১৫ জুলাই ২০২৫, ৪:২২ পিএম
.jpg)
চেলসির শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি পর্দা নেমেছে ক্লাব বিশ্বকাপের। ৩২ দল নিয়ে প্রথমবার হওয়া এই টুর্নামেন্ট নিয়ে শুরু থেকেই চলেছে নানা সমালোচনা। অনেকেই এটিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা মানতেই নারাজ৷ তবে এই দলে নেই লেভি কলউইল। চেলসি ডিফেন্ডার মনে করেন, ভবিষ্যতে এই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়েও বড় হয়ে উঠবে।
গত রবিবার নিউ জার্সিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পিএসজিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে নেয় চেলসি। আগে প্রতি বছর হলেও এখন থেকে ক্লাব বিশ্বকাপ হবে চার বছর পরপর। ফলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত চেলসির গায়েই থাকবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের তকমা।
আরও পড়ুন
| ইয়ামালের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী অধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ |
|
নিন্দুকেরা সমালোচনা করলেও কলউইলের কাছে ক্লাব বিশ্বকাপের তাৎপর্যপূর্ণ অনেক বেশিই।
“কোনো সন্দেহ ছাড়াই এটাই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ট্রফি। আমি মনে করি ক্লাব বিশ্বকাপ একদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে। আর আমরা প্রথম দল হিসেবে এটি (৩২ দলের আসরে) জিতেছি, তাই এটা ঐতিহাসিক।”
ফাইনালে চেলসির জয়কে অনেকেই দেখছেন অঘটন হিসেবে। কারণ, প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ দশেও না থাকতে পারা দলটির সামনে ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ ঘরোয়া ট্রেবল জেতা পিএসজি। ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে দলটিকে পেছনে ফেলতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, আতলেতিকো মাদ্রিদের মত দলকে। সেদিক থেকে বেশ সহজ পথ ধরেই ফাইনাল খেলে চেলসি।
আরও পড়ুন
| দিয়াজের জন্য বায়ার্নের প্রথম প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল লিভারপুল |
|
পিএসজিকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে তাই কলউইলের স্বপ্নের পরিধিও বেশ বড় হয়ে গেছে এখন।
“আমি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বলেছিলাম, আমরা এখানে জিততেই এসেছি। তখন লোকেরা ভাবছিল যে আমি পাগলের প্রলাপ বকছি। এবার আমি বলছি, আমাদের লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়। এই জয়টা একটা বার্তা দেওয়ার মতো ছিল। আমরা যদি ভবিষ্যতে ট্রফি জিততে পারি, তাহলে সবাই আমাদের প্রাপ্য সম্মানটা দেবে। তবে সেটা সময়ই বলে দেবে।”
No posts available.
৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৫৬ পিএম

লাতিন-বাংলা সুপার কাপের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় স্টেডিয়ামের বরাদ্দ স্থগিত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সঙ্গে এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও এলিট সিকিউরিটি ফোর্সের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য বাফুফের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বাফুফে ভবনে নারী প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে এক সভা শেষে অপ্রত্যাশিত এই ঘটনা নিয়ে কথা বলেন বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। তিনি জানান, লাতিন-বাংলা সুপার কাপ বাফুফের কোনো টুর্নামেন্ট নয়। তবে সংগঠন থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টুর্নামেন্টে গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টারস ও আর্জেন্টিনার আতলেতিকো চার্লনের ম্যাচ হয়। খেলা শেষে স্টেডিয়ামের ভিআইপি গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করে দায়িত্বরত সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যরা।
সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনা এবং লাতিন-বাংলা সুপার কাপ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফাহাদ করিম বলেন,
‘বিষয়টি পরিষ্কার, এটা বাফুফের কোনো অনুষ্ঠান নয়। এটি একটি প্রাইভেটলি হেল্ড অর্গানাইজেশন আয়োজিত টুর্নামেন্ট। তারা আমাদের কাছে শুধু মাঠ এবং একটি দল চেয়েছিল।’
ফাহাদ করিম আরও বলেন,
‘প্রাথমিক পর্যায়ে তারা আমাদের জানিয়েছিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার জাতীয় অনূর্ধ্ব-২০ দল আনবে এবং সেই হিসেবে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-২০ দল চেয়েছিল। যখন তারা আমাদের প্রস্তাব দেই, আমরা তাদের অফিসিয়ালি জানাই যেন অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২০ দল নিয়ে আসে।’
প্রথম দিকে বয়সভিত্তিক দল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে কনমেবল থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়—দলগুলো মূলত ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাব দল। এ নিয়ে বাফুফে থেকে সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে বয়সভিত্তিক জাতীয় দল দেবে না।
ফাহাদ করিম বলেন,
‘কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন, আমরা চাইনিজ ইউনিভার্সিটির সঙ্গে একটি একাডেমি টিম খেলিয়েছিলাম। ওটা ছিল একটি প্রদর্শনী ম্যাচ। এবারও আমরা ‘রাইজিং স্টার্স’ নামে একটি দল দিয়েছি—যার সঙ্গে জাতীয় দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের আয়োজনে টুর্নামেন্টের অব্যবস্থাপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে প্রাথমিকভাবে ১১ ডিসেম্বরের ম্যাচ আয়োজনের ভেন্যু বরাদ্দ স্থগিত করেছে বাফুফে। ভেন্যু স্থগিতের কারণ হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দুটি শর্ত ভঙ্গের পাশাপাশি সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার অতি নাজুক পরিস্থিতি এবং সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে।
ফাহাদ করিম বলেন,
‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি আমার নিজেরও চোখে পড়েছে। প্রথম দিন দেখেছি গেট নিয়ে ইস্যু হয়েছে। গতকাল দেখলাম একজন সম্মানিত সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলা হয়েছে—এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আমি প্রথম থেকেই বলেছি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
ম্যাচ স্থগিতের পাশাপাশি গত দুই ম্যাচের ম্যাচের টিকিট বিক্রির অর্থ, স্পন্সর ও প্রচারস্বত্ত্বের পূর্ণাঙ্গ হিসাব বিবরণীসহ তদসংশ্লিষ্ট ৫০ শতাংশ অর্থ আজ বিকেল চারটার মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুকূলে দিতে বলা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) রুহুল আমিন এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান বরাবর এই চিঠি দিয়েছেন।
বাফুফে সহ-সভাপতি বলেন,
‘বাফুফের পক্ষ থেকে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে এসে যদি কেউ অব্যবস্থাপনা করে বা সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে—এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটি যদি আমাদের ইভেন্ট হতো, আমরা পুরো দায়িত্ব নিতাম। তবে আমাদের যে দায়িত্ব আছে, সেই দায়িত্ব আমরা শতভাগ পালন করছি, ইনশাল্লাহ।’

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের তারকা ঋতুপর্ণা চাকমা। বাংলাদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী (৯ ডিসেম্বর) উপলক্ষে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতি বছর প্রদান করা হয় এই মর্যাদাপূর্ণ পদক। এ বছর সেই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন ঋতুপর্ণা।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঋতুপর্ণার হাতে পদক তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঋতুপর্ণা বলেন,
‘প্রতিটি পুরস্কারই সম্মান ও গৌরবের। এ বছরই দলীয়ভাবে একুশে পদক পেয়েছি, যা আমাদের সবার জন্যই গর্বের। আর এবার ব্যক্তিগতভাবে রোকেয়া পদক পাওয়ায় এই সম্মান আমার কাছে আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে।’
রাঙামাটির পাহাড়ি অঞ্চলে জন্ম নেওয়া ঋতুপর্ণা ব্যক্তিগত জীবনে বহু বাধা অতিক্রম করে দেশের নারী ফুটবলকে তুলে এনেছেন নতুন উচ্চতায়। ২০২১ সাল থেকে জাতীয় দলে নিয়মিত খেলছেন ঋতুপর্ণা। বাংলাদেশের জার্সিতে ৩৩ ম্যাচে করেছেন ১৩ গোল। ২০২৪ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন ঋতুপর্ণা। চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ গোল করেন। তাঁর অসাধারন পারফরম্যান্সে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে।
ঋতুপর্ণা বলেন,
'প্রতিটি খেলোয়াড় দেশের জন্য লড়াই করে। সব খেলোয়াড়ই কঠোর পরিশ্রম করে উঠে আসেন। এমন একজন বিশিষ্ট নারী নেত্রীর নামে এই পদক পাওয়ার পর দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বেড়েছে। এই পদক আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে, আমি দেশের জন্য আরও কিছু করার চেষ্টা করব।'

আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এএফসি নারী এশিয়ান কাপকে সামনে রেখে ডিসেম্বরেই নারী ফুটবল লিগ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। মঙ্গলবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সভা শেষে বাফুফের সহ-সভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম এ তথ্য জানান।
এশিয়ান কাপের আগে নারী দলের প্রস্তুতি বেগবান করতে এবং খেলোয়াড়দের নিয়মিত খেলায় রাখতে বিশেষ এই উদ্যোগ বাফুফের। এটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি পরিকল্পনার অংশ। বাফুফে যার নাম দিয়েছে ‘মিশন অস্ট্রেলিয়া’।
"মিশন অস্ট্রেলিয়া" প্রিপারেশনের জন্য অর্থাৎ টুর্নামেন্টের জন্য ইতোমধ্যে ওমেন্স উইংয়ের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ১৪টির মতো ক্লাব আগ্রহ দেখিয়েছে।
ফাহাদ করিম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী দলগুলো তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাফুফেতে জমা দিয়েছে। গতকাল এ নিয়ে এফআইবির এর মিটিয়ে দলগুলো নিয়ে রিভিউ হয়। রিভিউ শেষে ১০টি দলকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এফআইবি দুটো ক্লাবকে কন্ডিশনাল ছাড়পত্র দিয়েছে। কিছু শর্ত তারা মানেনি, তাদেরকে একটু সময় দেওয়া হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেয় তবে তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন,
‘আজকে আমরা সব ক্লাবকে ডেকেছিলাম। যে ১০টা ক্লাবকে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, ১০টি ক্লাবের প্রতিনিধি সকলেই এসেছেন। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এবার প্রথমবারের মতো বেশ কয়েকটা সংস্থা এসেছে। বিকেএসপি এবার একটা দল দিচ্ছে বিকেএসপি এফসি হিসেবে। তারপরে আনসার এসেছে, মহিলা ফুটবলে প্রথমবারের মতো এবং আমাদের প্রিমিয়ার লিগে খেলার দল পুলিশ এফসি, তারাও একটি মহিলা দল দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে।’
তিনি যোগ করেন,
‘আর্মি গতবার দল দিয়েছিল, এবারও দিয়েছে। একটি প্রাইভেট গ্রুপ, কর্পোরেট হাউজ প্রথমবারের মতো আমাদের এখানে টিম দিচ্ছে—রাজশাহী ওয়ারিয়র্স বা রাজশাহী স্টার্স কিছু একটা নাম দিয়ে। বাকি যে পাঁচটা দল, তারা সকলেই এর আগে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিটি লিগেই অলমোস্ট পার্টিসিপেট করে এসেছিল।’
যুব উন্নয়নকে গুরুত্ব দিতে অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-২০ দলের খেলোয়াড়দের সেরা একাদশে রাখাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারা বদলি হলে তাদের স্থলাভিষিক্ত খেলোয়াড়ও একই বয়সভিত্তিক হতে হবে।
ক্লাবগুলো সর্বোচ্চ দুই বিদেশি ফুটবলার নিবন্ধন ও মাঠে নামানোর সুযোগ পাবে। এজন্য ফিফা টিএমএস ও ফিফা কানেক্ট সিস্টেমে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
পূর্বের মৌসুমগুলোতে খেলোয়াড়দের পেমেন্ট নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এবার সব খেলোয়াড়ের চুক্তি ফিফা কানেক্টে সংরক্ষিত থাকবে এবং প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি ও কম্পিটিশন কমিটি তা নজরদারি করবে। কেউ চুক্তি লঙ্ঘন করলে বিধিসম্মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পেশির চোটে প্রায় ৪–৫ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে এডার মিলিতাওকে। সবশেষ লা লিগায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। এরপরই ক্লাব জানায়, মিলিতাওকে লম্বা সময় পাওয়া যাবে না।
বার্নাব্যুর ক্লাব ২০২৪–২৫ মৌসুমেও ডিফেন্সে বেশ ভুগেছে। এডার মিলিতাও লম্বা সময় ছিলেন মাঠের বাইরে। তার অনুপস্থিতিতে আন্তোনিও রুডিগার, রাউল আসেনসিও এবং ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া চেষ্টা চালালেও কার্যত দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি। শূন্য হাতেই মৌসুম শেষ করতে হয়েছে রিয়ালকে।
২০২৫–২৬ মৌসুমেও রিয়াল মাদ্রিদের মাথাব্যথার কারণ হলো চোট। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড প্রায়ই মাঠের বাইরে থাকছেন। রুডিগারের বিষয়টিও আলোচনায়—গত মৌসুম থেকেই অনিয়মিত তিনি। চোট সমস্যায় জর্জরিত রিয়াল এবার আরও দুটি দুঃসংবাদ পেল।
গুঞ্জন উঠেছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে অনুপস্থিত থাকতে পারেন কিলিয়ান এমবাপে। চোটের কারণে মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাও খেলতে পারবেন না ম্যাচটিতে।
স্প্যানিশ রেডিও ‘কাদেনা কোপে’ জানিয়েছে, বাঁ-পায়ের চোটে পড়েছেন এমবাপে। তাই তাকে পরবর্তী ম্যাচে বেঞ্চে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিয়াল।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ম্যাচের আগে অনুশীলনেও ছিলেন না এমবাপে—এতেই গুঞ্জনের ঢালপালা আরও বেড়েছে।
২০২৫–২৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগা মিলিয়ে ২৫ গোল করেছেন এমবাপে। তাকে ছাড়া ম্যানসিটির বিপক্ষে ম্যাচে নামতে হলে রিয়ালকে এর খেসারত গুণতে হতে পারে।

কার্লো আনচেলত্তির শেষ মৌসুম থেকে ছন্দ হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ছন্দে ফিরতে কোচ বদলায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা, সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড়ও দলে ভেড়ায়। তারপরও সুপথে ফেরা হয়নি তাদের।
শেষ সাত ম্যাচে রিয়াল জয় পেয়েছে মাত্র দুটি। হেরেছেও দুই ম্যাচে, তিন ড্র। এর মধ্যে বড় সমস্যা চোট- কিলিয়ান এমবাপে, এদের মিলিতাও, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, আলেকজান্ডার অর্নল্ড ছিটকে গেছেন। এমন নড়বড়ে রিয়াল কাল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে।
রিয়ালের দুরবস্থার মধ্যে কোচ জাবি আলোনসোর ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। সিটি ম্যাচকে সামনে রেখে আজ সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন জাবি আলোনসো। খারাপ ফর্মে থাকা রিয়ালের পরিস্থিতিতে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে যেসব গুঞ্জন চলছে, তিনি কীভাবে সামলাচ্ছেন— এমন প্রশ্ন করা হয় তাঁকে।
জাবি অবশ্য এসব পাত্তা দিচ্ছেন না,
‘আচ্ছা, আগেও যেমন বলেছি, যখন আপনি রিয়াল মাদ্রিদে কোচিং করেন, তখন এসব পরিস্থিতি সামলানোর জন্যই প্রস্তুত থাকেন। আর আমি যা ভাবছি, তা হলো আগামীকালের ম্যাচ।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে আগের ম্যাচে লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে রিয়াল। লা লিগায় নিজেদের মাঠে সবশেষ ম্যাচে সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে ২-০ গোলে হারে তারা। ভঙ্গুর পারফরম্যান্সের সঙ্গে চোট জর্জর দল। খেলার বাইরে তাই কিছু ভাবছেন না জাবি,
‘আমার মনোযোগ দলকে ঘিরে, আর পরের ম্যাচকে ঘিরে— আগামীকাল সিটির বিপক্ষে ম্যাচে। এটিই আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সুতরাং হ্যাঁ, আমি সেটাতেই খুব, খুব মনোযোগী আছি।’