
প্রত্যাবর্তন ম্যাচে তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের তোপে শ্রীলঙ্কাকে ২৪৪ রানে অল আউট করেও লাভ হয়নি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ ৪ ম্যাচের তিনটিতে জয়ের নিকট অতীত আছে বলেই ছিল ভরসা। প্রিয় ফরম্যাটে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজেছে বাংলাদেশ দল। তবে ওয়ানডেতে সর্বশেষ ৬ ম্যাচের সব ক'টিতে হেরে অনেক প্রশ্নের মুখে পড়া বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা সফরের শুরু করেছে হার দিয়ে।
হাসারাঙ্গার গুগলিতে (৭.৫-২-১০-৪) ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৭৭ রানে হেরে বড় লজ্জা পেতে হয়েছে। মিরাজের নেতৃত্বে নতুন শুরু হয়েছে ম্লান। ২৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ৬১/১ স্কোরে হারের বৃত্ত ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্ত-তানজিদ হাসান তামিম ৭১ বলে ৭১ রান যোগ করে বড় জয়ের আবহ তৈরি করেছিলেন।
স্ট্রাইক রেটে মনযোগী এই জুটির ব্যাটিং দেখে কপালে হাত উঠেছিল শ্রীলঙ্কার ড্রেসিংরুম এবং ডাগ আউটে। তবে এমন একটা পরিস্থিতি থেকে শান্ত'র রান আউটে কাটা পড়াটা অশুভ লক্ষণ হয়েছে।দুই স্পিনার হাসারাঙ্গা-কামিন্দু মেন্ডিজের ছোবলে স্কোরশিটের চেহারা হয়ে গেছে ১০১/২ থেকে ১০৫/৮! প্রেমাদাসায় এক দমকা হাওয়ায় মাত্র ৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় হারের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেমেছে ১৬৭/১০-এ। লেট অর্ডারে জাকের আলী অনিকের ফিফটি (৪ চার, ৪ ছক্কায় ৫১) শুধু সান্ত্বনার উপলক্ষ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন
| দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রধান কোচ সিমন্সকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ |
|
অথচ আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কাকে শুরুতে ভালই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। ৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে নিজেকে ভালোই উপস্থাপন করেন তাসকিন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয়বারের মতো ৪ উইকেট শিকারে (১০-২-৪৭-৪) দিয়েছেন তাসকিন স্বাগতিক দলকে ঝাঁকুনি।
তার পেস বোলিং পার্টনার তানজিম হাসান সাকিবও দেন যোগ্য সমর্থন (৯.২-০-৪৬-৩)। এই পেস জুটির বোলিংয়ে ২৪৪/১০-এ থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। বাংলাদেশ পেসারদের বিপক্ষে একাই লড়ে যাওয়া আসালাঙ্কার সেঞ্চুরিতে (১২৩ বলে ৬ চার, ৪ ছক্কায় ১০৬) চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।
তাসকিন আহমেদ-তানজিম হাসান সাকিবের দারুণ ওপেনিং স্পেলে স্কোরশিটে প্রথম রানের মুখ দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে ১১টি বল। ৫ ওভার শেষে স্কোর ১৫/২। সেখান থেকে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার স্কোর হয় ৫০/৩।
স্কোরশিটে ২৯ উঠতে ৩ উইকেট ফেলে দিয়ে শ্রীলঙ্কার উপরে চাপ অব্যাহত রাখতে পারেনি বাংলাদেশ বোলাররা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসালাঙ্কা-কুশল মেন্ডিস ৭৭ বলে ৬০, পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসালাঙ্কা-লিয়াঙ্গে ৭৬ বলে ৬৪ যোগ করলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজির আবহ পায় শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অভিষেকে উইকেট পান বাঁহাতি স্পিনার তানভির।
অকেশনাল বোলার শান্ত দিয়েছেন আর একটি ব্রেক থ্রু। ইতোপূর্বে ওডিআই ক্যারিয়ারে একটি উইকেটের মালিক ছিলেন শান্ত। আর এবার প্রেমাদাসায় লিয়াঙ্গেকে (৪০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৯) ডাউন দ্য উইকেটে খেলার টোপ ফেলে লং অনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন শান্ত।
ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে সেভাবে রান বাড়াতে দেননি তাসকিন-তানজিমরা। পায়ের পেশীতে টান পড়ে মোস্তাফিজকে বাইরে রেখে বোলিং করাটা যখন শঙ্কায় ফেলে দেয়ার কথা, তখন অন্যদের ভালো বোলিংয়ে শেষ ৪ উইকেট হারানোর বিপরীতে শ্রীলঙ্কা যোগ করতে পেরেছে মাত্র ৫১ রান।
ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে সেঞ্চুরিয়ান আসালাঙ্কাকে (১২৩ বলে ৬ চার, ৪ ছক্কায় ১০৬) মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলতে প্রলুব্ধ করে করে তাকে শিকার বানান তানজিম। ২০২৩ বিশ্বকাপে দিল্লীতে উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে আসালাঙ্কা করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি (১০৮)।
আসালাঙ্কার এই সেঞ্চুরিই শেষ পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে তৈরি করেছে ব্যবধান। কঠিন সময়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে কীভাবে দৃঢ় প্রত্যয়ে ব্যাট করতে হয়, আসালাঙ্কাকে দেখে তা শেখেনি বাংলাদেশ ব্যাটারদের কেউ। ইনিংসের ৫ম ওভারে আসিথা ফার্নান্ডোর শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আনলাকি থারটিনে থেমেছেন ওয়ানডে অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন (১৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৩)।
৭১ বলে ৭১ রানের পার্টনারশিপে তানজিদ হাসান তামিমকে দারুণ সঙ্গ দেয়া শান্ত করেছেন মারাত্মক অপরাধ। রান আউট নামক বিপদ নিজেই ডেকে এনেছেন (২৬ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২৩)।
আরও পড়ুন
| নাটকীয় ব্যাটিং ধসে বিশাল হার বাংলাদেশের |
|
১৬.৩ ওভারে ওই আউটটাই অলুক্ষুনে ছিল। সেই থেকে মাত্র ২৬ বলে নেই ৭ উইকেট! লেগ স্পিনার হাসারাঙ্কার দ্বিতীয় বলটি ছিল গুগলি, তা আন্দাজ করতে না পেরে আউট হন লিটন (৪ বলে ০)। ওই ওভারের ৫ম ডেলিভারিতে মিড অফে তানজিদ হাসান তামিম লিয়াঙ্গের দারুণ ফ্লাইং ক্যাচে পরিণত (৬১ বলে ৯ চার, ১ ছক্কায় ৬২)।
কামিন্দু মেন্ডিসের পরের ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে বোল্ড হৃদয়। হাসারাঙ্গার পরের ওভারে গুগলিতে মিরাজও ফেরেন সাজঘরে। ক্যাপ্টেনসির নতুন অধ্যায়ে উইকেটহীন কাটিয়ে ব্যাটিংয়েও ব্যর্থ মিরাজ। কামিন্দু মেন্ডিসের পরের ওভারের ২য় বলে তানজিম হাসান সাকিব (৬ বলে ১) শর্ট মিড উইকেটে খিকসানার ডাইভিং ক্যাচে পরিনত। ওই ওভারের ৫ম বলে তাসকিন রং লাইনে ডিফেন্স করতে যেয়ে আউট হয়ে যান (৩ বলে ০)।
প্রথম স্পেলে গুগলি ভেল্কিতে বাংলাদেশ ব্যাটারদের নিয়ে ছেলেখেলা উৎসবে মেতে ওঠা লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা দ্বিতীয় স্পেলেও দারুণ বোলিং করেন। সেটা সামলে ফিফটি করে হারের ব্যবধান কমানোর লড়াই করা জাকের আলী অনিককেও পর্যুদস্ত করেছেন হাসারাঙ্গা গুগলিতে। আর সেই উইকেটটিও যথারীতি এলবিডব্লিউ থেকে।
No posts available.

দল হারুক কিংবা জিতুক—মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর কাজটাই করে যান একান্তচিত্তে। গতকাল ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি দুবাই ক্যাপিটালস। ঠিকই বল হাতে জাদু দেখিয়েছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।
মোস্তাফিজ ৪ ওভারে নিয়েছেন ২টি উইকেট। ক্যাচ ধরেছেন ২টি। আজও মোস্তাফিজ বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। ৩ ওভার বোলিং করে ২২ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। ভাগ্য ভালো, আজ তার দল আবু ধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৮৬ রান তোলে দাসুন সানাকার দল। রভম্যান পাওয়েলের অপরাজিত ৫২ বলে ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে শক্তিশালী পুঁজি পায় দল।
লক্ষ্য পূরণে নেমে ডেভিড উইলি ও মোস্তাফিজুর রহমানের তোপে পড়ে নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে ১০৩ রানে থামিয়ে দেয় জেসন হোল্ডারদের।
মূলত মোস্তাফিজ ও উইলির তোপে শুরুটা ভালো না হওয়াটাও বড় ধাক্কা ছিল নাইট রাইডার্সের। তার মধ্যে ওয়াকার সালমানখিলের স্পিন পড়তে গিয়ে রীতিমতো হাপিয়ে ওঠেন আন্দ্রে রাসেল ও রাদারফোর্ডরা।
দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট পাকিস্তানি স্পিনারের। চার উইকেট তোলেন সালমানখিল। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবি, মোস্তাফিজ ও উইলি।

যখন সব শেষ হয়ে যাবে—রাজনীতি, ক্রিকেট; তখন সাকিব আল হাসান কী করবেন? মানুষ তাঁর কোন দিক স্মরণ করবে, ক্রিকেটার সাকিবকে নাকি রাজনীতিবিদ সাকিবকে?
‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ নামক পডকাস্টে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আজ। সেখানে নিজের যাপিত জীবন, ইচ্ছা-উদ্দীপনা ও ফেলে আসা দিন তুলে ধরেছেন সাবেক অধিনায়ক।
সাকিব বলেন, “আমার মনে হয়, ক্রিকেট ক্যারিয়ার প্রায় শেষ করেছি। হয়তো এখন রাজনীতির অংশ বাকি আছে। এটা এমন কিছু যা আমি বাংলাদেশের মানুষ এবং মাগুরাবাসীর জন্য করতে চাই। এটা ছিল আমার ইচ্ছা, যা এখনো আমার ইচ্ছা। দেখা যাক, আল্লাহ আমাকে কোথায় নিয়ে যান।”
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে ফেরেননি তিনি। ক্যারিয়ারের পাঠ শেষ করার আগে রাজনীতিতে যোগ দেওয়াটা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।
সাকিব বারবার দেশে ফিরতে চাইলেও ফেরা হয়নি। তবে তিনি জানিয়েছেন, ঠিকিই দেশে ফিরবেন এবং দেশ, বিশেষ করে মাগুরার মানুষের জন্য রাজনীতি করে যাবেন।
পডকাস্টে সাকিব বলেন, “আমি অবশ্যই চাই বাংলাদেশে ফিরতে। কারণ, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি বাংলাদেশে ফিরে যাব।”

আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসর। মহাযঞ্চের আগে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক পরিবর্তন নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সালমান আলি আগা।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক ভিডিও বার্তায় পাকিস্তান দলের অধিনায়ক কথা বলেছেন বিশ্বকাপে তাঁদের প্রস্তুতি, দলের ফিটনেস ও লক্ষ্য নিয়ে।
গ্রুপ ‘এ’ তে পাকিস্তানের সঙ্গী ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, নামিবিয়া ও নেদারল্যান্ডস। অধিনায়ক বদলের গুঞ্জন উঠলেও আগা জানান, তাঁর নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ খেলবে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে বড় কোন পরিবর্তন হবে না বলে জানান আগা, ‘বিশ্বকাপের আগে বড় কোনো পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। যে কম্বিনেশন তৈরি হয়েছে, সেটাই থাকবে।’
সামনের দুটি বিশ্বকাপ জিততে চান আগা, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে চাই। এগুলো আমার স্বপ্ন। সত্যি হলে দারুণ লাগবে।’

২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সবশেষ বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। দেশসেরা এই অলরাউন্ডার এরপর আর দেশের হয়ে খেলেননি। বেশ কয়েকবার সম্ভবনা জেগেছিল, সাকিবেরও ইচ্ছা ছিল মিরপুর শেরে বাংলায় ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলবেন।
সাকিবের সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তবে আশা মরেও যায়নি। কারণ, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাননি তিনি। ৩৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এখনও স্বপ্ন দেখেন মাতৃভূমিতে ফিরবেন, লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়াবেন।
বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন সাকিব। সেখান থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলছেন। ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি–টোয়েন্টিতে (আইএলটি টি–টোয়েন্টি) এমআই এমিরেটসের হয়ে খেলা সাকিবের বর্তমান গন্তব্য আরব আমিরাত।
আইএলটি টি–টোয়েন্টি চলাকালীন ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ নামক পডকাস্টে অংশ নেন সাকিব। তার সঙ্গে অতিথি ছিলেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মঈন আলী।
পডকাস্টে সঞ্চালকের এক প্রশ্নে দেশের জার্সিতে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে ৪৪৭ ম্যাচ খেলা সাকিব বলেন,
“আমি অবশ্যই চাই বাংলাদেশে ফিরতে। কারণ, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি বাংলাদেশে ফিরে যাব।”
নিজের লাইফস্টাইল নিয়ে সাকিব বলেন,
“তুমি যে ‘স্বাভাবিক জীবন’-এর কথা বলছ, সত্যি বলতে আমি কখনোই সে জীবন চাইনি। আমি বাংলাদেশে যে জীবনটা কাটাচ্ছিলাম, সেটা আমার ভালোই লাগত। এমন না যে আমি সেই জীবনটা অপছন্দ করতাম। আমি তো আমার মতো করেই স্বাভাবিক জীবনে ছিলাম।”
সাকিব আরও বলেন, “আমার কখনো বেশি বন্ধু ছিল না। ছোটবেলা থেকেই বাইরে বেশি যেতাম না। আমি বোর্ডিং স্কুলে পড়েছি, আর বড় হতে হতে ভালো দিকনির্দেশনা পেয়েছি। এগুলো আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’

পার্থে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুই দিনে হারের পর ব্রিসবেনে পিংক বলের টেস্টে ইংল্যান্ড হারল ৮ উইকেটে। সিরিজের আগে বেন স্টোকস হুংকার দিয়ে ইতিহাস রচনার কথা জানালেও আদতে তা ধোপে টেকেনি। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট ২-০ পিছিয়ে যাওয়ার দারুণে মন খারাপ সফরকারীদের। বিশেষ করে ক্যাপ্টেন স্টোকস তো বলেই দিলেন—দলে দুর্বলচিত্তের মানুষদের কোনো স্থান নেই।
দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৬৫ রানের লক্ষ্য ১০ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলেছে স্মিথের দল। ম্যাচের চতুর্থ দিন খানিক লড়াই করেন বেন স্টোকস। তবে তাকে থামিয়ে দিয়ে অনায়াসেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
আজ ম্যাচ শেষে সম্প্রচার চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টোকস জানিয়েছেন, বিপদকালে তাঁর দল কতটা প্রেসার নিতে পেরেছে সেটাই আলচ্য।
তিনি বলেন, ‘‘ওরা (অস্ট্রেলিয়া) গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়া দুর্বলদের জায়গা নয়। আমরা দুর্বল নই, কিন্তু এখন ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছি। সামনে তিনটি ম্যাচ আছে, আমাদের কিছু একটা খুঁজে বের করতেই হবে।”
প্রথম ইনিংসে থিতু হয়ে যাওয়ার পর রান আউটে কাটা পড়লেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই এক প্রান্ত আগলে ব্যাট চালিয়ে যান স্টোকস। প্রায় ২২৯ মিনিট ক্রিজে পড়ে থেকে ১৫২ বল মোকাবিলা করে ফিফটি করেন ইংল্যান্ড অধিানয়ক।
স্টোকস যখন ব্যাট হাতে বাইশগজে নামেন তখন দল মৃতপ্রায়। সেটা জাগিয়ে তোলেন তিনি। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। তাই অনেকটা রাগ করে তিনি বলেন, ‘‘আমি অনেকবার বলেছি। অস্ট্রেলিয়া সফর দুর্বল লোকদের জন্য না। তারমধ্যে যে ড্রেসিংরুমে ক্যাপ্টেন আমি, সেখানে তো কখনই নয়।’’
ম্যাচশেষে বিবিসির ‘টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল’-এ দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ইংল্যান্ড দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম জানিয়েছেন, দলের প্রস্তুতির মোটেও ঘাটতি ছিল না। বরং অতিরিক্ত অনুশীল হয়েছে।
তিনি বলেন, “প্রস্তুতির অভাব ছিল—আমি তা মনে করি না। বরং আমরা হয়তো একটু বেশি অনুশীলনই করেছি। এই ম্যাচের আগে পাঁচটি জোরালো ট্রেনিং সেশন ছিল। কখনো কখনো ঘাটতি পুষিয়ে নিতে গিয়ে অতিরিক্ত করার প্রবণতা তৈরি হয়।”
তিনি আরও বলেন,‘‘ক্রিকেট কেবল শারীরিক বা টেকনিক্যাল প্রস্তুতির খেলা নয়, মানসিক প্রস্তুতিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া ব্যাটিংয়ে ঘাটতি ছিল, বোলিংয়ে তো ছিলই, আর ফিল্ডিংতেও ঘাটতি চোখে পড়ার মতো। ভালো দলের বিরুদ্ধে ১০ উইকেট নেওয়াই কঠিন, সেখানে ১৫টা নিতে গেলে কী পরিস্থিতি দাঁড়ায় সবাই জানে।’’