শেষ ম্যাচে নিয়মিত দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনকে বিশ্রাম দিলো বাংলাদেশ। তাতেই ঘুচল প্রায় দুই বছরের এক অপেক্ষা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর আবার বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে দেখা গেল দুই ডানহাতি ব্যাটার।
তামিম ও ইমনের অনুপস্থিতিতে ইনিংস সূচনা করতে নামেন লিটন কুমার দাস ও সাইফ হাসান। তাদের সৌজন্যে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৮১ ইনিংস পর আবার দুই ডানহাতি ওপেনারের দেখা পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
শুধু টি-টোয়েন্টির হিসেব করলে, ৪০ ম্যাচ পর আবার দুই ডানহাতি ওপেনার ব্যবহার করল বাংলাদেশ।
প্রায় দুই বছরে খেলা এই মাঝের ৮১ ইনিংসে ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন উদ্বোধনী জুটি ব্যবহার করে বাংলাদেশ। এর অন্তত একপ্রান্তে ছিলেন একজন বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
বিদায়ী ম্যাচে মেসিকে দুঃখ দিতে চান ভেনেজুয়েলা কোচ |
![]() |
এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস সূচনা করেন লিটন ও রনি তালুকদার। সেদিন ১৩ রানে ভেঙে যায় তাদের জুটি। প্রায় দুই বছর পর লিটন ও সাইফের জুটিতে এলো ১৯ বলে ৩৯ রান।
আগের দুই ম্যাচে তৃতীয় উইকেটে জুটি বেধেছিলেন লিটন ও সাইফ। প্রথম ম্যাচে ৪৬ বলে ৬৪ ও পরের ম্যাচে ২৬ বলে ৪৬ রান যোগ করেছিলেন তারা। দুই ম্যাচেই অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তারা। তবে শেষ ম্যাচে চতুর্থ ওভারে ভেঙেছে লিটন-সাইফের জুটি।
সাইফের বিদায়ের পর তিন নম্বরে নেমেছেন আরেক ডানহাতি ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর এবারই প্রথম বাংলাদেশের টপ-অর্ডারে দেখা গেল তিন ডানহাতি ব্যাটার।
সেদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম তিন ব্যাটার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান ও লিটন কুমার দাস।
No posts available.
২২ অক্টোবর ২০২৫, ১:১১ পিএম
২২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৬ এম
২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৮ এম
আসিফ আফ্রিদির মিডল স্টাম্পের ডেলিভারি রিভার্স সুইপের চেষ্টা করলেন সাইমন হার্মার। কিন্তু ব্যাটে লাগাতে পারলেন না। জোরাল আবেদনে সাড়া দিতে সময় নিলেন না আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও লাভ হলো না হার্মারের। আর রেকর্ড বইয়ে উঠে গেল আফ্রিদির নাম।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন হার্মারকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট নেন ৩৮ বছর বয়সী আফ্রিদি। টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে অভিষেক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বয়সে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন বাঁহাতি স্পিনার।
৩৮ বছর ২৯৯ দিন বয়সে ম্যাচটি খেলতে নেমে অভিষেকে পাকিস্তানের তৃতীয় 'বুড়ো' ক্রিকেটার হয়ে যান আফ্রিদি। আর বল হাতে প্রথম ইনিংসেই ৫ উইকেট নিয়ে তিনি হয়ে গেলেন অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়া বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন
‘অধিনায়কসহ দুবাই এসে ট্রফি নিয়ে যাও’, ভারতকে নাকভির জবাব |
![]() |
এত দিন এই রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের সাবেক লেগ স্পিনার চার্লস ম্যারিয়টের। কেনিংটন ওভারে ১৯৩৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৭ বছর ৩৩২ দিন বয়সে নিজের অভিষেক টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে ৫ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ম্যারিয়ট।
