২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৯ এম

গত ৩০ অক্টোবর মুন্সিগঞ্জে শুরু হয় জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠে নামে মাদারীপুর জেলা ফুটবল দল। এরপর প্রায় তিন মাসের মাঠের লড়াই শেষে গতকাল শনিবার সফলভাবে শেষ হয় এই প্রতিযোগিতা। কিন্তু মুন্সিগঞ্জে সেই শুরুর পর দীর্ঘ এই যাত্রা সহজ ছিল না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জন্য।
প্রথমবারের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা এই টুর্নামেন্ট দ্রুতই দেখে মুদ্রার উল্টো পিঠ। মাঠ সংকুলান, স্থানীয় প্রভাব প্রতিপত্তি আরও কত কিছু— এসব সামলে টুর্নামেন্ট এগিয়ে যায়। প্রায় দুই হাজার ফুটবলারের অংশগ্রহণ এবং ১৫০ এরও বেশি ম্যাচ আয়োজন করে সফলতা কুড়ায় তিন বছর পর হওয়া জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ।
এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল হোম-অ্যাওয়ে ম্যাচ আয়োজন। দেশের ৬৪ জেলা থেকেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় একটি করে দল। কিন্তু অনেক জেলাতেই নেই ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করার মতো মাঠ। সেক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো ভেন্যুতে অনেক ম্যাচ বাধ্য হয়ে আয়োজন করে বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ কমিটি।
কেবল সেমিফাইনাল ও ফাইনালে খেলা হয় কমলাপুরের বীরশেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। ফাইনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আর ফাইনাল শেষের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
পুরস্কার বিরতণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাবিথ আউয়াল। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় মাঠ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কিভাবে সফলভাবে সম্ভব হলো জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন। জবাবে বলেন, ‘অনেক খেলা ছিল, জানেন যে চ্যালেঞ্জ ছিল, তবে এই টুর্নামেন্টের জন্য আমরা অনেক মাঠ রক্ষা করতে পেরেছি, মাঠে খেলা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’ মাদারীপুর, বরিশালসহ দেশের অনেক জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম কার্যত উপযোগী ছিল না। সেসব মোকাবিলা করেই এত বড় একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরেছে বাফুফে।
এই টুর্নামেন্ট থেকে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে ফুটবল ফেডারেশনের আছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, তাদের এলিট একাডেমির আওতায় আনতে চায় দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। এবং এই টুর্নামেন্টের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে সামনে ডিস্ট্রিক্ট লিগ আয়োজনের পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে বাফুফে। সেটাই গতকাল জানান ফেডারেশনের সভাপতি, ‘আমরা খুব শিগগির ডিস্ট্রিক্ট লিগ শুরু করব। এই প্লেয়াররা সেখানেও নিজেদেরকে প্রমাণ করার সুযোগ পাবে। তাতে করে আমাদের জাতীয় দলের পাইপলাইনও তৈরি হবে।’
ফাইনাল ম্যাচের উদ্বোধন করে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফে সফলভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে পেরেছে। এবার যেহেতু শুরু হলো সামনের দিনে আরও উন্নতির সুযোগ আছে। এটা যত বেশি ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে আরও বেশি প্রতিভা খুঁজে পাবো।’