জয় ছাড়া বিক্ল্প ছিল না আগের ম্যাচেই। ঘরের মাঠে হংকং, চায়নার বিপক্ষে সে ম্যাচে হেরে এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার স্বপ্ন কার্যত শেষ। তারপরও যদি-কিন্তুর হিসেব মিললে ফিকে হওয়া স্বপ্নটা ধরা দিতে পারে। তার আগে চাই হাতে থাকা তিন ম্যাচে জয়। যার প্রথমটি আজ হংকং, চায়নার বিপক্ষে। কিন্তু এমন ম্যাচে রক্ষণাত্মক একাদশই সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ‘বাস পার্ক’ ফরমেশন খেলবে লাল সবুজেরা।
সন্ধ্যা ৬টায় হংকংয়ের কাই তাক স্পোর্টস পার্কে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের একাদশে ফিরেছেন শমিত সোম। মিডফিল্ডের নেতৃত্বে হামজা দেওয়ান চৌধুরী। এছাড়া আছেন সোহেল রানা সিনিয়র ও শেখ মোরছালিন। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে জায়গা হারিয়েছেন সোহেল রানা জুনিয়র।
মিডফিল্ডে ঘরের মাঠে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূইয়া। এই ম্যাচেও তাকে বেঞ্চেই বসিয়ে রাখছেন কোচ। তবে মূল একাদশে ফিরেছেন তপু বর্মন। আগের ম্যাচে বিরতির পর বদলি হিসেবে নামা অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের হাতেই উঠছে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড।
আরও পড়ুন
পাঁচ দিনের মধ্যেই বদলার সুযোগ, পারবেন তো হামজারা |
![]() |
আজকের একাদশ ৫জন ডিফেন্ডার নিয়ে সাজিয়েছেন কাবরেরা। সেন্টার ব্যাকে তপুর সঙ্গে থাকছেন শাকিল আহাদ তপু ও তারিক কাজী। লেফট ব্যাকে- জায়ান আহমেদ, রাইট ব্যাকে- সাদ উদ্দিন।
ফরোয়ার্ডে খেলবেন রাকিব হোসেন। আর গোলবারের নীচে মিতুল মারমার ওপরই ভরসা রাখছেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ।
বাংলাদেশ একাদশ: মিতুল মারমা (গোলকিপার), জায়ান আহমেদ, তপু বর্মন (অধিনায়ক), শাকিল আহাদ তপু, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, সোহেল রানা সিনিয়র, শেখ মোরসালিন, রাকিব হোসেন।
No posts available.
১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের
ফিরতি লেগে পিছিয়ে পড়ার পর রাকিব হোসেনের গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এরপর অপেক্ষা ছিল
জয়সূচক গোলের। ১০ জনের হংকং, চায়নার বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত গোল আদায় করতে পারেনি লাল সবুজেরা।
শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় হাভিয়ের কাবরেরার দলকে।
জাতীয় দলের জার্সিতে রাকিবের
গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৬। দেশের জার্সিতে সমপরিমাণ গোল করেছেন শেখ মোরছালিন ও তপু বর্মন।
হংকংয়ের বিপক্ষে গোলের পর রাকিব কৃতিত্ব দিয়েছেন সতীর্থদের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন,
‘বাংলাদেশের জার্সি পরাটাই অনেক গর্বের। আজকে জার্সি পরতে পেরেছি, দেশের হয়ে গোল করতে পেরেছি— আসলে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে। আমার এবং দলীয় প্রচেষ্টায় আজ গোলটা করতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ।’
রাকিব জানিয়েছেন, শেষ ১৫ দিন তারা যে কষ্ট করেছেন, তার সুফল পেয়েছেন। তিনি বলেন,
‘শেষ ১৫ দিন আমরা অনেক কষ্ট করেছি। এটা সেই কষ্টের ফল। আমরা ম্যাচটা অনেক ভালো খেলেছি। প্রতিটা খেলোয়াড় অনেক পরিশ্রম করেছে। যার কারণে ম্যাচটা ড্র করতে পেরেছি।’
হংকংয়ের বিপক্ষে ড্রয়ের
পরও আক্ষেপ রাকিবের। গোলমুখে কিছু ভুল না হলে দল জিততে পারত বলে মনে করেন অভিজ্ঞ এই
ফুটবলার। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকের ম্যাচটা জিততে পারতাম। কিন্তু অনেক সুযোগ
নষ্ট করেছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের যে কোনো ম্যাচ মানেই মাঠের বাইরের উত্তেজনা। ইতালিতে মঙ্গলবার তাদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে স্টেডিয়ামের বাইরে রয়েছে প্রো-ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ। স্টেডিয়ামের বাইরে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করছে প্রায় দশ হাজার মানুষ।
এই ম্যাচ ঘিরে উত্তর-পূর্ব ইতালির শহর উদিনে পুরো শহরজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে। স্নাইপার মোতায়েন করা হয়েছে ইসরায়েল টিম হোটেলের ছাদে।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে খেলা। এরই মধ্যে ম্যাচটি সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতালির উদিনের ব্লুনার্জি স্টেডিয়ামে স্টেডিয়ামের ছাদেও মোতায়েন থাকবে স্নাইপার।
পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল পুলিশ ও সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলের টিম বাসকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হবে। বন্ধ রাখা হয়েছে বেশ কিছু দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ। যেসব দোকানপাট খুলেছে তাদের জন্য দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা।
উদিনে গত বছরও ইতালি-ইসরায়েল ম্যাচ হয়েছিল। ওই ম্যাচের আগে প্রো-ফিলিস্তিন বিক্ষোভ হয়েছিল, যেখানে অংশ নিয়েছিল প্রায় এক হাজার মানুষ। ম্যাচের জন্য এই শহরটি বেছে নেওয়া হয়েছে মূলত এর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে।
স্লোভেনিয়া সীমান্তের কাছে তুলনামূলকভাবে বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ সহজ। স্টেডিয়ামের আশপাশে ব্যারিকেড বসিয়ে এলাকাটিকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
২৫ হাজার আসনবিশিষ্ট ব্লুনার্জি স্টেডিয়ামে মাত্র ৯ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্টেডিয়ামে দর্শকের সংখ্যা বিক্ষোভকারীদের চেয়ে কম হতে পারে।
শুধুমাত্র টিকিটধারী দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে এবং প্রত্যেককেই কঠোর তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
গ্রপ 'আই'য়ে ৬ ম্যাচের সবকটি জিতে প্রথম স্থানে রয়েছে নরওয়ে। ৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইতালি। ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ইসরায়েল। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে এস্তোনিয়া। ৫ ম্যাচে কোন পয়েন্ট পেয়ে পঞ্চম স্থানে মলদোভা।
হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমদের আগমনে বদলে গেছে দেশের ফুটবল। বছরখানেক আগেও দেশের ফুটবলপ্রেমীরা বুঁদ ছিল লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোতে। সেখানে নতুন সুখের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলাররা। প্রিমিয়ার লিগ কিংবা কানাডিয়ান লিগে খেলা হামজা-শমিতদের কল্যাণে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষেও টক্কর দিচ্ছে বাংলাদেশ।
বলার অপেক্ষা রাখে না, আগের চেয়েও জমজমাট এশীয় অঞ্চলের ফুটবল। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে সেটা ভালোভাবেই পরিলক্ষিত। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ কিংবা হংকং, চায়নার বিপক্ষে জামাল ভূঁইয়াদের ম্যাচ বরাবরই উপভোগ্য। মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি ও টিকিট নিয়ে হাহাকারই সেটার সাক্ষ্য দেয়।
এশিয়ান ফুটবলে এমন জাগরণে বেশ উচ্ছ্বসিত হামজা চৌধুরী। লেস্টার সিটির অধিনায়ক আজ হংকংয়ের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচ শেষে এ নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘দারুণ, একেবারে উঁচুমানের অভিজ্ঞতা। ইংল্যান্ডে খেলেছি, কিন্তু এখানকার এই স্টেডিয়ামটিও (কাই তাক স্পোর্টস পার্ক) সম্ভবত সেরাদের মধ্যে একটি। পরিবেশটা অসাধারণ, গোলপোস্টের পেছনে থাকা সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখলেই বোঝা যায়, তারা কতটা দুর্দান্ত।’
হামজা আরও যোগ করেন, ‘এটাই তো ফুটবলে চাই, বিশেষ করে এশিয়ায়। এই খেলাটা আরও বড় হোক, বিশ্বমঞ্চে জায়গা পাক। এজন্য ধন্যবাদ জানাই হংকংয়ের সমর্থকদের। অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশি সেই সমর্থকদেরও, যারা এখানে পর্যন্ত ভ্রমণ করে এসেছে।’
৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার কাই তাক স্পোর্টস পার্কে মুখোমুখির আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছিলেন, ‘খেলার সময় দর্শকদের উপস্থিতি তেমন একটা টের পাওয়া যায় না। কারণ, তখন শরীরে অ্যাড্রেনালিনের (বিশেষ হরমোন) মাত্রা অনেক বেশি থাকে। ফলে মনোযোগ থাকে পুরোপুরি খেলায়।’
আজ পুরোপুরি খেলাতেই মনোযোগ ধরে রেখেছিল সফরকারীরা। তবে ৩৪ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে তারা। পরে ৮৪ মিনিটে ফেরে সমতায়। একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে ১-১ ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে। এশিয়ান কাপে খেলার আশা প্রায় শেষই বলা যায়।
এ নিয়ে খানিকটা অসন্তুষ্ট হামজা, ‘আজ হংকংয়ের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও একটা সময় সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। পরে আমাদের সামনে আবারও কিছু তৈরি করার মতো ভিত্তি তৈরি হয়েছে। তবে দিন শেষে একটু হতাশা রয়ে গেল।’
ঢিমেতালে শুরুর পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়ায় হংকং, চায়না। তাতে গোলও আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় লাল-সবুজেরা। কিন্তু সমতায় ফেরা গোলের পর ১০ জনের দলের বিপক্ষে জিততে না পারার আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়ে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
হংকংয়ের কাই তাক স্পোর্টস গ্রাউন্ডে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আজ বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দেয় হংকং। সেখানে ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল। বাংলাদেশের হয়ে গোল করেছেন রাকিব হোসেন।
‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে এক পয়েন্ট পেয়েছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে হংকং। এখান থেকে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ এখনো টিকে আছে হামজাদের। সেটি নির্ভর করছে যদি-কিন্তুর ওপর।
এদিন খেলার ২০ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ফ্রি কিকে বাংলাদেশের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়ায় হংকং। বক্সে লিওন জোনসের হেড সহজেই গ্লাভসবন্দি করেন মিতুল মারমা।
দুই মিনিট পর দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল নিয়ে ওপরে ওঠা শমিতকে পেছন থেকে জার্সি ধরে টেনে ফেলে দেন হংকংয়ের এক ডিফেন্ডার। প্রতিপক্ষের রক্ষণ দেয়ালে হামজার সেই ফ্রি কিক প্রতিহত হয়
এরপর বাংলাদেশের অর্ধে চাপ বাড়ায় হংকং। ম্যাচ ঘড়ির ৩৪ মিনিটে প্রথম কর্নারও আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। কর্নার থেকে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়েই বক্সে ফার্নান্দো পেরেইরাকে ফাউল করে বসেন তারিক কাজী। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাট অর। দেশের জার্সিতে ১২তম গোলের দেখা পেলেন হংকং অধিনায়ক।
৪৪তম মিনিটে বাড়তে পারত বিপদ। মিতুলের গ্লাভস গলে বল পেরিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার দ্রুত ক্লিয়ার করেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। সাদ উদ্দিনের ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে হামজা হেডে পাস দিতে চেয়েছিলেন শমিতকে। তবে কানাডা-প্রবাসী এই মিডফিল্ডার বলের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার আগেই ক্লিয়ার করেন এনগান চেউক পান। সমতায় ফিরতে না পারার অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
৫১ মিনিটে সাদকে গোলবঞ্চিত করেন হংকং গোলকিপার। বক্সের সামনে তপু বর্মনের লং পাস পেয়ে বিপৎসীমায় ঢুকে পড়েন সাদ। বক্সে তখন প্রতিপক্ষের ছিল মাত্র এক ডিফেন্ডার, কিন্তু ফায়দা লুটার আগেই বল ধরে ফেলেন সি কা উইং।
৬১ মিনিটে মিতুলকে অনেকটা সামনে দেখে গোলকিপারের ওপর দিয়ে বল মারেন ফার্নান্দো। তবে এই ফরোয়ার্ডের শটে বল যায় বারের ওপর দিয়ে। পরের মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে জায়ানের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন রাকিব।
৬৪ মিনিটে সোহেল রানা ও জায়ানের বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় জামাল ও ফাহামিদুলকে। দুই মিনিট পর বাংলাদেশকে রক্ষা করেন সাদ। ৬৮ মিনিটে ফাহামিদুলের শট আটকে দেন হংকং গোলকিপার।
৭৩ মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগটা পায় বাংলাদেশ। ডান দিকে কর্নারের কাছাকাছি সাদের ক্রসে গোলমুখের সামনে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি ফাহামিদুল।
৮৪ মিনিটে রাকিবের গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত থেকে ফাহিমের ক্রস বক্সে রিসিভ করেন ফাহামিদুল। সামনে থাকা রাকিবকে পাস দিলে কোনো ভুল করেননি বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ১০ জুন, সর্বশেষ ঘরের মাঠে গোল পেয়েছিলেন রাকিব। দেশের জার্সিতে এটি তার ষষ্ঠ গোল।
এরপর একাধিক আক্রমণ করলেও ১০ জনের দলের বিপক্ষে জয়সূচক গোল আদায় করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। হংকং থেকে আক্ষেপের ড্র নিয়েই আগামীকাল দেশে ফিরবেন জামাল, তপু ও অন্যরা।
ফিফা আন্তর্জাতিক বিরতির প্রীতি ম্যাচগুলোতে ব্রাজিল মিশ্র ফলাফল পেয়েছে। প্রথমে সাউথ কোরিয়াকে ৫-০ গোলে পরাজিত করার পর জাপানের কাছে ৩-২ গোলে হেরে গেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
জাপানের আজিনোমোতো স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে চারটার ম্যাচে গতি-পাস আর নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। এমন কী প্রথমার্ধ পর্যন্ত ০-২ লিড ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে অতিথিদের।
এদিন ম্যাচের প্রথম গোলটি হজম করে জাপান। ২৬ মিনিটে পাওলো হেনরিকের গোলে এগিয়ে যাওয়ার ৬ মিনিট পর লিড দ্বিগুণ করে ব্রাজিল। লুকাস পাকেতার পাস ধরে দলকে এগিয়ে নেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি। প্রথমার্ধে ০-২ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় অতিথিরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও গতি-পাস আর নিয়ন্ত্রণ একপাক্ষিক রাখে সেলসাওরা। তবে যেটা প্রয়োজন সেই গোল পাচ্ছিল না হলুদ জার্সিধারীরা। যার প্রভাব পড়ে ম্যাচে।
ক্রমান্বয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে থাকে জাপান। আগের অর্ধ থেকে দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় তিন শতাংশ বেশি বল নিজেদের দখলে রাখে জাপান। চেনা মাঠে একের পর এক আক্রমণ শানিত করে সূর্যোদয়ের দেশের ফুটবল যোদ্ধারা।
জাপান তাদের ঐক্যবদ্ধ আক্রমণের সুফল পায় ৫২ মিনিটে। তাকুমি মিনামিনোর কল্যাণে একটি গোল শোধ করে স্বাগতিকরা। যদিও এ গোলে সফরকারীদের অবদান বেশি। ডি বক্সের ভেতর বল পাস দিতে গিয়ে পড়ে যান ব্রাজিল ডিফেন্ডার ফাব্রিসিও ব্রুনো। বল নাগালে পেয়ে যান মোনাকো লেফট উইঙ্গার। সেখান থেকেই জাল কাঁপান তাকুমি।
সমতায় ফিরতে মাত্র ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় জাপানকে। কেইতো নাকামুরার গোলে স্বস্তিতে ফেরে স্বাগতিকরা। আর ম্যাচ ঘড়ির ৭১ মিনিটে উইদা দলকে এগিয়ে দেন। বাঁ-কর্নার থেকে তার বুলেট গতির শট দারুণ হেডে গোল লক্ষ্যভেদ করেন ফেইনুর্ড মিডফিল্ডার।
ম্যাচে ৬৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ ছিল অতিথিদের দখলে। তবে প্রতিপক্ষ মুখে শটে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। ১৫টি শট নিয়ে ৬টি গোলমুখে রাখতে পেরেছে জাপান। এদিকে পিছিয়ে ছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। তারা মোট শট নেয় ৮টি। অন টার্গেট শট ছিল ৪টি। যার মধ্যে ২টি থেকে গোল পায় ব্রাজিল।