রাউন্ডে কাল কানাডার ২৭তম বাছাই ডেনিস শাপোভালভার বিপক্ষে কোর্টে নামবেন সিনার।
দুঃসময়ের প্রহরে বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়লেন দানিল মেদভেদেভ। ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে হারের ম্যাচে রেফারির সঙ্গে মেজাজ দেখিয়ে ও র্যাকেট ভাঙার ফলে ৫১ লাখ টাকার বেশি জরিমানা দিলেন রুশ তারকা।
বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লামের প্রথম রাউন্ডে ফ্রান্সের বেঞ্জেমা বঞ্জির কাছে ৩-৬, ৫-৭, ৭ (৭) - ৬ (৫), ৬-০ ও ৪-৬ সেটে হেরে যান মেদভেদেভ। প্রথম দুই সেটে হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সূচিতে বড় পরিবর্তন |
![]() |
ওই ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ এক ফটোগ্রাফার কোর্টের ওপর চলে আসেন। ফলে ছন্দপতন ঘটে খেলায়। সেটি নিয়েই রাগারাগি করেন মেদভেদেভ।। রেফারির সঙ্গে চিৎকার করেন। মেজাজ হারিয়ে নিজের র্যাকেটও ভেঙে ফেলেন।
তাই যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস অ্যাসোসিয়েশন তাকে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণে ৩০ হাজার ডলার ও র্যাকেট ভাঙায় আরও সাড়ে ১২ হাজার ডলার জরিমানার শাস্তি দিয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫১ লাখ টাকার বেশি।
অর্থাৎ প্রথম রাউন্ড খেলে পাওয়া অর্থ-পুরস্কারের ৪০ শতাংশ জরিমানাই দিতে হচ্ছে তাকে।