ক্রিকেট

গ্রিভসের ডাবল সেঞ্চুরি, বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮ এম

news-details

নিউ জিল্যান্ডকে যেন টেস্ট ক্রিকেটের সত্যিকারের স্বাদ উপহার দিলেন জাস্টিন গ্রিভস ও কেমার রোচ। আক্ষরিক অর্থেই মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটার। তাদের ম্যারাথন জুটিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ম্যাচ ড্র করলে ক্যারিবিয়ানরা।


ক্রাইস্টচার্চে পঞ্চম দিনে লড়াই জমে ওঠা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ফল আসেনি। ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে তাই দুই দল। চতুর্থ ইনিংসে ৫৩১ রানের বিশাল লক্ষ্যে একপর্যায়ে আশা দেখা দিলেও, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিন শেষে ৬ উইকেটে ৪৫৭ রান করে তারা।


পাঁচ দিনের টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড। ২০০২ সালে ক্রাইস্টচার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫১ রান করেছিল নিউ জিল্যান্ড। একই মাঠে এবার সেটি টপকে এবার আরও ৬ রান বেশি করল রস্টোন চেজের নেতৃত্বাধীন দল।


আরও পড়ুন

সমস্যার নাম শিশির, সময়ই বদলে ফেলতে চান ভারতের কোচ সমস্যার নাম শিশির, সময়ই বদলে ফেলতে চান ভারতের কোচ


সব মিলিয়ে চতুর্থ ইনিংসে এর চেয়ে বড় দলীয় স্কোর অবশ্য আছে একটি। ১৯৩৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবান টেস্টে ৬৯৬ রানের লক্ষ্যে ৫ উইকেটে ৬৫৪ রান করেছিল ইংল্যান্ড। এরপর জাহাজ ধরার তাড়া থাকায় ম্যাচটি ড্র মেনে নিতে হয় তাদের।


তখনকার ওই সময়ে টেস্টের নির্দিষ্ট সময় ছিল না। ফল না আসা পর্যন্ত চলতে থাকত খেলা। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের ওই ম্যাচটিতেও খেলা হয়েছিল সব মিলিয়ে ১০ দিন। শেষ পর্যন্ত ৬৫৪ রান করেও জয় থেকে ৪২ রান দূরে থাকতে ড্র মানতে হয় ইংল্যান্ডের।  


ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে অবশ্য জেতার জন্য সময় ছিল যথেষ্টই। শেষ দিনের শেষ সেশনে ৩৩ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩২ রান। বাকি ছিল ৪ উইকেট। তবে ঝুঁকি না নিয়ে চা বিরতির পর ৩২.৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৮ রান যোগ করেন গ্রিভস ও রোচ।

শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করে ৩৮৮ বলে ১৯ চারে ২০২ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রিভস। ম্যারাথন ইনিংসে ৫৬৪ মিনিট ব্যাটিং করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩১ বছর বয়সী এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।


টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ ও সব মিলিয়ে সপ্তম ব্যাটার এখন গ্রিভস। আগের ছয়জন- জর্জ হ্যাডলি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), বিল এডরিচ (ইংল্যান্ড), সুনিল গাভাস্কার (ভারত), গর্ডন গ্রিনিচ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), নাথান অ্যাস্টল (নিউ জিল্যান্ড) ও কাইল মেয়ার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)। 


২৭৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পর গ্রিভসকে দুর্দান্ত সঙ্গ দেন রোচ। দুজন মিলে সপ্তম উইকেটে ৪১০ বল খেলে গড়েন ১৮০ রানের জুটি। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করার পর একপর্যায়ে টানা ৭২ বলে কোনো রান নেননি রোচ। তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে।


এর আগে শেই হোপের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৩৮৪ বলে ১৯৬ রানের জুটি গড়েন গ্রিভস। ১৫ চার ও ২ ছক্কায় ২৩৪ বলে ১৪০ রান করে আউট হন হোপ। 


টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে দুটি ১৫০ রানের জুটির তৃতীয় ঘটনা এটি। এর আগে ১৯৩৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ড ও ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটাররা গড়েছিলেন এই কীর্তি। প্রায় ৪৬ বছর পুরোনো স্মৃতি ফিরিয়েছে উইন্ডিজ।


আরও পড়ুন

এবার ইংল্যান্ডের কাউন্টি কোচিংয়ে রাসেল ডোমিঙ্গো এবার ইংল্যান্ডের কাউন্টি কোচিংয়ে রাসেল ডোমিঙ্গো


নিউ জিল্যান্ড অবশ্য নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে। চোটের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে পুরোটাতেই বল করতে পারেননি নাথান স্মিথ। এছাড়া ১১ ওভার করার পর ছিটকে যান আরেক পেসার ম্যাট হেনরি। ফলে মূলত তিন বোলার নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে হয় তাদের।


এর সঙ্গে যোগ হয় রিভিউ হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা। গ্রিভসের সঙ্গে রোচের ম্যারাথন জুটির সময় মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে প্রথম এলবিডব্লিউ ও পরে কট বিহাইন্ড আউট দেননি আম্পায়ার অ্যালেক্স ওয়ার্ফ। রিপ্লেতে দেখা যায়, দুটিই ছিল আউট। কিন্তু রিভিউ না থাকায় হতাশায় পোড়ে কিউইরা।


ম্যাচ ড্র করে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে প্রথম পয়েন্ট পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েলিংটনে আগামী ১০ ডিসেম্বর শুরু হবে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।

No posts available.

bottom-logo

ক্রিকেট

টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরছেন গিল

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৪৪ পিএম

news-details

মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হলে স্কোয়াডে থাকতে পারবেন, এমনটাই জানানো হয় শুবমান গিলকে। শেষ পর্যন্ত সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছেন তিনি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দেখা যেতে পারে হার্ড হিটার ব্যাটারকে।


কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ের সময় ঘাড়ে চোট পেয়েছিলেন গিল। সেই চোট এতটাই তীব্র ছিল যে হাসপাতালের আইসিইউতেও থাকতে হয়েছিল ভারতের টেস্ট ও ওয়ানডের নিয়মিত অধিনায়ককে। 


চোট থেকে মুক্তি পেয়ে বেঙ্গালুরুর বিসিসিআইয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পুনর্বাসনে ছিলেন গিল। সেখান থেকে আজ ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬ বছর বয়সি এই ব্যাটার।


সেন্টার অব এক্সেলেন্সের পক্ষ থেকে স্পোর্টস সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন টিমকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গিল সব ফরম্যাটে খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট। আগামীকাল রোববার কুটাকে প্রথম অনুশীলন সেশনে মাঠে নামবেন তিনি। 

bottom-logo

ক্রিকেট

আনিসুল ইমনের অপরাজিত ১৮৩, মার্শালের আরেকটি সেঞ্চুরি

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:১১ পিএম

news-details
সেঞ্চুরি করে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ইমনের|তানভিন তামিম

দিনের আলো তখন নিভু নিভু। শের-ই বাংলায় জ্বালিয়ে হয়েছে ফ্লাডলাইট। মোহাম্মদ ইফরান হোসেনের বলে কাট করতে গিয়ে উল্টো পেছনে ক্যাচ দিলেন ১৬১ রানে থাকা আনিসুল ইসলাম ইমন। কিন্তু সহজতম ক্যাচ গ্লাভসে রাখতে পারলেন না ইরফান শুক্কুর। হতাশায় ডুবল পুরো চট্টগ্রাম।


এটি অবশ্য শুধু একটি মুহূর্তের চিত্র। জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের প্রথম দিনের পুরোটাটেই চট্টগ্রামের ফিল্ডারদের হতাশায় ডোবান ঢাকা বিভাগের ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন। তাকে সঙ্গ আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্শাল আইয়ুব।


মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ঢাকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৫৬ রান। এর মধ্যে দিনের শেষ সেশনে ৩১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা করেছে ১৬৩ রান। এতেও বোঝা যায়, কতটা দাপট নিয়ে খেলেছেন ইমন ও মার্শাল।


ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ১৮৩ রানে অপরাজিত ইমন। আর ১০৯ রানে নতুন দিন শুরু করবেন মার্শাল। 


অথচ টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাটিং করতে পাঠায় চট্টগ্রাম। কিন্তু প্রথম সেশনে কোনো উইকেট নিতে পারেনি তারা। প্রথম সেশনের শেষ দিকে হাতে চোট পাওয়ায় আর মধ্যাহ্ন বিরতির পর ব্যাট করতে নামেননি আশিকুর রহমান শিবলি।

Uploaded Image
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১৮৩ রানে অপরাজিত ইমন তানভিন তামিম


তাই এখন ২৭ রানে আহত অবসর শিবলি। তিনি উঠে গেলে ৭২ রানে ছেদ পড়ে উদ্বোধনী জুটির। পরে ফয়সাল আহমেদ রায়হান ৯ ও জিসান আলম ২২ রান করে আউট হন। দেড়শ পেরোতেই ২ উইকেট হারিয়ে কিছু সময়ের জন্য চাপে পড়ে ঢাকা।


তবে জুটি বেধে চট্টগ্রামকে আর নিয়ন্ত্রণ নিতে দেননি ইমন ও মার্শাল। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করতে ১৩৭ বল খেলেন ইমন। এই মাইলফলক ছুঁতে ১১ চারের সঙ্গে তিনি মারেন ৩টি ছক্কা। পরে ১৯২ বলে পূর্ণ করেন ১৫০ রান।


দিনের একদম শেষ দিকে গিয়ে ১২ চারে ১১৯ বলে চলতি লিগে নিজের তৃতীয় ও প্রথম শ্রেণিতে ২৯তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মার্শাল। 


রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে সিলেটের বিপক্ষে বরিশালের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৬৯ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন ইফতিখার হোসেন ইফতি। এছাড়া হাফিজুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। সিলেটের মহিউদ্দিন তারেক নেন ৩ উইকেট।


সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহীকে ২১৯ রানে অলআউট করে দিয়েছে শিরোপার দৌড়ে থাকা ময়মনসিংহ। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৩ রান। রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন নাঈম আহমেদ। হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। বল হাতে ৩ উইকেট নেন আবু হায়দার রনি।


বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩০২ রান। ৫৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। এছাড়া দলের আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। নাসির হোসেন নিয়েছেন ৩ উইকেট।

bottom-logo

ক্রিকেট

‘বাজবল বাজে’—মন্তব্য করে ক্ষমা চাইলেন ম্যাক্সওয়েল

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:১০ পিএম

news-details

ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ‘বাজবল’ ক্রিকেট নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার ধারাভাষ্যকার জিম ম্যাক্সওয়েল।


‘বাজবল? এটা আসলে বাজে কথা’—এমন মন্তব্য করার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে, পরে বাধ্য হয়েই ক্ষমা চান অভিজ্ঞ এই ধারাভাষ্যকার।


বাজবল নামটি এসেছে ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ডাকনাম ‘বাজ’ থেকে। তাঁর অধীনে ইংল্যান্ড বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে চরম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে। এই দর্শন নিয়েই বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। সেই বিতর্কে এবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন ম্যাক্সওয়েল।


বিবিসির টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল কমেন্ট্রি বক্সে এ মন্তব্যের পর মুহূর্তেই স্তব্ধতা নেমে আসে। সহধারাভাষ্যকার অ্যাডাম ব্ল্যাকমোর এক টুইটে ঘটনাটি উল্লেখ করে লেখেন, ‘অদ্বিতীয় জিম ম্যাক্সওয়েল! বাজবল? আসলে বাজে কথা!’ মন্তব্যের পর বাকিরা হাসলেও বিষয়টি দ্রুত আলোচনায় উঠে আসে।


আরও পড়ুন

টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বড় ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বড় ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ম্যাক্সওয়েলের খোলামেলা মন্তব্যকে প্রশংসা করেন, কেউ কেউ আবার সমালোচনাও করেন। পরে ম্যাক্সওয়েল নিজেই স্বীকার করেন, মন্তব্যটি অপ্রত্যাশিত ছিল এবং তা ভুলভাবে গ্রহণ করা হতে পারে—এ কারণেই তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।


চার দশকের বেশি সময় ধরে ক্রিকেট ধারাভাষ্য দিচ্ছেন ম্যাক্সওয়েল। ১৯৮৩ সাল থেকে বিবিসির টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল দলের নিয়মিত সদস্য তিনি। লাকনিক স্টাইল, স্বকীয় রসবোধ ও নিখুঁত ক্রিকেটবোধ তাঁকে বিশ্বের সেরা ধারাভাষ্যকারে পরিণত করেছে।

ক্রিকেট ছাড়াও রাগবি লিগ-ইউনিয়ন, গলফ, হকি ও টেবিল টেনিসের ধারাভাষ্য দিয়েছেন তিনি ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে। ২০২১ সালে সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য পান ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’।


ব্যক্তিগত জীবনেও ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গভীর। ২০১৩ অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্ট চলাকালে গ্যালারিতে বসেই প্রেমিকা জেনিফারকে প্রস্তাব দেন ম্যাক্সওয়েল। পরে তাঁদের বিয়ে হয় সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই।

bottom-logo

ক্রিকেট

টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বড় ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:০৮ পিএম

news-details

বিশাখাপত্তনমে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আজ মাঠে নেমেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ৯ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। তার আগে বড় ধাক্কা খেল প্রোটিয়ারা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত দল থেকে ছিটকে গেছেন ব্যাটার টনি ডি জরজি ও পেসার কুয়েনা মাফাকা।


জরজি ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সময় ডানপায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করেন। এরপর আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি, ৪৫তম ওভারের সময় ১৭ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। চোটের কারণে আজ সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডের দলেও নেই বামহাতি এই ব্যাটার। 


পুনর্বাসনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যাবেন জরজি। টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর পরিবর্তে কোন খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। 


এদিকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে ছিটকে পড়েছেন পেসার কুয়েনা মাফাকা। বামপায়ের হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে পুনর্বাসনে ছিলেন তিনি। তবে শেষ ধাপে প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়ায় দল থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। তাঁর জায়গায় দলে যুক্ত হয়েছেন পেসার লুথো সিপামলা।


দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি দল:

এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ওটনিল বার্টম্যান, করবিন বোশ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, কুইন্টন ডি কক, ডোনোভ্যান ফেরেইরা, রিজা হেনড্রিক্স, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ, জর্জ লিন্ডে, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, আনরিখ নরকিয়া ও ট্রিস্টান স্টাবস, লুথো সিপামলা।

bottom-logo

ক্রিকেট

শত বছরের স্মৃতি ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কীর্তি

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:৫৩ পিএম

news-details

জ্যাক ওয়েদারাল্ড ৭২, মার্নাস লাবুশেন ৬৫, স্টিভ স্মিথ ৬১, অ্যালেক্স কেয়ারি ৬১ ও মিচেল স্টার্ক ৭৭- অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ব্যাটার ৬০ পেরোলেও আউট হয়ে গেছেন ৮০ রানের আগেই। যা ফিরিয়ে এনেছে প্রায় একশ বছর আগের কীর্তি। 


ব্রিসবেনে দিবারাত্রির টেস্টের তৃতীয় দিন শনিবার নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫১১ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের ৩৩৪ রানের জবাবে তারা পেয়েছে ১৮৩ রানের বেশ বড় লিড। 


পাঁচশ ছাড়ানো ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ১১ ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছেন। গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্টে যা বিশ্ব রেকর্ড। দিবা-রাত্রির টেস্টে আর কোনো দল এর আগে পারেনি এমন কিছু করতে।


এই বিশ্ব রেকর্ডটি গড়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯৭ বছরের পুরোনো কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। 


ডারবানে ১৯২৮ সালের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ ব্যাটার- হার্বি টেলর (৬০), জন নিকোলসন (৭৮), বব ক্যাটেরাল ৭৬), নামি ডিন (৭৩) ও বাস্টার নুপেন (৬৯) ৬০ পেরিয়েও ৮০ রানের আগে আউট হয়ে যান। 


এবার একই পথে হাঁটল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৬০ পেরিয়েও ৮০ রানের আগে আউট হয়ে যান ওয়েদারাল্ড, লাবুশেন ও স্মিথ। পরদিন তাদের সঙ্গী হন কেয়ারি ও স্টার্ক।


দিনের শুরুতে কেয়ারি ফেরার পর মাইকেল নেসারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এরপর স্কট বোল্যান্ডকে নিয়ে ১৬৪ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন স্টার্ক। ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি করে স্টার্কের বিদায়ের পর বোল্যান্ড ও ব্রেন্ডন ডগেট মিলে অস্ট্রেলিয়াকে ৫০০ পার করান। 


অস্ট্রেলিয়ার ১১ ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। অ্যাশেজের ইতিহাসে তৃতীয় ঘটনা এটি। আগের দুবারই করেছিল ইংল্যান্ড। 


ইংল্যান্ডের পক্ষে ব্রাইডন কার্স ৪ ও বেন স্টোকস নেন ৩ উইকেট। 

bottom-logo