৯২ বছরের বেশি সময় পর এবার রাওয়ালপিন্ডিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যারিয়টের রেকর্ড ভেঙে দিলেন আসিফ আফ্রিদি। ম্যারিয়টের মতো তার সামনেও থাকবে অভিষেকে দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট নেওয়ার সুযোগ।
তবে ১৯৩৩ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়ার পর আর কোনো টেস্ট খেলা হয়নি ম্যারিয়টের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর টেস্ট অভিষেক হওয়া আসিফ আফ্রিদি নিশ্চিতভাবেই ম্যারিয়টের ভাগ্যবরণ করতে চাইবেন না।
আসিফ আফ্রিদির আগে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকে সবচেয়ে বেশি ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছিল নোমান আলির। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই করাচি টেস্টে ৩৪ বছর ১১১ দিন বয়সে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন নোমান।
রেকর্ড গড়ার পথে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ২ উইকেট নিয়েছিলেন আসিফ আফ্রিদি। বুধবার সকালে দুই সেট ব্যাটার ট্রিস্টান স্টাবস ও কাইল ভেরেইনাকে আউট করেন তিনি। পরে হার্মারকে এলবিডব্লিউ করে নাম তোলেন রেকর্ড বইয়ে।
এশিয়া কাপের ‘ট্রফি বিতর্ক’ থেমে নেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল জিতেও ট্রফি ছোঁয়া হয়নি ভারতের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এএসসি) প্রধান মহসিন নাকভিকে ই-মেইল পাঠিয়ে ট্রফি ভারতের হাতে হস্তান্তরের দাবি জানায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে অনড় নাকভির নিজের সিদ্ধান্তেই অটল রইলেন। এবারও তার একই জবাব, ট্রফি নিতে হলে যেতে হবে দুবাই।
এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পর সূর্যকুমার যাদবের দল নাকভির হাত থেকে ট্রফি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাকভি পুরো পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বাতিল করেন এবং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ট্রফিটি সরিয়ে নিতে। এই ট্রফির বর্তমান ঠিকানা এএসসির দুবাই অফিস।
গত ৩০ সেপ্টেম্বরের এএসসি বৈঠকে নাকভির আচরণের নিন্দা জানায় বিসিসিআই। বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা বলেন, 'এশিয়া কাপ ট্রফি ভারতের প্রাপ্য। এটি অবিলম্বে বিজয়ী দলের হাতে তুলে দিতে হবে।'
সবশেষ বিসিসিআই ট্রফি হস্তান্তরের জন্য এসিসিআইয়ের সভাপতি মোহসিন নাকভিকে আনুষ্ঠানিক এক চিঠি পাঠায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, এসি সি ভারতের বোর্ডকে জবাব দিয়েছে, যেখানে তারা প্রস্তাব দিয়েছে যে তারা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুবাইয়ে একটি ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। সেখানে উপস্থিত হয়েই ভারতকে নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে হবে।
আরও পড়ুন
ক্রিকেট লিগ শুরু করতে সিসিডিএম'র সঙ্গে তামিমের দৌড়ঝাঁপ |
![]() |
বিসিসিআইয়ের মেইলের জবাবে এসিসি জানিয়েছে, ‘১০ নভেম্বর দুবাইয়ে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা যেতে পারে। অধিনায়ক ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়ে আমার কাছ থেকে ট্রফি গ্রহণ করুন।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে বিসিসিআই সচিব, বিসিসিআই-এর এসি সি প্রতিনিধি রাজীব শুক্লা এবং অন্যান্য সদস্য বোর্ডের প্রতিনিধি, যার মধ্যে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ও আফগানিস্তানও রয়েছে। তারা ট্রফি ভারতের কাছে হস্তান্তরের ব্যাপারে এসিসি সভাপতিকে চিঠি লিখেছিল।’
এর আগে বিসিসিআই সচিব সাইকিয়া নাকভির আচরণকে 'অপেশাদার ও খেলাধুলার চেতনার পরিপন্থী' বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'আমরা সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেব না। কিন্তু তাই বলে তিনি সেটি নিয়ে চলে যাবেন—এটি একেবারেই অনুচিত ও অখেলোয়াড়সুলভ।'
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আগামী মাসে আইসিসি সভায় এই বিষয়টি উত্থাপন করার পরিকল্পনা করছে।
পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে তখন কথা বলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। আর প্রেসবক্স প্রান্তের সীমানার কাছে সাবেক স্পিনার সামুয়েল বদ্রির সঙ্গে লম্বা আলোচনায় মাতলেন আকিল হোসেন। এরপর ধীর পায়ে তিনি হাঁটা ধরলেন সংবাদ সম্মেলন কক্ষের দিকে।
কাছে গিয়ে ‘অন্যরকম একটা দিন পার করলে’ বলতেই তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, ‘খুবই ক্লান্তিকর! আমার মধ্যে আর কিছু বাকি নেই। শেষ বিন্দু নিংড়ে দিতে হয়েছে মাঠে৷ আমি এখন শূন্য।’ পরে সংবাদ সম্মেলনেও এটি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
আকিলের এমন বলার কারণ, গত ২৪ ঘণ্টায় তার ব্যস্ত সূচি! দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছান তিনি। কোনো রকম বিশ্রাম নিয়ে দুপুরেই নেমে যান ম্যাচ খেলতে। ওয়ানডে ম্যাচের পুরো ১০০ ওভারের ধকল সামলে পরে সুপার ওভারেও নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেন আকিল।
মূল ম্যাচের মতো সুপার ওভারেও সফল আকিল। শুরুতে ‘নো’ বল ও পরে দুইটি ‘ওয়াইড’ বল করলেও তার ওভার থেকে সব মিলিয়ে ৯ রানের বেশি নিতে পারেনি বাংলাদেশ। সুপার ওভারে ১ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মূল ম্যাচে বাংলাদেশের ২১৩ রানের জবাবে ৫৩ রানের দারুণ এক ইনিংসের পাশাপাশি ম্যাচজুড়ে চমৎকার অধিনায়কত্ব মিলিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ অন শাই হোপ। তবে আকিলের হাতে এই পুরস্কার উঠলেও ভুল কিছু হতো না! কারণ তিনিও যে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ের বড় নায়ক।
অথচ সিরিজের শুরুতে ওয়ানডে দলেই ছিলেন না আকিল। টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে দলে যোগ দেবেন এমনই ছিল পরিকল্পনা। তবে শামার জোসেফ ও জেডিয়াহ ব্লেডসের চোট এবং মিরপুরের উইকেটের আচরণ- দুই মিলিয়ে আকিলকে প্রায় আড়াই বছর পর ওয়ানডে দলে ডেকে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণার পর মাঝ রাতে ঢাকায় নামেন আকিল। সব কাগুজে আনুষ্ঠানিকতা সেরে টিম হোটেলে পৌঁছাতে বেজে যায় ভোর ৪টা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন প্রায়ই দেখা যায়, সকালে পৌঁছে সন্ধ্যায় খেলতে নেমে যান ক্রিকেটাররা। ২০ ওভারের খেলা হওয়ায় তাতে খুব একটা সমস্যাও হয় না তাদের।
তবে আকিলের চ্যালেঞ্জ ছিল ৫০ ওভারের ওয়ানডে ম্যাচের। তাই ধারণা করা হচ্ছিল, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হয়তো তাকে একাদশে নেবে না উইন্ডিজ। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে দুপুরেই দলের সঙ্গে মাঠে চলে আসেন আকিল।
শুধু তাই নয়, টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওভারও বোলিং করেন ৩২ বছর বয়সী স্পিনার। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের পর আবার ওয়ানডে খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারে সাইফ হাসানকে আউট করেন তিনি।
সব মিলিয়ে ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪১ রানে নেন ২ উইকেট। পরে দশ নম্বরে নেমে ১৭ বলে ১৬ রান করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। আর শেষে সুপার ওভারে অতিরিক্ত ৪ রান দেওয়ার পরও ১০ রান ঠেকিয়ে তিনিই তো নায়ক!
সংবাদ সম্মেলনে আকিল জানান, এর আগে দা হান্ড্রেডে এমন চাপের সময়ে দলকে বাঁচানোর অভিজ্ঞতা আছে তার। এবার জাতীয় দলের জার্সিতেও তাই ভালো করা কিছুটা সহজ হয়েছে তার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছিল ঢাকা ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশনের ক'জন সংগঠক। তাদের সেই হুংকারে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশের ( সিসিডিএম) আঁতকে ওঠার কথা।
তবে গত ৮ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে সব ধরণের ক্রিকেট বর্জনের যে ঘোষণা দিয়েছে ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স অ্যাসোয়েশন, তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তাদের এই ঘোষণায় রুটি-রুজির পথ বন্ধ হওয়ার উপক্রমের শঙ্কায় ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) নেতৃবৃন্দ সিসিডিএম এবং ক্লাবসমূহের সাথে যোগাযোগ করেছেন। বিসিবির নির্বাচন বর্জন করা তামিম ইকবাল ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন। তাতেই লিগ বর্জনের অবস্থান থেকে ক্লাবগুলোর অবস্থানের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।
প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গে ২০২৫-২৬ ক্রিকেট মৌসুমে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে সিসিডিএম তাদের ক্যালেন্ডার শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাবগুলোকে নিয়ে সিসিডিএম-এর সভা হওয়ার কথা। এই সভাতেই প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যালেন্ডার শুরুর ইতিবাচক আভাস পাচ্ছে সিসিডিএম। মঙ্গলবার এমন সম্ভাবনার কথাই শুনিয়েছেন সিসিডিএম-এর চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-
'ইতোমধ্যে প্রথম বিভাগের ২০টি ক্লাবের মধ্যে ১৭টি লিগে অংশ নিবে বলে কথা দিয়েছে। বাকি তিনটিকে রাজি করানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি এই তিনটি ক্লাবকেও রাজি করাতে পারব। তামিম ইকবালকে ধন্যবাদ দিতে হবে। কারণ, তিনি ক্রিকেটারদের স্বার্থকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ক্লাবগুলোকে রাজি করাতে বিশেষ ভুমিকা নিয়েছেন।'
এদিকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে অংশগ্রহনে ক্লাবসমূহকে রাজি করাতে লোভনীয় অ্যাপিয়ারেন্স ফি, প্রাইজমানি, জার্সি এবং ট্রান্সপোর্ট অ্যালাউন্স বরাদ্দ রেখেছে এবার সিসিডিএম-এর নব গঠিত কমিটি। অ্যাপিয়ারেন্স ফি বাড়িয়েছে ৫০%। ৯ লাখ টাকা থেকে প্রতিটি দলের অ্যাপিয়ারেন্স ফি বেড়ে উন্নীত হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ক্লাবসমূহ পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান অনুযায়ী পাবে প্রাইজমানি। চ্যাম্পিয়ন দল ৮ লাখ টাকা, সর্বনিম্ন দল ২ লাখ টাকা পাবে। টিম জার্সি খাতে এক একটি দল পাবে আড়াই লাখ টাকা। এর বাইরে প্রতি ম্যাচের জন্য ট্রাভেল অ্যালাউন্স হিসেবে টিম প্রতি ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ রেখেছে সিসিডিএম। এই অর্থ দিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাবসমূহ খরচের বড় একটা অংশ নির্বাহ করতে পারবেন বলে মনে করছেন সিসিডিএম-এর নবগঠিত কমিটির চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-
'হিসাব করে দেখেছি, প্রথম বিভাগে যে ক্লাব সবচেয়ে কম অর্থ পাবে, তার পরিমানও ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা। চ্যাম্পিয়ন-রানার্স আপ দল তো ২৫ লাখ টাকার উপরে পাবে।'
সিসিডিএম'র এই লোভনীয় অফার এবং বিসিবির সমন্বিত চেষ্টার ফলটা কী হয়, তা জানতে তাকিয়ে থাকতে হবে বুধবার দুপুরে সিসিডিএম সভার দিকে।
হারারে টেস্টে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে আফগানিস্তান। অতিথিদের একপ্রকার চেপে ধরেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। ২৩২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৩৪ রান করে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। এখনো ১৯৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে আফগানিস্তান।
আগের দিনের ২ উইকেটে ১৩০ রান নিয়ে আজ ব্যাটিং শুরু করে জিম্বাবুয়ে। বেন কারান ও ব্রেন্ডন টেইলর দলকে এনে দেন ভালো সূচনা। তবে আফগান পেসার জিয়াউর রহমান শরীফির বলে ৩২ রানে থামেন টেইলর। অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, মাত্র ৫ রানে ফেরেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে সিকান্দার রাজা ও কারান গড়েন ৯৯ রানের দারুণ জুটি। ৬৫ রানে রাজা আউট হলেও কারান তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম জিম্বাবুইয়ান ওপেনার হিসেবে ঘরের মাঠে টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন তিনি। একই সঙ্গে ১৯৯৭ সালের পর হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টেস্ট সেঞ্চুরি করা প্রথম জিম্বাবুইয়ান ওপেনারও বেন কারান।
শেষদিকে ব্র্যাড ইভান্সের ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৫৯ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। আফগানিস্তানের হয়ে জিয়াউর রহমান শরীফি ৯৭ রান দিয়ে শিকার করেন ৭ উইকেট।
জবাবে শুরুতেই বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। ওপেনার আবদুল মালিক মাত্র ২ রানে রিচার্ড নাগারাভার বলে ক্যাচ তুলে দেন। ইব্রাহিম জাদরান ২৫ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৭ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন।