
ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেছিলেন হ্যারি ব্রুক। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যে ইংল্যান্ড পেরোয় দুইশ। তবে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ডকে ছোটখাটো লক্ষ্য দিয়ে জেতার চিন্তা করাই বড্ড কঠিন!
তবে কার্স-উডদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুতে কিউইদের কাঁপিয়ে সেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ইংলিশরা। দ্রুত কয়েকটি উইকেট নিলেও মিডল অর্ডারে ড্যারিল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েল বাধা হয়ে দাঁড়ান। তাঁদের কার্যকর দুই ফিফটিতে ৪ উইকেটে প্রথম ওয়ানডে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড।
আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে জ্যাকারি ফোকস ও ম্যাট হেনরির তোপেরমুখে ৫৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। সপ্তম উইকেটে ব্রুক ও জেমি ওভারটন ৮৭ রানের জুটি এবং দশম উইকেটে লুক উডের সঙ্গে ব্রুকের ৫৭ রানের আরেকটি জুটির কল্যাণে ৩৫.২ ওভারে ২২৩ রান তোলে অতিথিরা।
একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ১০১ বলে ১৩৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ব্রুক। ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ১১টি ছক্কা। ওভারটনের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ বলে ৪৬ রান। এ ছড়া কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। জ্যাকারি ৪১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। জ্যাকব ডাফি ৩টি, হেনরি নিয়েছেন ২টি উইকেট।
২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিউ জিল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। ২৪ রানে হারায় ৩ উইকেট। শুরুর ধাক্কা অবশ্য সামলে নেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। ৩৬.৪ ওভারেই জিতে যায় তারা। মিচেল সর্বোচ্চ ৯১ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ব্রেসওয়েল ৫১, মিচেল স্যান্টনার ২৭ ও টম লাথামের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। ৪৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ব্রাইডন কার্স।
ইংল্যান্ড হারলেও অসাধারণ ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা পুরস্কার হাতে তুলেছেন ব্রুক। আগামী বুধবার হ্যামিল্টনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড-নিউ জিল্যান্ড।
No posts available.

অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) চার দিনে ম্যাচে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাঈম ইসলাম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৪তম সেঞ্চুরি ৩৯ ছুঁই ছুঁই এই ব্যাটারের। পাশাপাশি পৌঁছে গেছেন লাল বলে ১১ হাজার রানের মাইলফলকে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান তুষার ইমরানের। ১১৯৭২ রান তাঁর। দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১১ হাজার করেছেন নাঈম। এই ম্যাচের আগে তাঁর রান ছিল ১০৯৫৩। সর্বোচ্চ ৩২টি সেঞ্চুরিও ছিল তুষারের, গত মৌসুমে তাঁকে ছাড়িয়ে যান নাঈম। তাঁর সেঞ্চুরিতে সিলেট অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮৭ রানের লিড নিয়েছে রংপুর বিভাগ।
প্রথম ইনিংসে ২২১ রান করেছিল ঢাকা বিভাগ। রংপুর আজ দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে নিজেদের প্রথম ইনিংসে। ২২১ বল খেলে ১১১ রানে অপরাজিত নাঈম। ইনিংসে ছিল ১৬টি চার। তাঁর সঙ্গে ৪ রান থেকে কাল আবারও ব্যাটিংয়ে নামবেন রবিউল হক। তানবীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ঢাকার হয়ে রিপন মন্ডল ৪টি ও তাইবুর রহমান শিকার করেছেন ২ উইকেট।
খুলনায় আফিফ হোসেন ধ্রুবর হ্যাটট্রিক ও ৬ উইকেটের পর ফলোঅনে পড়েছে বরিশাল বিভাগ। খুলনা বিভাগ প্রথম ইনিংস থামে ৩১৩ রানে। জবাব দিতে নেমে আফিফের ঘূর্ণি জাদুতে ১২৬ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় বরিশাল। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে তারা। ১১৯ রানে নেই ৪ উইকেট। এখনো পিছিয়ে ৬৮ রানে।
