
উইকেটে স্পিন ধরবে বলেই ভারত একাদশ সাজাল তিন স্পিনার নিয়ে। সবাই দিলেন নিজের সেরাটা। তাতে পাকিস্তান ব্যাটারদের কাজটা হয়ে গেল বেশ কঠিন। চাপের মুখে দারুণ এক ফিফটি করলেন সাউদ শাকিল। তবে অন্য ব্যাটাররা সেভাবে অবদান না রাখায় বোর্ডে জমা পড়ল মামুলি স্কোর। ভারতের দুই ওপেনার অল্পেই ফিরলেও ‘চেজ মাস্টার’ বিরাট কোহলি আরও একবার দেখালেন, কেন তিনি ওয়ানডে গ্রেটদের একজন। তার ব্যাটে চড়ে পেশাদার রান তাড়ায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের উড়িয়ে সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল রোহিত শর্মার দল।
দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের হাইভোল্টেজ ম্যাচ পারেনি প্রত্যাশা অনুযায়ী উত্তাপ ছড়াতে। ৪৯.৪ ওভারে পাকিস্তান গুটিয়ে গিয়েছিল ২৪১ রানে। ভারত সেই টার্গেট পাড়ি দিয়েছে ৬ উইকেটে, মাত্র ৪২.৩ ওভারেই।
টানা দুই ম্যাচ জিতে ভারতের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। আর দুই ম্যাচ হেরে বাদ পড়ার শঙ্কায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
| ১৪ হাজারি ক্লাবে শচিন-সাঙ্গাকারাকে পেছনে ফেললেন কোহলি |
|
ছোট টার্গেটের পেছনে ভারত শুরু থেকেই ব্যাট করে আগ্রাসী মেজাজে। নাসিম শাহর করা দ্বিতীয় ওভারে ট্রেডমার্ক পুল শটে ছক্কা হাঁকান রোহিত। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অন্য প্রান্তে এক ওভারে দুটি চার মারেন শুবমান গিল। দারুণ ছন্দে ব্যাট করা রোহিতকে বিপজ্জনক হওয়ার আগেই থামান শাহিন।
ইনসুইং ইয়র্কারে রোহিতকে বোকা বানিয়ে বোল্ড করেন এই বাঁহাতি পেসার। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে শাহিনের করা পরের দুই ওভারে দুটি করে চারের মার আসে গিলের ব্যাট থেকে।
৩৫ রানে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি, তবে হারিসের বলে মিড অফে ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন খুশদিল শাহ। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি করা গিল এদিনও ছিলেন চেনা ছন্দেই। তাকে ফেরাতে দরকার ছিল বিশেষ কিছুর।
আর সেটা নিয়ে হাজির হন আবরার আহমেদ। দুর্দান্ত এক ক্যারম ডেলইভারিতে বিভ্রান্ত করেন গিলকে। বোল্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ভারত ওপেনারের ৭ চারে ৪৬ রানের ইনিংস।
তবে ওই সময়ের মধ্যেই কোহলি সেট হয়ে গেছেন ভালোভাবেই। চাপ না নিয়ে, বড় শট না খেলেই সিঙ্গেলস-ডাবলসেই চলে যান ত্রিশের ঘরে।
আরও পড়ুন
| একদিনের মাথায় স্থগিত সাকিবের নিবন্ধন |
|
আর সেই পথেই ভারতের সাবেক অধিনায়ক পূর্ণ করেন ওয়ানডে ক্রিকেটে তার ১৪ হাজার রান। মাত্র ২৮৭ ইনিংসেই তিনি এই মাইলফলক স্পর্শ করেন, যা ইতিহাসেরই দ্রুততম। এই তালিকায় এতদিন শীর্ষে ছিলেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার শচিন টেন্ডুলকার। ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষেই তিনি যেদিন প্রথম ব্যাটার হিসেবে ১৪ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান, তখন তার লেগেছিল ৩৫০ ইনিংস।
কোহলি ও শচিন বাদে ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রান আর করেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। সাবেক শ্রীলঙ্কা ব্যাটার ২০১৫ সালে পূর্ণ করেন ১৪ হাজার রান। সেজন্য তাকে খেলতে হয়েছিল ৩৭৮ ইনিংস।
নাসিমকে চার মেরে ৬২ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন কোহলি। তৃতীয় উইকেটে তিনি ও শ্রেয়াস আইয়ার মিলে ধীরে দলকে নিয়ে যান জয়ের পথে। ভারতের জয় যখন নিশ্চিত, সেই সময়ে শ্রেয়াস (৫৬) ও হার্দিক (৮) আউট হন অল্প সময়ের মধ্যে। বাকি অংশে ম্যাচের মূল রোমাঞ্চ ছিল কোহলির সেঞ্চুরি।
দলের জয় আর তার সেঞ্চুরির রানের ব্যবধান এগিয়ে যাচ্ছিল প্রায় একই গতিতে। শেষ পর্যন্ত খুশদিলের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে চার মেরে দলকে জেতানোর পাশাপাশি তুলে নেন ওয়ানডেতে নিজের ৫১তম সেঞ্চুরি।
এর আগে দিনের শুরুতে বল হাতে ভারতের শুরুটা অবশ্য ছিল না খুব ভালো। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ শামি ইনিংসের প্রথম ওভারে দেন পাঁচ ওয়াইড। তবে ১১ বলের সেই ওভারে আসে মাত্র ছয় রান। হার্ষিত রানার করা চতুর্থ ওভারে দুটি ক্লাসিক চার মেরে বাবর আজম আভাস দেন ফর্মে ফেরার। তবে ওই পর্যন্তই। ভারতের পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেভাবে রান বাড়াতে পারছিলেন না ওপেনাররা।
ফখর জামানের চোটে দলে আসা ইমাম-উল-হক শুরু থেকেই ছিলেন আড়ষ্ট। রানের জন্য তার সংগ্রাম চাপ বাড়িয়ে দেয় বাবরের অপর। সেটা সরাতে গিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ফেরেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
পরের ওভারে বিদায় নেন ইমামও। কুলদ্বীপ যাদবের বলে মিড অফে বল ঠেলে নিতে চেয়েছিলেন এক রান। তবে আকসার প্যাটেলের সরাসরি থ্রোয়ে শেষ হয় তার ২৬ বলে ১০ রানের ইনিংস।
এরপর পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরানো একটা জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাউদ শাকিল। তবে ১০ থেকে ২৫ ওভারের মধ্যে মন্থরগতিতে ব্যাট চালান দুজনেই। এই সময়ে বাইন্ডারিও সেভাবে হয়নি, আবার তারা সিঙ্গেলসও সেভাবে বের করতে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে তো দুজনই ব্যাটিং করছিলেন ৮০-এর কম স্ট্রাইক রেটে!
২৫ ওভারে মাত্র ৯৯ রান করা পাকিস্তানের জন্য বড় স্কোর গড়ার কাজটা কঠিন করে দেয় এই জুটি। যদিও এরপরের কয়েকটি ওভারে কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কিছুটা রানের চাকা সচল করেন রিজওয়ান ও শাকিল মিলে।
আরও পড়ুন
| বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ নিয়ে চিন্তায় নিউজিল্যান্ড |
|
৬৩ বলে ফিফটি পূরণ হয় শাকিলের। জুটিতেও হয়ে যায় শতক। তবে হার্দিকের বলে ৪৪ রানে জীবন পাওয়া রিজওয়ান পারেননি বেশিদূর যেতে। টেস্ট মেজাজের ইনিংসের ইতি ঘটে আকসারকে বড় শট মারতে গিয়ে। ৭৭ বলে মাত্র তিন চারে পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান।
৫৮ রানে জীবন পাওয়া শাকিলও ব্যর্থ হন তা কাজে লাগাতে। ৬২ রানে মিড অফে ক্যাচ বানিয়ে তাকে সাজগরের পথ দেখান হার্দিক। এরপর একটা মিনি ধস নামে পাকিস্তান ইনিংসে, ২০০ রানেই চলে যায় ৭ উইকেট।
সেখান থেকে লড়িয়ে এক ইনিংসে পাকিস্তানকে একটা ফাইটিং স্কোর এনে দেওয়ার কাজ করেন খুশদিল শাহ। আগের ম্যাচে ফিফটি করা এই অলরাউন্ডার শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২ ছক্কায় করেন ৩৮ রান।
৪০ রানে তিন উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার কুলদ্বীপ।
No posts available.
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম

তিনি যতটা না দৌড়েছেন, তার চেয়েও বেশি চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডের টি-টোয়েন্টি লিগে বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বয়ে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
ম্যাচে এডওয়ার্ডস ৮১টি বল মোকাবিলা করেছেন, যাতে ছিল ২৩টি ছক্কা ও ১৪টি চার। তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ২৮২।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সাব-অর্বস চার্চেস অ্যান্ড কমিউনিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডে ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এডওয়ার্ডস।
উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে ম্যাচটি স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল না। ফলে ২০১৩ আইপিএলে ক্রিস গেইলের খেলা ১৭৫ রানের ইনিংসই টি-টোয়েন্টিতে এখনো সর্বোচ্চ।
এদিন ২৩ বলে ফিফটি করেন এডওয়ার্ডস। ১১তম ওভারে করেন সেঞ্চুরি, ১৭তম ওভারে ছুঁয়ে ফেলেন ১৫০। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২২৯ রানে, আর দলের স্কোর দাঁড়ায় ৩০৪ রান।
রান তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং থামে ১১৮ রানে।

বড় জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু করল ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৩৪ রানে হারিয়েছেন আয়ুষ মাত্রেরা।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪৩৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ৭ উইকেটে ১৯৯ রানে থামে আমিরাতের ইনিংস।
এদিন দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৪ রান করে আউট হন আয়ুষ মাত্রে। এরপরের গল্প শুধুই বৈভব সূর্যবংশী-এর। মারমুখী ভঙ্গিতে চড়াও হতে থাকেন আরব আমিরাতের বোলারদের ওপর। ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের ৫০ রানের মধ্যে সেঞ্চুরি করতে ১৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার খেলেন মাত্র ২৬ বল।
৫৬ বলে শতক ছুঁয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সূর্যবংশী। ৮৪ বলে দেড়শো পেরিয়ে যান এই বাঁহাতি। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯৫ বলে ১৭১ রানে থামেন।
সূর্যবংশীর ইনিংসে ছিল ৯টি চার, ১৪টি ছয়। যুব ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে আজ সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন সূর্যবংশী। ২০০৮ সালে ১২ ছয় মারা নামিবিয়ার ব্যাটার মাইকেল হিল-এর রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। সূর্যবংশী ছাড়িয়ে গেছেন শুবমান গিল, শিখর ধাওয়ান এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল-এর রেকর্ড।
সূর্যবংশীর বিধ্বংসী ইনিংসের সঙ্গে আরও দুই ব্যাটারের ফিফ্টিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত।
জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আমিরাত। ১৪তম ওভারে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ষষ্ঠ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন পৃথ্বী মাধু ও উদিশ সুরি। মাধু ৫০ রানে ফিরলেও ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সুরি। এই দুজনের নৈপুণ্যে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা পায় আমিরাত।

বয়স ৪৩ পেরিয়ে ৪৪ বছরের পথে। তারপরও পেশাদার ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। আগামী মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি।
শৈশবের ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারে অধিনায়কত্ব করবেন অ্যান্ডারসন। গত মৌসুমে দুইবার অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। কিটন জেনিংসের পদত্যাগের পর এবার অ্যান্ডারসনকে স্থায়ীভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছে ক্লাবটি।
২০২৪ সালে ৭০৪ টেস্ট উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান অ্যান্ডারসন। তবে নিজের শেকড় ল্যাঙ্কাশায়ারে খেলা থামাননি। ২০০২ সালে শুরু হওয়া তার ল্যাঙ্কাশায়ার ক্যারিয়ার এখনো চলছে। গত মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।
অধিনায়কত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যান্ডারসন বলেন,
‘ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়ক হওয়া বিশাল সম্মানের। আমাদের দলে অভিজ্ঞতা ও তরুণদের দুর্দান্ত মিশেল আছে। লক্ষ্য একটাই- প্রথম ডিভিশনে ফেরার লড়াইয়ে সফল হওয়া।’
২০২৬ সালের ৩ এপ্রিল ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযান শুরু করবে।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ২৯৭ রানের রেকর্ড রান ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দুবাইয়ে সামির মিনহাজ ও আহমেদ হুসাইন সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩৪৫ রান তোলে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
৩৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আলি রাজা ও মোহাম্মদ সায়্যামের তোপ দাগানো বোলিংয়ে মাত্র ৪৮ রানে গুটিয়ে যায় মালয়েশিয়া। যুব ওয়ানডে ইতিহাসে এটি তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। রানের দিক থেকে পাকিস্তান পেল নিজেদের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়, সব দল মিলিয়ে যুব ওয়ানডেতে সপ্তম।
মালয়েশিয়ার ব্যাটারদের ইনিংস ছিল ১১ ডিজিটের মোবাইল নম্বর! কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। তাঁদের ইনিংসগুলো—০, ৫, ৪, ৯, ৫, ৭, ৯, ২, ০, ১ ও ০। পাকিস্তানের দুই পেসার আলি রাজা ও মিনহাজ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৯.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় মালয়েশিয়া।
সেভেনহি সেভেনস স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মালয়েশিয়ার অধিনায়ক দিয়াজ পাত্র। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল হতাশার। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানে ফেরেন ওপেনার উসমান খান (১)।
পাকিস্তানের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে দশম ওভারে টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার আলি হাসান বালুচকেও (১৪) ফেরান পেসার নাগিনেস্বরন সাথনাকুমারান। পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান তোলে পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেটে মিনহাজ ও আহমেদের ২৩৪ বলে ২৯৩ রান জুটিতে পাকিস্তান গড়ে ৩৪৫ রানের পাহাড়সম স্কোর।
১৪৮ বলে ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার মিনহাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা। ১১৪ বলে ১৩২ রান করেছেন আহমেদ। মেরেছেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়লেন বাহরাইনের পেসার আলি দাউদ। ভুটানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর ৭/১৯ বোলিং ফিগার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা।
শীর্ষে মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুস। ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয়তে হর্ষ ভরদ্বাজ। ২০২৪ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
নাইজেরিয়ার পিটার আহো ৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে তালিকায় চারে। ২০২১ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
পাঁচ নম্বরে ভারতের পেসার দীপক চাহার। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে ১৬১ রান তোলে বাহরাইন। লক্ষ্য তাড়ায় নামার পর তৃতীয় ওভারেই আক্রমণে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার। নিজের প্রথম ওভারেই নেন দুই উইকেট।
মাঝে ভুটান চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রান যোগ করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু দাউদ আবারও আঘাত হানেন শেষ ভাগে। ১৬তম ওভারে নেন তিন উইকেট, পরের ওভারে নেন আরও দুই উইকেট।
দাউদের রেকর্ডে ভুটানকে ৩৫ রানে হারিয়েছে বাহরাইন।