
বিশ্বকাপের বাকি আছে আর ৪ মাসেরও কম সময়। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কেন উইলিয়ামসন। নিউ জিল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে আর ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে দেখা যাবে না অভিজ্ঞ ব্যাটারকে।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৯৩ ম্যাচে ২৫৭৫ রান করে এই ফরম্যাটে নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হিসেবে বিদায় নিচ্ছেন ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটার। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮টি ফিফটি, সর্বোচ্চ ইনিংস ৯৫ রানের।
২০১১ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর নিজের ৯৩ ম্যাচে মধ্যে ৭৫টিতে দলকে নেতৃত্ব দেন উইলিয়ামসন। তার অধিনায়কত্বে ২০২১ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে নিউ জিল্যান্ড। এছাড়া ২০১৬ ও ২০২২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।
আরও পড়ুন
| কোহলিকে ছাড়িয়ে বাবরের রেকর্ড, সিরিজ পাকিস্তানের |
|
অবসরের ঘোষণা দেওয়া বিবৃতিতে নিউ জিল্যান্ড জাতীয় দলের সামনের সময়ের জন্য শুভকামনা জানান উইলিয়ামসন।
“এই দলের অংশ হতে পারা জীবনের বিশেষ অভিজ্ঞতা। এখন সময় এসেছে নতুনদের সুযোগ দেওয়ার। দলে এখন অনেক তরুণ প্রতিভা আছে। মিচ স্যান্টনার দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছে, আমি দূর থেকে তাদের সাফল্য কামনা করব।”
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর স্যান্টনারের হাতে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন উইলিয়ামসন। এরপর থেকে বেছে বেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন তিনি। চোট ও বিশ্রামের কারণে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সিরিজেও খেলেননি।
ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে নিউ জিল্যান্ড। সেটি দিয়ে আবার জাতীয় দলে দেখা যেতে পারে উইলিয়ামসনকে।
ওয়ানডে ও টেস্ট ক্যারিয়ারের ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
“ব্ল্যাকক্যাপস আমার হৃদয়ের খুব কাছের জায়গা। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট আমাকে যে সমর্থন দিয়েছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ। আমি টেস্ট ও ওয়ানডে নিয়ে এখনও খোলা মনে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।”
নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী স্কট উইনিংক নিশ্চিত করেছেন, উইলিয়ামসন নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন কবে ওয়ানডে ও টেস্ট থেকে বিদায় নেবেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিলেও উইলিয়ামসন এখনও ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলবেন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে তিনি নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক।
No posts available.
২ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৪৪ পিএম

হিসাব মোটেও সহজ ছিল না। জয় পেতে রীতিমতো রেকর্ড গড়তে হতো দক্ষিণ আফ্রিকার। সমীকরণ মেলানোর মিশনে যাত্রা দাপুটে হলেও একটা পর্যায়ে চোক করে বসে প্রোটিয়ারা। তাতেই নারী বিশ্বকাপ দেখল নতুন চ্যাম্পিয়ন। লরা ওয়লভার্টদের বিপক্ষে ৫২ রানে জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতল হারমানপ্রীত কৌরের দল।
নাভি মুম্বাইয়ে আজ প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শেফালি বর্মা ও দিপ্তী শর্মার ব্যাটে ভর করে ২৯৮ রান তোলে ভারত। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে এর আগে ১৬৭ রানের বেশি লক্ষ্য ছুঁয়ে জিততে পারেনি কোনো দল। তাছাড়া নারী ওয়ানডে ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকাও কখনোই এত বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি। জয় পেতে কঠিন রান পাহাড়ে চড়তে হতো প্রোটিয়াদের। তারা সুন্দরভাবে ২০০ রান পেরোলেও যাত্রা থামে ২৪৬ রানে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে তারা তোলে ৬৪ রান। স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মার জুটি ভাঙে ১০৪ রানে, স্মৃতি ফিরলে। ক্রিজ ছাড়ার আগে বাঁহাতি এই ব্যাটার ৪৫ রান করেন।
জুটি ভাঙলেও ঠিকই রেকর্ড গড়েছেন দুজন। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে এখন পর্যন্ত উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান—মান্ধানা-শেফালির এই ১০৪ রান।
মান্ধানা ফেরার পরও থেমে থাকেননি শেফালি। ৬ রানে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার স্বাচ্ছন্দ্যেই এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে দ্বিতীয়বার ক্যাচ তুলে দিয়ে আর রক্ষা পাননি। সুনে লুসের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় ৮৭ রানে। আউট হওয়ার আগে মারেন ৭ চার ও ২ ছক্কা।
দলকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জেমিমাহ রদ্রিগেজ আজ থিতু হয়েও সুবিধা করতে পারেননি। তিনি ফেরেন ২৪ রানে। অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর থামেন ২০ রানে, আর আমানজোত কৌর ব্যক্তিগত ইনিংসে যোগ করেন ১২ রান।
দলীয় ২৪৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন দিপ্তী শর্মা ও রিচা ঘোষ। তাদের জুটি থেকে আসে ৪৭ রান। শেষ পর্যন্ত রিচা ফেরেন ৩৪ রানে, আর শেষ বলে রান আউটে কাটা পড়ে দিপ্তী করেন ৫৮ রান। তাতেই ভারত পান ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আয়াবঙ্গা খাকা। ৯ ওভার বল করে খরচ করেন ৫৮ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বেশ গুছানো ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পথচলা। তাজমিন ব্রিটসকে নিয়ে দেখেশুনে সূচনা করেন লরা ওয়লভার্ট। বিপত্তি ঘটে দলীয় ৫১ রানে, যখন তাজমিন রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। মূলত ধাক্কাটা তখন থেকেই শুরু প্রোটিয়াদের।
পর্যায়ক্রমে আনিকা বশ, সুনে লুস, মারিজান কাপ ও সিনাল জাফতা ফেরেন। বিশেষ করে আনিকা ও কাপের ফেরাটা বেশি বিপাকে ফেলে প্রোটিয়াদের। আসরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে কাপ মাত্র ৪ রান করতে পারেন। অন্যদিকে আনিকার ফেরাটা ছিল ডাক মেরে।
১৪৮ রানে মিডল অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারকে ফেরানোর পরও আনেরি ডের্কসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ওয়লভার্ট। ধাক্কা সামাল দেওয়ার জন্য সবধরণের চেষ্টা চালান দুইজন। তবু দিপ্তী শর্মার বল বুঝে ওঠার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন ডের্কসেনকে। ৩৫ রানে ফেরেন তিনি।
ডের্কসেনের পর ওয়লভার্ট ফেরাতে তখনই পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রোটিয়া অধিনায়ক ৯৮ বলে ১০১ রান করেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার দশম সেঞ্চুরি। ৪১.১ ওভারে ৭ উইকেট হারানো দল তখনো ৭৮ রান দূরে। শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
ভারতের হয়ে দিপ্তী ৯.৩ ওভারে ৫ উইকেট নেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নেন শেফালি বর্মা, তিনি নেন ২টি।

গত ৬ অক্টোবর বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর অভিষেক সভার জন্য অপেক্ষা বাড়েনি। পরদিন (৭ অক্টোবর) ২৫ সদস্যের পরিচালনা পরিষদের অভিষেক হয়েছে। অভিষেক সভাতেই দপ্তর বন্টিত হয়েছে। ২৩টি কমিটির চেয়ারম্যানের নাম ঘোষিত হয়েছে সেই সভাতেই।
সোমবার দুপুর ২টায় বিসিবির পরিচালনা পরিষদের দ্বিতীয় সভাটি পূর্ণাঙ্গ কলেবরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অভিষেক সভায় বিদেশে অবস্থান করায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কোটা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসা গায়ক আসিফ আকবর ছিলেন অনুপস্থিত। এজ গ্রুপ ডেভেলপম্যান্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া আসিফ আকবর আজ বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় থাকবেন উপস্থিতি। নানা কারণে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এই সভাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিপিএলের সর্বশেষ সংস্করণে স্পট ফিক্সিং নিয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিটি সম্প্রতি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের হাতে তুলে দিয়েছে ৯০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন। যে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের নাম এখনো প্রকাশ করেনি বিসিবি। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশসমূহ গণমাধ্যমকে জানানি বিসিবি। সোমবার বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় এই তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভার এজেন্ডার তালিকায় রাখা হয়েছে এই ইস্যুটি।
বিপিএলের পরবর্তী ৫ আসরের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে গত ২৮ অক্টোবর যে ১১টি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিসিবিতে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) জমা দিয়েছে, তাদের পে অর্ডার, ব্যাংক গ্যারান্টি এবং কোম্পানীর আর্থিক স্বচ্ছলতার বিবরণ জেনে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রোববার।
চিটাগাং কিংসের ফ্রাঞ্চাইজি এস. কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজকে খেলাপীর তালিকায় রেখে ইওআই জমা দিতে দেয়নি বিসিবি। খুলনা টাইগার্স ফ্রাঞ্চাইজি মাইন্ডট্রি–রূপসী কংক্রিট লিমিটেড কনসোর্টিয়ামকে বিপিএলের পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। নতুন আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে নোয়াখালির ফ্রাঞ্চাইজি পেতে চেয়েছিল বাংলা মার্ক লিমিটেড। প্রাথমিক বাছাইয়ে তাদের আবেদনও গৃহিত হয়নি।
এই ৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে পাঁচ অথবা ৬টি ফ্রাঞ্চাইজি সোমবার বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা। বিপিএলের পরবর্তী ৫টি সংস্করণের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি চূড়ান্ত হবে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সোমবারের সভায়। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় বিপিএলের কমার্শিয়াল রাইটসও অনুমোদিত হওয়ার কথা এই সভায়। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এজেন্ডাতে আছে এই ইস্যুটি।
বিসিবি ইন্ট্রিগিটি ইউনিটের প্রধান হিসেবে অ্যালেক্স মার্শালের নিয়োগ অনুমোদনের কথাও বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এই সভায়।
এ বছরের জুন মাসে নাজমুল হোসেন শান্ত'র কাছ থেকে ওডিআই ক্যাপ্টেনসি কেড়ে নেয়ায় টেস্ট ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে কম সমালোচনা হয়নি। শান্ত'র ওডিআই ক্যাপ্টেনসি কেড়ে নেয়ার পেছনে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ব্যক্তিগত ইচ্ছা গুুরুত্ব পেয়েছে বলেও গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। অন্তবর্তীকালীন মেয়াদে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বিসিবির বর্তমান নির্বাচিত কমিটিতেও একই দায়িত্বে বহাল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ০-৩ এ হেরে যাওয়ায় ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি পড়েছে সমালোচনার মুখে। এই কমিটিকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে একটা ছাঁয়া কমিটি গঠিত হয়েছে চট্টগ্রামে বসে। ওই ছাঁয়া কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী নাজমুল হোসেন শান্তকে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় কোচিং স্টাফ নিয়েও উঠেছে সমালোচনা। সোমবার বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
বিসিবির পরিচালনা পরিষদের এই সভায় গেম ডেভেলপম্যান্ট কমিটি, ফিন্যান্স এন্ড অ্যাকাউন্টস , প্রশাসন, মানব সম্পদ এবং গ্র্যাউন্ডস এন্ড ফ্যাসিলিটিজের পরবর্তী করণীয় নিয়েও আলোচনার কথা আছে।
আগামী ৯ ও ১০ নভেম্বর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে দিনব্যাপী বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স নামের একটি সেমিনার আয়োজন করবে বিসিবি। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের আইডিয়ায় এই সেমিনারে যোগ দেয়ার কথা প্রতিটি জেলার ক্রিকেট প্রেসিডেন্ট ( কাউন্সিলর), জেলা ক্রীড়া অফিসার, জেলাসমূহের ক্রিকেট কোচ, নারী উদ্যোক্তা। তাদের সবাইকে এক ছাদের নিচে এনে বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নে করণীয় দিক নির্দেশনা নিতে চায় বিসিবি। এই সেমিনার আয়োজনের সর্বশেষ প্রস্তুতি বিসিবির পরিচালনা পরিষদে অবহিত করা হবে। এই সেমিনারের বাজেট অনুমোদিত হবে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায়।
সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের ক্রিকেট কোচ এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের। ব্যতিক্রর্মী এই আয়োজনের উদ্দেশ্য নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা এই সভায়।

প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল আফগানিস্তান। তবে তৃতীয় ম্যাচে রশিদ খানরা নেমেছিল ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে—হোয়াইটওয়াশের আশায়। শেষ পর্যন্ত তাদের সেই উচ্চাশা পূরণ হয়েছে। জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩–০ ব্যবধানে শেষ করেছে আফগানরা।
হারারেতে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২১০ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ২০১ রান পর্যন্ত পৌঁছতে পারে সিকান্দার রাজার দল।
এদিন ইনিংসের শুরুতেই ঝড় তোলেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তারা ১৫.৪ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে উদ্বোধনীতে জুটিতে যোগ করেন ১৫৯ রান। শেষ পর্যন্ত সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন গুরবাজ, তাতেই ভাঙে জুটি।
মাঠ ছাড়ার আগে ৪৮ বলে ৯২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন গুরবাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা। আরেক ওপেনার জাদরান করেন ৪৯ বলে ৬০ রান।
দুই ওপেনার ফেরার পর শেষ দিকে সেদিকুল্লাহ আতল খেলেন ঝোড়ো ইনিংস। মাত্র ১৫ বলে ৩৫ রান করেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ২৩৩! শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২১০ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস।
জবাবে জিম্বাবুয়ে শুরুতে ২ উইকেট হারালেও রান রেট ধরে রাখে। পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রান তোলে স্বাগতিকরা। এক প্রান্ত আগলে খেলছিলেন ব্রেনেট, তবে ৪৭ রানে ফিরে যান তিনি।
অধিনায়ক সিকান্দার রাজার চেষ্টা ছিল চোখে পড়ার মতো। বল হাতে সুবিধা করতে না পারলেও ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মাত্র ২৯ বলে অর্ধশতক (৫১) পূর্ণ করেন তিনি।
১৭ ওভার পর্যন্ত লড়াইয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ তিন ওভারে ৫ উইকেটে ১৭২ রান থাকলেও ১৭তম ওভারে ফরিদ আহমেদের দুটি উইকেট আফগানদের জয় নিশ্চিত করে দেয়। শেষ পর্যন্ত ৯ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
আফগানিস্তানের হয়ে আব্দুল্লাহ আহমাদজাই নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট, ফরিদ আহমেদ নেন ২টি।
ম্যাচসেরা হয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তিন ম্যাচে ১৬৯ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান।

মেঘলা আকাশ। ম্যাচের আগেও ঝরেছে কয়েক দফা বৃষ্টি। ফলে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা ভলভার্ট। তবে তাঁর সিদ্ধান্ত যে একদম নিখুঁত, তা বলা যাবে না। যে লক্ষ্য নিয়ে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি, তা পূরণ হয়নি। বরং স্মৃতি মান্ধানা-শেফালি বর্মার দুর্দান্ত সূচনা ও শেষ দিকে দীপ্তি শর্মার দৃঢ়তায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ২৯৯ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে ভারত।
নারী ওয়ানডের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকা কখনোই এত বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি। দলটি সর্বোচ্চ ২৭৫ রান তাড়া করে জিতেছে। ২০২১ সালে লক্ষ্ণৌয়ে ২৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ভারতকে হারিয়েছিল দলটি।
নাভি মুম্বাইয়ে আজ প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি স্বাগতিকরা। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে তোলে ৬৪ রান। স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মার জুটি ভাঙে দলীয় ১০৪ রানে, যখন স্মৃতি ফেরেন। উইকেট ছাড়ার আগে বাঁহাতি ব্যাটার করেন ৪৫ রান।
জুটি ভাঙলেও ঠিকই রেকর্ড গড়েছেন দুজন। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে এখন পর্যন্ত উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান — মান্ধানা-শেফালির এই ১০৪ রান।
মান্ধানা ফেরার পরও থেমে থাকেননি শেফালি। ৬ রানে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার স্বাচ্ছন্দ্যেই এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে দ্বিতীয়বার ক্যাচ তুলে দিয়ে আর রক্ষা পাননি। সুনে লুসের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় ৮৭ রানে। আউট হওয়ার আগে মারেন ৭ চার ও ২ ছক্কা।
দলকে ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জেমিমাহ রদ্রিগেজ আজ থিতু হয়েও সুবিধা করতে পারেননি, ফেরেন ২৪ রানে। অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর থামেন ২০ রানে, আর আমানজোত কৌর ফেরেন ১২ রানে।
দলীয় ২৪৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ। তাদের জুটি থেকে আসে ৪৭ রান। শেষ পর্যন্ত রিচা ফেরেন ৩৪ রানে, আর শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে দীপ্তি করেন ৫৮ রান। তাতেই ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আয়াবঙ্গা খাকা। ৯ ওভার বল করে খরচ করেন ৫৮ রান।

তাঁর প্রধান কাজ স্পিন ভেলকি দেখানো। হোবার্টে আজ বোলিংয়ের সুযোগই দেওয়া হয়নি ওয়াশিংটন সুন্দরকে। তবে বেলেরিভ ওভালে বলের চেয়ে ওয়াশিংটন ব্যাট হাতেই বেশি সুন্দর ছিলেন তিনি। তাঁর ব্যাটিং ঝড়েই সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
দারুণ জয়ে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে ভারত। টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকেই আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অতিথিরা। টিম ডেভিড ও মার্কাস স্টয়নিসের ঝোড়ো ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান স্কোরে জমা করে অজিরা। ৯ বল বাকি থাকতে ১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছে ভারত।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ভারত। কার্যকর ইনিংস খেলেছেন অভিষেক শর্মা (২৫), শুভমান গিল (১৫), সূর্যকুমার যাদব (২৪), অক্ষর প্যাটেল (১৭) তিলক ভার্মারা (২৯)। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মূল ব্যাটাররা।
একটা সময় হারের শঙ্কাও জেগে ওঠে ভারতের। তবে ওয়াশিংটনের অপরাজিত ২৩ বলে ৪৯ রানে রানের অসাধারণ ইনিংসে সেই শঙ্কা দূরীভূত হয়। ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার। ১৩ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন জিতেশ শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছে নাথান এলিস। ৩.৩ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে স্বাগতিকদের ডুবিয়েছেন আরেক পেসার শন অ্যাবোট।
তার আগে টিম ডেভিডের ৩৮ বলে ৭৪, স্টয়নিসের ৩৯ বলে ৬৪ ও ম্যাথু শর্টের ১৫ বলে ২৬ রানে সৌজন্যে ১৮৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ৩৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় পেসার আর্শদীপ সিং। ম্যাচসেরা পুরস্কারও হাতে তুলেছেন তিনি। আগামী বৃহস্পতিবার গোল্ড কোস্টে হবে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।