রাজশাহীতে মাহমুদুল হাসান জয় (১২৭) ও ইয়াসির আলী রাব্বির (১২৯) সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪০১ রান তুলেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। জবাব দিতে নেমে হাসান মুরাদের ঘূর্ণি বিষে নাকাল হয় রাজশাহী বিভাগ। ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ৬ উইকেট নেন মুরাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৩৩ রান করেছে চট্টগ্রাম। লিড দাঁড়িয়েছে তাদের ৩৩৮ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪০১ রান তুলেছে ময়মনসিংহ বিভাগ। আগের দিন ১০১ রান করেছিলেন আরিফুল ইসলাম। আজ আবু হায়দার রনি তুলে নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ১০৫ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৬টি ছক্কা ও ১০টি সাজিয়েছেন নিজের ইনিংসটি। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৯৮ রান করেছে সিলেট বিভাগ। স্বাগতিকেরা এখনো পিছিয়ে ২০৩ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সফল ওয়ানডে সিরিজ শেষে টি-টোয়েন্টি মিশনে নামছে বাংলাদেশ। অতিথিদের বিপক্ষে কুড়ি কুড়ি মিশনে দলে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। উইকেটকিপার ব্যাটারের নেতৃত্ব আগামীকাল চট্টগ্রামে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
নিঃসন্দেহে লিটন দাসের দলের অন্যতম শক্তি সাইফ হাসান। সাম্প্রতিক ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে এই স্পিন অলরাউন্ডার কোচ-ক্যাপ্টেন ও টিম ম্যানেজমেন্টের মনি কোঠায়। আগামীকাল সিরিজের প্রথম টি টোয়েন্টির আগেও সাইফ প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে লিটন দাসকে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ২৬ বর্ষী অলরাউন্ডারের কোন বিষয়গুলো তাকে মুগ্ধ করে।
আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্বাগতিক দলের হয়ে কথা বলেছেন লিটন। সেখানে সাইফকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইমপ্রেস করেছে তার ক্রিকেট খেলা। সে তো ক্রিকেট প্লেয়ার। তার যে-কোনো কিছু করতে চাইলেই ভালো লাগতেছে। একটা পজিটিভ সাইন হচ্ছে যখন সে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আসলো, ব্যাটিং প্লাস বলিংও সে কার্যকারিতা দিচ্ছে এবং ওয়ানডেতেও দেখেন যে সে বল করেছে, সাকসেস এবং ব্যাটিংতেও সাকসেস হচ্ছে।’
লিটন যোগ করেন, ‘ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার একটাই চাওয়া থাকবে, সে যেভাবে ক্রিকেট খেলছে ফ্রি-লি, এভাবেই যেন খেলে এবং তার ভবিষ্যৎ যেন উজ্জ্বল থাকে সবসময় সে ভালো খেললে বাংলাদেশ টিমের জন্য বেটার করবে।’
ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৭৯ রানের বড় জয় উপহারের ম্যাচে অসুস্থ শরীর নিয়ে খেলেছেন সাইফ হাসান। ওয়ানডে অভিষেক হওয়া স্পিন অলরাউন্ডার সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে করেছেন ৭২ বলে ৮০ রান। দুর্দান্ত এ ইনিংসের পর প্রশংসায় ভাসছেন সাইফ।
এশিয়া কাপ ও আফগানিস্তান সিরিজে দারুণ ছন্দে ছিলেন সাইফ। বিশেষ করে তার স্ট্রেইট ড্রাইভ মুগ্ধ করেছে সবাইকে। নিশ্চিত অতিথিদের বিপক্ষে ভালো শুরুর জন্য তার দিকে চেয়ে থাকবে বাংলাদেশ।

বেশ কয়েক মাস ধরেই টানা সাদা বলের ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ দল। তাই অনেকটা আড়ালে পড়ে গিয়েছিল টেস্ট অধিনায়কত্বের আলোচনা। আগামী মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আবার লাল বলে ফিরবে বাংলাদেশ।
তাই স্বাভাবিকভাবেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগেও উঠল টেস্ট অধিনায়কের আলোচনা। এই প্রসঙ্গে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বললেন, টেস্ট অধিনায়কত্বের প্রস্তাব পেলে কেউই মানা করবে না।
গত জুনে শ্রীলঙ্কা সফরের শেষ ম্যাচে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর আর লঙ্গার ভার্শনে খেলা না থাকায় নতুন অধিনায়ক খোঁজা নিয়ে তাড়া ছিল না বিসিবির।
আরও পড়ুন
| অফ স্পিনের জাদুতে আফিফের হ্যাটট্রিক |
|
আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। তাই এখন অধিনায়ক খুঁজতে শুরু করেছে বিসিবি। এরই মধ্যে বোর্ড প্রধান আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, নেতৃত্বের জন্য সম্ভাব্য ৩-৪ জনের সঙ্গে কথা বলবেন তারা।
সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় লিটন কুমার দাসের থাকার সম্ভাবনাও অনেক। তবে এখন পর্যন্ত বোর্ডের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো কথা হয়নি জানিয়েছেন তিনি।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে লিটন অবশ্য নেতৃত্ব পেলে সেটি গ্রহণ করার আভাসও দিয়ে রেখেছেন।
“খুব কঠিন আসলে (কিছু বলা)। এখন পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে আমি কোনো কিছু জানি না। তারা যদি মনে করে (আমি) যোগ্য, অবশ্যই তারা আমার সঙ্গে আলাপ করবেন। দেখা যাক তারপর সিদ্ধান্তটা কী হয়।”
“অবশ্যই একজন ক্রিকেটার হিসেবে যখন আপনি খেলবেন, টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব- এটা অনেক বড় একটা পাওয়া। আমার মনে হয় না কেউ না করবে। তবে তাদের (বিসিবি) পক্ষ থেকে এখনও কোনো বার্তা আসেনি।”

ব্যাট হাতে গোল্ডেন ডাকের আক্ষেপটা বোলিংয়ে দুর্দান্তভাবে পুষিয়ে নিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। অফ স্পিনের ভেলকি দেখিয়ে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি ৬ উইকেট পেলেন ২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন আফিফ। সব মিলিয়ে ১০.৫ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করে তিনি নিয়েছেন ৬ উইকেট।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে রোববার বরিশালের ইনিংসের শেষ ৩ উইকেট পরপর তিন বলে নিয়েছেন আফিফ। ৪২তম ওভারের প্রথম বলে শামসুল ইসলাম অনিককে এলবিডব্লিউ করেন তিনি।
আরও পড়ুন
| ব্রুকের সেঞ্চুরি ছাপিয়ে নিউ জিল্যান্ডের জয় |
|
পরের বলে ইয়াসির আরাফাত মিশুও এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন। হ্যাটট্রিক বল মোকাবিলা করতে নামেন শেষ ব্যাটার রুয়েল মিয়া। কিন্তু আফিফের চমৎকার ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি তিনি। বল আঘাত করে প্যাডে।
জোরাল আবেদনে সাড়া দিতে ভুল করেননি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে হ্যাটট্রিকের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন আফিফ ও তার সতীর্থরা।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের ১৯তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন আফিফ। এর আগে হ্যাটট্রিক করা বাংলাদেশের ১৮ জন বোলারের মধ্যে ইলিয়াস সানি, সোহাগ গাজী ও মোহাম্মদ আশরাফুলের রয়েছে ২টি করে হ্যাটট্রিক।
হ্যাটট্রিকের আগে সালমান হোসেন ইমন, শামসুর রহমান শুভ ও ফজলে মাহমুদ রাব্বির উইকেট নেন আফিফ। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় ৫ উইকেট।
২০১৮ সালের জাতীয় লিগে রাজশাহীর বিপক্ষে ৬৬ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন আফিফ।
খুলনার ৩১৩ রানের জবাবে খেলতে নেমে আফিফের ঘূর্ণিতে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল। তাই তাদের ফলো-অন করায় খুলনা। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন ব্যাট করছে বরিশাল।

বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতার স্মারকের অংশ হিসেবে টি-টোয়েন্টির ট্রফি উন্মোচনেও ঐতিহাসিক একটি স্থান বেছে নিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চট্টগ্রামের প্রায় একশ বছর পুরোনো সিআরবিতে (সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং) হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি উন্মোচন।
রোববার দুপুরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বানানো ট্রফি হাতে সিআরবিতে ফটোসেশন করেন লিটন কুমার দাস ও শাই হোপ। দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যের অংশ, পুরোনো একটি রেল ইঞ্জিনের সামনেও ছবি তোলেন বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সোমবার শুরু দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু খেলা।
ওয়ানডে সিরিজ জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবার টি-টোয়েন্টিতেও নিশ্চিতভাবেই ট্রফিটি নিজেদের কাছে রাখতে চাইবে বাংলাদেশ। গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠ থেকে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল তারা।
আরও পড়ুন
| ফেরার ম্যাচে কোহলির পথে হাঁটলেন উইলিয়ামসন |
|
সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪টি একাধিক ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২টি জিতেছে তারা আর বাকি দুই সিরিজ জিতেছে ক্যারিবিয়ানরা।
ম্যাচের হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৯টি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে বাংলাদেশের জয় ৮ ম্যাচে আর ক্যারিবিয়ানরা জিতেছে ৯ ম্যাচ। ফল আসেনি বাকি দুই ম্যাচে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফলাফলও দারুণ। সবশেষ ৪ টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানকে হারিয়েছে তারা।
এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টানা ৫ সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ।