৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:০৮ পিএম

বিশাখাপত্তনমে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আজ মাঠে নেমেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ৯ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। তার আগে বড় ধাক্কা খেল প্রোটিয়ারা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত দল থেকে ছিটকে গেছেন ব্যাটার টনি ডি জরজি ও পেসার কুয়েনা মাফাকা।
জরজি ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সময় ডানপায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করেন। এরপর আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি, ৪৫তম ওভারের সময় ১৭ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। চোটের কারণে আজ সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডের দলেও নেই বামহাতি এই ব্যাটার।
পুনর্বাসনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যাবেন জরজি। টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর পরিবর্তে কোন খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে ছিটকে পড়েছেন পেসার কুয়েনা মাফাকা। বামপায়ের হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে পুনর্বাসনে ছিলেন তিনি। তবে শেষ ধাপে প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়ায় দল থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। তাঁর জায়গায় দলে যুক্ত হয়েছেন পেসার লুথো সিপামলা।
দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি দল:
এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ওটনিল বার্টম্যান, করবিন বোশ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, কুইন্টন ডি কক, ডোনোভ্যান ফেরেইরা, রিজা হেনড্রিক্স, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ, জর্জ লিন্ডে, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, আনরিখ নরকিয়া ও ট্রিস্টান স্টাবস, লুথো সিপামলা।
No posts available.
৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:১১ পিএম

মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হলে স্কোয়াডে থাকতে পারবেন, এমনটাই জানানো হয় শুবমান গিলকে। শেষ পর্যন্ত সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছেন তিনি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দেখা যেতে পারে হার্ড হিটার ব্যাটারকে।
কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ের সময় ঘাড়ে চোট পেয়েছিলেন গিল। সেই চোট এতটাই তীব্র ছিল যে হাসপাতালের আইসিইউতেও থাকতে হয়েছিল ভারতের টেস্ট ও ওয়ানডের নিয়মিত অধিনায়ককে।
চোট থেকে মুক্তি পেয়ে বেঙ্গালুরুর বিসিসিআইয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পুনর্বাসনে ছিলেন গিল। সেখান থেকে আজ ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬ বছর বয়সি এই ব্যাটার।
সেন্টার অব এক্সেলেন্সের পক্ষ থেকে স্পোর্টস সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন টিমকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গিল সব ফরম্যাটে খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট। আগামীকাল রোববার কুটাকে প্রথম অনুশীলন সেশনে মাঠে নামবেন তিনি।

দিনের আলো তখন নিভু নিভু। শের-ই বাংলায় জ্বালিয়ে হয়েছে ফ্লাডলাইট। মোহাম্মদ ইফরান হোসেনের বলে কাট করতে গিয়ে উল্টো পেছনে ক্যাচ দিলেন ১৬১ রানে থাকা আনিসুল ইসলাম ইমন। কিন্তু সহজতম ক্যাচ গ্লাভসে রাখতে পারলেন না ইরফান শুক্কুর। হতাশায় ডুবল পুরো চট্টগ্রাম।
এটি অবশ্য শুধু একটি মুহূর্তের চিত্র। জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের প্রথম দিনের পুরোটাটেই চট্টগ্রামের ফিল্ডারদের হতাশায় ডোবান ঢাকা বিভাগের ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন। তাকে সঙ্গ আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্শাল আইয়ুব।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ঢাকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৫৬ রান। এর মধ্যে দিনের শেষ সেশনে ৩১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তারা করেছে ১৬৩ রান। এতেও বোঝা যায়, কতটা দাপট নিয়ে খেলেছেন ইমন ও মার্শাল।
ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ১৮৩ রানে অপরাজিত ইমন। আর ১০৯ রানে নতুন দিন শুরু করবেন মার্শাল।
অথচ টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাটিং করতে পাঠায় চট্টগ্রাম। কিন্তু প্রথম সেশনে কোনো উইকেট নিতে পারেনি তারা। প্রথম সেশনের শেষ দিকে হাতে চোট পাওয়ায় আর মধ্যাহ্ন বিরতির পর ব্যাট করতে নামেননি আশিকুর রহমান শিবলি।
তাই এখন ২৭ রানে আহত অবসর শিবলি। তিনি উঠে গেলে ৭২ রানে ছেদ পড়ে উদ্বোধনী জুটির। পরে ফয়সাল আহমেদ রায়হান ৯ ও জিসান আলম ২২ রান করে আউট হন। দেড়শ পেরোতেই ২ উইকেট হারিয়ে কিছু সময়ের জন্য চাপে পড়ে ঢাকা।
তবে জুটি বেধে চট্টগ্রামকে আর নিয়ন্ত্রণ নিতে দেননি ইমন ও মার্শাল। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করতে ১৩৭ বল খেলেন ইমন। এই মাইলফলক ছুঁতে ১১ চারের সঙ্গে তিনি মারেন ৩টি ছক্কা। পরে ১৯২ বলে পূর্ণ করেন ১৫০ রান।
দিনের একদম শেষ দিকে গিয়ে ১২ চারে ১১৯ বলে চলতি লিগে নিজের তৃতীয় ও প্রথম শ্রেণিতে ২৯তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মার্শাল।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে সিলেটের বিপক্ষে বরিশালের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৬৯ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন ইফতিখার হোসেন ইফতি। এছাড়া হাফিজুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। সিলেটের মহিউদ্দিন তারেক নেন ৩ উইকেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহীকে ২১৯ রানে অলআউট করে দিয়েছে শিরোপার দৌড়ে থাকা ময়মনসিংহ। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৩ রান। রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন নাঈম আহমেদ। হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। বল হাতে ৩ উইকেট নেন আবু হায়দার রনি।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩০২ রান। ৫৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। এছাড়া দলের আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। নাসির হোসেন নিয়েছেন ৩ উইকেট।

ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ‘বাজবল’ ক্রিকেট নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার ধারাভাষ্যকার জিম ম্যাক্সওয়েল।
‘বাজবল? এটা আসলে বাজে কথা’—এমন মন্তব্য করার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে, পরে বাধ্য হয়েই ক্ষমা চান অভিজ্ঞ এই ধারাভাষ্যকার।
বাজবল নামটি এসেছে ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ডাকনাম ‘বাজ’ থেকে। তাঁর অধীনে ইংল্যান্ড বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে চরম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছে। এই দর্শন নিয়েই বিশ্বজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। সেই বিতর্কে এবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন ম্যাক্সওয়েল।
বিবিসির টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল কমেন্ট্রি বক্সে এ মন্তব্যের পর মুহূর্তেই স্তব্ধতা নেমে আসে। সহধারাভাষ্যকার অ্যাডাম ব্ল্যাকমোর এক টুইটে ঘটনাটি উল্লেখ করে লেখেন, ‘অদ্বিতীয় জিম ম্যাক্সওয়েল! বাজবল? আসলে বাজে কথা!’ মন্তব্যের পর বাকিরা হাসলেও বিষয়টি দ্রুত আলোচনায় উঠে আসে।
আরও পড়ুন
| টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বড় ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা |
|
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ম্যাক্সওয়েলের খোলামেলা মন্তব্যকে প্রশংসা করেন, কেউ কেউ আবার সমালোচনাও করেন। পরে ম্যাক্সওয়েল নিজেই স্বীকার করেন, মন্তব্যটি অপ্রত্যাশিত ছিল এবং তা ভুলভাবে গ্রহণ করা হতে পারে—এ কারণেই তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
চার দশকের বেশি সময় ধরে ক্রিকেট ধারাভাষ্য দিচ্ছেন ম্যাক্সওয়েল। ১৯৮৩ সাল থেকে বিবিসির টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল দলের নিয়মিত সদস্য তিনি। লাকনিক স্টাইল, স্বকীয় রসবোধ ও নিখুঁত ক্রিকেটবোধ তাঁকে বিশ্বের সেরা ধারাভাষ্যকারে পরিণত করেছে।
ক্রিকেট ছাড়াও রাগবি লিগ-ইউনিয়ন, গলফ, হকি ও টেবিল টেনিসের ধারাভাষ্য দিয়েছেন তিনি ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে। ২০২১ সালে সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য পান ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’।
ব্যক্তিগত জীবনেও ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গভীর। ২০১৩ অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্ট চলাকালে গ্যালারিতে বসেই প্রেমিকা জেনিফারকে প্রস্তাব দেন ম্যাক্সওয়েল। পরে তাঁদের বিয়ে হয় সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই।

জ্যাক ওয়েদারাল্ড ৭২, মার্নাস লাবুশেন ৬৫, স্টিভ স্মিথ ৬১, অ্যালেক্স কেয়ারি ৬১ ও মিচেল স্টার্ক ৭৭- অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ব্যাটার ৬০ পেরোলেও আউট হয়ে গেছেন ৮০ রানের আগেই। যা ফিরিয়ে এনেছে প্রায় একশ বছর আগের কীর্তি।
ব্রিসবেনে দিবারাত্রির টেস্টের তৃতীয় দিন শনিবার নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫১১ রানে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের ৩৩৪ রানের জবাবে তারা পেয়েছে ১৮৩ রানের বেশ বড় লিড।
পাঁচশ ছাড়ানো ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ১১ ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছেন। গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্টে যা বিশ্ব রেকর্ড। দিবা-রাত্রির টেস্টে আর কোনো দল এর আগে পারেনি এমন কিছু করতে।
এই বিশ্ব রেকর্ডটি গড়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯৭ বছরের পুরোনো কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ডারবানে ১৯২৮ সালের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচ ব্যাটার- হার্বি টেলর (৬০), জন নিকোলসন (৭৮), বব ক্যাটেরাল ৭৬), নামি ডিন (৭৩) ও বাস্টার নুপেন (৬৯) ৬০ পেরিয়েও ৮০ রানের আগে আউট হয়ে যান।
এবার একই পথে হাঁটল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৬০ পেরিয়েও ৮০ রানের আগে আউট হয়ে যান ওয়েদারাল্ড, লাবুশেন ও স্মিথ। পরদিন তাদের সঙ্গী হন কেয়ারি ও স্টার্ক।
দিনের শুরুতে কেয়ারি ফেরার পর মাইকেল নেসারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এরপর স্কট বোল্যান্ডকে নিয়ে ১৬৪ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন স্টার্ক। ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি করে স্টার্কের বিদায়ের পর বোল্যান্ড ও ব্রেন্ডন ডগেট মিলে অস্ট্রেলিয়াকে ৫০০ পার করান।
অস্ট্রেলিয়ার ১১ ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন। অ্যাশেজের ইতিহাসে তৃতীয় ঘটনা এটি। আগের দুবারই করেছিল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ব্রাইডন কার্স ৪ ও বেন স্টোকস নেন ৩ উইকেট।

দীর্ঘ ২৫ মাস ও ২০ ম্যাচ- রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল যা করতে পারেননি, সেটিই করে দেখলানে লোকেশ রাহুল। অবশেষে ভারতের হয়ে ওয়ানডেতে টস জিতলেন অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার।
২০২৩ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনাল ম্যাচের পর ওয়ানডেতে টস জিততেই যেন ভুলে গিয়েছিল ভারত। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২০ ম্যাচের অপেক্ষা ঘোচালেন রাহুল।
বিশাখাপত্তমে শনিবার স্বাগতিক দল হিসেবে কয়েন ছুঁড়ে মারেন রাহুল। হেডস ডাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তবে কয়েনে ওঠে টেলস। টস জিতে আগে বোলিং নেন রাহুল।
আরও পড়ুন
| গ্রিভসের ডাবল সেঞ্চুরি, বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
|
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে একটি করে জিতেছে দুই দল। তাই শেষ ম্যাচটি দুই দলের জন্য এখন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ।
ভারত একাদশ: যশস্বী জয়সওয়াল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রুতুরাজ গাইকদ, লোকেশ রাহুল, তিলক বর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা, হর্ষিত রানা, কুলদিপ যাদব, আর্শদিপ সিং, প্রসিধ কৃষ্ণা।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: রায়ান রিকেলটন, কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, ম্যাথু ব্রিটস্কি, এইডেন মার্করাম, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, মার্কো ইয়ানসেন, করবিন বশ, কেশব মহারাজ, লুঙ্গি এনগিডি, ওটনিল বার্টম্যান।