উইকেটে স্পিন ধরবে বলেই ভারত একাদশ সাজাল তিন স্পিনার নিয়ে। সবাই দিলেন নিজের সেরাটা। তাতে পাকিস্তান ব্যাটারদের কাজটা হয়ে গেল বেশ কঠিন। চাপের মুখে দারুণ এক ফিফটি করলেন সাউদ শাকিল। তবে অন্য ব্যাটাররা সেভাবে অবদান না রাখায় বোর্ডে জমা পড়ল মামুলি স্কোর। ভারতের দুই ওপেনার অল্পেই ফিরলেও ‘চেজ মাস্টার’ বিরাট কোহলি আরও একবার দেখালেন, কেন তিনি ওয়ানডে গ্রেটদের একজন। তার ব্যাটে চড়ে পেশাদার রান তাড়ায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের উড়িয়ে সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল রোহিত শর্মার দল।
দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের হাইভোল্টেজ ম্যাচ পারেনি প্রত্যাশা অনুযায়ী উত্তাপ ছড়াতে। ৪৯.৪ ওভারে পাকিস্তান গুটিয়ে গিয়েছিল ২৪১ রানে। ভারত সেই টার্গেট পাড়ি দিয়েছে ৬ উইকেটে, মাত্র ৪২.৩ ওভারেই।
টানা দুই ম্যাচ জিতে ভারতের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। আর দুই ম্যাচ হেরে বাদ পড়ার শঙ্কায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
১৪ হাজারি ক্লাবে শচিন-সাঙ্গাকারাকে পেছনে ফেললেন কোহলি |
![]() |
ছোট টার্গেটের পেছনে ভারত শুরু থেকেই ব্যাট করে আগ্রাসী মেজাজে। নাসিম শাহর করা দ্বিতীয় ওভারে ট্রেডমার্ক পুল শটে ছক্কা হাঁকান রোহিত। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অন্য প্রান্তে এক ওভারে দুটি চার মারেন শুবমান গিল। দারুণ ছন্দে ব্যাট করা রোহিতকে বিপজ্জনক হওয়ার আগেই থামান শাহিন।
ইনসুইং ইয়র্কারে রোহিতকে বোকা বানিয়ে বোল্ড করেন এই বাঁহাতি পেসার। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে শাহিনের করা পরের দুই ওভারে দুটি করে চারের মার আসে গিলের ব্যাট থেকে।
৩৫ রানে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি, তবে হারিসের বলে মিড অফে ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন খুশদিল শাহ। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি করা গিল এদিনও ছিলেন চেনা ছন্দেই। তাকে ফেরাতে দরকার ছিল বিশেষ কিছুর।
আর সেটা নিয়ে হাজির হন আবরার আহমেদ। দুর্দান্ত এক ক্যারম ডেলইভারিতে বিভ্রান্ত করেন গিলকে। বোল্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ভারত ওপেনারের ৭ চারে ৪৬ রানের ইনিংস।
তবে ওই সময়ের মধ্যেই কোহলি সেট হয়ে গেছেন ভালোভাবেই। চাপ না নিয়ে, বড় শট না খেলেই সিঙ্গেলস-ডাবলসেই চলে যান ত্রিশের ঘরে।
আরও পড়ুন
একদিনের মাথায় স্থগিত সাকিবের নিবন্ধন |
![]() |
আর সেই পথেই ভারতের সাবেক অধিনায়ক পূর্ণ করেন ওয়ানডে ক্রিকেটে তার ১৪ হাজার রান। মাত্র ২৮৭ ইনিংসেই তিনি এই মাইলফলক স্পর্শ করেন, যা ইতিহাসেরই দ্রুততম। এই তালিকায় এতদিন শীর্ষে ছিলেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার শচিন টেন্ডুলকার। ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষেই তিনি যেদিন প্রথম ব্যাটার হিসেবে ১৪ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান, তখন তার লেগেছিল ৩৫০ ইনিংস।
কোহলি ও শচিন বাদে ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রান আর করেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। সাবেক শ্রীলঙ্কা ব্যাটার ২০১৫ সালে পূর্ণ করেন ১৪ হাজার রান। সেজন্য তাকে খেলতে হয়েছিল ৩৭৮ ইনিংস।
নাসিমকে চার মেরে ৬২ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন কোহলি। তৃতীয় উইকেটে তিনি ও শ্রেয়াস আইয়ার মিলে ধীরে দলকে নিয়ে যান জয়ের পথে। ভারতের জয় যখন নিশ্চিত, সেই সময়ে শ্রেয়াস (৫৬) ও হার্দিক (৮) আউট হন অল্প সময়ের মধ্যে। বাকি অংশে ম্যাচের মূল রোমাঞ্চ ছিল কোহলির সেঞ্চুরি।
দলের জয় আর তার সেঞ্চুরির রানের ব্যবধান এগিয়ে যাচ্ছিল প্রায় একই গতিতে। শেষ পর্যন্ত খুশদিলের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে চার মেরে দলকে জেতানোর পাশাপাশি তুলে নেন ওয়ানডেতে নিজের ৫১তম সেঞ্চুরি।
এর আগে দিনের শুরুতে বল হাতে ভারতের শুরুটা অবশ্য ছিল না খুব ভালো। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ শামি ইনিংসের প্রথম ওভারে দেন পাঁচ ওয়াইড। তবে ১১ বলের সেই ওভারে আসে মাত্র ছয় রান। হার্ষিত রানার করা চতুর্থ ওভারে দুটি ক্লাসিক চার মেরে বাবর আজম আভাস দেন ফর্মে ফেরার। তবে ওই পর্যন্তই। ভারতের পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেভাবে রান বাড়াতে পারছিলেন না ওপেনাররা।
ফখর জামানের চোটে দলে আসা ইমাম-উল-হক শুরু থেকেই ছিলেন আড়ষ্ট। রানের জন্য তার সংগ্রাম চাপ বাড়িয়ে দেয় বাবরের অপর। সেটা সরাতে গিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ফেরেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
পরের ওভারে বিদায় নেন ইমামও। কুলদ্বীপ যাদবের বলে মিড অফে বল ঠেলে নিতে চেয়েছিলেন এক রান। তবে আকসার প্যাটেলের সরাসরি থ্রোয়ে শেষ হয় তার ২৬ বলে ১০ রানের ইনিংস।
এরপর পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরানো একটা জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাউদ শাকিল। তবে ১০ থেকে ২৫ ওভারের মধ্যে মন্থরগতিতে ব্যাট চালান দুজনেই। এই সময়ে বাইন্ডারিও সেভাবে হয়নি, আবার তারা সিঙ্গেলসও সেভাবে বের করতে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে তো দুজনই ব্যাটিং করছিলেন ৮০-এর কম স্ট্রাইক রেটে!
২৫ ওভারে মাত্র ৯৯ রান করা পাকিস্তানের জন্য বড় স্কোর গড়ার কাজটা কঠিন করে দেয় এই জুটি। যদিও এরপরের কয়েকটি ওভারে কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কিছুটা রানের চাকা সচল করেন রিজওয়ান ও শাকিল মিলে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ নিয়ে চিন্তায় নিউজিল্যান্ড |
![]() |
৬৩ বলে ফিফটি পূরণ হয় শাকিলের। জুটিতেও হয়ে যায় শতক। তবে হার্দিকের বলে ৪৪ রানে জীবন পাওয়া রিজওয়ান পারেননি বেশিদূর যেতে। টেস্ট মেজাজের ইনিংসের ইতি ঘটে আকসারকে বড় শট মারতে গিয়ে। ৭৭ বলে মাত্র তিন চারে পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান।
৫৮ রানে জীবন পাওয়া শাকিলও ব্যর্থ হন তা কাজে লাগাতে। ৬২ রানে মিড অফে ক্যাচ বানিয়ে তাকে সাজগরের পথ দেখান হার্দিক। এরপর একটা মিনি ধস নামে পাকিস্তান ইনিংসে, ২০০ রানেই চলে যায় ৭ উইকেট।
সেখান থেকে লড়িয়ে এক ইনিংসে পাকিস্তানকে একটা ফাইটিং স্কোর এনে দেওয়ার কাজ করেন খুশদিল শাহ। আগের ম্যাচে ফিফটি করা এই অলরাউন্ডার শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২ ছক্কায় করেন ৩৮ রান।
৪০ রানে তিন উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার কুলদ্বীপ।
১ আগস্ট ২০২৫, ৩:৫৯ পিএম
১ আগস্ট ২০২৫, ১:২৮ পিএম
এ বছরের এপ্রিলে সিলেটে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারানোর পরের টেস্ট অধ্যায়টা জিম্বাবুয়ের শুধুই হতাশার। সর্বশেষ ৪ টেস্টের তিনটিতে ইনিংস ব্যবধানে হার, অন্যটি রানের ব্যবধানে। বুলাওয়েতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস হারের শঙ্কা ছিল। তবে নবম জুটির ৬৪ রানে সেই লজ্জা এড়াতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ৮ রানের টার্গেট দিয়ে নিউ জিল্যান্ডকে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নামিয়েছে। মাত্র ১৪ বলে এই টার্গেট পাড়ি দিয়ে ৯ উইকেটে জিতে সিরিজ শুরু করেছে সফরকারী দলটি।
প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের টার্গেটে বোলিং করেছে নিউ জিল্যান্ড। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩১/২, ইনিংস হার এড়ানোর জন্য ১২৮ রানের টার্গেটটা বেশ বড়ই তখন মনে হয়েছে। তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে এক পর্যায়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ৫৩/৪। ৫ম উইকেট জুটিতে ৫৭ রা যোগ করেও ইনিংস হারের শঙ্কা ছিল জিম্বাবুয়ের। ১১০ থেকে ১২৬, এই ১৬ রানে জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট পড়ে গেলে ইনিংস হারের চোখ রাঙানি দেখেছে স্বাগতিক দল। তবে ৯ম উইকেট জুটির ৬৪ রানে ইনিংস হার এড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে।
মাত্র ১ রানের জন্য শিন উইলিয়ামস ফিফটি হাতছাড়া করেছেন। বাঁ হাতি স্পিনার স্যান্টনারের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন শিন উইলিয়ামস (৬৬ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৯)। ঠিক তৃতীয় দিনের টি ব্রেকের আগে থেমেছে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে (১৬৫/১০)।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস ছিন্ন ভিন্ন করেছে নিউ জিল্যান্ডের যে পেসার (৬/৩৯), সেই হেনরি দ্বিতীয় ইনিংসেও ছড়ি ঘুরিয়েছেন (৩/৫১)। টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে দুইবার ম্যাচে ৯ উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন। এটা নিয়ে (৯/৯০) সংখ্যাটা তৃতীয়-তে উন্নীত হলো তার। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনার স্যান্টনার পেয়েছেন ৪ উইকেট (৪/২৭)।
চোট আর বিশ্রাম মিলিয়ে এমনিতেই ইংল্যান্ড-ভারত চলমান পঞ্চম টেস্টে স্বাগতিকরা খেলছে অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ নিয়ে। এবার দলটির জন্য আরেক ধাক্কা হয়ে এসেছে ক্রিস ওকসের চোট। সেটা এতোটাই গুরুতর যে, এই ম্যাচের বাকি অংশ থেকেই ছিটকে গেছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে প্রথম দিনের শেষের দিকে। বাউন্ডারির লাইনে একটি বল ধরার চেষ্টায় ভেজা আউটফিল্ডে হাত পিছলে পড়ে যান ওকস। পড়ে যাওয়ার ফলে বাঁ কাঁধে বেশ চোট পান এবং সাথে সাথেই কাঁধ চেপে ধরে শুয়ে পড়েন মাঠে।
এরপর ইংল্যান্ড দলের ফিজিও বেন ডেভিস মাঠে এসে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে ওকস মাঠ ছেড়ে যান। রাতেই অভিজ্ঞ এই পেসারের স্ক্যান করানো হয়। সেই স্ক্যান ও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের পর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিশ্চিত করে, ওকস আর এই ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না। এমনি ব্যাট হাতেও দেখা যাবে না তাকে।
তার এই ছিটকে যাওয়া ইংল্যান্ডকে ভালো বিপদেই ফেলে দিতে পারে। কারণ, অধিনায়ক বেন স্টোকস না খেলায় এই ম্যাচে এমনিতেই চারজন স্পেশালিষ্ট পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছে দলটি। ওকস আর বোলিং না করতে পারায় ম্যাচের বাকিটা সামাল দিতে হবে তিন পেসার গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন এবং জশ টাংকে, যারা সম্মিলিতভাবে খেলেছেন মাত্র ১৮ টেস্ট। ফলে চাপ বাড়তে পারে দুই পার্টটাইম স্পিনার বেথেল-রুটের ওপর।
চলমান টেস্টের ভারতের প্রথম ইনিংসে ওকস ১৪ ওভার বল করে ১ উইকেট নেন। সিরিজে তিনি মোট ১৮১ ওভার বোলিং করেছেন। ৫২.১৮ গড়ে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য এই সিরিজে ইংল্যান্ডের একমাত্র পেসার হিসেবে খেলেছেন পাঁচ টেস্টেই। তবে শেষটা হল হতাশার মধ্য দিয়েই।
ইংল্যান্ড-ভারতের মধ্যকার চতুর্থ টেস্টে পাকিস্তানের জার্সি পরা এক দর্শককে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনার জল এরই মধ্যে গড়িয়েছে অনেকদূর। এবার সেই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে টেস্টে চলাকালীন এই ঘটনাটি ফারুক নাজার নামের ভুক্তভোগী দর্শক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেন। এরপর থেকেই এটি নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সবুজ রঙের জার্সি পরে ভারত ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে হাজির হয়েছেন নাজার। এক পর্যায়ে একজন নিরাপত্তাকর্মী এসে তাকে পাকিস্তানের জার্সি ঢেকে ফেলতে বলেন। এই সময়ে সেই নিরাপত্তাকর্মী নিজেকে ল্যাঙ্কাশায়ারের একজন স্টাফ হিসেবে পরিচয় দেন। সাথে জানান, পাকিস্তানের জার্সি ঢাকার জন্য বলার জন্য কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ পেয়েই তিনি এটি বলতে এসেছেন। তবে তার সেই অনুরোধ নাজার মানতে অস্বীকৃতি জানান। এই ঘটনার জেরে শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে তাকে মাঠ থেকেই বের করে দেয়।
ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ল্যাঙ্কাশায়ার জানায়, দর্শকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে তাদের নিরাপত্তা দল কাজ করে আর এটা তারই অংশ ছিল। তবে নাজারকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় যদি কোনো দর্শক কষ্ট পেয়ে থাকেন, সেজন্য তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এরপর কাউন্টি ক্লাবটি বিবৃতিতে আরও দাবি করে, ওই ঘটনার একদিন আগে মাঠের ভেতর ভারতীয় ও পাকিস্তানি সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই প্রেক্ষিতেই তাদের নিরাপত্তা দল সতর্ক অবস্থানে ছিল এবং তারই ধারাবাহিকতা তারা নাজারকে পাকিস্তানের জার্সি ঢেকে ফেলতে বলেছিলেন।
অন্যদিকে যাকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই নাজার এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) জানান,
“আমি তো সেখানে কোনো আপত্তিকর আচরণ করিনি। আমি শুধু পাকিস্তানের জার্সি পরেই খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। এটা তো দোষের কিছু না। আমাদের মনে রাখতে হবে এটা ক্রিকেট, এখানে জাতীয়তাবাদের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের সবারই স্রেফ খেলাটিকেই উদযাপন করা উচিত।”
আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপকে সামনে রেখে বাড়তি প্রস্তুতির সুযোগ তৈরি হল অংশগ্রহণকারী তিন দেশের সামনে। চলতি মাসে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে ইমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বিখ্যাত শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আসর চলবে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের শুরুতে।
ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্টে প্রত্যেক দল একে অপরের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে সব মিলিয়ে মোট ৬টি ম্যাচ হবে। এরপর পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে।
এবারের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, যা শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, আর চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই টুর্নামেন্টও হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই।
ত্রিদেশীয় সিরিজের তিন দলের মধ্যে আইসিসির সবশেষ টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে পাকিস্তান সবার চেয়ে এগিয়ে আছে, তাদের অবস্থান ৮ নম্বরে। আফগানিস্তান আছে ৯ নম্বরে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত রয়েছে ১৪ নম্বরে।
বুলাওয়ে টেস্টে প্রথম দিনের হতাশা কাটিয়ে দ্বিতীয় দিন ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্ঠা করেছে জিম্বাবুয়ে। নিউ জিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ১৫৮'র বেশি লিড নিতে দেয়নি স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে ইনিংস হার এড়ানো থেকে ১২৬ রানে পিছিয়ে।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১৪৯ রানে অল আউট করে দিন শেষে উইকেটহীন ৯২ স্কোরে স্বাগতিক দলকে রান পাহাড়ে চাপা দেয়ার আভাস দিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। তবে দিনের প্রথম বলে ওপেনিং জুটি বিচ্ছিন্ন করেছেন জিম্বাবুয়ে পেসার মুজারাবানি। তার শর্ট বলে শর্ট লেগে উইল ইয়ং দিয়ে এসেছেন ক্যাচ (৪১)।
দ্বিতীয় উইকেট জুটির ৬৬ রানে স্বাগতিক দলকে হতাশায় ফেলে দিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে-হেনরি নিকোলাস। তবে মুজারাবানির বলে গালিতে নিকোলাম (৩৪) ক্যাচ দেয়ার মধ্য দিয়ে বড় একটা দমকা হাওয়া বয়ে যায় নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসের উপর দিয়ে। মাত্র ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদের মুখে পড়ে নিউ জিল্যান্ড।
সেখান থেকে দলের স্কোর তিনশ' ছাড়িয়ে নিয়েছেন ড্যারেল মিচেল। নিয়াম্বুরির ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে থেমেছেন মিচেল ৮০ রানে। ২২৪ মিনিটের যে ইনিংসে ১৫টি চার এর পাশে ছিল একটি ছক্কা। তবে অবধারিত সেঞ্চুরি মিস করেছেন ডেভন কনওয়ে। চিভাঙ্গার আউট সাইড অফ ডেলিভারিতে ডেভন কনওয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়ে হাতছাড়া করেছেন ৫ম টেস্ট সেঞ্চুরি।
জিম্বাবুয়ে পেসার মুজারাবানি পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/৭৩)। চিভাঙ্গা পেয়েছেন ২ উইকেট (২/৫১)। প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানে পিছিয়ে পড়া জিম্বাবুয়ে লড়ছে ইনিংস হার এড়াতে। তবে হেনরি (১/১১) এবং ও রোর্কের (১/১৬) বোলিংয়ে স্কোরশিটে ৩১ উঠতে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে ২ উইকেট।
১০ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে